আধুনিক জীবনে বিজ্ঞান বনাম কুসংস্কার প্রবন্ধ রচনা Class 7, 8, 9,10

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

প্রবন্ধ রচনা : আধুনিক জীবনে বিজ্ঞান বনাম কুসংস্কার, বিজ্ঞান ও কুসংস্কার প্রবন্ধ রচনা,

উত্তর: ভূমিকা: মানুষের উন্নতির প্রধান কারণ হল একের পর এক বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার। সে তার অসামান্য বুদ্ধির প্রয়োগে নানাবিধ অসম্ভবকে সম্ভব করেছে। কিন্তু ভাবতে অবাক লাগে, মানুষ বিজ্ঞানকে হাতিয়ার করে উন্নতির চরম শিখরে পৌঁছে গিয়েও এমন কিছু কুসংস্কারকে বহন করে চলেছে, যা সম্পূর্ণ অযৌক্তিক ও অবৈজ্ঞানিক। 


বিজ্ঞানের জয়যাত্রা : বিজ্ঞান এক জাদুকরের মতো বর্তমানমানবজীবনকে আরামপ্রদ করে তুলেছে। দৈনন্দিন জীবনে বিজ্ঞান ছাড়া মানুষ এখন অচল। বাড়ির নানা কাজে, কর্মক্ষেত্রে, চিকিৎসাবিদ্যায়, খেলাধূলায়, বিনোদনে—সব কিছুতে বিজ্ঞানই হল মানুষের সবচেয়ে বড়ো বন্ধু।


কুসংস্কারের স্বরূপ : কুসংস্কার হল দীর্ঘদিন ধরে চলে আসা কিছু ভুল ধারণা, যা মানুষের অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করে। কুসংস্কার সব সময়ই অযৌক্তিক ও অবৈজ্ঞানিক। মানুষ ব্যক্তিগত জীবনে কিছু কুসংস্কার মেনে চলে, যেগুলি হয়তো সমাজের পক্ষে ক্ষতিকারক নয়। কিন্তু যে কুসংস্কারগুলি সমাজের পক্ষে ক্ষতিকারক, সেগুলি অবশ্যই ত্যাগ করা উচিত। একবিংশ শতাব্দীতেও যদি উড়ালপুল তৈরি করার জন্য

শিশুবলি দেওয়া হয়, কিংবা ডাইনি সন্দেহে মানুষকে পুড়িয়ে মারা হয়,তাহলে তা নিতান্তই দুর্ভাগ্যজনক। তথাকথিত শিক্ষিত মানুষওব্যক্তিগত জীবনে এরকম বহু কুসংস্কারকে লালন করে চলেছেন ।


কুসংস্কাররোধে বিজ্ঞান: বিজ্ঞানের প্রসারই কুসংস্কার থেকে মানুষকে মুক্ত করতে পারে। যথার্থ শিক্ষা ও যুক্তিবোধ মানুষকে উদার করে। ফলে মানুষের চিন্তা যুক্তিনির্ভর হয়। শিক্ষার অভাব মানুষকে অন্ধকারের দিকে নিয়ে যায়, আর তখনই কুসংস্কারগুলো মাথাচাড়াদিয়ে ওঠে। বর্তমানে অনেক সংগঠন বক্তৃতা বা পথসভার মাধ্যমে মানুষের মনের এই অন্ধবিশ্বাস ও কুসংস্কার দূর করতে সচেষ্ট হয়েছেন।


উপসংহার: মানুষ বহুদিনের চেষ্টায় বিজ্ঞানকে হাতিয়ার করে এই সভ্যতা গড়ে তুলেছে। কিন্তু অজস্র কুসংস্কার অনেকসময় মানুষের উন্নতির পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়। বিজ্ঞানকে দিয়েই কুসংস্কারকে প্রতিহত করতে হবে—এটাই এখন আমাদের মূলমন্ত্র।

Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url