নীরব পাঠ কাকে বলে? নীরব পাঠের শর্ত, অসুবিধা ও উপযোগিতা
WhatsAp Group
Join Now
Telegram Group
Join Now
নীরব পাঠ: যে পাঠে রব বা ধ্বনি উৎপন্ন না করে পাঠ করা হয় তাকে নীরব পাঠ বলা হয়। সরব পাঠে দক্ষতা অর্জনের পর উচ্চতর শ্রেণিশিক্ষণে নীরব পাঠের প্রয়োজন হয়।
নীরব পাঠ কাকে বলে? নীরব পাঠের শর্ত, অসুবিধা ও উপযোগিতা
পাঠে আগ্রহী করার ক্ষেত্রে শিক্ষকের তিনটি কৌশল লিখুন।
পাঠে আগ্রহী করার ক্ষেত্রে শিক্ষকের তিনটি কৌশল হল-
1. বিভিন্ন ধরনের পাঠাভ্যাস গড়ে তোলার জন্য পাঠ্যপুস্তক ভি অন্যান্য বই, সংবাদপত্র পড়ার উৎসাহ দেবেন।
2. বয়স, সামর্থ্য, পছন্দ, শ্রেণি বিচার করে পাঠের কাজ দেবেন গুরুত্বপূর্ণ পয়েন্টগুলি নোট করতে বলবেন।
3. কী পড়ছে তার থেকেও কীভাবে পড়েছে সেটি বোঝাবার করবেন। প্রক্রিয়াটিকে গুরুত্ব দেবেন।
নীরব পাঠের শর্তগুলি কী কী? (What are the conditions o silent reading?)
নীরব পাঠেরশর্তগুলি হল নিম্নরূপ---------------
1. নিবিড় মনঃসংযোগ।
2. পাঠের উপযোগী শান্ত ও সুন্দর পরিবেশ।
3. গদ্য রচনা।
4. বুদ্ধিবৃত্তি ও ভাষা ব্যবহারের দক্ষতা।
5. পাঠের দক্ষতা।
6. নীরব পাঠের সঙ্গে মননশীলতাকে যুক্ত রাখতে হবে।
নীরব পাঠের অসুবিধা:
নীরব পাঠের অসুবিধাগুলি হল----------------
1. নীরব পাঠের জন্য প্রয়োজনীয় শান্ত পরিবেশ আজকের জটিল সামাজিক জীবনে সর্বত্র পাওয়া যায় না।
2. প্রয়োজনীয় মনঃসংযোগ আজকের দিনে সম্ভব নয়-অন্যমনস্ক হওয়ার সম্ভাবনা বেশি।
3. নীচু শ্রেণিতে কাম্য নয়।
4. কবিতা পাঠের ক্ষেত্রে অসুবিধা হয়।
5. দ্রুত পাঠের সম্ভাবনা বেশি, ফলে বিষয়বস্তুর সমগ্রতা সম্পর্কে সঠিক ধারণার পরিবর্তে একটা আবছা ধারণা তৈরি হয়। ফলে শিক্ষা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
নীরব পাঠের উপযোগিতা: ---------------
নীরব পাঠের উপযোগিতাগুলি হল
1. নীরব পাঠে সময় কম লাগে।
2. নীরব পাঠ অপরের অসুবিধা করে না।
3. নীরব পাঠ শরীরে কম অবসাদ আনে।
4. নীরব পাঠ মননশীলতার উপযোগী।
5. অল্প সময়ে বেশি পাঠ করা যায়।
6. যেহেতু রব বা ধ্বনি উচ্চারিত হয় না তাই নীরব পাঠ সর্বত্র করা যায়।