ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত ও নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের মধ্যে পার্থক্য লেখ | ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত ও নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের মধ্যে তুলনা করো

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত ও নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের মধ্যে পার্থক্য লেখ | ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত ও নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের মধ্যে তুলনা করো |

ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত ও নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের মধ্যে পার্থক্য লেখ | ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত ও নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের মধ্যে তুলনা করো
 ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত ও নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাতের মধ্যে পার্থক্য

পার্থক্যের বিষয়

ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত

নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত

1. অবস্থান

(i) উভয় গোলার্ধে 15°- 20° অক্ষরেখার মধ্যবর্তী ক্রান্তীয় অঞ্চলে সৃষ্টি হয়।

(i) উভয় গোলার্ধে প্রধানত 35°-50° অক্ষরেখার মধ্যবর্তী অঞ্চলে ঘটে।

2. উৎপত্তি কাল

(ii) গ্রীষ্মকাল ও শরৎকাল

(ii) বছরের যে কোনো সময়ে এর উৎপত্তি ঘটে, তবে শীতকালে বেশি।

3. আয়তন

(iii) ক্ষুদ্রতর, ব্যাস 100 কিমি থেকে 800 কিমি।

(iii) বিস্তৃততর ব্যাস 200 কিমি থেকে 3000 কিমি পর্যন্ত হয়। উল্লম্ব গভীরতা অপেক্ষাকৃত কম।

4. উৎসস্থল

(iv) উষ্ণ সমুদ্রপৃষ্ঠ উল্লম্ব গভীরতা অপেক্ষাকৃত বেশি।

(iv) প্রধানত স্থলভাগ। অনেকক্ষেত্রে সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে উৎপত্তি লাভ করে।


5. সৃষ্টির পূর্বশর্ত


(v) উষ্ণ সমুদ্রপৃষ্ঠে পরিচলন প্রণালীর সৃষ্টি হয়।

(v) বায়ুপ্রাচীর বা সীমান্ত তরঙ্গের সৃষ্টি।

6. শক্তির উৎস


(vi) ঘনীভবনের ফলে পরিত্যক্ত লীনতাপ ।

(vi) বায়ুপুঞ্জ থেকে প্রাপ্ত তাপ ।

7. চাপ-তাপীয় অবস্থা

(vii) কেন্দ্রে নিম্নচাপ অবস্থান করে। কেন্দ্র থেকে বাইরের দিকে চাপ ক্রমশ বৃদ্ধি পায় ও তাপমাত্রা কমতে থাকে। চাপ ও তাপমাত্রা ঢাল খুব বেশি থাকে।

(vii) এক্ষেত্রে চাপ ও তাপমাত্রার ঢাল ততটা তীব্র নয়। নিম্নচাপের সঙ্গে উচ্চচাপও অবস্থান করে।


8. আকার

(viii) কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ঝড়ের চক্ষু অবস্থান করে। এই অংশকে বেষ্টন করে সমচাপগুলি অবস্থান করে। এগুলি সমকেন্দ্রীয় বৃত্তাকার, ঘনসন্নিবিশিষ্ট এবং পরস্পর সমদূরবর্তী হয়ে থাকে।

(viii) এক্ষেত্রে ঘূর্ণবাতের কোনো চক্ষু পাওয়া যায় না । কেন্দ্রীয় নিম্নচাপকে বেষ্টন করে

সমচাপরেখাগুলি ‘V’-এর আকারে বিন্যস্ত থাকে ৷ এই সমচাপরেখাগুলি পরস্পর সমদূরবর্তী নয় ।

9. বায়ুর গতিবেগ


(ix) এক্ষেত্রে বায়ুর গতিবেগ ঘণ্টায় 40-400 কিমি হয়।

(ix) এক্ষেত্রে বায়ুর গতিবেগ ঘণ্টায় 30-35 কিমি হয়।

10. চলনের দিক


(x) বায়ুপ্রবাহের দিক চাপঢালের অভিমুখ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। সাধারণত সমুদ্র থেকে স্থলভাগের দিকে আয়ন বায়ুর প্রভাবে উত্তর-পশ্চিম বা পশ্চিমাভিমুখী চলন দেখা যায়। মেরুর পরে দিকে বেঁকে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে চলতে থাকে।

(x) পশ্চিমাবায়ুর প্রভাবে পশ্চিম থেকে পূর্বদিকে অগ্রসর হয়।

11. আবহিক পরিস্থিতি

(xi) কিউমুলাস ও কিউমুলোনিম্বাস জাতীয় মেঘের ঘনঘটা দেখা যায়। কয়েক ঘণ্টা বা দু-এক দিন মুষলধারে বৃষ্টিপাত ঘটে।

(xi) নিম্বো স্ট্র্যাটাস ও আল্টোস্ট্র্যাটাস জাতীয় মেঘ থেকে বেশ কয়েকদিন ধরে হালকা বৃষ্টি ও তুষারপাত হতে দেখা যায় ।

12. স্থায়িত্ব কাল

(xii) ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত অল্পকাল স্থায়ী হয়।

(xii) নাতিশীতোষ্ণ ঘূর্ণবাত বেশ কিছুদিন স্থায়ী হয়।

13. বায়ুপুঞ্জ


(xiii) কেবলমাত্র একটি বায়ুপুঞ্জের (উষ্ণ) মধ্যেই সৃষ্টি হয়।

(xiii) ভিন্নধর্মী অর্থাৎ উষ্ণ ও শীতল বায়ুপুঞ্জের পাশাপাশি অবস্থানের ফলে সৃষ্টি হয়।

14. কেন্দ্রের বায়ুর দিক

(xiv) এর কেন্দ্রের সমস্ত বায়ুই ঊর্ধ্বগামী হয়।

(xiv) এর কেন্দ্রের কেবলমাত্র উষ্ণবায়ু ঊর্ধ্বগামী কিন্তু শীতলবায়ু নিম্নমুখী হয়

15. সীমান্ত

(xv) এখানে সীমান্ত অনুপস্থিত।

(xv) এর কেন্দ্রে উষ্ণ ও শীতল সীমান্ত থাকে।

16. বিধ্বংসী ক্ষমতা

(xvi) এর বিধ্বংসী ক্ষমতা ব্যাপক ও প্রবল।


(xvi) এর বিধ্বংসী ক্ষমতা সীমিত ও কম।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url