মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর | মাধ্যমিক ইতিহাস সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা প্রশ্ন ও উত্তর

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

দশম শ্রেণী ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর | Madhyamik history second chapter question answer | Class 10 history second chapter question answer


আসসালামু আলাইকুম,

তোমাকে আমাদের এই SKGUIDEBANGLA শিক্ষামূলক ওয়েবসাইটে স্বাগতম।

আজকে আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণির ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf। মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা । দশম শ্রেণির ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর । সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর |Madhyamik history chapter 3 question answer যা দশম শ্রেণির পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ যা আগত দশম শ্রেণির টেস্ট ও ফাইনাল পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে‌ ।


তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের দশম শ্রেণির ইতিহাস ২ নম্বর অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর  / গুলো ভালো করে পড়ে নাও বা নীচে  দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে ক্লাস 10 ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর দ্বিতীয় অধ্যায় pdf download, class 10 history second chapter questions answers pdf download করে নিতে পারো। এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে YouTube Live Class এর  মাধ্যমে  ক্লাস করতে চাইলে আমাদের YouTube Channel এ ভিজিট করো ও Subscribe করে নাও।

YouTube Link - .  OUR ONLINE SCHOOL   SUBSCRIBE       


      আরও পোস্ট দেখো     B  

এছাড়াও তোমার মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য গুরুত্বপূর্ণ সাজেশন ডাউনলোড করে নিতে পারো নীচে দেওয়া লিংকে ক্লিক করে।


Madhyamik History Suggestion 2024  | West Bengal WBBSE Class Ten X history Qustion and Answer Suggestion 2024, মাধ্যমিক ইতিহাস সাজেশন 2024



‘‘মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা’’ একটি অতি গুরুত্বপূর্ণ টপিক মাধ্যমিক পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য।  সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায় থেকে প্রশ্ন অনেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন মাধ্যমিক পরীক্ষায় আসে । 


মাধ্যমিক ইতিহাস – সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর নিচে দেওয়া হলো।


A. সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা mcq প্রশ্ন

ANS:- PDF Download link Click here 



অতিসংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক ইতিহাস – সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Question and Answer : 

1. কোন্ শতককে নবজাগরণের যুগ বলা হয়?

উত্তর: উনিশ শতককে নবজাগরণের যুগ বলা হয়।


2. বেঙ্গল গেজেট করে প্রকাশিত হয়?

উত্তর: বেঙ্গল গেজেট প্রকাশিত হয় ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দের ২৯ জানুয়ারি।


3. ভারতবর্ষে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম মাসিক পত্রিকাটি কী?

উত্তর: ভারতবর্ষে বাংলা ভাষায় প্রকাশিত প্রথম মাসিক পত্রিকাটি হল শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশনের মার্শম্যান সম্পাদিত দিগ্‌দৰ্শন


4. দিগ্‌দর্শন করে প্রকাশিত হয়?

উত্তর: দিগ্‌দর্শন প্রকাশিত হয় ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দের এপ্রিল মাসে।


5. বাংলা তথা ভারতের প্রথম সাপ্তাহিক পত্রিকাটির নাম কী?

উত্তর: বাংলা তথা ভারতের প্রথম সাপ্তাহিক পত্রিকাটির নাম হল সমাচার দর্পণ


6.সমাচার দর্পণ কে সম্পাদনা করেন?

উত্তর: সমাচার দর্পণ সম্পাদনা করেন শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশনের জোশুয়া মার্শম্যান।


7. সমাচার দর্পণ করে প্রকাশিত হয়?

উত্তর: সমাচার দর্পণ প্রকাশিত হয় ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দের মে মাসে।


8.সোমপ্রকাশ পত্রিকার সম্পাদক কে ছিলেন?

উত্তর: সোমপ্রকাশ পত্রিকার সম্পাদক ছিলেন দ্বারকানাথ বিদ্যাভূষণ |

9. সোমপ্রকাশ করে প্রকাশিত হয়?

উত্তর: সোমপ্রকাশ পত্রিকাটি প্রকাশিত হয় ১৮৫৮ খ্রিস্টাব্দে।


10. বঙ্গদর্শন পত্রিকাটির রচয়িতা কে?

উত্তর: বঙ্গদর্শন পত্রিকাটির রচয়িতা হলেন বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়।


1. বঙ্গদর্শন পত্রিকাটি কত খ্রিস্টাব্দে প্রকাশিত হয়।

উত্তর: বঙ্গদর্শন পত্রিকাটি প্রকাশিত হয় ১৮৭৩ 5 খ্রিস্টাব্দে।


সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা 1 নং প্রশ্ন উত্তর

12. অমৃতবাজার পত্রিকার প্রথম সম্পাদক কে?

উত্তর: অমৃতবাজার পত্রিকার প্রথম সম্পাদক ছিলেন শিশিরকুমার ঘোষ।


13. অমৃতবাজার পত্রিকা প্রথম কত খ্রিস্টাব্দে এবং কোথা থেকে প্রকাশিত হত?

উত্তর: অমৃতবাজার পত্রিকা প্রথম ১৮৬৮ খ্রিস্টাব্দে যশোহর থেকে প্রকাশিত হত।


14. হান্টার কমিশন কখন নিয়োগ করা হয়?

উত্তর: লর্ড রিপনের আমলে ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে হান্টার কমিশন নিয়োগ করা হয়।


15. ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন কবে গঠিত হয়?

উত্তর: ১৯০২ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কমিশন গঠিত হয়।


16. ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটিজ আইন করে প্রণীত

উত্তর: ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে ইন্ডিয়ান ইউনিভার্সিটিজ আইন প্রণীত হয়।


17. স্যাডলার কমিশন করে নিয়োগ করা হয়?

উত্তর: ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে স্যাডলার কমিশন নিয়োগ করা হয়।


18. ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ কে প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তর: লর্ড কার্জন ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ব বিভাগ প্রতিষ্ঠা


19 ভারতে প্রথম মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় কোথায় প্রতিষ্ঠিত হয়?

উত্তর: ধান্দো কেশব কার্ডে ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে পুনাতে প্রথম মহিলা বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন।


20. A Nation in Making গ্রন্থটি কার লেখা?

উত্তর: A Nation in Making গ্রন্থটির লেখক হলেন সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায়।


21. ডিরোজিও-র অনুগামীদের কাছে কোন্ গ্রন্থটি বাইবেল বলে গণ্য হত ?

উত্তর: টম পেইনের Age of Reason গ্রন্থটি ডিরোজিও-র অনুগামীদের কাছে বাইবেল বলে গণ্য হত।


22. কে রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তর: শ্রীরামকৃষ্ণের অন্যতম শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ রামকৃষ্ণ মিশন প্রতিষ্ঠা করেন।


23 নবজাগরণ শব্দটির অর্থ কী?

উত্তর: নবজাগরণ শব্দটির অর্থ হল নতুন করে জেগে ওঠা অর্থাৎ পুনর্জন্ম।


24. সমাচার চন্দ্রিকা পত্রিকাটি কে সম্পাদনা করেন?

উত্তর: সমাচার চন্দ্রিকা পত্রিকাটি সম্পাদনা করেন ভবানীচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়।


25. একজন প্রাচ্যবাদী শিক্ষাবিদের নাম লেখো।

উত্তর: একজন প্রাচ্যবাদী শিক্ষাবিদের নাম হল জেমস প্রিন্সেপ |


26. একজন পাশ্চাত্যবাদী শিক্ষাবিদের নাম লেখো।

উত্তর: একজন পাশ্চাত্যবাদী শিক্ষাবিদের নাম হল ট্ৰেভেলিয়ান।


27. ভারতে সরকারিভাবে পাশ্চাত্য শিক্ষা করে প্রবর্তিত হয়?

উত্তর: ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দের ৭ মার্চ ভারতে সরকারিভাবে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তিত হয়।


28 কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভারতীয় উপাচার্য কে ছিলেন?

উত্তর: কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম ভারতীয় উপাচার্য ছিলেন স্যার গুরুদাস বন্দ্যোপাধ্যায়।


29. বর্তমান ভারত কে রচনা করেন?

উত্তর: বর্তমান ভারত রচনা করেন স্বামী বিবেকানন্দ।


30. শিকাগো বিশ্বধর্ম সম্মেলন করে অনুষ্ঠিত হয়?

উত্তর: ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে শিকাগো বিশ্বধর্ম সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।


|

সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর | মাধ্যমিক ইতিহাস – সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Question and Answer :

 

1. বামাবোধিনী পত্রিকা কেন প্রকাশিত হয়?

উত্তর: ব্রাহ্মনেতা কেশবচন্দ্র সেন ছিলেন নারী উন্নয়নের অন্যতম প্রবক্তা | মূলত, তাঁরই অনুপ্রেরণায়স্ত্রীজাতির উন্নতিকল্পে বামাবোধিনী পত্রিকা প্রকাশিত হয়। নারীদের মতামত প্রকাশের এক গুরুত্বপূর্ণ মঞ্চ প্রদান করে বামাবোধিনী পত্রিকা


2.বামাবোধিনী পত্রিকা কবে, কার সম্পাদনায়প্রকাশিত হয়?

উত্তর: ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দের আগস্ট মাসে, উমেশচন্দ্র দত্তের সম্পাদনায় বামাবোধিনী পত্রিকাপ্রকাশিত হয়।


3.. হিন্দু পেট্রিয়ট পত্রিকার অন্যতম উদ্দেশ্য কীছিল?

উত্তর: হিন্দু পেট্রিয়ট পত্রিকার অন্যতম উদ্দেশ্য ছিল দেশের দরিদ্র চাষিদের ওপর ইউরোপীয় নীলকরদের অত্যাচারের কাহিনি নির্ভীকভাবে প্রকাশ করা। 


4.হরিশচন্দ্র বীর মুখোপাধ্যায়ের সহযোগী সম্পাদক কে ছিলেন? পরে তিনি কোন্ পত্রিকা সম্পাদনা করেন?

উত্তর: হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের সহযোগী সম্পাদক ছিলেন শিশিরকুমার ঘোষ

শিশিরকুমার পরবর্তীকালে তিনি অমৃতবাজার পত্রিকা সম্পাদনা করেন।


5. হুতোম প্যাঁচার নকশা থেকে কী কথা জানা যায়?

উত্তর: কালীপ্রসন্ন সিংহের হুতোম প্যাঁচার নকশা-র মধ্যে দিয়ে উনিশ শতকের বাংলার সামাজিক চিত্রটি স্পষ্ট হয়। ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে এটির প্রথম খণ্ড প্রকাশিত হওয়ার ৩ বছর পর (১৮৬৫ খ্রি.) দ্বিতীয় খন্ডটি প্রকাশিত হয়। এটি সেই সময়ের কলকাতার ধনী, মধ্যবিত্ত এবং সাধারণ মানুষের জীবনধারার বিষয়ে আলোকপাত করে। তৎকালীন ধর্মীয় ভণ্ডামিকেও তিনি এই রচনায় ব্যঙ্গ করেছেন।


6. দীনবন্ধু মিত্রের নীলদর্পণ নাটকের মূল বিষয়বস্তু কী ছিল ?

উত্তর: নীলদর্পণ ছিল দীনবন্ধু মিত্রের প্রথম নাটক। নীলবিদ্রোহে ইউরোপীয় নীলকরদের অত্যাচারের কাহিনি এই নাটকে সবিস্তারে বিবৃত হয়েছে। তাঁর লেখনীর মাধ্যমে বাংলার কৃষক ও সাধারণ মানুষের প্রতি নীলকর সাহেবদের নির্মম নির্যাতনের চিত্র ফুটে উঠেছে এই নাটকে।


7. নীলদর্পণ নাটকের দুটি চরিত্রের নাম লেখো।

উত্তর: নীলদর্পণ নাটকের দুটি চরিত্র হল তোরাপ এবং গোলকচন্দ্র বসু।


৪. নীলদর্পণ নাটকের ইংরেজি অনুবাদটির নাম কী? এই নাটকের ইংরেজি অনুবাদক কে ছিলেন?

উত্তর: নীলদর্পণ নাটকের ইংরেজি অনুবাদটির নাম ইন্ডিগো প্ল্যান্টিং মিরর। এই নাটকের ইংরেজি অনুবাদক ছিলেন মধুসূদন দত্ত।


দশম শ্রেণির ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ


9. নীলদর্পণ নাটকটি প্রকাশিত হত না কেন?

উত্তর: দীনবন্ধু মিত্র সরকারি ডাকবিভাগের সুপারিন্টেন্ডেন্ট ছিলেন। সরকারের সমালোচনামূলক গ্রন্থ তথা নীলদর্পণ রচনার সাথে তাঁর সংযুক্তিকরণ, চাকুরিক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করতে পারত। তাই, নীলদর্পণ নাটকটি তাঁর স্বনামে প্রকাশিত হত না। নাটকটি লেখকের স্বনামে


10. জাতীয় নাট্যশালা করে প্রতিষ্ঠিত হয়? এই মঞ্চে অভিনীত প্রথম নাটক কোন্‌টি?

উত্তর: ১৮৭২ খ্রিস্টাব্দের ৭ ডিসেম্বর জাতীয় নাট্যশালা প্রতিষ্ঠিত হয়। এই মঞ্চে অভিনীত প্রথম নাটকটি হল নীলদর্পণ


11. নীলদর্পণ নাটককে কে, কোন্ বিদেশি নাটকের সঙ্গে তুলনা করেন?

উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় নীলদর্পণ নাটককে হ্যারিয়েট স্টো-এর লেখা আঙ্কল টমস কেবিন-এর সঙ্গে তুলনা করেন।


1 হরিনাথের নামের আগে কাঙাল শব্দটি যুক্ত হয় কেন?

উত্তর: হরিনাথ সমাজের দরিদ্র নিপীড়িত মানুষদের প্রতি সমব্যথী ছিলেন। তাই সমাজের সেই শ্রেণির মানুষদের সাথে একাত্মবোধে আবদ্ধ হতে, হরিনাথ তাঁর নামের আগে কাঙাল শব্দটি ব্যবহার করতেন।


14. ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের জন্য রামমোহন রায় কবে, কাকে তাঁর ঐতিহাসিক চিঠিটি লেখেন?

উত্তর: ১৮২৩ খ্রিস্টাব্দে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষা প্রবর্তনের জন্য রামমোহন রায় লর্ড আমহার্স্টকে তাঁর ঐতিহাসিক চিঠিটি লেখেন। তবে লর্ড আমহার্স্টের পক্ষ থেকে এই চিঠির কোনো উত্তর দেওয়া হয়নি।


15. দুজন প্রাচ্যবাদী এবং দুজন পাশ্চাত্যবাদী শিক্ষানুরাগীর নাম লেখো।

উত্তর: দুজন প্রাচ্যবাদী শিক্ষানুরাগী ছিলেন জেমস প্রিন্সেপ এবং হেনরি কোলব্রুক | অপরদিকে, দুজন পাশ্চাত্যবাদী শিক্ষানুরাগী ছিলেন টমাস ব্যাবিংটন মেকলে এবং আলেকজান্ডার ডাফ।


16.শ্রীকাদের শ্রীরামপুর ত্রয়ী বলা হয়? ®

উত্তর: জোশুয়া মার্শম্যান ও উইলিয়াম কেরি,উইলিয়াম ওয়ার্ডকে শ্রীরামপুর ত্রয়ী বলা হয়


17. কে, কবে হেয়ার স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তর: ডেভিড হেয়ার ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে হেয়ার স্কুল প্রতিষ্ঠা করেন।


18. কারা, কবে শ্রীরামপুর কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।

উত্তর: উইলিয়াম কেরি, জোশুয়া মার্শম্যান এবং উইলিয়াম ওয়ার্ড ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে শ্রীরামপুর কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।


19. স্কুল বুক সোসাইটি ও কলকাতা স্কুল সোসাইটি কবে, কেন প্রতিষ্ঠিত হয় ?

উত্তর: ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দে দরিদ্র স্কুল ছাত্রদের মধ্যে বিনামূল্যে পাঠ্যপুস্তক বিতরণের জন্য ডেভিড হেয়ার স্কুল বুক সোসাইটি প্রতিষ্ঠা করেন। ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দে ডেভিড হেয়ার সদ্য প্রতিষ্ঠিত স্কুলগুলি দেখাশোনা করার জন্য প্রতিষ্ঠা করেন কলকাতা স্কুল সোসাইটি।


20. ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে ভারতে প্রতিষ্ঠিত দুটি পাশ্চাত্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম লেখো।

উত্তর: ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দে ভারতে প্রতিষ্ঠিত দুটি পাশ্চাত্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান হল কলকাতা মেডিকেল কলেজ ও বোম্বাই-এর এলফিনস্টোন কলেজ।


21. উডের নির্দেশনামা কী?

উত্তর: ভারতের ভবিষ্যৎ শিক্ষাকাঠামো গঠনের উদ্দেশ্যে ১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দে ইংরেজ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির বোর্ড অব কন্ট্রোলের সভাপতি স্যার চার্লস উডের অধীনে একটি শিক্ষা কমিশন নিযুক্ত হয়।এই কমিশন প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শিক্ষার জন্য যে সুপারিশগুলি পেশ করে, তা উডের নির্দেশনামা নামে পরিচিত।


22. উডের নির্দেশনামার প্রধান দুটি সুপারিশ উল্লেখ করো।

উত্তর: উডের নির্দেশনামার প্রধান দুটি সুপারিশ হল–[1] কলকাতা, বোম্বাই ও মাদ্রাজে একটি করে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করা এবং [2] একটি স্বতন্ত্র শিক্ষা দফতর প্রতিষ্ঠা করা।


23. ১৮৫৭-৫৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতের কোথায় কোথায় বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়?

উত্তর: ১৮৫৭-৫৮ খ্রিস্টাব্দে ভারতের কলকাতা, বোম্বাই ও মাদ্রাজে বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হয়।


24. রামমোহন রায় ও ইয়ং বেঙ্গল দলের সমাজসংস্কার আন্দোলনের লক্ষ্যের মধ্যেপার্থক্য কোথায়?

উত্তর: রামমোহন রায়ের সমাজসংস্কার আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল গঠনধর্মী আর ইয়ং বেঙ্গল দলের সমাজসংস্কার আন্দোলনের লক্ষ্য ছিল হিন্দুধর্মের চিরাচরিত প্রথাগুলির বিলোপসাধন।


25. ইয়ং বেঙ্গল দলের দুজন সদস্যের নাম লেখো।

উত্তর: ইয়ং বেঙ্গল দলের দুজন সদস্য ছিলেন কৃষ্ণমোহন বন্দ্যোপাধ্যায় এবং দক্ষিণারঞ্জনমুখোপাধ্যায়।


26. ইয়ং বেঙ্গল দলের দুটি মুখপত্রের নাম লেখো।

উত্তর: ইয়ং বেঙ্গল দলের দুটি মুখপত্র ছিল এনকোয়ারার এবং পার্থেনন।


মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় 4 নম্বরের প্রশ্ন / দশম শ্রেণির ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় 4 নম্বরের প্রশ্ন



1. নারীমুক্তি আন্দোলনে বামাবোধিনী পত্রিকার ভূমিকা লেখো।

উনিশ শতকের নারীমুক্তি আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে উমেশচন্দ্র দত্ত সম্পাদিত বামাবোধিনী পত্রিকা। এই পত্রিকার উদ্দেশ্য ছিল বাংলায় নারীশিক্ষার প্রসার ঘটিয়ে তাদেরকে পুরুষতান্ত্রিক সমাজ দ্বারা নির্মিত কারাগার থেকে মুক্ত করা। নারীমুক্তির জন্য পত্রিকাটি যেসব সামাজিক ব্যবস্থার বিরুদ্ধে আন্দোলনে সোচ্চার হয় তা হল-


[1] ব্যভিচার দূর করা: এই পত্রিকার প্রথম সংখ্যাতেই বলা হয় যে, নারীকে শিক্ষিত করে না তুলতে পারলে সমাজ থেকে ব্যভিচার দূর করা যাবে না। তাই নারীশিক্ষার দাবি তোলা হয় এই পত্রিকারমাধ্যমে।


[2] বাল্যবিবাহের বিরোধিতা: বামাবোধিনী নারীদের বাল্যবিবাহের বিরোধিতা করে।এই পত্রিকায় বাল্যবিবাহের বিভিন্ন কুফল হিসেবে অল্পায়ু ও ক্ষীণবল সন্তানদের জন্ম প্রভৃতির কথা বলা হয়।


[3] অসম বিবাহ বা বার্ধক্য বার্ধক্য বিবাহের বিরোধিতা: বামাবোধিনী পত্রিকা স্পষ্ট ভাষায় ঘোষণা করে যে, অসম বিবাহ বা বার্ধক্য বিবাহ সমাজর পক্ষে যথেষ্ট ক্ষতিকর।


[4] মেয়েদের কৃতিত্ব ও সাফল্য প্রকাশ : এই পত্রিকাতে মেয়েদের লেখা গল্প ও কবিতা প্রকাশিত হত। মেয়েদের কৃতিত্ব, সাফল্য এমনকি বাংলায় রাজনৈতিক আন্দোলন শুরু হলে তাতে মেয়েদের অংশগ্রহণের খবর, ঠাকুরবাড়ির মেয়েদের কার্যকলাপ প্রভৃতি নিয়মিত প্রকাশিত হত এই পত্রিকায়।


মন্তব্য: নারীদের মতামত প্রকাশের এক গুরুত্বপূর্ণমঞ্চ প্রদান করেছিল এই পত্রিকা। তবে এর প্রধান

সীমাবদ্ধতা ছিল যে, এটি স্ত্রীশিক্ষায় উদ্যোগী হলেও এর প্রকৃত উদ্দেশ্য ছিল সুগৃহিণী, আদর্শ পত্নী ও সুমাতা হতে নারীদের উৎসাহিত করা।



সমাজসংস্কারে হিন্দু পেট্রিয়ট-এর ভূমিকা কী ছিল?

উত্তর

উনিশ শতকে বাংলায় প্রকাশিত নানা পত্রপত্রিকার মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল গিরিশচন্দ্র ঘোষ সম্পাদিত ও মধুসূদন রায় দ্বারা প্রকাশিত হিন্দু পেট্রিয়ট| এই পত্রিকা পরে হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায়ের সম্পাদনায় ঔপনিবেশিক কুশাসনের বিরুদ্ধে নির্ভীক সাংবাদিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করে। তৎকালীন সমাজসংস্কারের ক্ষেত্রে এই পত্রিকা যে ভূমিকা পালন করে তা হল-

[1] অত্যচারীদের শান্তি কামনা: এই পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে হরিশচন্দ্র প্রথমে ১৮৫৫ খ্রিস্টাব্দে সাঁওতাল বিদ্রোহের সময় হিন্দু পেট্রিয়ট পত্রিকায়লেখেন, যারা শান্তিপ্রিয় সাঁওতালদের ওপর জুলুম, অত্যাচার করে তাদের বিদ্রোহে নামতে বাধ্য করেছে, তাদের শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।


[2] নীলচাষিদের সোচ্চার : বাংলায় নীলবিদ্রোহ শুরু হলে হরিশচন্দ্র বিপন্ন নীলচাষিদের পক্ষে আন্দোলনে সোচ্চার হন। নীলবিদ্রোহের সময় হিন্দু পেট্রিয়ট বাংলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে ঘুরে খবর

সংগ্রহ করে তা সর্বসমক্ষে তুলে ধরে। ]


[3] প্রগতিশীল সামাজিক আন্দোলনকে সমর্থন: হিন্দু পেট্রিয়ট প্রগতিশীল সামাজিক সংস্কার যেমন—স্ত্রীশিক্ষা ও বিধবাবিবাহকে সমর্থন করে।


[4] আত্মত্যাগকে স্বীকৃতি: ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের সময় এই পত্রিকা প্রায় নিয়ম করে বিদ্রোহের খবরগুলিকে শিরোনাম করে তুলত। তাঁতিয়া টোপেকে বিদ্রোহী হিসেবে ফাঁসি দেওয়া হলে

পত্রিকার সম্পাদক হরিশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় তাঁকে শহিদের মর্যাদা দেন। একই সঙ্গে তিনি ঝাঁসির রানি লক্ষ্মীবাই, কুনওয়ার সিং প্রমুখের আত্মত্যাগকেও পত্রিকায় স্বীকৃতি জানান।


মন্তব্য: তৎকালীন সমাজসংস্কারে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করতে সক্ষম হয় এই পত্রিকা। তথ্যনিষ্ঠ, নির্ভীক ও নিরপেক্ষ সংবাদ পরিবেশনের জন্য হিন্দু পেট্রিয়ট দেশে ও বিদেশে জাগরণ সৃষ্টি করে।


5. কোশ্চেনসমাজসংস্কারে গ্রামবার্ত্তাপ্রকাশিকার কী ভূমিকা ছিল?

উত্তর বাংলার কুষ্টিয়া জেলায় কর্মরত হরিনাথ মজুমদারের উদ্যোগে ১৮৬৩ খ্রিস্টাব্দে গ্রামবার্ত্তাপ্রকাশিকা নামে একটি মাসিক পত্রিকা প্রকাশিত হয়। এই পত্রিকাটি সাধারণ মানুষের জীবনের সাধারণ সমস্যার কথা তুলে ধরত। উনিশ শতকে বাংলায় সমাজসংস্কারের ক্ষেত্রে এই পত্রিকা যে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করেছিল তা হল—


[1] স্ত্রীশিক্ষার প্রসার : শুধুমাত্র জমিদার কর্তৃক প্রজা-লাঞ্ছনার বিরুদ্ধে বা নীলকরদের অত্যাচারের বিরুদ্ধে প্রজাদের অসন্তোষ প্রকাশ করাই নয়, পাশাপাশি স্ত্রীশিক্ষার প্রসারেও সম্পাদক হরিনাথ মজুমদারের এই পত্রিকা সোচ্চার ছিল।


[2] ঠাকুরবাড়ির সমালোচনা: বিখ্যাত ঠাকুর- বাড়ির জমিদারদের ভূমিকাও সমালোচনার হাতথেকে রেহাই পায়নি।


[3] প্রবন্ধ প্রকাশ : এ ছাড়াও প্রজাদের প্রতি জমিদারদের কর্তব্য সম্পর্কে বহু প্রবন্ধ এই পত্রিকায় প্রকাশিত হত।


[4] সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত : নদী ও জলনিকাশি ব্যবস্থার সংস্কার করে মানুষের জলকষ্ট নিবারণ, ডাক ও পুলিশ বিভাগের কাজের সুবন্দোবস্ত প্রভৃতি বিষয়ে পত্রিকা সুচিন্তিত মতামত ব্যক্ত করে।


[5] মানি অর্ডার প্রচলন: ডাকঘরে মানি অর্ডার ব্যবস্থা প্রচলনের কথা এই পত্রিকাতেই প্রথম উত্থাপিত হয়। এককথায় বলতে গেলে সমকালীন গ্রামবাংলার সার্বিক জনজীবনে এই পত্রিকা যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিল।



টীকা লেখো: উডের নির্দেশনামা বা উডের ডেসপ্যাচ |

১৮৫৪ খ্রিস্টাব্দের ১৯ জুলাই বোর্ড অব কন্ট্রোলের সভাপতি চার্লস উড শিক্ষা-সংক্রান্ত এক নির্দেশনামা প্রকাশ করেন। এটি উডের নির্দেশনামা বা উডের ডেসপ্যাচ নামে খ্যাত। এই নির্দেশনামা অনুযায়ী—

[1] স্কুলকলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন,

[2] স্বতন্ত্র শিক্ষাবিভাগ তৈরি,

[3] নারীশিক্ষা প্রসার,

[4] মাতৃভাষায় শিক্ষাদানের ব্যবস্থা প্রভৃতির সুপারিশ করা হয়। এই নির্দেশনামার ওপর ভিত্তি করে আধুনিক ভারতের শিক্ষাব্যবস্থা গড়ে উঠেছিল বলে এটিকে ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারের ম্যাগনা কার্টা বলা হয়।


উডের নির্দেশনামা অনুযায়ী—

[1] প্রতিটি রাজ্যে শিক্ষাবিভাগ স্থাপিত হয়।

[2] লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয়ের অনুকরণে ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা, বম্বে ও মাদ্রাজে বিশ্ববিদ্যালয়স্থাপিত হয়।

[3] পরবর্তীকালে ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে পাঞ্জাবে এবং ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে এলাহাবাদেও বিশ্ববিদ্যালয়স্থাপিত হয়।

[4] ডিরেক্টর অব পাবলিক ইনস্ট্রাকশন নামে নতুন পদ সৃষ্টি করা হয়।


ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে ডেভিড হেয়ারের অবদান লেখো।

উত্তর ভারতবর্ষে পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে অনেকসময় পাশ্চাত্যদেশীয়রাই অগ্রণী ভূমিকা পালন করতেন এবং তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিলেন ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে স্কটল্যান্ড থেকে আগত এক ঘড়ি ব্যবসায়ী ডেভিড হেয়ার | ভারতে পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে তিনি বিভিন্ন উদ্যোগ নেন, যেমন—

[1] হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠা: কলকাতায় ইংরেজি ও পাশ্চাত্য শিক্ষার জন্য একটি বিদ্যালয় গড়ে তোলার কথা তিনি ভাবেন। সেই মতো তিনি স্থানীয় বিশিষ্ট ব্যক্তি বৈদ্যনাথ মুখোপাধ্যায় মারফত সুপ্রিম কোর্টের তৎকালীন প্রধান বিচারপতি স্যার হাইড ইস্টের  কাছে একটি ইংরেজি মাধ্যমের বিদ্যালয় স্থাপনের প্রস্তাব রাখেন। স্যার হাইড ইস্ট প্রস্তাবটি অনুমোদন করলে স্থানীয় শিক্ষানুরাগী ধনী ব্যক্তিদের অবদানে ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দের ২০ জানুয়ারি গড়ে ওঠে বিখ্যাত হিন্দু কলেজ।


[2] স্কুল প্রতিষ্ঠা : ঠনঠনিয়ার আরপুলি ভার্নাকুলার স্কুল ও পটলডাঙা ইংলিশ স্কুল হেয়ার সাহেবের ই প্রতিষ্ঠিত | পরবর্তীকালে এই দুটি স্কুল একত্রিত হয়ে বর্তমান হেয়ার স্কুলে রূপান্তরিত হয়।


[3] স্কুল বুক সোসাইটির প্রতিষ্ঠা: পাঠ্যপুস্তকের সমস্যা দূর করার জন্য ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দের ৬ মে কলকাতায় স্কুল বুক সোসাইটির প্রতিষ্ঠা করেন ডেভিড হেয়ার।


[4] ক্যালকাটা স্কুল সোসাইটির প্রতিষ্ঠা: ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দের ১ সেপ্টেম্বর কলকাতায় ক্যালকাটা স্কুল সোসাইটি স্থাপিত হওয়ার পিছনে ডেভিড হেয়ার ও রাধাকান্ত দেবের যৌথ প্রয়াস ছিল।


মন্তব্য: তবে ডেভিড হেয়ারের এই কর্মযজ্ঞেনিম্নবিত্ত মানুষজন বাদ থাকায় সমাজের সংখ্যাগরিষ্ঠ মানুষের ওপর তাঁর প্রয়াসের কোনো প্রভাব পড়েনি। তবু একথা নিঃসন্দেহে বলা যেতে পারে যে, পাশ্চাত্য

শিক্ষাবিস্তারের মধ্যে দিয়ে শিক্ষিত সম্প্রদায় গড়ে তুলে ভারতের যে উজ্জ্বল ভবিষ্যতের স্বপ্ন তিনি দেখিয়েছিলেন তা প্রশংসনীয়।


6.ভারতে ইংরেজি শিক্ষাবিস্তারে খ্রিস্টান মিশনারিদের ভূমিকা কী ছিল?

উত্তর : উনিশ শতকে ভারতে ইংরেজি ভাষায় পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রসারে সর্বপ্রথম উদ্যোগ নেয় খ্রিস্টান মিশনারিরা। পাশ্চাত্য শিক্ষার আলো ভারতবাসীদের মধ্যে ছড়ানোর জন্যই যে তাঁরা শুধুমাত্র নানান শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন তা নয়। মিশনারিরা শিক্ষারএই কর্মযজ্ঞের মাধ্যমে ভারতীয়দের মধ্যে খ্রিস্টধর্মেরপ্রচারও চালায়।


ভারতের ইংরেজি শিক্ষাবিস্তারে খ্রিস্টান মিশনারিদের ভূমিকা ছিল নিম্নরূপ— 

[1] শ্রীরামপুর ব্যাপটিস্ট মিশন: ১৮০০ খ্রিস্টাব্দে জোশুয়া মার্শম্যান, উইলিয়াম ওয়ার্ড ও উইলিয়াম কেরি শ্রীরামপুরে ব্যাপটিস্ট মিশন ও কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন। তাঁদের দ্বারা প্রতিষ্ঠিত মোট ১২৬টি বিদ্যালয়ে প্রায় ১০ হাজার ভারতীয় ছাত্র পাশ্চাত্য শিক্ষাচর্চার সুযোগ পেত।


[2] লন্ডন মিশনারি সোসাইটি: লন্ডন মিশনারি সোসাইটির রবার্ট মে চুঁচুড়ায় একটি ইংরেজি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং পরবর্তীকালে তাঁর উদ্যোগে ৩৬টি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়।


[3] আলেকজান্ডার ডাফ। বাংলায় স্কটিশ মিশনের প্রতিষ্ঠাতা আলেকতাত্মার ডাফ বেশ কয়েকটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেন এবং এগুলির মধ্যে সর্বাপেক্ষা উল্লেখযোগ্য ছিল ১৮৩০ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত জেনারেল অ্যাসেম্বলিজ ইন্সটিটিউশন (বর্তমান স্কটিশ চার্চ কলেজ)।


(4) মিশনারিদের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: মিশনারি উদ্যোগে শিবপুরে বিশপ ই কলেজ (১৮২০ খ্রি.), মাদ্রাজে খিস্টান কলেজ (১৮৩৭ খ্রি.), বম্বেতে উইলসন কলেজ (১৮৩২ খ্রি.) X প্রভৃতি প্রতিষ্ঠিত হয়। এ ছাড়াও বেলজিয়াম থেকে আগত জেসুইট মিশনারিরা সেন্ট জেভিয়ার্স কলেজ, (১৮৩৫ খ্রি.) ও লরেটো হাউস কলেজ প্রতিষ্ঠা করেন।


মন্তব্য: ইংরেজি শিক্ষার সংস্পর্শে এসে ভারতবাসী পাশ্চাত্য সভ্যতা, জ্ঞানবিজ্ঞান, জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, স্বাধীনতা, মানবতাবাদ প্রভৃতি আদর্শের সঙ্গে পরিচিত হয়, যা ইংরেজি শিক্ষিত ভারতবাসীকে ঐক্যসূত্রে আবদ্ধ করে।


মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় 4 নম্বরের প্রশ্ন pdf|

7 পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারে জন এলিয়ট ড্রিঙ্কওয়াটার বিটন/বেথুন-এর কী ভূমিকা ছিল?

উত্তর উনিশ শতকে ভারত-দরদি সাহেবদের মধ্যে জন এলিয়ট ড্রিঙ্কওয়াটার বিটন বা বেথুন একটি উল্লেখযোগ্য নাম | বাংলায় স্ত্রীশিক্ষা বিস্তারের ইতিহাসে তাঁর নাম বিশেষভাবে স্মরণীয় |


[1] শিক্ষাবিদ হিসেবে বেথুন সাহেব: শিক্ষাবিদ হিসেবে ড্রিঙ্কওয়াটার বিটনের সর্বপ্রধান কৃতিত্ব ছিল নারীশিক্ষার জন্য কলকাতায় ১৮৪৯ খ্রিস্টাব্দের ৭ মে হিন্দু বালিকা বিদ্যালয় নামক একটি বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা।


[2] হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের প্রসার গোড়া থেকেই বিদ্যালয়টির পরিচালক সমিতির সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর মহাশয়। মেয়েদের ধর্মনিরপেক্ষ, দেশীয় ও পাশ্চাত্য শিক্ষার জন্য প্রবর্তিত এই বিদ্যালয় সমাজে বিশেষ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। স্কুলের গাড়ির গায়ে সংস্কৃত শ্লোকে লেখা থাকত—প্রত্যেক পিতার দায়িত্ব হল কন্যাকে শিক্ষিত করে তোলা। যে ২১ জন ছাত্রী নিয়ে হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের যাত্রা শুরু হয় তার মধ্যে ছিলেন মদনমোহন তর্কালঙ্কারের দুই কন্যা—[i] ভুবনমালা ও [ii] কুন্দমালা।


[3] বঙ্গভাষা অনুবাদক সমাজের সদস্য: বেথুন সাহেব বঙ্গভাষা অনুবাদক সমাজের সদস্য ছিলেন। এই সমাজ নানা ইংরেজি বই বাংলায় এবং বাংলা বই ইংরেজিতে অনুবাদ করে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য শিক্ষার মধ্যে মেলবন্ধন ঘটাতে সাহায্য করত। 


মন্তব্য: বাংলায় স্ত্রীশিক্ষা বিস্তারে তাঁর নাম চিরস্মরণীয়। মৃত্যুর পূর্বে তিনি তাঁর সমস্ত অস্থাবর সম্পত্তি স্কুলের নামে দান করে যান। ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দে বিটনের মৃত্যুর পর হিন্দু বালিকা বিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয় বেথুন স্কুল |

I

ছুতোম প্যাঁচার নকশা-তে লেখক কীভাবে কলকাতার সমাজচিত্র তুলে ধরেছেন? অথবা, হুতোম প্যাঁচার নকশা-র লেখকরূপে কালীপ্রসন্নের কৃতিত্ব লেখো।

উত্তর : হুতোম প্যাঁচা ছদ্মনামে কালীপ্রসন্ন সিংহ ১৮৬২ খ্রিস্টাব্দে বাংলা ভাষায় প্রথম সামাজিক ব্যঙ্গসাহিত্য হুতোম প্যাঁচার নকশা গ্রন্থটি রচনা করেন।


[1] বিষয়বস্তু : এই গ্রন্থে আঠারো শতকের শেষভাগ থেকে উনিশ শতকের সত্তরের দশক পর্যন্ত সময়কালের কলকাতার নাগরিক সমাজজীবনের ছবি ধরা পড়ে। এই গ্রন্থে কলকাতার চড়ক, পার্বণ, বারোয়ারি পূজা, ছেলে ধরা, ক্রিশ্চানি হুজুগ, সাতপেয়ে গোরু, দরিয়াই ঘোড়া, লখনউয়ের বাদশা, রথ, দুর্গোৎসব, রামলীলা প্রভৃতির আলোচনা রয়েছে।


[2] বাবু সমাজের চরিত্র: হুতোম প্যাঁচার নকশা গ্রন্থটিতে যাদের সমালোচনা করা হয়েছে তারা সকলেই লেখকের মতো একই উচ্চশ্রেণিভুক্ত।


5 সমাজের এই ব্যক্তিরা ছিলেন তিন প্রকারের যথা—

li] ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত সাহেবি চালচলনের অন্ধ অনুকরণকারী, [ii] ইংরেজি শিক্ষায় শিক্ষিত নব্যপন্থী যারা সাহেবি চালচলনের অনুকরণকারী নয় এবং [iii] ইংরেজি না জানা গোঁড়া হিন্দুসমাজ |

[3] বৈশিষ্ট্য: এই গ্রন্থের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য হল—

[i] বিভিন্ন বিষয়ের সমন্বয় : ইতিহাস, গভীর সমাজচেতনা ও হাস্যরস এই গ্রন্থে সমন্বিত হয়েছে।

[ii] প্রধান গুণ: সমকালীন সাহিত্যের পরিপ্রেক্ষিতে ভাঁড়ামি ও অশ্লীলতামুক্ত বাস্তব সমাজচেতনা হল এই গ্রন্থের প্রধান গুণ। গ্রন্থটির ছত্রে ছত্রে ফুটে উঠেছে সমকালীন কলকাতার

সমাজজীবনের দুর্নীতি, কপটতা ও ভণ্ডামি, যানকশা বা ব্যঙ্গরূপে এই গ্রন্থে উপস্থাপিত হয়েছে।


মন্তব্য: ৩০ বছরের স্বল্প আয়ুষ্কালে সাহিত্যিক হিসেবে কালীপ্রসন্ন সিংহের গুণমান প্রকাশ করে তাঁর

এই রচনা | তৎকালীন বঙ্গসমাজে ইংরেজি পাশ্চাত্যশিক্ষার প্রভাবের ফলে যে ভণ্ড বাবু সংস্কৃতির উদ্ভব হয সেগুলির তির্যকপূর্ণ সমালোচনা করেন কালীপ্রসন্ন সিংহ।


11 শিক্ষার প্রসারে রাধাকান্ত দেবের অবদান কী ছিল?

উত্তর শোভাবাজার রাজপরিবারের বংশধর রাজা রাধাকান্ত দেব ছিলেন বাংলায় প্রতিষ্ঠিত ব্রিটিশ আমলাতন্ত্রের সুযোগ্য এক প্রতিনিধি। তিনি স্কুল বুক সোসাইটির সঙ্গে যুক্ত থাকার সময় পাশ্চাত্য শিক্ষার প্রতি অনুরক্ত হয়ে পড়েন।


[1] হিন্দু কলেজের সদস্য ও ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি: রাধাকান্ত দেব, বৈদ্যনাথ মুখোপাধ্যায়, ডেভিড হেয়ার প্রমুখের উদ্যোগে কলকাতায় হিন্দু কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয় এবং ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮৫০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই কলেজের পরিচালক সমিতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে যুক্ত ছিলেন রাধাকান্ত দেব। ব্রিটিশ ইন্ডিয়ান অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে রাধাকান্ত দেব কলকাতায় একটি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপনের দাবিতে ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডের হাউস অব লর্ডস-এর কাছে আবেদন পাঠিয়েছিলেন।


[2] শবব্যবচ্ছেদকে সমর্থন : তিনি ভারতীয় ছাত্রদের বিজ্ঞান শিক্ষা প্রদানের পক্ষপাতী ছিলেন। কলকাতা মেডিক্যাল কলেজে শবব্যবচ্ছেদকে কেন্দ্র করে হিন্দুসমাজ যখন প্রবলভাবে আলোড়িত, তখন রক্ষণশীল হিন্দুসমাজের নেতা রাধাকান্ত দেব সমর্থন জানান। উচ্চতর শবব্যবচ্ছেদকে চিকিৎসাবিজ্ঞান ও শবব্যবচ্ছেদ শিক্ষার উদ্দেশ্যে ইংল্যান্ডে ভারতীয় ছাত্রদের পাঠানোর জন্য একটি তহবিল গঠিত হলে তিনি এই উদ্যোগকেও সমর্থন জানান।


[3] নারীশিক্ষার সমর্থন: রাধাকান্ত দেব নারীশিক্ষার সমর্থক ছিলেন এবং মনে করতেন যে নারীশিক্ষা ব্যতীত সমাজের কোনো উন্নয়ন সম্ভব নয়। ১৮২২ খ্রিস্টাব্দে গৌরমোহন বিদ্যালঙ্কার স্ত্রীশিক্ষা বিধায়ক নামে একটি পুস্তিকা প্রকাশ করার উদ্যোগ নিলে রাধাকান্ত দেব তাঁকে সাহায্য করেন।


[4] মেট্রোপলিটান কলেজের সভাপতি: ১৮৫৩ খ্রিস্টাব্দে হিন্দু মেট্রোপলিটান কলেজ প্রতিষ্ঠিত হলে রাধাকান্ত দেব এর পরিচালন সমিতির সভাপতি পদে নিযুক্ত হন।


12 চিকিৎসাবিদ্যাচর্চার ইতিহাসে মেডিক্যাল কলেজের অবদান আলোচনা করো।

 ১৮৩৫ খ্রিস্টাব্দের ২৮ জানুয়ারি কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ প্রতিষ্ঠিত হয়। এই কলেজ প্রতিষ্ঠার জন্য কলকাতার বিখ্যাত ধনী ব্যবসায়ী মতিলাল শীল জমি দান করেন।

[1) মেডিক্যাল কলেজে পঠনপাঠন: প্রথম বছর ৫০ পর্ব জন ছাত্রকে চিকিৎসাবিদ্যার পঠনপাঠনের জন্য ভরতি করা হয়। নতুন মেডিক্যাল কলেজের অধ্যক্ষ হিসেবে সার্জেন জোশেফ ব্রাসলিকে নিয়োগ করা হয়। সংস্কৃত কলেজের আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক G পণ্ডিত মধুসূদন গুপ্ত এই কলেজের আয়ুর্বেদিক ট শিক্ষক নিযুক্ত হন। কলেজে ভেষজ, অঙ্গ ব্যবচ্ছেদবিদ্যা, রসায়ন, ওষুধের গুণাগুণ ও প্রয়োগ- সংক্রান্ত বিষয়ে ইংরেজি ভাষার মাধ্যমে পঠন- পাঠনের ব্যবস্থা হয়।


(2) শবব্যবচ্ছেদ : পাশ্চাত্য চিকিৎসাবিদ্যার অন্যতম অঙ্গ হল শবব্যবচ্ছেদ সম্পর্কে শিক্ষালাভ। ১৮৩৬ খ্রিস্টাব্দের ১০ জানুয়ারি প্রথম ভারতীয় হিসেবে মধুসূদন গুপ্ত তাঁর চারজন সাহসী ছাত্র (উমাচরণ শেঠ, দ্বারকানাথ গুপ্ত, রাজকৃষ্ণ দে ও নবীনচন্দ্র মিত্র)-কে নিয়ে নিজের হাতে একটি শবব্যবচ্ছেদ করেন। মেডিক্যাল কলেজের পাঠক্রম পুনর্বিন্যাস: ১৮৪৫ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ডে রয়্যাল কলেজ অবসার্জেনের পাঠক্রম অনুসরণে মেডিক্যাল কলেজেরপাঠক্রম পুনর্বিন্যাস সংস্কার করা হয়।


উপসংহার: পরবর্তীকালে রামকমল সেন, দ্বারকানাথ ঠাকুর প্রমুখ ধনী ও শিক্ষিত ব্যক্তির বদান্যতায় কলেজ ও হাসপাতালের নতুন গৃহ নির্মিত হয়। ১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপিত হলে কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ তার অনুমোদন লাভ করে।



মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর  | দশম শ্রেণির ইতিহাস বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর  – সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর |Madhyamik History long Question and Answer Question and Answer, মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় 8 নম্বরের প্রশ্ন


1. সমাজসংস্কারক হিসেবে রাজা রামমোহন রায়ের ভূমিকা আলোচনা করো।

অথবা, সতীদাহ প্রথার বিলোপে রামমোহনের ভূমিকা আলোচনা করো।

রামমোহনের অন্যান্য সংস্কারমূলক কাজের বিবরণ দাও।

ভূমিকা: উনিশ শতকে বাঙালির জীবনে ধর্ম, সমাজ, সাহিত্য, রাজনীতি প্রভৃতি ক্ষেত্রে যে সমুদয় গুরুতর পরিবর্তন ঘটে, তাদের সবার মূলে না থাকলেও প্রায় সবগুলির সঙ্গেই রাজা রামমোহন রায়ের ঘনিষ্ঠ সম্বন্ধ ছিল। সমাজসংস্কারের ক্ষেত্রে তাঁর অবদান চিরস্মরণীয় হয়ে আছে।


[1] সতীদাহপ্রথা বিলোপ : সমগ্র ভারতে তো বটেই, বাংলাতেও সতীদাহপ্রথা ছিল এক সামাজিক অভিশাপ | সতীদাহপ্রথা বলতে বোঝায় স্বামীর মৃত্যুর পর তার চিতায় জীবিত স্ত্রীকে পুড়িয়ে মারা। কিন্তু হিন্দুধর্মে আঘাত লাগতে পারে ভেবে ইংরেজ কর্তৃপক্ষ এ ধরনের অমানবিক প্রথার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়নি। তবে রামমোহন রায় এই প্রথার বিরুদ্ধে আপসহীন সংগ্রাম শুরু করেন। এই ব্যাপারে

তৎকালীন গভর্নর-জেনারেল লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্ক এবং প্রিন্স দ্বারকানাথ ঠাকুরও তাঁকে প্রবলভাবে সমর্থন জানান।


[2] রামমোহনের তীব্র প্রতিবাদ: ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দ থেকেই রামমোহন রায় সতীদাহপ্রথার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করতে এবং জনমত গঠন করতে ব্রতী হন এই উদ্দেশ্যে তিনি বাংলা ও ইংরেজি ভাষায় বিভিন্নপুস্তিকা এবং সম্বাদ কৌমুদী পত্রিকায় বিভিন্ন প্রবন্ধ প্রকাশ করেন। হিন্দুশাস্ত্র ও বিভিন্ন ধর্মগ্রন্থ থেকে তিনি প্রমাণ করেন যে, সতীদাহ ধর্মবিরোধী ও অশাস্ত্রীয়। এই কুপ্রথা নিবারণের অনুরোধ জানিয়ে তিনি বাংলার ৩০০ জন বিশিষ্ট নাগরিকদের স্বাক্ষরিত এক আবেদনপত্র বড়োলাট লর্ড উইলিয়াম বেন্টিঙ্কের কাছে জমা দেন। রামমোহনের প্রচেষ্টাকে স্বাগত জানিয়ে বেন্টিঙ্ক ১৮২৯ খ্রিস্টাব্দের ৪ ডিসেম্বর সতীদাহপ্রথার বিরুদ্ধে ১৭নং রেগুলেশন আইন জারি করে এই প্রথা রদ করেন।


[3] বাংলার রক্ষণশীল সমাজের প্রতিক্রিয়া : বাংলার রক্ষণশীল হিন্দুসমাজ রাধাকান্ত দেবের নেতৃত্বে এই আইনের বিরুদ্ধে ইংল্যান্ডে একটি স্মারকলিপি পাঠায়। এর প্রত্যুত্তরে রামমোহন প্রিভি কাউন্সিলের কাছে এই স্মারকলিপির অযৌক্তিকতা প্রমাণ করেন, যার ফলে সতীদাহ নিবারণ আইন বলবৎ থাকেরামমোহন রায়ের জীবিতকালে সমাজসংস্কারের ক্ষেত্রে ব্রাহ্মসমাজের প্রথম সার্থক ও যুগান্তকারী আন্দোলন ছিল সতীদাহপ্রথা নিবারণ আন্দোলন।


[4] অন্যান্য সংস্কার : [i] রামমোহনের সংস্কারমুক্ত যুক্তিবাদী মন হিন্দুসমাজে প্রচলিত বাল্যবিবাহ বহুবিবাহ, কন্যাপণ, কুলীন, জাতিভেদ, অস্পৃশ্যত গঙ্গাসাগরে সন্তান বিসর্জন প্রভৃতি বহু সামাজিককুপ্রথার বিরুদ্ধে বিদ্রোহী হয়ে ওঠে। এগুলি নিবারণের জন্য সংবাদপত্রের মাধ্যমে তিনি প্রতিবাদে সোচ্চার হয়ে ওঠেন। [ii] শুধু নারীর জীবনরক্ষাই নয়, মর্যাদা সহকারে তাদের সমাজে প্রতিষ্ঠিত করার চেষ্টাও তিনি করেন। তিনি নারী-পুরুষ সমানাধিকার, বিধবার পুনর্বিবাহ, স্ত্রীশিক্ষার বিস্তার, পিতা বা স্বামীর সম্পত্তির ওপর নারীর অধিকার স্থাপন প্রভৃতি ব্যাপারেও উদ্যোগী হন।



4.স্বামী বিবেকানন্দ সর্বধর্ম সমন্বয়ের আদর্শ কীভাবে ছড়িয়ে দিয়েছিলেন?

ভূমিকা: উনিশ শতকে আবির্ভূত ধর্ম সমাজসংস্কারকদের মধ্যে অন্যতম ছিলেন স্বামী বিবেকানন্দ | শ্রীরামকৃষ্ণের অতি প্রিয় এই শিষ্যেরমাধ্যমেই তাঁর বাণী সারা বিশ্বে প্রচারিত হয়েছে।


[1] বিবেকানন্দের ধর্মচিন্তার ওপর প্রভাব : নরেন্দ্রনাথ দত্ত বা বিবেকানন্দের ব্যক্তিগত জীবনে দারিদ্র্য ও দুঃখদুর্দশা, শ্রীরামকৃঘ্নের উপদেশ, পদব্রজে ভারত পরিক্রমা ও স্বচক্ষে ভারতমাতার করুণ চিত্র দর্শন প্রভৃতি বিষয়গুলি তাঁর ধর্মচিন্তায় গভীর প্রভাব ফেলেছিল।


[2] বিবেকানন্দের লক্ষ্য: ধর্মে  অন্তর্নিহিত ত মানবিকতা এবং সেবার আদর্শকে সামনে রেখে মানুষকে প্রথাগত ধর্মীয় বন্ধনের বেড়াজাল থেকে মুক্ত করাই ছিল তাঁর প্রধান লক্ষ্য।


[3] আশ্রম স্থাপন : শ্রীরামকৃম্নের শিষ্য স্বামী বিবেকানন্দ, গুরুর দেহাবসানের পর তাঁর বাণী ও আদর্শ প্রচারের জন্য প্রতিষ্ঠা করেন রামকৃষ্ণ মিশন। জীবসেবা ও ধর্মসমন্বয়ের প্রতীক হিসেবে শ্রীরামকৃষ্ণের ভাবধারা ও বিবেকানন্দের আদর্শের অনুসারী রামকৃষ্ণ মিশন ক্রমে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি অর্জন করেছে।


[4] সমন্বয়ী ভাবনা : বিবেকানন্দ ধর্মচিন্তাকে নিছক ঈশ্বর উপাসনার মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখেননি | রাজনীতি, সমাজনীতি, ধর্মনীতি তাঁর কাছে একাকার হয়ে গেছিল। ভারতের পরাধীনতা, সাধারণ ভারতবাসীর অশিক্ষা ও দারিদ্র্য তাঁকে ব্যথিত করে তুলেছিল। সন্ন্যাসীর বেশে সারা ভারত ভ্রমণকারী বিবেকানন্দ বুঝতে পারেন যে, বিচ্ছিন্ন সংস্কারের মাধ্যমে এই জাতীয় সমাধান সম্ভব নয়। তিনি বেদান্তের নতুন ব্যাখ্যা দেন এবং আধুনিক জ্ঞানবিজ্ঞানের সাহায্যে ভারতবাসীকে মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর পরামর্শ দেন। আত্মবিশ্বাসকে তিনি মুক্তির প্রথম ও প্রধান সোপান হিসেবে বর্ণনা করেন।


[5] শিকাগো ধর্মসম্মেলন: বিবেকানন্দ আমেরিকার শিকাগো শহরে আহূত বিশ্বধর্ম সম্মেলনে (১১-২৭ সেপ্টেম্বর, ১৮৯৩ খ্রি.) বেদান্তের মহিমা ও বিশ্বজনীনতার আদর্শ প্রচার করে ভারতের সনাতন হিন্দুধর্মকে জগৎসভায় পরিচিত করান। হিন্দুধর্মের ত্যাগ-তিতিক্ষা ও সেবার আদর্শে উদ্বুদ্ধ হয়ে বহু বিদেশি তাঁর শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন।


[6] সমাজবাদ: বিবেকানন্দ ইউরোপ থেকে ফিরে তৎকালীন সমাজে প্রচলিত নানান বিভেদমূলক কার্যাবলি ও কুপ্রথা প্রভৃতিই যে ছিল ভারতবাসীর পরাধীনতার মূল কারণ, তাও তিনি দেশবাসীকে বোঝান । মানবজীবনের প্রতিটি দিক সম্পর্কেই তিনি দেশবাসীকে সচেতন করে তুলতে উদ্যত হন। ব্রাহ্মণ শ্রেণির ধর্মীয় একাধিপত্য, অস্পৃশ্যতা প্রভৃতি সামাজিক অভ্যাসের প্রতিবন্ধকতামূলক রূপের সমালোচনা করে করে বিবেকানন্দ, ভারতবাসীকে আত্মবলে বলিয়ান হতে উদ্বুদ্ধ করেন।


[7] জাতীয়তাবাদ: ভারতীয় জাতীয়তাবাদ লালিত হয়েছে বিবেকানন্দের আদর্শে। বর্তমান ভারত গ্রন্থে তিনি বলেন, “হে ভারত—ভুলিও না তুমি জন্ম হইতেই মায়ের জন্য বলিপ্রদত্ত।” তাঁর তেজোদীপ্ত বাণী ভারতীয় বিপ্লবীদের গভীরভাবে প্রভাবিত করে।


[8] জীবসেবা: বাস্তববাদী বিবেকানন্দ মোক্ষলাভের জন্য কখনও সংসার ত্যাগ করার কথা বলেননি। ঈশ্বরকে তিনি খুঁজে পেয়েছেন দীন-দুঃখী মানুষের মধ্যে। গুরুর শিক্ষানুযায়ী জীবসেবাকেই তিনি ঈশ্বরসেবার প্রথম ও প্রধান সোপান বলে গ্রহণ করেছেন। “জীবে প্রেম করে যেই জন, সেই জন সেবিছে ঈশ্বর”—এই আদর্শকে বাস্তবায়িত করার জন্য তিনি প্রতিষ্ঠা করেন রামকৃষ্ণ মিশন (১৮৯৭ খ্রি.)।


উপসংহার: প্রাচ্য ও পাশ্চাত্য, বর্তমান ভারত, পরিব্রাজক প্রভৃতি গ্রন্থ থেকে জানা যায় বিবেকানন্দ দেশ ও জাতির কল্যাণে ধর্মের ইতিবাচক দিকটিকে দরিদ্র নারায়ণের সেবার জন্য বেছে নিয়েছিলেন। স্বামীজি ছিলেন প্রকৃত অর্থে যুগনায়ক। সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণনের ভাষায়, “বিবেকানন্দ আমাদের যন্ত্রণার মধ্যে আশ্রয় দিয়েছেন, দুঃখের মধ্যে দিয়েছেন আশা, হতাশার মধ্যে সাহস।"



ক্লাস 10 ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা pdf download / দশম শ্রেণির ইতিহাস সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা বড়ো প্রশ্ন ও উত্তর pdf

প্রশ্ন. বাংলার তথাকথিত নবজাগরণের চরিত্রগুলি সম্পর্কে লেখো।

অথবা, বাংলার নবজাগরণের প্রকৃতি আলোচনা করো।

ভূমিকা: রেনেসাঁস একটি ফরাসি শব্দ, যার অর্থ হল নবজাগরণ। ইউরোপের ইতিহাসে পনেরো ও ষোলো শতককে নবজাগরণের যুগ বললেও বাংলায় উনিশ শতককে নবজাগরণের যুগ বলা হয়।


[1] বাংলার নবজাগরণের সংজ্ঞা : এই দেশে পাশ্চাত্য শিক্ষাবিস্তারের ফলে উনিশ শতকের বাংলার ধর্ম, সমাজ ও সংস্কৃতি প্রবলভাবে প্রভাবিত হয়। এর ফলে কুসংস্কারাচ্ছন্ন ভারতীয় সমাজে যুক্তিবাদ ও মানবতাবাদের আদর্শ প্রসারিত হয়, যা ভারতকে আধুনিকতা ও প্রগতিশীলতার পথে অগ্রসর হতে সাহায্য করেছিল। এককথায় এই সামাজিক পরিবর্তনকেই নবজাগরণ বলে অভিহিত করা হয়েছে, কিন্তু ইউরোপের নবজাগরণের নিরিখে এর চারিত্রিক স্বতন্ত্রতা নিয়ে ঐতিহাসিকদের মধ্যে মতভেদ রয়েছে, যথা—

নবজাগরণ নয়: বাংলার নবজাগরণ ছিল মূলত শহরকেন্দ্রিক এবং শিক্ষিত মধ্যবিত্ত সমাজ বাদে শ্রমিক, কৃষক ও সাধারণ মানুষ ছিল এর আওতার বাইরে। 


ব্রিটিশ-নির্ভর: ব্রিটিশ শাসনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল ও আস্থাজ্ঞাপনকারী নবজাগরণের নেতৃবৃন্দ মনে করতেন যে, ব্রিটিশ শাসনের দ্বারাই ভারতীয় সমাজের মঙ্গলসাধন সম্ভব। এই বক্তব্য আরও দৃঢ়তা পায় ঐতিহাসিক যদুনাথসরকারের মন্তব্যে, যিনি লিখেছেন“ইংরেজদের দেওয়া সবচেয়ে বড়ো উপহার হল আমাদের উনিশ শতকের নবজাগরণ।”


i) হিন্দু জাগরণবাদ: বাংলার নবজাগরণের অগ্রণী নেতৃবৃন্দ যথা—রাধাকান্ত দেব, মৃত্যুঞ্জয় বিদ্যালঙ্কার প্রমুখের কার্যাবলিতে হিন্দু জাগরণবাদের ছায়া পাওয়া যায় এবং তাই ঐতিহাসিকদের একাংশ মনে করেন বাংলার নবজাগরণ প্রকৃতপক্ষে হিন্দু জাগরণবাদে পর্যবসিত হয়।


নবজাগরণ: যদুনাথ সরকারের মতে উনিশ শতকের নবজারণ ছিল একটি যথার্থনবজাগরণ। কারণ ইটালিতে নগরগুলিকে কেন্দ্র করে নবজাগরণের চেতনা ছড়িয়ে পড়ে, অনুরূপভাবে বাংলায়ও

নবজাগরণ কলকাতা শহরকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠে। অন্যদিকে অমলেশ ত্রিপাঠী বাংলার নবজাগরণকে ইটালির নবজাগরণের থেকে আলাদা বলে গণ্য করেছেন, কারণ ইটালিতে স্বাধীন পরিবেশে বুর্জোয়া শ্রেণির নেতৃত্বে নবজাগরণের চেতনা ছড়িয়ে পড়েছিলকিন্তু বাংলায় নবজাগরণের ক্ষেত্রে স্বাধীন পরিবেশ ও বুর্জোয়া শ্রেণি এই দুটিরই অভাব ছিল


স্রষ্টা কে বা কারা: ঐতিহাসিকদের একাংশের মতে, উইলিয়াম জোনস, জেমস প্রিন্সেপ প্রমুখ ব্রিটিশ প্রাচ্যবাদীদের চেষ্টার ফলে ভারতীয়রা তাদের অতীত ঐতিহ্য নিয়ে সচেতন হয়, যা নবজাগরণের পথকে প্রশস্ত করে। কিন্তু আর- এক ঐতিহাসিক গোষ্ঠীর মতে বাংলার নবজাগরণ ঘটে প্রাচ্য-পাশ্চাত্যের নানা আদর্শের সমন্বয়ের ফলে। প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যবাদী আধুনিকীকরণের এই মিশ্রপ্রভাব বেশি পরিলক্ষিত হয় রামমোহন ও বিদ্যাসাগরের কর্মকাণ্ডে।


[2] তথাকথিত নবজাগরণ : অশোক মিত্র বাংলার নবজাগরণকে তথাকথিত নবজাগরণ বলে অভিহিত

করেছেন। কারণ তাঁর মতে চিরস্থায়ী বন্দোবস্তের ফলে সম্পদ সংগ্রহকারী জমিদারগোষ্ঠীই মূলত তৎকালীন সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে অর্থ ব্যয় করত ঐতিহাসিক বিনয় ঘোষ এই প্রসঙ্গের রেশ টেনে বলেছেন, বাংলায় নবজাগরণ হয়নি, বরং ‘অতিকথা’ মাত্র।



মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় – সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History Question and Answer 3 no chapter


বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন

File Details:-

File Name:- Madhyamik history 2nd chapter questions answers pdf download 

File Format:- PDF

File Size:-  Mb

File Location:- Google Drive

Adddddd

  Download  Click Here to Download 

Adddddddd

      আরও পোস্ট দেখো     B           

A. মাধ্যমিক ইতিহাস সমস্ত অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর Click Here

B. Madhyamik Suggestion | মাধ্যমিক সাজেশন PDF

C.


মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর : সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা দ্বিতীয় অধ্যায়  - Madhyamik History 2nd chapter Question and Answer : মাধ্যমিক ইতিহাস – সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা (দ্বিতীয় অধ্যায়) প্রশ্ন ও উত্তর | Class 10 History chapter 3  Question and Answer নিচে দেওয়া হলো। এই দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – WBBSE Class 10 History Question and Answer, Suggestion, Notes – সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা থেকে সংক্ষিপ্ত, অতিসংক্ষিপ্ত এবং রোচনাধর্মী প্রশ্ন উত্তর গুলি আগতি West Bengal Madhyamik History Examination – পশ্চিমবঙ্গ মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ হতে চলেছে।



তোমরা যারা মাধ্যমিক ইতিহাস পরীক্ষার জন্য -  সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনাষ অধ্যায় থেকে প্রশ্ন উত্তর খুঁজে চলেছো তাদের জন্য আজ আমরা– মাধ্যমিক ইতিহাস এর  দ্বিতীয় অধ্যায় থেকে প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History 3 no chapter Question and Answer Question and Answer নিয়ে এসেছি, তোমরা নিচে দেওয়া ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর গুলো ভালো করে পড়বে ও যদি Pdf প্রয়োজন হয় তাহলে নীচে দেওয়া মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা প্রশ্ন ও উত্তর PDf download- link এ ক্লিক করে ডাউনলোড করে নিতে পারো। 


মাধ্যমিক ইতিহাস সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা দ্বিতীয় অধ্যায় MCQ প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ইতিহাস সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা দ্বিতীয় অধ্যায় |  Madhyamik History MCQ Question and Answer| Class 10 History MCQ Question and Answer 


মাধ্যমিক ইতিহাস সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা দ্বিতীয় অধ্যায় SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | দশম শ্রেণির ইতিহাস 

সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা দ্বিতীয় অধ্যায় SAQ সংক্ষিপ্ত প্রশ্ন ও উত্তর | Madhyamik History short Question and Answer 


দশম শ্রেণি ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর pdf download / Madhyamik history chapter 3 question answer pdf /

দশম শ্রেণির ইতিহাস সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর / ক্লাস 8 সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা প্রশ্ন উত্তর সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা pdf 


WBBSE Madhyamik History Question answer 2024 pdf  | মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর 2024 pdf  – সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা দ্বিতীয় অধ্যায় long Question answer 

WBBSE Madhyamik History Question pdf, মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা (দ্বিতীয় অধ্যায়) । সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা (দ্বিতীয় অধ্যায়) | Madhyamik History Suggestion  মাধ্যমিক ইতিহাস প্রশ্ন ও উত্তর – সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা (দ্বিতীয় অধ্যায়) – প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন ও উত্তর ।



      তোমাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ,  তোমার যদি  আমাদের এই ” মাধ্যমিক ইতিহাস দ্বিতীয় অধ্যায়  সংস্কার বৈশিষ্ট্য ও পর্যালোচনা প্রশ্ন ও উত্তর । Madhyamik History second chapter Question and Answer  ” পােস্টটি ভালো লাগে এবং গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে হয়, তাহলে তুমি আমাদের এই পোস্টটা তোমার বন্ধু বান্ধবীদের সাথে শেয়ার করবে এবং কমেন্ট করে জানাবে।


এছাড়াও তুমি আমাদের ওয়েবসাইট থেকে যেকোনো চাকরির পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ বই পিডিএফ, নোট, Practice Set, mock test ইত্যাদি পাবে।

 

_________ধন্যবাদ ❤️🤗 ________





Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url