দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অলৌকিক প্রশ্ন উত্তর |HS bengali Alaukika galpo question answer pdf download
অলৌকিক গল্প প্রশ্ন উত্তর|উচ্চমাধ্যমিক বাংলা অলৌকিক গল্প প্রশ্ন উত্তর PDF
কর্তার সিং দুগাল রচিত ‘অলৌকিক’
আজ আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি উচ্চমাধ্যমিক অলৌকিক প্রশ্ন উত্তর PDF। Class 12 bengali Alaukika galpo question answer pdf|WBCHSE পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা গল্প অলৌকিক প্রশ্ন উত্তর pdf download. তোমাকে সাহায্য করবে।
তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে |সমর সেনের লেখা অলৌকিক প্রশ্ন উত্তর pdf download করো এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে প্রাক্টিস করে থাকতে থাক।ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ Note ,Pdf ,Current Affairs,ও প্রতিদিন মকটেস্ট দিতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা অলৌকিক প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো।
Read More:--
দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা অলৌকিক 1 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর
অলৌকিক অনুবাদ- অনিন্দ্য সৌরভ
প্রশ্ন ২. গুরু নানক মর্দানাকে কী বোঝানোর চেষ্টা করলেন?
উত্তর : গুরু নানক মর্দানাকে বোঝানোর চেষ্টা করলেন এই বলে যে, জলের জন্য সবুর করতে এবং তার তেষ্টা পাওয়া ঈশ্বরের অভিপ্রায় বলে মেনে নিতে।
নানক কী পরিস্থিতিতে শিষ্য মর্দানাকে বলী কাথারীর কাছে পাঠিয়েছিলেন?
উত্তর : তেষ্টার চোটে শিষ্য মর্দানা জল ছাড়া মাছের মতো ছটফট করছে দেখে গুরু নানক বলী কাদারীর কাছে জলপানের জন্য মর্দানাকে পাঠিয়েছিলেন।
গুরু নানক কখন মর্দানাকে পাথর তুলতে বলেন?
উত্তর : মর্দানা যখন তৃতীয় বার ফিরে এসে গুরুর পায়ে প্রায় মূর্ছিত হয়ে পড়েন, গুরু নানক তখন তাকে পাথর তুলতে বলেন, যাতে সে জল পান করে তেষ্টা মেটাতে পারে।
প্রশ্ন ১৩ কী ব্যাপারটাতে গল্পশ্রোতা সবসময়েই মাথা বাঁকিয়েছেন?
উত্তর : পাহাড়ের ওপর থেকে গড়ানো পাথরের চাঙড় গুরু নানক হাত দিয়ে থামিয়ে দিয়েছেন—এই ব্যাপারটা যখনই শুনেছেন, গল্পশ্রোতা তখনই মাথা বাঁকিয়েছেন।
প্রশ্ন ২,১৪ ‘সদগুরু তখন ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে বললেন’ সদ্গুরু ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে কী বলেছিলেন?
উত্তর : সদ্গুরু তখন ঠোঁটে হাসি ফুটিয়ে বললেন, এখানে পাহাড়ের চুড়োয় দরবেশ বলী কান্ধারীর কুয়োয় জল ছাড়া আর কোথাও জল নেই।
প্রশ্ন ২.১৫ ‘পাঞ্জাসাহেবে সাকা হয়েছে।-সাকা কী?
উত্তর : গুরু নানকের শিষ্য শিখ ধর্মাবলম্বীরা প্রয়োজনে যে সাকা উদযাপন করেন, তা হল কোনো মহৎ আদর্শ বা লক্ষ্যের আত্মত্যাগ বা মৃত্যুবরণ।
প্রশ্ন ২.১৬ ‘গড়িয়ে পড়া পাথর কীভাবে থামবে?- গড়িয়ে পড়া পাথর কীভাবে থেমেছিল?
উত্তর : পাহাড়ের ওপর থেকে গড়িয়ে পড়া পাথরটা গুরু নানক ‘জয় নিরঙ্কার’ ধ্বনি দেওয়ার কথা বলে হাত দিয়ে থামিয়ে দিলেন।
2.69 কোন্ দৃশ্য দেখে মর্দানা চেঁচিয়ে উঠেছিলেন?
উত্তর : ক্ষিপ্ত বলী কাদারী পাথরের একখানা চাঙড় নীচে গড়িয়ে দিচ্ছেন, ওই দৃশ্য দেখে মর্দানা চেঁচিয়ে উঠেছিলেন।
288 'গল্পটা আমাদের স্কুলে শোনানো হল।- কোন গল্পটার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর : যে গল্পটার কথা বলা হয়েছে, তা হল হাত দিয়ে
প্রশ্ন ২.১৯ ‘কোথাও একটা জনমানুষ নেই'—একটাও জনমানুষ নেই কেন?
উত্তর : ভয়ানক গনগনে রোদে আর গরমে চারিদিক শুনসান, পাথর বালি ধু ধু করছে, গাছপালা ঝলসে গেছে, ওই পরিস্থিতিতে কোথাও একটা জনমানব নেই।
প্রশ্ন 2.20 ‘চোখের জলটা তাদের জন্য’—কে, কাদের জন্য চোখের জল ফেললেন?
উত্তর : ‘কে’ হল ‘অলৌকিক’ কাহিনির জনৈক শ্রোতা। তাঁর চোখের জল তাঁদের জন্য যাঁরা জীবন তুচ্ছ করে ক্ষুধা ও তেষ্টায় কাতর দেশবাসীকে রুটি, জল পৌঁছে দিয়েছিল।
প্রশ্ন ২.২১ হাসান আব্দালের বর্তমান নাম কী ও কেন?
ত্তর : হাসান আব্দালের বর্তমান নাম ‘পাঞ্জাসাহেব'। কারণ পাহাড়ের ওপর থেকে বলী কান্ধারীর গড়িয়ে দেওয়া পাথরের চাঙড় গুরু নানক হাত দিয়ে থামিয়ে দেন, সেই স্মারক পাথর এখনও আছে হাতের ছাপসহ, সেই জন্য।
প্রশ্ন ২.২২ ‘যারা পারে তাদের পক্ষে মোটেই অসম্ভব না'—কে, কাকে এ কথা বলেছিলেন?
উত্তর : বক্তা হলেন স্কুলের মাস্টারমশাই, তিনি গল্পশ্রোতা ছাত্র, যে শিক্ষকমশাইয়ের সঙ্গে তর্ক করেছিল তাকে বলেছেন।
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা অলৌকিক mcq প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন ২.২৩ ‘কোথাও সাকা হলেই বুঝতে পারতাম'- সাকার সময় কী কী করতে হত?
উত্তর : কোথাও সাকা হলে বাড়িতে অরন্ধন হত, রাত্রে মেঝেতে শুতে হত, এগুলি শিখ সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষের ব্রত পালনের মতো পালনীয় রীতি।
প্রশ্ন 2,28 ‘গুরু নানকের হাতের ছাপ ওতে আজও লেগে রয়েছে।—‘ওতে’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : বলী কান্ধারীর গড়িয়ে দেওয়া পাথরের চাঙড়, যা গুরু নানক হাত দিয়ে থামিয়ে দিয়েছিলেন, ‘ওতে’ বলতে গুরু নানকের হাতের ছাপওয়ালা সেই পাথর।
প্রশ্ন ২.২৫ 'হঠাৎ একটা প্রশ্ন জাগল ওঁর মনে। - কার মনে কোন্ প্রশ্ন জাগল?
উত্তর : বলী কান্ধারীর মনে হঠাৎ এই প্রশ্ন জাগল যে, পিপাসার্ত মর্দানা কোথা থেকে এসেছে।
প্রশ্ন ২.৩৯ ‘ট্রেনটা পিছোতে লাগল ?—এর কারণ কী?
ওর : ক্ষুধার্ত বন্দিদের মুখে তৃয়ায় জল ও ক্ষুধার অন্ন দেওয়ার উদ্দেশ্যে দেশপ্রেমিক মানুষেরা রেললাইনে শুয়ে পড়লে চলন্ত ট্রেন তাদের বুকের ওপর দিয়ে চলে যায়। ট্রেনের গতি স্তব্ধ হওয়ার পর চতুর্দিক রক্তে ভিজে যায়। এরপর ট্রেনটি পিছোতে শুরু করে।
প্রশ্ন 2.80 ‘তাতে বলী ক্ষিপ্ত হয়ে পাথরের বড়ো চাঙড় খসিয়ে দেন'—তাঁর ক্ষিপ্ত হওয়ার কারণ কী?
উত্তর : পাহাড়ের চূড়ায় বলী কান্ধারী তাঁর কুয়ো থেকে জল নিতে এসে দেখেন যে, জল নেই। দূরে গুরু নানক শিষ্য পরিবৃত হয়ে বাবলা গাছের তলায় বসে আছেন। তখন বলী কান্ধারী প্রচণ্ড ক্রুদ্ধ হয়ে পাথরের চাঙড়টি নীচে খসিয়ে দেন।
প্রশ্ন ২.৪১ ‘এটাকে ভগবানের অভিপ্রায় বলেই মেনে নাও।-কোন্ বিষয়কে?
উত্তর: ‘অলৌকিক’ গল্পে গুরু নানক শিষ্য মর্দানার জল তেষ্টা মেটানোর মতো কোনো জল না থাকার বিষয়টি ভগবানের অভিপ্রায় বলেই মনে হয়।
‘অমনি আমি বলে উঠি ।-বক্তা কী বলে উঠেছিলেন?
ত্তর : উদ্ধৃত অংশটির বক্তা ‘অলৌকিক' গল্পের কথক। গল্পকথক বলে ওঠেন যে, ঝড়ের বেগে ছুটে যাওয়া ট্রেন যদি থামানো যায়, পাথরের চাঁই থামানো মোটেই অসম্ভব নয়।
‘সেখানেই বসে পড়ে।—তার বসে পড়ার কারণ কী?
উত্তর : গুরু নানকের সঙ্গে শিষ্য মর্দানা হাসান আব্দালের পাহাড়ি জঙ্গালাকীর্ণ পথ দিয়ে হাঁটতে হাঁটতে তৃষ্ণায় কাতর হয়ে পড়ে। সেই জলতৃয়ার কাতরতার জন্য সে সেখানে বসে পড়ে।
‘তীক্ষ্ণ হুইসেল দিতে দিতে ট্রেন এলো।— এর কারণ কী?
উত্তর: গল্পকথকের মায়ের বান্ধবী পাঞ্জাব প্রদেশে ক্ষুধার্ত তৃস্নার্ত দেশপ্রেমিক বোঝাই ট্রেনটিকে থামানোর জন্য রেললাইনে মায়ের বান্ধবীর স্বামীসহ ও অন্যান্যরা শুয়ে পড়ে। রেললাইন মুক্ত করার জন্যই ছুটন্ত ট্রেনটি হুইসেল দিতে দিতে এগিয়ে এল।
অলৌকিক 1 নম্বরের প্রশ্ন উত্তর প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন ২.৪৬ মদনার পরিস্থিতি দেখে গুৱু কী করেছিলেন?
উত্তর : গুরু নানকের অন্যতম শিষ্য মর্দানা তৃয়ায় কাতর হয়ে পানীয় জল না পাওয়াতে খুবই কষ্টের মধ্যে পড়েন। শেষাবধি গুরু নানক পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত বলী কান্ধারীর কুটিরের কুয়োর জলের সন্ধান দিয়েছিলেন।
প্রশ্ন ২.৪৭ সাৱাটা পথ ধরে মা কেঁদেছিল।—মায়ের কাঁদার কারণ কী?
উত্তর : ক্ষুধা-তৃস্নায় কাতর সংগ্রামীদের ক্ষুধা ও তৃস্না মেটানোর জন্য গ্রাম থেকে পাঞ্জাসাহেবের উদ্দেশে গল্পকথকের মা অন্যান্যদের সঙ্গে রওনা দেন। দেশপ্রেমিক মানুষদের দুঃখ- যন্ত্রণার কথা মনে করে সারা পথ গল্পকথকের মা কেঁদেছিলেন।
প্রশ্ন ২.৪৮ ফিরিঙ্গিৱা কী করেছিল?
উত্তর : ‘অলৌকিক’ গল্পের দ্বিতীয় পর্বে পাঞ্জাসাহেবের দূরবর্তী শহরে ফিরিঙ্গিরা নিরস্ত্র স্বাধীনতাকামী ভারতীয়দের ওপর গুলিবর্ষণ করেছিল।
প্রশ্ন ২.৪৯ ‘এ তল্লাটে ওঁর কুয়ো ছাড়া আর কোথাও জল নেই।—জল না থাকার কারণ কী?
উত্তর : পাহাড়ি অঞ্চলে রুক্ষ, শুষ্ক পাথরের চাঁই, ধু ধু বালি, আর ঝলসে যাওয়া শুকনো গাছপালা ছাড়া কোনো কিছু নেই। অঞ্চল সম্পূর্ণ জনমানবশূন্য। তাই সেখানে জল নেই।
প্রশ্ন ২.৫০ ‘এ তল্লাটে ওঁর কুয়ো ছাড়া আর কোথাও জল নেই।—‘এ তল্লাটে’ বলতে কোথায় বোঝানো হয়েছে?
উত্তর : পাহাড়ি অঞ্চলে পাহাড়ের চূড়ায় অবস্থিত বলী কান্ধারী নামে এক দরবেশের কুয়োর জল ছাড়া আর কোথাও একফোঁটা জল নেই। 'এ তল্লাটে' বলতে হাসান আব্দালের পাহাড়ময় জঙ্গলাকীর্ণ অঞ্চলকেই বোঝানো হয়েছে।
‘মর্দানা শুনেই ছুটে গেল।-মর্দানা কোথায় ছুটে গেল?
ত্তর : ‘অলৌকিক’ গল্পে বর্ণিত গুরু নানকের মুখে বলী কান্ধারীর কুটিরের কুয়োয় জল পাওয়ার কথা শুনে তৃয়ার্ত শিষ্য মর্দানা সেই কুয়োর কাছে ছুটে গেল।
বেশিক্ষণ বাঁচবে কিনা সন্দেহ। -কেন এই অবস্থা?
উত্তর : তৃস্নাকাতর মর্দানা বারবার দরবেশ বলী কান্ধারীর কাছে তৃয়া নিবারণের জল প্রার্থনা করে ব্যর্থ হয়ে শেষে গুরু নানকের পায়ে মূর্ছিত হয়ে পড়েন। রীতিমতো এই করুণ অবস্থায় বেশিক্ষণ বাঁচবে কিনা—সেই সন্দেহ দেখা যায়।
‘উনি তাকে সামনের পাথরটা তুলতে বলেন।—কেন পাথর তুলতে বললেন?
উত্তর : মর্দানা তৃয়ার্ত হয়ে পাহাড়ের চূড়ায় বলী কান্ধারীর কাছে বারবার পানীয় জল প্রার্থনা করে ব্যর্থ হন। এরপর তৃয়াকাতর মর্দানাকে গুরু নানক তৃষ্ট্বা নিবারণের জন্য সামনের পাথরটা তুলতে বলেন।
প্রশ্ন ২.৬৮ ‘ওঁর কাছে আর একবার যেতে বললেন। —কাকে, কোথায় যেতে বলেছেন?
উত্তর : বলী কান্ধীরার কাছে বারবার প্রার্থনা করা সত্ত্বেও জল না পেয়ে রীতিমতো করুণ অবস্থায় পড়েন তিনি। গলা শুকিয়ে ফেটে যাওয়ার উপক্রম। এই অবস্থায় গুরু নানক ‘জয় নিরঙ্কার’ বলে মর্দানাকে পুনরায় বলী কান্ধারীর কাছে যেতে বলেন।
প্রশ্ন ২.৬৯ ‘উনি আমাকে চুপ করিয়ে দিলেন।—কেন চুপ করিয়ে দিলেন?
ত্তির : মাস্টারমশাই পাথরের চাঙড় থামানোর ব্যাপারটিকে সত্য প্রতিপন্ন করার জন্য যারা পারে তাদের পক্ষে সেই কঠিন কাজ অসম্ভব নয় বলে কথককে চুপ করিয়ে দিলেন।
প্রশ্ন ২.৭০ > ‘মাস্টারমশাইয়ের সঙ্গেও তর্ক করলাম।'— তর্কের বিষয়টি কী?
উত্তর: ‘অলৌকিক' গল্পে একজন মানুষের পক্ষে অত বড়ো পাথরের চাঙড় হাত দিয়ে থামানো কীভাবে সম্ভব—তর্কের বিষয়টি ছিল এটিই।
‘ওঁর পায়ে লুটিয়ে পড়ে।-লুটিয়ে পড়ার কারণ কী?
উত্তর : গুরু নানকের আদেশমতো তৃতীয় বার তৃস্নার্ত শিষ্য মর্দানা ক্লান্ত অবসন্ন হয়ে পানীয় জল প্রার্থনা করে বলী কান্ধারীর পায়ে লুটিয়ে পড়েন।
প্রশ্ন ২,৮৮ কীভাবে ঝরনার জল বেরিয়ে এসেছিল?
উত্তর : মূর্ছিতপ্রায় মর্দানার পিঠে হাত বুলিয়ে সাহস জুগিয়ে গুরু নানক তাকে সামনের পাথরটা তুলতে বললেন, পাথর তোলায় তলা থেকে জলের ঝরনা বেরিয়ে এল।
মার সঙ্গে তর্ক শুরু করি।”—কোন্ বিষয় নিয়ে তর্ক?
উত্তর : পাথরে গুরু নানকের হাতের ছাপ লেগে আছে, এটাবিশ্বাসযোগ্য মনে না হওয়ায় কাহিনি কথকের ধারণা পরে কেউ খোদাই করেছে, তা নিয়ে মার সঙ্গে তার তর্ক।
প্রশ্ন ২.৯০ ‘পাঞ্জাসাহেবের লোকজন খবরটা পেয়ে সবাই উত্তেজিত।-খবরটা কী?
উত্তর: ‘অলৌকিক' গল্পে ফিরিঙ্গিরা নিরস্ত্র ভারতীয়দের ওপর গুলিবর্ষণ করে। এই ঘটনায় অনেকের মৃত্যু হয়, বাকিদের জেলে পাঠানো হয়, ক্ষুধার্ত তৃস্নার্ত বন্দিদের ট্রেন যেন না থামে—এমন সব নির্দেশ শুনে পাঞ্জাসাহেবের লোকজন উত্তেজিত হয়ে পড়ে।
হাসান আব্দালের জঙ্গলে হাজির মর্দানার তৃস্নার্ত অবস্থার বর্ণনা দাও এবং গুরু নানক কীভাবে তাঁকে আশ্বস্ত করতে চাইলেন লেখো।
উত্তর : মর্দানার তৃষ্মার্ত অবস্থা গুরু নানকের সঙ্গে হাসান আব্দালের জঙ্গলে হাজির হয়েছেন মর্দানা। তিনি গুরু নানকের ভক্ত-শিষ্য ও অনুচর। তখন ভয়ানক গরম। আগুনের মতো গনগনে রোদ। জনমানবহীন শুনসান চারদিক। রোদের তাপে গাছগুলি ঝলসে শুকনো হয়েছে। তাতেই গুরু নানক আত্মমগ্ন হয়ে হাঁটছেন। হাঁটছেন মর্দানাও। মর্দানার হঠাৎ জল তেষ্টা লাগল । কিন্তু জুল কোথায় ? তাঁর তেষ্টা ক্রমশ বাড়তে লাগল। তেষ্টায় কাতর হয়ে মর্দানা বসে পড়লেন। তেষ্টার চোটে মর্দানা একসময় জল ছাড়া মাছ যেমন ছটফট করে তেমনি করতে লাগলেন।
পিপাসাকাতর মর্দানাকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা : জল তেষ্টায় অধীর মর্দানাকে গুরু নানক প্রথমে কিছুটা সবুর করতে বললেন। কারণ পরের গাঁয়ে গেলে জল পাওয়া যাবে। কিন্তু মর্দানার কাকুতিমিনতি শুনে দুর্ভাবনায় পড়লেন গুরু। ওদিকে জলের জন্য মর্দানা অস্থির হয়ে উঠেছেন। কাজেই গুরু বোঝাতে চাইলেন এই বলে যে, কিছুক্ষণ অপেক্ষা করতেই হবে। অবশ্য এটা ভগবানের ইচ্ছে বলে মেনে নিলে কষ্ট লাঘব হবে। কিন্তু মর্দানা একেবারে কাহিল হয়ে বসে পড়ায় গুরুর হাসি পেল, আবার বিরক্তও হলেন। কিন্তু মর্দানা জলহীন মাছের মতো ছটফট করতে থাকায় গুরু দেখলেন তাঁকে আশ্বস্ত করার চেষ্টা বৃথা। তিনি তখন মুখে হাসি টেনে মর্দানাকে পাহাড়ের চুড়োয় দরবেশ বলী কান্ধারীর কথা বললেন। ওই তল্লাটে একমাত্র তাঁর কুঁড়ের পাশে জলের কুয়ো আছে। মর্দানা ওখানে বলী কান্ধারীর কাছে জল পেতে পারেন।
উচ্চমাধ্যমিক বাংলা অলৌকিক ৫ নম্বরের প্রশ্ন উত্তর
“হাসান আব্দালে এখন যার নাম ‘পাঞ্জাসাহেব’, গুরু নানকের হাতের ছাপ ওতে আজও লেগে রয়েছে।” – এই ঘটনাটি উল্লেখ করো। [এবিটিএ ইনটার স্কুল টেস্ট]
• উত্তর কর্তার সিং দুগালের ‘অলৌকিক’ গল্পে দেখা যায়, গুরু নানকের সঙ্গী তৃস্নার্ত মর্দানা নানকের নির্দেশমতো জলের জন্য মোর্ট তিন বার পাহাড়চুড়োয় দরবেশ বলী কান্ধারীর কাছে যান। কিন্তু বলী কান্ধারী নানকের নাম শুনেই তাঁকে তাড়িয়ে দেন | তিন বার প্রত্যাখ্যাত হয়ে মর্দানা যখন প্রায় মূর্ছিত, সেই সময় নানক তাঁর পিঠে হাত বুলিয়ে, সাহস জুগিয়ে মর্দানাকে সামনের পাথরটা ভুলতে বলেন | আর পাথরটা তোলার সঙ্গে সঙ্গেই তার তলা থেকে জলের ঝরনা বেরিয়ে আসে | চারিদিক যখন জলে থইথই, ঠিক সেই সময়েই বলী কান্ধারীর জলের দরকার পড়ে। তখন তিনি দেখেন যে, তাঁর কুয়োয় একটুও জল নেই, অথচ নীচে বয়ে চলেছে জলের স্রোত। একইসঙ্গে গুরু নানককে বাবলাতলায় নিজের অনুচরকে সঙ্গে নিয়ে বসে থাকতেও দেখেন তিনি। ক্ষিপ্ত বলী কান্ধারী তখন পাথরের একটা চাঙড় নীচের দিকে গড়িয়ে দেন। এই দৃশ্য দেখে মর্দানা ভয়ে চিৎকার করে উঠলেও ‘জয় নিরঙ্কার’ ধ্বনি দিয়ে গুরু নানক শান্ত স্বরে হাত দিয়ে পাথরটা থামিয়ে দেন। ফলে পাথরে নানকের হাতের ছাপ সৃষ্টি হয়, যা আজও লেগে রয়েছে। তখন থেকেই হাসান আব্দালের নাম হয় ‘পাঞ্জাসাহেব’ |
8 “এটাকে ভগবানের অভিপ্রায় বলেই মেনে নাও।”―—কোন্প্র সঙ্গে কে মন্তব্যটি করেছিলেন? বক্তার এই মন্তব্যে কি কোনো কাজ হয়েছিল? এই বিষয়ে বক্তাকে এরপরে কী ভূমিকা নিতে হয়েছিল ?
উত্তর কর্তার সিং দুগ্গালের লেখা ‘অলৌকিক’ গল্পে গুরু নানক যখন ঘুরতে ঘুরতে হাসান আব্দালের জঙ্গলে গিয়ে পৌঁছেছিলেন সেই সময়ে অসহ্য গরমে শিষ্য মর্দানার জল তেষ্টা পায় | নানক তাকে ধৈর্য ধরতে বলেন এবং জানান যে, পরের গ্রামে গেলেই জল পাওয়া যাবে। কিন্তু মর্দানার কাকুতিমিনতিতে গুরু নানক দুশ্চিন্তায় পড়েন । কারণ মর্দানা না যেতে চাইলে তাদের যাত্রাই বিঘ্নিত হবে | তখনই গুরু নানক মর্দানাকে বোঝাতে গিয়ে উদ্ধৃত মন্তব্যটি করেন।
• গুরু নানকের এই মন্তব্যে বিশেষ কোনো কাজ হয়নি, কারণ মর্দানা সেখান থেকে নড়তে রাজি হননি, বরং তিনি সেখানেই বসে পড়েছিলেন। পরিস্থিতির গুরুত্ব বুঝে গুরু নানক ধ্যানে বসেন। ধ্যানের শেষে চোখ খুলে দেখেন মর্দানা তৃস্নায় প্রচণ্ড অশান্ত হয়ে পড়েছেন। সদ্গুরু নানক তখন মৃদু হাসি হেসে তাকে বলেন যে, পাহাড়চুড়োয় বলী কান্ধারী নামে এক দরবেশ কুটির বেঁধে থাকেন। তার কাছেই একমাত্র জল পাওয়া যেতে পারে । এইভাবে গুরু নানক তৃস্নার্ত মর্দানার উদ্দেশে সাহায্যের হাত বাড়িয়ে দিয়ে সদ্গুরুর ভূমিকা নিয়েছিলেন।
৫ “গুরু নানকের হাতের ছাপ ওতে আজও লেগে রয়েছে”।— গুরু নানকের হাতের ছাপ কোথায় লেগে আছে? এই প্রসঙ্গে বর্ণিত ঘটনাটি উল্লেখ করো।
উত্তর কর্তার সিং দুগ্গাল-এর ‘অলৌকিক’ গল্পে গুরু নানকের হাতের ছাপ হাসান আব্দালের জঙ্গলে পাথরের গায়ে আজও লেগে আছে।
২ “ঝড়ের বেগে ছুটে আসা ট্রেন থামানো গেল, পাথরের চাঁই থামানো যাবে না কেন?” – কে, কখন, কাকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্যটি করেছেন? মন্তব্যটির পরিপ্রেক্ষিত আলোচনা করো।
উত্তর কর্তার সিং দুগ্গালের ‘অলৌকিক’ গল্পে লেখক তাঁর বোনকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্যটি করেছেন। মা-র কাছে নানকের হাত দিয়ে পাথরের চাঙড় আটকানোর গল্প শুনে লেখকের বোন তা অবিশ্বাস করলে লেখক তাঁকে উদ্দেশ্য করে মন্তব্যটি করেন।
আলোচ্য গল্পটিতে কুয়োতে জল না থাকার কারণ অনুসন্ধান করতে গিয়ে বলী কান্খারী দেখেন, পাহাড়ের নীচে জলের স্রোত বয়ে যাচ্ছে, আর তার কাছেই বসে আছেন শিষ্য-সহ গুরু নানক। বলী কান্ধারী এই দৃশ্য সহ্য। করতে না পেরে নানকের ওপর রেগে পাহাড়ের ওপর থেকে পাথরের চাঙড় গড়িয়ে দেন নীচের দিকে। কিন্তু নানক তা হাতের পাঞ্জা দিয়ে আটকে দেন। মায়ের কাছে গল্পটি শুনে লেখকের বোনের তা বিশ্বাসযোগ্য মনে হয় না। কিন্তু লেখকের অভিজ্ঞতায় তখন রয়েছে তাঁর মায়ের বান্ধবীর কাছে শোনা জীবন দিয়ে ট্রেন থামানোর কাহিনি। লেখকের মনে হয়েছে, বন্দি স্বাধীনতা সংগ্রামীদের জন্য ট্রেন থামিয়ে খাবার পৌঁছে দিতে গিয়ে সাধারণ মানুষেরাই যেখানে অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছিল, সেখানে গুরু নানকের হাত দিয়ে পাথরের চাঁই ঠেকানো অবাস্তব হতে পারে না। এইভাবেই দেশচেতনার পরিপ্রেক্ষিতে পাঞ্জাসাহেবের ‘অলৌকিক’ ঘটনার মধ্যে যৌক্তিকতা খুঁজে পেয়েছেন লেখক/ (
অলৌকিক বড় প্রশ্ন উত্তর pdf,
৩ “ঠিক হল, ট্রেনটা থামানো হবে।”—–কোন্ ট্রেনের কথা বলা হয়েছে? সেটি কীভাবে থামানো হয়েছিল?
• উত্তর কর্তার সিং দুগ্গাল-এর ‘অলৌকিক’ গল্প থেকে নেওয়া প্রশ্নোদ্ধৃত অংশে যে ট্রেনটি দূরের শহর থেকে বন্দি ভারতীয়দের নিয়ে অন্য শহরের জেলের উদ্দেশে যাচ্ছিল সেই ট্রেনটির কথা বলা হয়েছে। এই ট্রেনটির ওপরে নির্দেশ ছিল যে বন্দিরা ক্ষুধা-তৃম্নায় কাতর হলেও ট্রেনটি যেন কোথাও না থামে।
→ পাঞ্জাসাহেবের লোকেরা ট্রেন না থামানোর সরকারি নির্দেশ মানতে পারেনি। যে শহরে গুরু নানক শিষ্য মর্দানার তেষ্টা মিটিয়েছিলেন সেখান দিয়ে ক্ষুধার্ত-তৃস্নার্ত বন্দিদের নিয়ে ট্রেন চলে যাবে এটা পাঞ্জাসাহেবের মানুষদের পক্ষে মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না। প্রথমে তাঁরা স্টেশনমাস্টারের কাছে আবেদন জানান । কিন্তু টেলিফোন, টেলিগ্রাম পেয়েও কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হয়নি| তখন পাঞ্জাসাহেবের লোকেরা স্টেশনে রুটি, পায়েস, লুচি, ডাল ইত্যাদি নানা খাদ্যদ্রব্য মজুত করেন। তারপরে ট্রেন থামাতে দৃঢ়প্রতিজ্ঞ হয়ে স্ত্রী এবং সন্তান-সহ পাঞ্জাসাহেবের পুরুষ মানুষেরা রেললাইনে শুয়ে পড়েন। এই অবস্থায় তীক্ষ্ণ হুইসেল দিয়ে ট্রেন এসে গতি কমালেও তার চাকা চলে যায় অনেকের বুকের ওপর দিয়ে। ট্রেন পিছোতে গেলে লাশগুলি কেটে দুমড়ে- মুচড়ে যায়। খালপারের সেতুর দিকে বয়ে যায় রক্তের স্রোত। এভাবে অজস্র প্রাণের বিনিময়ে সেদিন ট্রেন থামাতে সমর্থ হয়েছিল পাঞ্জাসাহেবের মানুষেরা।
“
পাঞ্জাসাহেবে পৌঁছে এক আশ্চর্য ঘটনার কথা জানতে পারি।”—আশ্চর্য ঘটনাটির বর্ণনা দাও।
“গল্পটা আমাদের স্কুলে শোনানো হল।”—গল্পটা কী? স্কুলে গল্পটা শুনে লেখকের কী প্রতিক্রিয়া হয়েছিল? [উচ্চমাধ্যমিক, ২০১৫]
উত্তর কর্তার সিং দুগালের ‘অলৌকিক’ গল্পে দেখা যায়, গুরু নানকের সঙ্গী তৃষ্ণার্ত মর্দানা নানকের নির্দেশমতো জলের জন্য মোট তিনবার পাহাড়চুড়োয় দরবেশ বলী কান্ধারীর কাছে যান। কিন্তু বলী কান্ধারী নানকের নাম শুনেই তাকে তাড়িয়ে দেন। তিন বার প্রত্যাখ্যাত হয়ে মর্দানা যখন প্রায় মূর্ছিত, সেই সময় নানক তার পিঠে হাত বুলিয়ে, সাহস জুগিয়ে মর্দানাকে সামনের পাথরটা তুলতে বলেন | আর পাথরটা তোলার সঙ্গে সঙ্গেই তার তলা থেকে জলের ঝরনা বেরিয়ে আসে। এদিকে বলী কান্ধারী দেখেন যে, তাঁর কুয়োয় একটুও জল অবশিষ্ট নেই, অথচ নীচে বয়ে চলেছে জলের স্রোত। একইসঙ্গে গুরু নানককে বাবলাতলায় অনুচর -সহ বসে থাকতেও দেখেন তিনি। ক্ষিপ্ত বলী কান্ধারী তখন পাথরের একটা চাঙড় নীচের দিকে গড়িয়ে দেন । এই দৃশ্য দেখে মর্দানা আতঙ্কে চিৎকার করে উঠলেও ‘জয় নিরঙ্কার’ ধ্বনি দিয়ে গুরু নানক শান্ত স্বরে হাত দিয়ে পাথরটা থামিয়ে দেন। এটাই হল প্রশ্নোদ্ভূত গল্পটা।
● স্কুলে গল্পটা শুনে বিশ্বাস না করা লেখক মাস্টারমশাইয়ের সঙ্গে তর্ক জুড়ে দেন। মাস্টারমশাইয়ের কথাতেও তাঁর বিশ্বাস জন্মায় না। তাই তাঁর এরপর থেকে রাগে মাঝে মাঝেই চিৎকার করে উঠতে ইচ্ছা করত।
প্রশ্ন ৩.১৩, কর্তার সিং দুগ্গাল রচিত 'অলৌকিক' গল্পে বর্ণিত গুরু নানকের চরিত্রটি বিশ্লেষণ করো। [৫]
উত্তর: সহিতা ও সহনশীলতার প্রতিমূর্তি : গুরু নানক হলেন শিখধর্মের প্রবর্তক। তিনি জীবনের দীর্ঘ সময় দেশের ও বিদেশের বিভিন্ন ধর্মের তীর্থস্থানগুলি দেখে বেড়িয়েছেন। সেই পরিক্রমার অঙ্গবিশেষ হল শিষ্য মর্দানাসহ হাসান আব্দালের জঙ্গলে উপস্থিত হওয়া। তখন প্রচণ্ড গরম আর আগুনের মতো গনগনে রোদ। সহিষ্ণুতার ও অপার সহনশীলতার প্রতিমূর্তি নানক পথ হাঁটছেন।
আত্মমগ্নতা : ভগবদ চিন্তায় আত্মমগ্নতা ছিল তাঁর সাধক জীবনের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য। একনিষ্ঠ ঈশ্বরবিশ্বাসী : তৃস্নাত মর্দানাকে গুরু নানক কিছুটা তৃত্স্না সংবরণের উপদেশ দেন। ঈশ্বরে একনিষ্ঠ বিশ্বাসী বলেই মর্দানাকে বলেন, ‘এটাকে (তোমার তৃয়া) ভগবানের অভিপ্রায় বলে মেনে নাও।
ঈশ্বৱভক্তি : যে-কোনো সমস্যা ও বিপদে ঈশ্বরই তো সহায়। তিনি ঈশ্বরভক্ত। ঈশ্বরের ধ্যানে বিপদত্রাণে পথ-অনুসন্ধান মেলে, এ বিশ্বাসে বিশ্বাসী তিনি।
সদগুরু : সদ্গুরু তিনি। হাসিমুখে শিষ্যকে তৃয়া মেটানোর পথের সন্ধান দেওয়া তাঁর করণীয় কাজ। তিনি পাহাড়ের চুড়োয় বলী কান্ধারীর কুটিরের পাশে কুয়োর সন্ধান দিয়ে বলী কান্ধারীর কাছে জল পাওয়ার আভাস দিয়ে মর্দানাকে সেখানে পাঠান।
সদা হাস্যময় : গুরু নানককে কাফের বলে বলী কান্ধারী ভর্ৎসনা করেন। গালিগালাজও করেন। নানক কিন্তু বলী কান্ধারীর প্রতি সামান্যতম নিন্দাবাক্য উচ্চারণ করেননি। অসন্তোষ প্রকাশ করেননি। ক্ষোভ বা প্রতিহিংসার মনোভাবের পরিচয় পাওয়া যায়নি।
বাংলা অলৌকিক বড় প্রশ্ন উত্তর
প্রশ্ন ৩.১৮ ‘'চোখের জলটা কাদের জন্য'—বক্তা কাদের জন্য চোখের জল উৎসর্গ করেছেন? যে ঘটনায় বক্তার চোখে জল এসেছিল সেই ঘটনাটি সক্ষেপে লেখো।
উত্তর: কাদের জন্য চোখের জল উৎসর্গ : ছুটন্ত ট্রেনকে পরোয়া না করে যারা জীবন তুচ্ছ করে ট্রেন থামিয়ে খিদে-তেষ্টায় কাতর স্বাধীনতাকামী দেশবাসীকে রুটি, জল পৌঁছে দিয়েছিল, প্রশ্নোদ্ধৃত উক্তির বক্তা তাদের জন্য চোখের জল উৎসর্গ করেছেন ঘটনাটির সংক্ষিপ্ত বিবরণ : ঘটনাটি হল, দূরের এক শহরে নিরস্ত্র স্বাধীনতা সংগ্রামীদের ওপর ফিরিঙ্গি সাহেবরা গুলি চালায়। তাতে শিশু থেকে বুড়ো নানা বয়সের অনেক মানুষ মারা যান। যাঁরা বেঁচে থাকেন তাঁদের কয়েদ করে দূরের অন্য এক শহরে রেলগাড়িতে করে পাঠানো হয়। তাঁরা খিদে ও তেষ্টায় মরণাপন্ন হন। সরকারের নিষ্ঠুর হুকুম যে, তাদের গাড়ি কোনো স্টেশনে দাঁড়াবে না। ওই খবর শুনে পাঞ্জাসাহেবের লোকেরা উত্তেজিত হয়। তাদের বক্তব্য হল যে, পাঞ্জাসাহেবে গুরু নানক স্বয়ং তৃস্নার্ত শিষ্যের তৃয়া মিটিয়েছিলেন, সেই পাঞ্জাসাহেবের ওপর দিয়ে খিদে ও তেষ্টায় কাতর স্বাধীনতা সংগ্রামীদের যাওয়া - হবে, অথচ তাদের খাবার ও পানীয় জল পৌছে দেওয়া যাে না, তা হয় না। তখন সাকারের পরিকল্পনা হয়। সাকারে নারী ও পুরুষ ছুটন্ত রেলগাড়ি থামানোর জন্য শুয়ে পড়েন রেললাইনের ওপর। একইভাবে তাঁদের পিছনে শুয়ে পড়েন গল্পশ্রোতার মায়ের বান্ধবী তাঁর ছেলেপুলে নিয়ে। তাঁদের অন্তরে ‘জয় নিরঙ্কার’ ধ্বনি। ঝড়ের বেগে ধেয়ে আসা গাড়ির গতি আস্তে আস্তে থেমে যায়। থেমে যায় বান্ধবীর ঠিক মাথার আগে তার আগে গাড়ির চাকা বান্ধবীর স্বামী ও তাঁর সঙ্গীদের বুকের ওপর দিয়ে চলে যায়। দেশবাসীর জন্য আত্মত্যাগের এই ঘটনা শুনে শ্রোতার চোখে জল এসে যায়। তিনি তা দেশবাসীদের জন্য আত্মত্যাগীদের উদ্দেশ্যে উৎসর্গ করেন।
[TAG]: দ্বাদশ শ্রেণি অলৌকিক,অলৌকিক mcq,উচ্চমাধ্যমিক বাংলা বড় প্রশ্ন উত্তর,দ্বাদশ শ্রেণি বাংলা প্রশ্ন উত্তর,দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অলৌকিক প্রশ্ন ,দ্বাদশ শ্রেণির বাংলা অলৌকিক ৫ নং প্রশ্ন উত্তর,