ডাকাতের মা|একাদশ শ্রেণির বাংলা গল্প প্রশ্ন উত্তর |ডাকাতের মা প্রশ্ন উত্তর|Dakater ma golpo

ডাকাতের মা একাদশ শ্রেণির বাংলা গল্পর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর |একাদশ শ্রেণির বাংলা গল্প ডাকাতের মা প্রশ্ন উত্তর PDF |Class 11 Bengali golpo question in bengali  pdf

ডাকাতের মা|একাদশ শ্রেণির বাংলা গল্প প্রশ্ন উত্তর |ডাকাতের মা প্রশ্ন উত্তর|Dakater ma golpo


আজ আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি একাদশ শ্রেণির বাংলা গল্প ডাকাতের মা প্রশ্ন উত্তর PDFclass 11 Bengali golpo question Pdf | WB Class nine Bengali question pdf |WBBSE পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য একাদশ শ্রেণি বাংলা গল্পর গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে।


তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে |একাদশ শ্রেণি বাংলা গল্প ডাকাতের মা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf download । Class xi Bengali golpo Question Pdf  ডাউনলোড করো । এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে প্রাক্টিস করে থাকতে থাক।ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ Note ,Pdf ,Current Affairs,ও প্রতিদিন মকটেস্ট দিতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।

‘ডাকাতের মা’ একাদশ শ্রেণির বাংলা গল্প প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো।

ডাকাতের মা mcq প্রশ্ন


একাদশ শ্রেণি বাংলা গল্প 1 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর [একটি বাক্যে উত্তর দাও]

১। সৌখীর মা কীভাবে বুঝত ছেলে বাড়ি ফিরেছে?

উত্তর দরজায় টক্টক্ করে দু-টোকার শব্দ থেমে থেমে তিনবারের পর আর একবার হলে মা বুঝতে

পারত সৌখী বাড়ি ফিরেছে।

২।সৌখীর বাবা জেলে গেলে তার মা কীভাবে টাকা পেত?

সৌখীর বাবা জেলে গেলে মাসে মাসে কখনো বা তিন-চার মাসের টাকা একসঙ্গে পেয়েছে।

৩। ডাকাত হলেও সৌখীর বাবার দাপট কেমন ছিল?

ডাকাত হলেও সৌখীর বাবার নাম শুনলে চৌকিদার কাঁপত, দারোগা সাহেব পর্যন্ত তুইতোকারিকরতে সাহস পেত না।

৪। সৌখীর ঘরে ফেরার আনন্দ অর্ধেক হয়ে গিয়েছিল কেন?

উত্তর ঘরে ফিরে ছেলে-বৌকে দেখতে না পেয়ে সৌখীর ঘরে ফেরার আনন্দ অর্ধেক হয়ে গিয়েছিল।

5জেল থেকে ঘরে ফিরে সৌখী রাতের বেলায়কী খেয়ে ঘুমাল?

উত্তর খইমুড়ি খেয়ে সৌখী রাতের বেলায় ঘুমাল।

৬। মাতাদীনের বাড়িতে কেন রাজমিস্ত্রি লেগেছিল?

উত্তর দিকের পড়ে যাওয়া পাঁচিল গাঁথার জন্য।

৭॥ এদেশে লোটার অভাবে কী হয়?

লোটার অভাবে সংসার অচল হয়।

৯। দারোগা সাহেবকে ডেকে আনার জন্য কাকেnথানায় পাঠানো হয়েছিল?

এক ছোকরাকে থানায় পাঠানো হয়েছিল।

১০।সৌখীর মা সংসার চালায় কীভাবে?

সৌখীর মা বাড়ি বাড়ি খইমুড়ি বিক্রি করে সংসার চালায়।

11সৌখীর মা বউ-নাতিকে কোথায় পাঠিয়েছিল ?

অভাবের জন্য সৌখীর মা বউ-নাতিকে বউ-এর বাপের বাড়ি পাঠিয়েছিল।

১৪। সৌখীদের বাড়ির বাইরে কোন্ ফলের গাছ ছিল?

নোনা আতার গাছ ছিল সৌখীদের বাড়ির বাইরে।

153.মাতাদীনের লোটার নীচে কী চিহ্ন ছিল?

তারা আঁকা চিহ্ন ছিল মাতাদীনের লোটার নীচে।

16.সৌখীর মা ভেঙে পড়ল কেন?

ছেলের নামে কলঙ্কের কথায় সৌখীর মা ভেঙে পড়ল।

17.জেলের ‘লাইফার’ কাদের বলা হয়?

যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্তদের লাইফার বলা হয়।

18.সৌখীর প্রিয় খাবার কী ছিল?

সৌখীর প্রিয় খাবার ছিল আলুচচ্চড়ি।


ডাকাতের মা 5 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর,ডাকাতের মা বড় প্রশ্ন উত্তর,একাদশ শ্রেণির বাংলা গল্প 5 নং প্রশ্ন উত্তর

বিভাগ গ

১। ‘ডাকাতের মা' গল্পটির নামকরণের সার্থকতা বিচার করো।

উত্তর গল্পের নামকরণের ক্ষেত্রে সতীনাথ ভাদুড়ী আখ্যানবস্তুর সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখেই গল্পের নামকরণ করেছেন। কোনো প্রতীকময়তা বা ব্যঞ্জনার সাহায্যে তিনি তাঁর গল্পের নামকরণের ক্ষেত্রে অবতীর্ণ হননি। ‘ডাকাতের মা’-গল্পটির নামকরণের ক্ষেত্রেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। গল্পকারের প্রধান উপজীব্য বিষয়টিই এই গল্পের নামকরণের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।সৌখীর মা কীভাবে ‘ডাকাতের বউ’ থেকে সন্তানের কৃতিত্বে‘ডাকাতের মা’ হয়ে উঠল গল্পে সেটাই আলোচ্য বিষয়। গল্পটির শুরু হয়েছে ডাকাতের মাকে নিয়েই, গল্পটি বিস্তার লাভ করেছে  ডাকাতের মাকে দিয়েই এবং গল্পটি সমাপ্তি লাভ করেছে সেই ডাকাতের মা-কে দিয়েই। ডাকাতের মা হয়েও সন্তান সৌখীর জন্য তার অন্তরে লুকিয়ে রয়েছে বাৎসল্য রস। জেলে থাকা ছেলের বউ ও তার সন্তান যাতে একটু খেতে পারে—তার জন্য ছেলের বউকে  তার বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দিয়েছে। জেল থেকে আসা ছেলেকে কী খেতে দেবে তার চিন্তায় সে ছিঁচকে চুরির মতোকাজ করেছে। যদিও মাতাদীনের ঘরের লোটা চুরির পিছনেচৌর্যবৃত্তির চেয়ে বেশি করে ধরা পড়েছে সন্তানের প্রতিহু দুর্বলতা ও অপরিসীম স্নেহ। আবার তার চুরির দায়ভার গ্রহণকরে ছেলে যখন গ্রেপ্তার বরণ করল তখন সেই ঘটনার আঘাতে ডাকাতের মায়ের প্রাণ হাহাকার করে ওঠে। ডাকাতের মা—এই পরিচয়ের আড়ালে হারিয়ে গেছ সৌখীর মায়ের আসল নামটি। পূর্বে পরিচিতি জুটেছিল ডাকাতের বউ হিসেবে। সৌখীর বাবার মৃত্যুর পর ছেলের কল্যাণে তার নতুন নামকরণ হয়েছে ডাকাতের মা। সৌখীর

পেশার সঙ্গে পরোক্ষে যে কখন নিজেকে জড়িয়েছে—তা তারও মনে নেই। ডাকাতের মা হিসেবে ডাকাতদের অনেক নিয়মকানুন তাকে শিখতে হয়েছে। ডাকাত দলের বিভিন্ন ধরনের সংকেত সম্পর্কে তাকে ওয়াকিবহাল থাকতে হয়েছে। দরজায় করার টোকা পড়লে দরজা খুলতে হবে—অথবা সতর্ক হয়ে যেতে হবে–তা শিখতে হয়েছে। প্রকৃত নামহীন ডাকাতের মা আসলে চারিত্রিক দিক দিয়ে ডাকাত স্বামী বা ডাকাত ছেলের পেশার মতো দৃঢ়তা ধারণ করতে পারেনি। যে সাহস, যে ভয়ডরহীনতা ডাকাতির মতো

পেশায় দরকার তা সৌখীর মায়ের ছিল না। ছেলের কথা ভেবে ছিঁচকে চুরি করলেও তার পিছনে লুকিয়ে ছিল অসীম সন্তান প্রীতি। তাই সৌখীর মা ডাকাতের মা হয়েও আর পাঁচটা বাঙালি মায়ের মতো করুণাময়ী ও কোমল স্বভাব মায়ের প্রতিমূর্তি হয়ে উঠেছে।


I) ২। ডাকাতের মা' গল্প অবলম্বনে সৌখী চরিত্রটি আলোচনা করো।

উত্তর সতীনাথ ভাদুড়ীর ‘ডাকাতের মা’ গল্পটিতে কয়েকটি চরিত্রের উপস্থিতি লক্ষ করা যায়। তাদের মধ্যে গল্পকারের বর্ণনার গুণে যে চরিত্রগুলি পাঠকের মনে দাগ কেটে যায়— সৌখী চরিত্রটি তাদের মধ্যে অন্যতম। গল্পে অন্যতম ভূমিকা গ্রহণ করেছে এই চরিত্র। সৌখীর ডাকাত পরিচয়ের আড়ালেই অন্তর্নিহিত রয়েছে তার মায়ের ‘ডাকাতের মা’ হয়ে ওঠার  কাহিনি। তার পেশার মধ্যেই লুকিয়ে রয়েছে তার মায়ে অস্তিত্ব। গল্পের খুব কম স্থান জুড়ে সৌখীর উপস্থিতি। তার ডাকাতির কোনো নমুনা গল্পে নেই। গল্পে তার পরোক্ষ উপস্থিতি ছেলে বন্দী থাকাকালীন অবস্থায়। পাঁচ বছর জেলবন্দী থাকার পর সে হেড জমাদারকে ঘুষ দিয়ে ছাড়া পেয়েছে। সৌখীর দলের পূর্ব নির্ধারিত সংকেত মতো বাড়ি ফিরে সে দরজায় টোকা দেয়। ঘরে ঢুকেই মায়ের সঙ্গে কথাবার্তার পর সে তার বউ ও ছেলেকে খোঁজে। এতদিন জেলখাটার পরেও তার মনে বউ ও ছেলের জন্য ভালোবাসার স্থানটি নষ্ট হয়নি। সংসারপ্রাণ সৌখীর মানসিক রূপটি এখানে প্রস্ফুটিত হয়। নিজের বউ ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়ি গেছে জানার পর সে তাদের পরের দিনেই বাড়ি নিয়ে আসার কথা বলে। ডাকাতের কঠিন হৃদয়ের অন্তরাল থেকে হঠাৎ ভালোবাসার স্রোত এভাবেই বেরিয়ে আসে। প্রবল পত্নী প্রেম ও সন্তানের প্রতি বাৎসল্য রসের প্রকাশে সৌখীকে তখন একজন সাধারণ মানুষ বলেই মনে হয়। পেশায় ডাকাত হলেও সৌখীর মনের মধ্যে যে মমত্ববোধের প্রকাশ গল্পকার দেখিয়েছেন তা অনন্য। বাড়ি ফিরে রাত্রে মাকে রান্না করার হাত থেকে মুক্তি দিতে, সে মাকে জানায় সে খেয়ে এসেছে। মায়ের গায়ের ছেঁড়া কম্বল দেখে, সে নিজের গায়ের কম্বলটা মায়ের গায়ে জড়িয়ে দেয়। মাতৃভক্তির চরম নিদর্শন দেখা যায় এই ঘটনায়। জেল খেটে আসা পরিবর্তিত সৌখী যেন মানবতার চরম প্রতিমূর্তি। মাকে শাস্তির হাত থেকে বাঁচাতে দারোগাকে সে জানায় যে, লোটা সে চুরি করে এনেছে। এই ঘটনাটি সৌখীর প্রখর বুদ্ধিমত্তার পরিচয় দেয়। মায়ের চুরি করার ঘটনায় সে ক্ষিপ্ত হয় না, যেন কিছুটা অনুতপ্ত। মাকে বাঁচাতে সে লোটা চুরির দায় গ্রহণ করে গ্রেপ্তার বরণ করে। অসীম ত্যাগ ও মহত্ত্বের পরাকাষ্ঠা দেখিয়ে সৌখী যেন ডাকাত নয়—রক্তমাংসের প্রকৃত মানুষ রূপে ধরা দিয়েছে।


৩। “তার বাড়ি ফিরবার আনন্দ অর্ধেক হয়ে গিয়েছে মুহূর্তের মধ্যে”—কোথা থেকে উদ্ধৃত অংশটি গৃহীত? কে বাড়ি ফিরেছে? তার বাড়ি ফিরবার আনন্দ অর্ধেক হয়েছে কেন? ১+১+৩=৫

উত্তর ডাকাত সৌখী জেল খেটে বাড়ি ফিরে দেখে তার বউ ছেলেকে নিয়ে বাপের বাড়ি গেছে—বাড়িতে নেই। এই ঘটনায় তার বাড়ি ফেরার পরমুহূর্তটিকে তুলে ধরার জন্য গল্পকার সতীনাথ ভাদুড়ী তাঁর ‘ডাকাতের মা' গল্পে এরূপ মন্তব্যের অবতারণা করেছেন। ‘ডাকাতের মা’ গল্পে উল্লিখিত অন্যতম চরিত্র সৌখী জেল থেকে ছাড়া পেয়ে বাড়ি ফিরেছে। জেল খাটার মেয়াদ ফুরানোর পূর্বেই হেড জমাদারকে ঘুষ দিয়ে প্রশংসাপত্র আদায় করে ছাড়া পেয়েছে। একরাশ আনন্দ নিয়ে সে ঘরে ফিরেছে ঘরের সকলের সঙ্গে মিলিত হবার আশায়। কিন্তু বাড়ি ফিরে সে তার মাকে দেখতে পেলেও বউ ও ছেলেকে দেখতে পায়নি। নাতি একটু দুধ খেতে পাবে ভেবে সৌখীর মা পুত্রবধূ ও নাতিকে বউ-এর বাপের বাড়ি পাঠিয়ে দেয়। ফলে বাড়ি ফিরে নিজের স্ত্রী-পুত্রকে দেখতে না পেয়ে সৌখীর বাড়ি ফেরার আনন্দ অর্ধেক হয়ে যায়। পেশায় ডাকাত হলেও সৌখীর অন্তরে একটা কোমল প্রাণ বিরাজ করত।

ছোটো ছেলেকে ঘুম থেকে তুলে মাঝরাতে সৌখীর খুনসুটি করার প্রবল ইচ্ছা হত। তাই ডাকাত হলেও সন্তানের প্রতি তার দুর্বলতা কোনোভাবেই নষ্ট হয়নি। বাড়ি ফিরে তাই বউ ও ছেলের খোঁজ করার মধ্য দিয়ে তার মনের সুকুমার প্রবৃত্তির পরিচয় ফুটে ওঠে।


৪। “এতক্ষণে বোঝে সৌখী ব্যাপারটা।” —কোন্ ব্যাপারের কথা বলা হয়েছে? এই ঘটনায় সৌখীর মনোভাব ব্যক্ত করো। >+9=G

উত্তর জেল খেটে আসা সন্তানের জন্য সে রাতে খই- মুড়ির ব্যবস্থা করলেও, পরদিন তাকে কী খেতে দেবে এই চিন্তায় সৌখীর মায়ের ঘুম আসে না। সে জানে তার ছেলে ভাত আর আলুর চচ্চড়ি খুব পছন্দ করে। সেই চাল ও আলু সংগ্রহ করতে সৌখীর মা পেশকার মাতাদীনের বাড়ি থেকে লোটা চুরি করে বিক্রি করে। এইরূপ চুরি আসলে সন্তানের মুখে খাবার তুলে দেবার অভিপ্রায়। আলোচ্য উদ্ধৃতির মধ্য দিয়ে এই ব্যাপারটির কথা বলা হয়েছে। মাতাদীন চুরি যাওয়া লোটার জন্য পুলিশে অভিযোগ জানায়। সৌখীর মা যাকে লোটা বিক্রি করেছিল সেই দোকানদার লোটা চোরকে অর্থাৎ সৌখীর মায়ের নাম বলে দেয়। সদলবলে পুলিশ সৌখীদের ঘরে আসে। গোলমালের শব্দ শুনে সৌখী বাইরে এসে দেখে পুলিশ তার মায়ের নামে অভিযোগ এনে তাকে গ্রেপ্তার করতে প্রস্তুত। অভিযোগের বিবরণ শুনে সে সেই মুহূর্তে বুঝে নেয়—কেন তার মা লোটা চুরি করেছে। চুরির প্রকৃত কারণটি যে এক মায়ের মানবিক আকুলতার মধ্যেই নিহিত রয়েছে তা জলের মতো সৌখীর কাছে স্পষ্ট হয়ে যায়। তাই মমতাময়ী মাকে রক্ষা করার জন্য সৌখী মায়ের চুরির দোষ নিজের কাঁধে নিল। সে সকলের সামনে বলে উঠল—“আমি এটি চুরি করেছি কাল রাত্রে।” এইরূপ মিথ্যা দায় গ্রহণের মধ্যে সৌখীর মায়ের প্রতি কর্তব্যবোধের প্রকাশ ঘটল। মাকে শাস্তির হাত থেকে বাঁচাতে সন্তানের এরূপ ত্যাগ স্বীকার সৌখীচরিত্রকে অসাধারণত্ব দান করেছে।


৫। “কাদের খুঁজছে সে কথা আর বুড়িকে বলে দিতে হবে না।” কে খুঁজছে? কাদের সে কেন খুঁজছে? ১+৪=৫

অথবা, ‘ছেলের চোখের চাউনি ঘরের দূর দেওয়াল পর্যন্ত কী যেন খুঁজছে।”—ছেলে কে? ঘরের দূর দেওয়াল পর্যন্ত সে কী খুঁজছিল?5+8=

উত্তর কথাসাহিত্যিক সতীনাথ ভাদুড়ীর রচনায় প্রকাশ ঘটেছে তাঁর ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার প্রতিবিম্বন। ‘ডাকাতের মা গল্পেও তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। আলোচ্য উদ্ধৃতাংশে জেল ফেরত ছেলে সৌখীর কথা উল্লেখ করেছে তার মা—ডাকাতের মা। ডাকাত ছেলে সৌখী জেলে গেলে সৌখীর পরিবার চরম আর্থিক কষ্টের মধ্যে পড়েছিল। প্রথম দিকে দলের লোকেরা প্রতি মাসে কিছু টাকা দিয়ে যেত। পরে তা বন্ধ হয়ে গেলে

দুবেলা খাবার জোগাড় করা দুঃসাধ্য হয়ে ওঠে। সৌখীর দুর্বল বউ খাটতে পারে না। অন্যদিকে ডাকাতের মা হওয়ায় সৌখীর মাকে কেউ কাজ দেয় না। এমনকী চার-পাঁচ বছরের নাতিটার মুখে একটু দুধ তুলে দিতে পারে না। সৌখীর বউ-এর বাপের বাড়িতে গোরু আছে তাই ছেলেটা একটু দুধ খেতে পারবে এই আশায় সৌখীর মা, সৌখীর বউ ও ছেলেকে সেখানে পাঠিয়ে দেয়। কিন্তু জেল থেকে ছাড়া পেয়ে সৌখী আচমকা ঘরে  আসে। ঘরে আসে বউ ছেলের সঙ্গে দেখা হবে বলে। ডাকাত হলেও তার মনের নিভৃত কোণে জমে থাকে পত্নীপ্রেম এবং সন্তানের জন্য বাৎসল্যরস। তাই বাড়ি ফিরেই কোরোসিনের আবছা আলোয় সৌখী ঘরের দূর দেওয়াল পর্যন্ত তার বউ ও ছেলেকেই খুঁজছিল।


৬৷ “কিন্তু এ যে চুরি, ছিঁচকে চোরের কাজ… —কোন্ কাজ সম্পর্কে এ ধরনের মন্তব্য করা

হয়েছে?

জেল ফেরত সন্তানের মুখে খাবার তুলে দেবার চিন্তায় সৌখীর মা সারারাত ঘুমাতে পারেনি। সৌখী ভাত আর আলুচচ্চড়ি খুব ভালোবাসে। রাত্রে খইমুড়ি খেয়ে সৌখী ক্ষুধা নিবারণ করেছে। তাই ছেলের পছন্দমতো খাবার সে খাওয়াতে চায় কিন্তু তার হাতে একেবারেই পয়সা নেই। তাই রাতের অন্ধকারে পেশকার মাতাদীনের বাড়ি থেকে লোটা চুরি করে সেটা দোকানে বিক্রি করে চাল ও আলু কিনে এনেছিল। ডাকাতের মা এই যে চুরি করেছিল সেটা তার বৃত্তি নয়। ছিল জেল থেকে ছাড়া পাওয়া ছেলের মুখে ভাত ও আলুচচ্চড়ি তুলে দেওয়ার ঐকান্তিক চেষ্টা। লোটা হারিয়ে পেশকার মাতাদীন অনুসন্ধান করে চোরের হদিস পেয়ে পুলিশ নিয়ে সৌখীদের বাড়িতে উপস্থিত হয়েছিল। সৌখী তখন ঘুমোচ্ছিল এবং সৌখীর মা তার জন্য ভাত রাঁধতে বসেছিল। পুলিশের সামনে সৌখীর মা তার অপরাধ অস্বীকার করতে পারেনি।

সামান্য চুরির জন্য সৌখীর মা লজ্জাবোধ করে। সৌখীর মা ডাকাতের বউ আবার ডাকাতের মা। তাই পুলিশকে দেখে তার মনের মধ্যে ভয়ের সঞ্চার হয়নি। যেটা  সেটা সম্ভ্রম হারানোর লজ্জা। ডাকাতদের মধ্যে একটা দস্তুর আছে—চুরির মতো কাজ তারা করে না। কিন্তু ডাকাতের বউ ও ডাকাতের মা হয়ে সামান্য লোটা চুরি করতে হয়েছে- এটা ভেবেই সৌখীর মা লজ্জিত হয়েছিল। এরূপ অবস্থাতেও তার মনে হয়েছিল সে হয়তো ডাকাত সৌখীর গর্বে আঘাত হেনেছে।


৭। “দারোগাবাবুর পায়ের উপর মাথা কুটছে বুড়ি।”—বুড়ি কে? তার মাথা কোটার কারণ কী?

১+৪=৫

উত্তর এক ডাকাত পরিবারের মর্মন্তুদ জীবনকাহিনি নিয়ে লেখা সতীনাথ ভাদুড়ীর ‘ডাকাতের মা' গল্পটি। সেই গল্পের উদ্ধৃতাংশটিতে ‘বুড়ি' বলে সম্বোধন করা হয়েছে সৌখীর মাকে। মেয়াদের আগেই জেল থেকে ছাড়া পাবার পর সৌখী ঘরে ফিরে আসে। সৌখীর ক্ষুধার্ত মুখে সে রাতে খইমুড়ি তুলে দেয় সৌখীর মা। কিন্তু পরদিন কীভাবে তাকে খেতে দেবে—এই চিন্তায় সৌখীর মায়ের ঘুম আসে না। সে জানে, সৌখী ভাত আর আলুচচ্চড়ি খেতে খুব ভালোবাসে। চাল আর আলু কিনতে টাকা চাই। সেই টাকা জোগাড় করতে সৌখীর মা রাতের অন্ধকারে চুপি চুপি পেশকার মাতাদীনের বাড়ি থেকে লোটা চুরি করে আনে। সেই লোটা দোকানে বিক্রি করে  ছেলের জন্য চাল আর আলু কিনে আনে। ছেলের জন্য রাঁধতে বসে সৌখীর মা। কিন্তু মাতাদীন সকালে উঠে লোটা খুঁজে না পাওয়ায় হুলুস্থুল বাধিয়ে দেয়। বাসনের দোকানে লোটা কিনতে গিয়ে নিজের হারানো লোটার সন্ধান পায় মাতাদীন। বাসনওয়ালা দোকানদারের কাছ থেকে জানতে পারে এই লোটা সৌখীর মা বেচেছে। পুলিশকে সঙ্গে করে মাতাদীন সৌখীর ঘরে আসে। পুলিশ সৌখীর মাকে টানাহেঁচড়া শুরু করলে ঘুম থেকে উঠে সব অভিযোগ শোনে সৌখী। মাকে বাঁচাতে চুরির দায় সে নিজের কাঁধে নিল। পুলিশ অপরাধ কবুল করা সৌখীকে গ্রেপ্তার করতে গেলে সৌখীর মা আপন অপরাধের কথা বলে দারোগার পায়ে মাথা কুটেছিল। ছেলেকে বাঁচানোর এই আপ্রাণ চেষ্টার মধ্য দিয়ে সৌখীর মায়ের চিরন্তন মাতৃপ্রাণটিকে খুঁজে পাওয়া যায়। ডাকাতের মায়ের কঠিন হৃদয় নয়, বাৎসল্যপ্রধান এক চিরন্তন মায়ের প্রতীক হয়ে উঠেছে সৌখীর মা।


৯। ছোটোগল্প হিসেবে ‘ডাকাতের মা' গল্পটির সার্থকতা বিচার করো।

উত্তর জীবনযাপনের টুকরো টুকরো চিত্ররূপে সমস্ত জীবনের বোধকে প্রকাশ করাই হল ছোটোগল্পের বৈশিষ্ট্য। স্বল্প পরিসরে বাহুল্যহীনভাবে মানুষের জীবন সম্পর্কে কোনো একটি নির্দিষ্ট অধ্যায়ের উপর আলোক নিক্ষেপ করাই হল ছোটোগল্পের প্রধান লক্ষণ। এক বাস্তবজীবনমুখী কাহিনিকে আশ্রয় করে কথাসাহিত্যিক সতীনাথ ভাদুড়ী সৌথীর না ও সৌখীর অন্তর্মুখী ভাবনার গভীরে প্রবেশ করে তাদের আসল স্বরূপ উদ্ঘাটনে প্রবৃত্ত হয়ে ‘ডাকাতের মা' গল্পের অবতারণা করেছেন। গল্পের প্রধান চরিত্র ডাকাতের মা বলে পরিচিত সৌখীর মা—যে পূর্বে পরিচিত ছিল ডাকাতের বউ হিসেবে। স্বামীর মৃত্যুর পর এবং ছেলে জেল খাটায় তার সংসারে চরম দারিদ্র্য নেমে আসে । আর্থিক টানাটানির নির্মম রূপ, পরিবারের মানুষের কমনাবাসনার কথা, স্বপ্নদেখার শুরুতেই কীভাবে বিনষ্ট হয়ে গেল তারই প্রতিচ্ছবি গল্পে ফুটে উঠেছে। সংসারযাত্রা নির্বাহ করতে সৌখীর মাকে হিমসিম খেতে হয়। লোকের বাড়ি খইমুড়ি বিক্রি করে জীবন কাটাতে হয়। ছেলের বউ ও নাতিকে বউ-এর বাপের বাড়ি পাঠাতে বাধ্য হয়। ছেলের ফিরে আসার প্রতীক্ষায় দিন গোনে সে। সৌখী হঠাৎ জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ফিরে এসে ছেলে-বউকে দেখতে না পেয়ে অখুশি হয়। ছেলেকে পছন্দমতো খাবার ভাত ও আলু চচ্চড়ি খাওয়ানোর জন্য সৌখীর মা লোটা চুরি করে ধরা পড়ে। মায়ের অপরাধ নিজের কাঁধে নিয়ে সৌখী পুলিশের হাতে ধরা দেয়। ডাকাতের মা-এর জীবনের একটা অংশ থেকেই ডাকাত পরিবারটির জীবনচিত্র ও সামাজিক প্রতিফলন দেখা যায়।

গল্পের অন্তিমে ছেলের পুনরায় জেলে যাওয়া দেখে মায়ের কান্না পাঠককুলকে গভীরভাবে নাড়া দেয়। সৌখীর মা এরপর কী করল, সৌখী পুলিশের হাত থেকে ছাড়া পেল কিনা—এই সমস্ত প্রশ্নের উত্তর না পাওয়ায় ‘শেষ হয়েও হইল না শেষ’—এই অতৃপ্তি জাগিয়ে ‘ডাকাতের মা' গল্পটি সার্থক ছোটোগল্প হয়ে উঠেছে।


১১। মাতাদীন পেশকার কীভাবে চুরি যাওয়া লোটার সন্ধান পেল?

উত্তর ‘ডাকাতের মা' গল্পের স্বল্প পরিসরে সতীনাথ ভাদুড়ী মাতাদীন পেশকারের চরিত্রটিকে উপস্থাপিত করেছেন। সতীনাথ ভাদুড়ীর রচনার গুণে চরিত্রটি উজ্জ্বল ও বাস্তবধর্মী হয়ে উঠেছে। মাতাদীন আদালতে বিচারকের কাছে বিচারের জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র পেশ করে। সেই কারণে, আইন- আদালতের প্রতি মাতাদীনের আনুগত্য বেশি। গ্রামীণ ঐতিহ্য অনুসারে হাতমুখ ধুতে, স্নান করতে ও অন্যান্য প্রয়োজনে লোটার প্রয়োজন হয়। লোটা বাড়ির লক্ষ্মী সেই কারণে মাতাদীন সকালে উঠে লোটা দেখতে না পেয়ে হুলুস্থুল বাধিয়ে দেয়। চোরের উপর সমস্ত রাগ গিয়ে পড়ে। আইন অনুযায়ী আগে তিনি পুলিশে খবর দিলেন এবং ফেরার পথে বাসনের দোকানে লোটা কিনতে গিয়েছিলেন। দোকানের লোটাগুলি তাঁর পছন্দমতো না হওয়ায় দোকানদার মাতাদীনকে সন্তুষ্ট করার জন্য ডাকাতের মা-এর কাছ থেকে চোদ্দো আনায় কেনা পুরাতন লোটাটি দেখায়। আইনচক্ষু মাতাদীনের অনুসন্ধানী চোখ দেখেই বুঝতে পারে, এটাই তার চুরি যাওয়া লোটা। লোটার নীচে তাঁর পরিচিত তারা আঁকা। দোকানদারকে চেপধরতেই দোকানদার সত্য কথা স্বীকার করে। সে জানায় নগদ চোদ্দো আনায় সে এটি ডাকাতদের মায়ের কাছ থেকে কিনেছে। মাতাদীন বাসনের দোকানদার এবং পুলিশকে সঙ্গে করে অপরাধীকে ধরার জন্য সৌখীর বাড়িতে উপস্থিত হন। গল্পের স্বল্প পরিসরে উপস্থিত হয়েও ‘ডাকাতের মা’ গল্পের মোড় ঘুরিয়ে দিয়েছিল মাতাদীন পেশকার।


১২। “হয়তো ঘরদোরের দিকে তাকিয়ে এক নজরেইসংসারের দৈনদশার কথা আঁচ করে নেওয়া উচিত ছিল।” —একথা কার মনে হয়েছিল? দৈন্ কেন?। আঁচ করতে না পারায় কী ঘটল? 

উত্তর অন্ত্যজ শ্রেণির মানুষদের সাহিত্যে স্বীকৃতির যে ধারা সতীনথ ভাদুড়ী তাঁর রচনায় শুরু করেছিলেন—‘ডাকাতের মা’—সেই ধারারই এক গল্প। এই গল্পে চুরির দায়ে পুলিশের হাতে ধরা পড়তে যাওয়া মা-কে বাঁচানোর পূর্বে ডাকাত সৌখীর মনে হয়েছিল—ঘরের দৈনদশার কথা তার আগেই আঁচ করা উচিত ছিল। ছেলে সৌখী ডাকাতির দায়ে ধরা পড়ে পাঁচ বছর হাজতবাসকালে ডাকাতের মাকে চরম আর্থিক কষ্টের মধ্যে পড়তে হয়েছে। এর মধ্যে প্রথম দু-বছর দলের লোক মাঝে মাঝে টাকা দিয়ে যেত। তারপরে আর তারা দেয় না। তাই ডাকাতের মায়ের সংসারে দেখা দিল চরম দৈন্যদশা। সৌখীর মায়ের স্বামী পুত্র-ডাকাত। এই পেশায় ডাকাতের মা গর্ব অনুভব করে। কারণ, ডাকাতি হল হকের পেশা। ডাকাতি ও ছিঁচকে চুরির মধ্যে পার্থক্য স্পষ্ট। ডাকাতিতে মাথা হেঁট করার কোনো প্রশ্নই নেই। কিন্তু একদিন ছেলের মুখে ভাত ও আলুচচ্চড়ি তুলে দিতে সৌখীর মাকে চৌর্যবৃত্তি গ্রহণ করতে হয়। বাড়িতে এমন অর্থাভাব যে, আলু, চাল, তেলমশলা কেনার সামর্থ্য নেই। তাই সৌখীর মা মাতাদীন পেশকারের বাড়ি থেকে রাতের অন্ধকারে লোটা চুরি করল। সৌখীকে সামান্য ভালোবাসার ‘আলুচচ্চড়ি’ দিতে গিয়ে মা লোটা চুরির দায়ে ধরা যখন পড়ল তখন সৌখী নিজেকে দায়ী করল সংসারের দৈন্যদশা না বুঝতে পারায়। জেল থেকে উপায় করে সে নব্বই টাকা এনেছিল। তখন বুঝল নিজে থেকেই মায়ের হাতে টাকা দেওয়া উচিত ছিল। তাহলে তার মাকে এরক ছিঁচকে চুরি করতে হতো না। মাকে বাঁচাতে নিজে সব দোষ ঘাড়ে নিয়ে একপ্রকার প্রায়শ্চিত্তই করল সে।


৩। সৌখীর বাবার আমলের সঙ্গে তার নিজের সময়ের দলের লোকেদের মানসিকতায় কী বদল এসেছে?– ডাকাত জীবনের আগেকার কালের সঙ্গে এখনকার কালের পার্থক্য বিবৃত করো। অথবা,“এ কি হতে পারত আগেকার কালে”

উত্তর ডাকাত স্বামীর জীবদ্দশায় অর্থের জন্য সৌখীর মাকে কোনোদিন ভাবতে হয়নি। সৌখীও নামকরা ডাকাত—যার ভয়ে দারোগাও কেঁপে ওঠে, যাকে ‘তুই তোকারি’ করার সাহস দারোগা কখনও পায়নি সৌখীর মা আজ একা—কারণ ঘরেতে টাকার অভাব। এই সময়েই তার মনে পড়ে আগেকার কালের কথা—সুখের মুহূর্তগুলি। এ প্রসঙ্গেই কথাসাহিত্যিক সতীনাথ ভাদুড়ী তাঁর ‘ডাকাতের মা’ এই মুহূর্তটির অবতারণা করেছেন। সৌখীর মা ডাকাতের মা নামে পরিচিত হলেও আসলে সে ছিল ‘ডাকাতের বউ’। বাড়িতে পুলিশের হানা, এমনকী স্বামীর হাজতবাস হলেও সৌখীর মায়ের মাথা হেঁট হয়নি; —কারণ, ডাকাতি করা ছিল তার স্বামীর শখের পেশা। কিন্তু একটা ডাকাতের বউ, এখন ডাকাতের মা—প্রায় অর্থহীন অবস্থায় দিনাতিপাত করছে। কারণ—ছেলে সৌখী ডাকাতির দায়ে পাঁচ বছর জেলে বন্দি। সৌখী জেলে থাকার প্রথম দু-বছর দলেরলোকেরা তার বাড়িতে টাকা দিলেও তারপর থেকে আর দেয় না। সৌখীর মায়ের বিশ্বাস—'দিনকালই



[TAG]:   একাদশ শ্রেণি ডাকাতের মা গল্প pdf,ডাকাতের মা গল্প mcq,ডাকাতের মা বড় প্রশ্ন উত্তর,একাদশ শ্রেণি,একাদশ শ্রেণির বাংলা গল্প প্রশ্ন উত্তর,একাদশ শ্রেণির বাংলা গল্প,একাদশ শ্রেণির বাংলা গল্প 3 নং প্রশ্ন উত্তর,একাদশ শ্রেণির বাংলা গল্প  বড় প্রশ্ন উত্তর,একাদশ শ্রেণির বাংলা গল্প 1 প্রশ্ন উত্তর,Class 11 Bengali golpo question in bengali


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now