উত্তর ঔপনিবেশিক ভারত প্রশ্ন উত্তর pdf|মাধ্যমিক ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF|Madhyamik history 8th chapter question answer pdf

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

উত্তর ঔপনিবেশিক ভারত বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ দশম শ্রেণির ইতিহাসের প্রশ্ন উত্তর |মাধ্যমিক ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF |Class 10 history 8th chapter question in bengali pdf

 

আজ আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি  দশম শ্রেণির ইতিহাসের অষ্টম অধ্যায় উত্তর ঔপনিবেশিক ভারত  প্রশ্ন উত্তর PDF। Class X eight chapter question answer Pdf in bengali | Madhyamik history 8th chapter question answer pdf |WBBSE পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য দশম শ্রেণি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে।



তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে উত্তর ঔপনিবেশিক ভারত  প্রশ্ন উত্তর pdf download । Class x History 8th chapter Question answer in Bengali Pdf ডাউনলোড করো । এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে প্রাক্টিস করে থাকতে থাক।ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ Note ,Pdf , Current Affairs,ও প্রতিদিন মকটেস্ট দিতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।



মাধ্যমিক ইতিহাসের উত্তর ঔপনিবেশিক ভারত প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো।

উত্তর ঔপনিবেশিক ভারত  mcq প্রশ্ন Pdf

ANS:- PDF Download link Click here 


দশম শ্রেণি ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় 1 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর [একটি বাক্যে উত্তর দাও]

উত্তর ঔপনিবেশিক ভারত 1 নং প্রশ্ন উত্তর|মাধ্যমিক ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় 1 নম্বরের প্রশ্ন|

1.ভারতের স্বাধীনতাকালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কে ছিলেন?

তর: ভারতের স্বাধীনতাকালে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী ছিলেন ক্লিমেন্ট এটলি |

2. ভারতের প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রীর নাম কী?

উত্তর : ভারতের প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী ছিলেন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল।

3.স্বাধীনতাকালে ভারতের স্বরাষ্ট্রসচিব কেছিলেন?

উত্তর: স্বাধীনতাকালে ভারতের স্বরাষ্ট্রসচিব ছিলেন ভিপি মেনন।

4.দেশীয় রাজ্য দপ্তর কত খ্রিস্টাব্দে গঠিত হয়?

উত্তর: দেশীয় রাজ্য দপ্তর ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের জুলাই মাসে গঠিত হয়।

5. হরি সিং কোন্ রাজ্যের রাজা ছিলেন?

উত্তর: হরি সিং কাশ্মীর রাজ্যের রাজা ছিলেন।

6. ভারতের স্বাধীনতা আইন করে প্রণীত হয়?

উত্তর: ভারতের স্বাধীনতা আইন প্রণীত হয় ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৮ জুলাই।

77 ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নাম কী?

উত্তর: ভারতের প্রথম প্রধানমন্ত্রীর নাম ছিল জওহরলাল নেহরু

৪. পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী কে ছিলেন?

উত্তর: পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের প্রথম মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন প্রফুল্লচন্দ্র ঘোষ।

9. ভারতের পুনর্বাসন কমিশনের চেয়ারম্যান কে ছিলেন?

উত্তর : ভারতের পুনর্বাসন কমিশনের চেয়ারম্যান ছিলেন সুকুমার সেন ও শৈবাল গুপ্ত।

10. ভারতের সংবিধান কবে কার্যকরী হয় ?

উত্তর: ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দের ২৬ জানুয়ারি ভারতের সংবিধান কার্যকরী হয়।

11. পাঞ্জাব রাজ্য কত খ্রিস্টাব্দে গঠিত হয়?

উত্তর: পাঞ্জাব রাজ্য ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে গঠিত হয়।

12. লর্ড মাউন্টব্যাটেনের রাজনৈতিক সচিব কে ছিলেন?

উত্তর: লর্ড মাউন্টব্যাটনের রাজনৈতিক সচিব ছিলেন ভি পি মেনন।


দশম শ্রেণীর ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় উত্তর ঔপনিবেশিক ভারত

13. দেশীয় রাজ্য দপ্তর করে স্থাপিত হয়?

উত্তর: ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের জুন মাসে দেশীয় রাজ্য দপ্তর স্থাপিত হয়।

14. হায়দ্রাবাদের শাসক কী নামে পরিচিত ছিলেন?

উত্তর: হায়দ্রাবাদের শাসক নিজাম নামে পরিচিত ছিলেন।

15. ভারত কবে সমগ্র হায়দ্রাবাদ দখল করে?

উত্তর: ভারত ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দের সেপ্টেম্বর মাসে হায়দ্রাবাদ দখল করে।

16. পন্ডিচেরি কবে ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয় ?

উত্তর: ১৯৫৬ খ্রিস্টাব্দে পন্ডিচেরি ভারতের অন্তর্ভুক্ত হয়।

17. চন্দননগর করে ফরাসি নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয়?

উত্তর: ১৯৫৪ খ্রিস্টাব্দে চন্দননগর ফরাসি নিয়ন্ত্রণমুক্ত হয়।

18, পাঞ্জাবকে বিভক্ত করে কোন্ অংশটিকে ভারতভুক্ত করা হয়?

উত্তর: পাঞ্জাবকে বিভক্ত করে পূব পাঞ্জাব অংশটিকে ভারতভুক্ত করা হয়।

19. বাংলাকে কোন্ কোন্ ভাগে ভাগ করা হয়?

উত্তর: বাংলাকে পূর্ব বাংলা ও পশ্চিম বাংলা—এই  দুই ভাগে ভাগ করা হয়।

20. বিভাজনের পর পূর্ব বাংলা কী নামে পরিচিত হয়?

উত্তর: বিভাজনের পর পূর্ব বাংলা পূর্ব পাকিস্তান নামে পরিচিত হয়।

21. স্বাধীনতার ঠিক পরে ভারতের ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরের মন্ত্রীর নাম কী ছিল?

উত্তর: স্বাধীনতার ঠিক পরে ভারতের ত্রাণ ও পুনর্বাসন দপ্তরের মন্ত্রী ছিলেন কে সি নিয়োগী।

22. নেহরু-লিয়াকত চুক্তি অপর কী নামে পরিচিত?

উত্তর: নেহরু-লিয়াকত চুক্তির অপর নাম ছিল দিল্লি চুক্তি।

23. দ্য মার্জিনাল মেন গ্রন্থটির রচয়িতা কে?

উত্তর: দ্য মার্জিনাল মেন গ্রন্থটির রচয়িতা হলে ঐতিহাসিক প্রফুল্ল চক্রবর্তী।

24. জে ভি পি রিপোর্ট করে প্রকাশিত হয়?

উত্তর: জে ভি পি রিপোর্ট প্রকাশিত হয় ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দে।

25. স্বাধীন অন্ধ্ৰপ্ৰদেশ কবে গঠিত হয়?

উত্তর: স্বাধীন অন্ধ্ৰপ্ৰদেশ গঠিত হয় ১৯৫৩ খ্রিস্টাব্দের ১ অক্টোবর।

26. স্বাধীনতার পরেও গোয়া, দমন, দিউ কাদের অধিকারে ছিল?

উত্তর: স্বাধীনতার পরেও গোয়া, দমন, দিউ পোর্তুগিজদের অধিকারে ছিল।

27. কোন্ কোন্ দেশীয় রাজ্যের ভারতের সঙ্গে সংযুক্তিকরণে অমত ছিল?

উত্তর: জুনাগড়, হায়দ্রাবাদ ও কাশ্মীর ছিল সেই সব দেশীয় রাজ্য যেগুলির ভারতের সঙ্গে সংযুক্তিকরণের অমত ছিল।

28. কাশ্মীরের ভারতভুক্তির দলিলটির নাম কী ছিল?

উত্তর: কাশ্মীরের ভারতভুক্তির দলিলটির নাম ছিল ইনস্ট্রুমেন্ট অব অ্যাকসেশন (Instrument of Accession) |


মাধ্যমিক ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন|
দশম শ্রেণির ইতিহাসের অষ্টম অধ্যায়ের শর্ট কোশ্চেন|

1. কৈ, কেন লৌহমানব নামে খ্যাত ?

উত্তর: ভারতের প্রথম উপপ্রধানমন্ত্রী এবং প্রথম স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল লৌহমানব নামে ভারত রাষ্ট্রের সঙ্গে দেশীয় রাজ্যগুলির সংযুক্তির ব্যাপারে বল্লভভাই প্যাটেলের ভূমিকা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। সর্দার প্যাটেলের অনমনীয় মনোভাব, কূটনৈতিক কৌশল ও সামরিকঅভিযানের হুমকির ফলে বহু স্বাধীন দেশীয় রাজ্য নিজেদের অমত থাকা সত্ত্বেও Instrument of Accession নামে ভারতভুক্তির দলিলে স্বাক্ষর করেন। তাই সর্দার বল্লভভাই প্যাটেল ভারতের ইতিহাসে লৌহমানব নামে খ্যাত।


12. উদ্বাস্তু কাদের বলা হয়?

উত্তর: যুদ্ধ, নিপীড়ন, হিংসা প্রভৃতি কারণে নিজের বাসভূমি ত্যাগ করে প্রাণ বাঁচাতে নিরাপত্তার খোঁজে ভিন্নদেশে চলে আসা ছিন্নমূল বাস্তুহারা মানুষরাই উদ্বাস্তু নামে পরিচিত ছিল।) ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দেদেশভাগের পর সাম্প্রদায়িক কারণে হিন্দু সংখ্যাগরিষ্ঠ  ভারত থেকে বহু সংখ্যালঘু মুসলিম ও মুসলিম

সংখ্যাগরিষ্ঠ পাকিস্তান থেকে বহু সংখ্যালঘু হিন্দু নিরাপত্তার খোঁজে যথাক্রমে পাকিস্তান ও ভারতে উদ্বাস্তু হিসেবে আশ্রয় নেয়।

3.দেশীয় রাজ্য বলতে কী বোঝ ?

উত্তর: ঔপনিবেশিক কালে ভারতের যে সমস্ত রাজ্য ব্রিটিশের আনুগত্য মেনে নিয়ে স্বাধীন রাজ্যের অস্তিত্ব টিকিয়ে রেখেছিল সেগুলি দেশীয় রাজ্য নামে পরিচিত ছিল। সেরকম কিছু রাজ্য ছিল কোচবিহার,

হায়দ্রাবাদ, জুনাগড়, পাতিয়ালা, কাশ্মীর প্রভৃতি। স্বাধীনতার আগে পর্যন্ত এই দেশীয় রাজ্যের মোট সংখ্যা ছিল পাঁচশোর অধিক |

4.রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের সদস্য কারা ছিলেন?

উত্তর: তিনজন সদস্যবিশিষ্ট রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের সভাপতি ছিলেন সুপ্রিমকোর্টের প্রধান

বিচারপতি ফজল আলি। বাকি দুজন সদস্য ছিলেন ইতিহাসবিদ কে এম পানিক্কর এবং বিশিষ্ট সমাজকর্মী হৃদয়নাথ কুঞ্জরু৷

5.ভারতীয় সংবিধানের অষ্টম তপশিলে ক-টি ভাষাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয় এবং সেগুলি কী কী?

উত্তর: ভারতীয় সংবিধানের অষ্টম তপশিলে প্রাথমিকভাবে ১৪টি ভাষাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। সেগুলি হল – [1] অসমিয়া, [2] বাংলা, [3] গুজরাটি, [4 [4] হিন্দি, [5] হিন্দি, [5] কাশ্মীরি, [6] মালয়ালম্, [7] কন্নড়, [৪] মারাঠি, [9] উড়িয়া, [10] পাঞ্জাবি, [11] সংস্কৃত, [12] তামিল, [13] তেলুগু এবং [14] উর্দু।

6. রাজাকার কারা?

উত্তর: দেশীয় রাজ্য হায়দ্রাবাদের প্রায় ৮৫ শতাংশই ছিল হিন্দু অথচ হায়দ্রাবাদের শাসক নিজাম ভারতের অন্তর্ভুক্ত হতে রাজি ছিলেন না। তাই তিনি কাশিম রেজভি নামক একজন উগ্র সাম্প্রদায়িক ব্যক্তির প্রভাবাধীনে একটি উগ্র সাম্প্রদায়িক বাহিনী গড়ে তোলেন। এই বাহিনী হায়দ্রাবাদের অভ্যন্তরে হিন্দু জনসাধারণের ওপর অত্যাচার করত। এই বাহিনী রাজাকার নামে পরিচিত ছিল।

6.স্যার সিরিল র‍্যাডক্লিফ বিখ্যাত কেন?

উত্তর: মাউন্টব্যাটেন কর্তৃক ভারত বিভাজনের সিদ্ধান্ত গৃহীত হলে বাংলা ও পাঞ্জাবের সীমানা বিভাজনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এই উদ্দেশ্যে গঠিত হয় দুটি সীমানা কমিশন। স্যার সিরিল র‍্যাডক্লিফ

ছিলেন এই দুই সীমানা কমিশনের সভাপতি। তিনি মাত্র ছয় সপ্তাহের মধ্যে এই কমিশনের রিপোর্ট পেশ করেন।


দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর অষ্টম অধ্যায়|দশম শ্রেণির ইতিহাস উত্তর ঔপনিবেশিক ভারত pdf

7.দিল্লি চুক্তি কী?

উত্তর: ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু উদ্বাস্তু সমস্যা সমাধানের জন্য ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে পাকিস্তানেরপ্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খাঁ-র সঙ্গে একটি চুক্তিতে "আবদ্ধ হন, যা লিয়াকত চুক্তি বা দিল্লি চুক্তি নামে পরিচিত। এই চুক্তিতে বলা হয় যে, সংখ্যালঘুরা যে যার রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকবে এবং তারা সেই দেশের কাছেই নিজেদের সমস্যার প্রতিকার চাইবে। এ ছাড়া ভবিষ্যতে দাঙ্গা প্রতিহতকরণের ব্যবস্থা করা হবে এবং উদ্বাস্তুদের নিজের দেশে প্রত্যাবর্তনে উৎসাহিত করা হবে। 

8.রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন কী?

উত্তর: তেলুগুভাষীদের জন্য পৃথক অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্য গঠিত হলে ভারতের বিভিন্ন স্থানে ভাষাভিত্তিক রাজ্য

গঠনের দাবি ওঠে। এরই প্রেক্ষাপটে ফজল আলির নেতৃত্বে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন গঠিত হয়। রাজ্য পুনর্গঠন করা হবে কিনা বা হলেও এর ভিত্তি কী হবে, কত সংখ্যক রাজ্য পুনর্গঠিত হবে, রাজ্য পুনর্গঠনের সুফল-কুফল প্রভৃতি আলোচনা করে সুপারিশ করাই ছিল এই কমিশনের প্রধান কাজ।

10. ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনে কংগ্রেসের দৃষ্টিভঙ্গি কী ছিল ?

উত্তর: স্বাধীনতার পূর্বে কংগ্রেস প্রচার করেছিল যে, স্বাধীনতার পরবর্তীকালে প্রতিটি প্রধান ভাষাগোষ্ঠীর

জন্য পৃথক ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠিত হবে। কিন্তু ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর ভারতের জাতীয়সংহতি ও প্রশাসনিক কারণে কংগ্রেস ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের বিরোধিতা করে। এমনকি কংগ্রেসের সদস্যদের নিয়ে গঠিত জে ভি পি কমিটিররিপোর্টে ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের বিষয়টি থামিয়েরাখা হয়।

1. পট্টি শ্রীরামুলু বিখ্যাত কেন?

উত্তর: পট্টি শ্রীরামুলু ছিলেন একজন বিখ্যাত স্বাধীনতা সংগ্রামী। তিনি মাদ্রাজ প্রদেশের তেলুগু ভাষাভাষী অঞ্চল নিয়ে এক পৃথক রাজ্য তথা অন্ধ্রপ্রদেশ গঠনের দাবিতে ৫৮ দিন অনশন করে মৃত্যুবরণ করেন। তাই তিনি পৃথক অন্ধ্রপ্রদেশের উদ্‌গাতা নামে পরিচিত।


মাধ্যমিক ইতিহাসের অষ্টম অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর|

12. মহারাষ্ট্র ও গুজরাট কীভাবে গঠিত হয়?

উত্তর: অবিভক্ত বম্বে প্রদেশে মারাঠি ও গুজরাটি ভাষাভিত্তিক মানুষের বসবাস ছিল। সংযুক্ত মহারাষ্ট্র সমিতি ও মহাগুজরাট নেতা পরিষদ মারাঠি ওগুজরাটি ভাষা অধ্যুষিত দুটি স্বতন্ত্র রাজ্য গঠনের

দাবিতে প্রবল গণ আন্দোলনের সূচনা করেছিল। এই প্রেক্ষাপটে কেন্দ্রীয় সরকার বম্বে প্রদেশকে বিভক্তকরে পৃথক মহারাষ্ট্র ও গুজরাট রাজ্য গঠন করে (মে, ১৯৬০ খ্রি.)।

13. দেশীয় রাজ্য দপ্তর কাকে বলে?

উত্তর: ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ১৮ জুলাই প্রণীত ভারতীয় স্বাধীনতা আইন অনুসারে ভারত ও পাকিস্তান নামে দুটি স্বাধীন রাষ্ট্র গড়ে ওঠে। তবে তখনও পাঁচশোর অধিক দেশীয় রাজ্যের স্বাধীন অস্তিত্ব বজায় ছিল | এই দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য ১৯৪৭ খ্রিস্টাব্দের ২৭ জুন সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলের নেতৃত্বে গঠিত হয় একটি স্বাধীন মন্ত্রণালয়, যেটি স্বাধীন দেশীয় রাজ্য দপ্তর নামে খ্যাত।


14.সমস্যাগুলির মধ্যে অন্যতম ছিল ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনের দাবি। এর প্রেক্ষিতে ১৯৪৮ খ্রিস্টাব্দেভারতের গণপরিষদ বিচারপতি এস কে দার-এর নেতৃত্বে গঠন করে ভাষাভিত্তিক রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন। এটি দার কমিশন নামে খ্যাত। এই কমিশন ভাষাভিত্তিক রাজ্য গঠনে আপত্তি জানিয়ে বলে ভাষার ভিত্তিতে রাজ্য গঠিত হলে দেশের জাতীয় ঐক্য ও প্রশাসনিক কাজকর্ম বিঘ্নিত হতে পারে | তাই

এই কমিশন জানায় যতদিন না ভারত একটি জাতিতে পরিণত হচ্ছে ততদিন ভাষাভিত্তিক প্রদেশগুলির সংকীর্ণ ইচ্ছাকে অবদমিত রাখতেই হবে।

15 উদ্বাস্তু শিবির কী?

উত্তর: অন্য দেশ থেকে ছিন্নমূল হয়ে আসা উদ্বাস্তুদের বাসস্থান, আহার ও নিরাপত্তা দানের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে তৈরি অস্থায়ী বাসস্থান বা শিবির উদ্বাস্তু শিবির নামে পরিচিত। স্বাধীনতার পর

ভারত সরকার পূর্ব পাঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গে এরূপ অনেক উদ্বাস্তু শিবির তৈরি করেছিল। তবে এগুলি অবস্থিত ছিল শহর থেকে দূরে এবং অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এগুলিতে পানীয় জল, শৌচালয় বা ন্যূনতম স্বাস্থ্য পরিসেবার ব্যবস্থাও থাকত না।


মাধ্যমিক ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন|

দশম শ্রেণির ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় বড় প্রশ্ন|

প্রশ্নঃ দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে সমস্যাগুলি কী ছিল?

উত্তর ভারতে প্রাক্-স্বাধীনতাপর্বে দু-ধরনের রাজ্য ছিল, যথা—ব্রিটিশশাসিত প্রদেশ এবং ব্রিটিশ কর্তৃত্বাধীন দেশীয় রাজ্য | স্বাধীনতা লাভের পর বিভিন্ন সমস্যা অতিক্রম করে ভারত দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতভুক্ত করেছিল।

দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে সমস্যাগুলি ছিল——

11) বিক্ষিপ্ত অবস্থান: দেশীয় রাজ্যগুলি ভারতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। এরকম বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে

থাকা রাজ্যগুলির মধ্যে ভোপাল, হায়দ্রাবাদ, ত্রিবাঙ্কুরসহ বেশকিছু রাজ্য ভারতের সঙ্গে


ভারতের যোগদান না করে স্বাধীন থাকতে চেয়েছিল। স্বাধীন ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এইভাবে স্বতন্ত্র দেশীয়রাজ্যগুলি ছড়িয়ে থাকলে নিরাপত্তারক্ষার ক্ষেত্রে সমস্যাজনক ছিল।

12] জাতীয়তাবাদী আদর্শে বাধা: অখন্ড ভারতীয় জাতীয়তাবাদের আদর্শ দ্বারা পরিচালিত ভারতের জাতীয় কংগ্রেস দেশীয় রাজ্যগুলির স্বাধীন থাকার মনোভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এই পরিপ্রেক্ষিতে জওহরলাল নেহরু ঘোষণা করেন যে, ভৌগোলিক সীমার ভারতের কোনো স্বাধীন দেশীয় রাজ্যের অস্তিত্ব স্বীকার করা যাবে না।

ja) প্রজা বিদ্রোহের আশঙ্কা: দেশীয় রাজ্যগুলি রাজতান্ত্রিক, স্বৈরতান্ত্রিক ও পশ্চাদপদ ছিল। তাই এই রাজ্যগুলির প্রজারা গণতান্ত্রিক ও উন্নত ভারতের

প্রশ্নঃ দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে সমস্যাগুলি কী ছিল?

উত্তর

ভারতে প্রাক্-স্বাধীনতাপর্বে দু-ধরনের রাজ্য ছিল,যথা—ব্রিটিশশাসিত প্রদেশ এবং ব্রিটিশ কর্তৃত্বাধীন

দেশীয় রাজ্য | স্বাধীনতা লাভের পর বিভিন্ন সমস্যা অতিক্রম করে ভারত দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতভুক্ত করেছিল।

দেশীয় রাজ্যগুলির ভারতভুক্তিকরণের ক্ষেত্রে সমস্যাগুলি ছিল——

11) বিক্ষিপ্ত অবস্থান: দেশীয় রাজ্যগুলি ভারতে ছড়িয়ে-ছিটিয়ে ছিল। এরকম বিক্ষিপ্তভাবে ছড়িয়ে

থাকা রাজ্যগুলির মধ্যে ভোপাল, হায়দ্রাবাদ,ত্রিবাঙ্কুরসহ বেশকিছু রাজ্য ভারতের সঙ্গে ভারতেযোগদান না করে স্বাধীন থাকতে চেয়েছিল। স্বাধীনভারতের বিভিন্ন প্রান্তে এইভাবে স্বতন্ত্র দেশীয়

রাজ্যগুলি ছড়িয়ে থাকলে নিরাপত্তারক্ষার ক্ষেত্রে সমস্যাজনক ছিল।

12] জাতীয়তাবাদী আদর্শে বাধা: অখন্ড ভারতীয় জাতীয়তাবাদের আদর্শ দ্বারা পরিচালিত ভারতের জাতীয় কংগ্রেস দেশীয় রাজ্যগুলির স্বাধীন থাকার মনোভাবে আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। এই পরিপ্রেক্ষিতে জওহরলাল নেহরু ঘোষণা করেন যে,ভৌগোলিক সীমার ভারতের কোনো স্বাধীন দেশীয় রাজ্যের অস্তিত্ব স্বীকার করা যাবে না।

a) প্রজা বিদ্রোহের আশঙ্কা: দেশীয় রাজ্যগুলি রাজতান্ত্রিক, স্বৈরতান্ত্রিক ও পশ্চাদপদ ছিল। তাই  রাজ্যগুলির প্রজারা গণতান্ত্রিক ও উন্নত ভারতের হয়েছিল। স্মৃতিকথায় এই আতঙ্কের প্রতিফলন | [1 পাওয়া যায়।

[3] দেশ পরিত্যাগের স্মৃতি স্মৃতিকথার মধ্যে দিয়ে হিংসা ও অত্যাচারের সম্মুখীন হয়ে মাতৃভূমি ত্যাগ  করে অনিশ্চয়তাকে সঙ্গী করে সীমান্ত পেরিয়ে ভারতে আসা উদ্বাস্তু শিবিরে থাকা বা এদেশে জমি-

জমা কিনে ছিন্নমূল মানুষদের নতুনভাবে বসবাস শুরুর নি কথা বা জীবন সংগ্রামের কথা জানা যায়।

[4] ত্রাণ ও পুনর্বাসনের স্মৃতি : ভারত সরকার কর্তৃক উদ্বাস্তুদের ত্রাণ ও পুনর্বাসনের ক্ষেত্রে বাংলা অপেক্ষা দিল্লিই অগ্রাধিকার পেয়েছিল। বাংলার উদ্বাস্তুদের জন্য যে ক্যাম্প তৈরি করা হয়েছিল তা কলকাতার নিকটবর্তী স্থানে ছিল না। এই ক্যাম্পগুলিতে পানীয় জল ও শৌচাগারের সমস্যার কথা, কলহ ও পুলিশি অত্যাচার প্রভৃতি বিভিন্ন লেখকের স্মৃতিকথা থেকে জানা যায়।

উপসংহার: স্মৃতিকথা নির্ভর ইতিহাস সবক্ষেত্রে গ্রহণযোগ্য নয়। তবে দেশভাগের ফলে যেহেতু বিশাল সংখ্যক শিখ ও হিন্দুদের উদ্বাস্তুরূপে ভারতে আসতে হয়েছিল সেক্ষেত্রে অনেকের স্মৃতির ভিত্তিতে একটি সাধারণ ইতিহাস রচনা করা যেতেই পারে।


দশম শ্রেণির ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় উত্তর ঔপনিবেশিক ভারত প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ

উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধানে ভারত সরকারের উদ্যোগ বিশ্লেষণ করো।

ভারতে আগত উদ্বাস্তুদের স্রোত ছিল পূর্ব ও পশ্চিমবঙ্গমুখী। পশ্চিম পাঞ্জাব থেকে আসাউদ্বাস্তুরা পূর্ব পাঞ্জাব, দিল্লি, রাজস্থান ও উত্তরপ্রদেশের বিভিন্ন স্থানে আশ্রয় নেয়। অন্যদিকে, পূর্ববঙ্গ থেকে আসা উদ্বাস্তুরা কলকাতা ও কলকাতা-সন্নিহিত চব্বিশ পরগনা, নদিয়া, মুরশিদাবাদ, মালদহ, দিনাজপুর প্রভৃতি স্থানে আশ্রয় নেয়।

উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধানে ভারত সরকার বিভিন্ন উদ্যোগ নেয়, যথা-


[1] পুনর্বাসন নীতি: ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু উদ্বাস্তু সমস্যার ব্যাপকতা উপলব্ধি করেন

 এবং এই ছিন্নমূল উদ্বাস্তুদের পুনর্বাসনের নীতির ওপর পুরুত্ব দেন। তাই স্বাধীনতার প্রথম পাঁচ বছর পুনর্বাসনের যুগ নামে পরিচিতি।

[2] উদ্বাস্তু শিবির : উদ্বাস্তুদের বাসস্থান, আহার ও নিরাপত্তাদানের জন্য ভারত সরকারের পক্ষ থেকে পূর্ব পাঞ্জাব ও পশ্চিমবঙ্গে প্রচুর সংখ্যক অস্থায়ী বাসস্থান বা শিবির তৈরি করা হয়। এই শিবিরগুলিতে নথিভুক্ত উদ্বাস্তুদের ভারতীয় নাগরিকত্ব ও সরকারি সাহায্য প্রদানের ব্যবস্থা করা হয়।

[3] সরকারি সাহায্য: গ্রামাঞ্চলে উদ্বাস্তুদের  জমিদান, কৃষিঋণ ও গৃহনির্মাণে ভরতুকি বা সরকারি সাহায্য দেওয়া হয়। অন্যদিকে, শহরাঞ্চলে সরকার উদ্বাস্তুদের জন্য শিল্প ও কারিগরি শিক্ষাপ্রদান ও কুটিরশিল্প প্রতিষ্ঠায় সাহায্য করে।

[4] দিল্লি চুক্তি: ভারতের প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধানের জন্য ১৯৫০ খ্রিস্টাব্দে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী লিয়াকত আলি খানের সঙ্গে যৌথচুক্তিতে আবদ্ধ হন, যা নেহরু- লিয়াকত চুক্তি বা দিল্লি চুক্তি নামে পরিচিত। এই চুক্তিতে বলা হয় যে, সংখ্যালঘুরা যে যার রাষ্ট্রের প্রতি অনুগত থাকবে এবং তার সেই দেশের কাছেই নিজেদের সমস্যার সমাধান চাইবে। ভবিষ্যতে দাঙ্গা প্রতিহতকরণের ব্যবস্থা করা হবে এবং উদ্বাস্তুদের নিজের দেশে প্রত্যাবর্তনে উৎসাহদান করা হবে।

উপসংহার: উদ্বাস্তু সমস্যার সমাধানে ভারত সরকারের উদ্যোগ প্রশংসনীয় হলেও তা ছিল মূলত

দিল্লি ও পূর্ব পাঞ্জাব নির্ভর। পশ্চিমবঙ্গের উদ্বাস্তু সমস্যা অবহেলিত হয়েছিল। তা ছাড়া উদ্বাস্তু শিবিরগুলি ছিল শহর থেকে দূরে এবং অধিকাংশক্ষেত্রেই সেখানে পানীয় জল, শৌচালয় বা ন্যূনতম স্বাস্থ্য পরিসেবাও ছিল না।


PDF Download link Click here 


[TAG]: উত্তর ঔপনিবেশিক ভারত অষ্টম অধ্যায় pdf,অষ্টম অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর,মাধ্যমিক ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর,দশম শ্রেণির ইতিহাস অষ্টম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর,

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url