বিশ শতকের ভারতে নারী ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন প্রশ্ন উত্তর pdf|মাধ্যমিক ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now

বিশ শতকের ভারতে নারী ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন বৈশিষ্ট্য ও বিশ্লেষণ দশম শ্রেণির ইতিহাসের প্রশ্ন উত্তর |মাধ্যমিক ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF |Class 10 history 7th chapter question in bengali pdf



আজ আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি  দশম শ্রেণির ইতিহাসের সপ্তম অধ্যায় বিশ শতকের ভারতে নারী ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন প্রশ্ন উত্তর PDF। Class X six chapter question answer Pdf in bengali | Madhyamik history 7th chapter question answer pdf |WBBSE পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য দশম শ্রেণি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে।



তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে বিশ শতকের ভারতে নারী ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন  প্রশ্ন উত্তর pdf download । Class x History 7th chapter Question answer in Bengali Pdf ডাউনলোড করো । এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে প্রাক্টিস করে থাকতে থাক।ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ Note ,Pdf , Current Affairs,ও প্রতিদিন মকটেস্ট দিতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।


মাধ্যমিক ইতিহাসের বিশ শতকের ভারতে নারী ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো।

বিশ শতকের ভারতে নারী ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন  mcq প্রশ্ন Pdf

ANS:- PDF Download link Click here 


দশম শ্রেণি ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় 1 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর [একটি বাক্যে উত্তর দাও]

1. কার উদ্যোগে বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে অরন্ধন উৎসবের আয়োজন করা হয়?

উত্তর: রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর উদ্যোগে বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে অরন্ধন উৎসবের আয়োজন করা হয়।

2. জাতীয় কংগ্রেসের কোন্ অধিবেশনে সরোজিনী নাইডু সভাপতিরূপে কার্যনির্বাহ করেন?

উত্তর: জাতীয় কংগ্রেসের কানপুর অধিবেশনে সরোজিনী নাইডু সভাপতিরূপে কার্যনির্বাহ করেন।

3. ইন্ডিয়ান হাউসের প্রতিষ্ঠাতা কে?

উত্তর: শ্যামাজি কৃষ্ণবর্মা ছিলেন ইন্ডিয়ান হাউসের প্রতিষ্ঠাতা।

4/ কে বন্দেমাতরম পত্রিকা প্রকাশ করেন?

উত্তর: মাদাম ভিকাজি রুস্তমজি কামা বন্দেমাতরম পত্রিকা প্রকাশ করেন।

5, ভগিনী নিবেদিতা ভারতীয় বিপ্লবী সমাজে কী নামে পরিচিতি লাভ করেন?

উত্তর: ভগিনী নিবেদিতা ভারতীয় বিপ্লবী সমাজে লোকমাতা নামে পরিচিতি লাভ করেন।

6. আজাদ হিন্দ ফৌজের নারীবাহিনীর নাম কী ছিল ?

উত্তর: আজাদ হিন্দ ফৌজের নারীবাহিনীর নাম ছিল ঝাঁসির রানি ব্রিগেড।

কার উদ্যোগে অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?

উত্তর: শচীন্দ্রপ্রসাদ বসুর উদ্যোগে অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল।

৪/ গুলামগিরি গ্রন্থটির রচয়িতা কে?

উত্তর: গুলামগিরি গ্রন্থটির রচয়িতা জ্যোতিবা ফুলে।

9. কোন্ প্রাচীন হিন্দুসাহিত্য অস্পৃশ্যতাকে বৈধতা দান করেছিল?

| উত্তর: প্রাচীন হিন্দুসাহিত্য মনুস্মৃতি অস্পৃশ্যতাকে বৈধতা দান করেছিল।

10. ইনডিপেন্ডেন্ট লেবার পার্টির প্রতিষ্ঠাতা কে ছিলেন?

উত্তর: ইনডিপেন্ডেন্ট লেবার পার্টির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন বি আর আম্বেদকর।

11. অভিনব ভারত কে প্রতিষ্ঠা করেছিলেন?

উত্তর: বিনায়ক দামোদর সাভারকর অভিনব ভারত প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।

12. কবে জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল?

উত্তর: ১৮৮৫ খ্রিস্টাব্দে জাতীয় কংগ্রেস প্রতিষ্ঠিতহয়েছিল।

13. পাহাড়তলি ইউরোপীয় নাইট ক্লাব আক্রমণে কোন্ নারী মৃত্যুবরণ করেন?

-উত্তর: পাহাড়তলি ইউরোপীয় নাইট ক্লাব আক্রমণে প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার মৃত্যুবরণ করেন।

*14. কোন্ উপন্যাসে স্বদেশভূমিকে দেশমাতা বলেঅভিহিত করা হয় ?

উত্তর: বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়ের আনন্দমঠ উপন্যাসে স্বদেশভূমিকে দেশমাতা বলে অভিহিত করা হয়।

15. ভারত স্ত্রী মহামণ্ডল কবে প্রতিষ্ঠিত হয়?

উত্তর: ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে ভারত স্ত্রী মহামণ্ডল প্রতিষ্ঠিত হয়।


বিশ শতকের ভারতে নারী ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন  1 নং প্রশ্ন উত্তর|

16/বঙ্গলক্ষ্মীর ব্রতকথা কে রচনা করেন?

উত্তর: বঙ্গলক্ষ্মীর ব্রতকথা গ্রন্থটি রচনা করেন রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদী।

17 কোন্ কবি বঙ্গনারীকে রেশমি চুড়ি ছাড়ার পরামর্শ দেন?

উত্তর: কবি মুকুন্দ দাস বঙ্গনারীকে রেশমি চুড়ি ছাড়ার পরামর্শ দেন।

18, বঙ্গভঙ্গ করে কার্যকর হয়?

উত্তর: বঙ্গভঙ্গ ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১৬ অক্টোবর থেকে কার্যকর হয়।

19/ভারতে দেবদাসীপ্রথা বিলোপের জন্য কে বিল আনেন?

উত্তর: ভারতে দেবদাসীপ্রথা বিলোপের জন্য মুথুলক্ষ্মী রেড্ডি বিল আনেন।

20. অসহযোগ আন্দোলনকালে ব্রিটিশ শাসনকে কে শয়তানের শাসনের সঙ্গে তুলনা করেন?

উত্তর: অসহযোগ আন্দোলনকালে ব্রিটিশ শাসনকে মহাত্মা গান্ধি শয়তানের শাসনের সঙ্গে তুলনা করেন।

21. আইন অমান্য আন্দোলনকালে কে ওয়াডালা লবণ কারখানা অভিযানের নেতৃত্ব দেন?

উত্তর: আইন অমান্য আন্দোলনকালে কমলাদেবী চট্টোপাধ্যায় ওয়াডালা লবণ কারখানা অভিযানের নেতৃত্ব দেন।

22. মহিলা রাষ্ট্রীয় সংঘ (১৯২৮ খ্রি.) কে প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তর: মহিলা রাষ্ট্রীয় সংঘ (১৯২৮ খ্রি.) প্রতিষ্ঠা করেন লতিকা ঘোষ।

23// ভয়েস অব ফ্রিডম কে প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তর: ভয়েস অব ফ্রিডম প্রতিষ্ঠা করেন ঊষা মেহতা।

24. করে দীপালি সংঘ প্রতিষ্ঠিত হয় ?

উত্তর: ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে দীপালি সংঘ প্রতিষ্ঠিত হয়।

25// দীপালি সংঘের মুখপাত্রের নাম কী?

উত্তর: দীপালি সংঘের মুখপাত্রের নাম ছিল জয়ত্রী।

26/ কার্লাইল সার্কুলার করে ঘোষিত হয় ?

উত্তর: কার্লাইল সার্কুলার ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ১০ অক্টোবর ঘোষিত হয়।

27. কে সর্বভারতীয় তপশিলি জাতির ফেডারেশন (১৯৪০ খ্রি.) প্রতিষ্ঠা করেন?

উত্তর: বি আর আম্বেদকর সর্বভারতীয় তপশিলি জাতির ফেডারেশন (১৯৪০ খ্রি.) প্রতিষ্ঠা করেন।

৫৪. কে তাঁর শিষ্যদের মতুয়া বলে সম্বোধন করেন? ব

উত্তর: শ্রী গুরুচাঁদ ঠাকুর তাঁর শিষ্যদের মতুয়া বলে সম্বোধন করেন।

29. গুরুচাঁদ ঠাকুরের মৃত্যুর পর কে নমঃশূদ্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন?

উত্তর : গুরুচাঁদ ঠাকুরের মৃত্যুর পর প্রমথরঞ্জন ঠাকুর নমঃশূদ্র আন্দোলনের নেতৃত্ব দেন।



দশম শ্রেণির ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় বিশ শতকের ভারতে নারী ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন প্রশ্ন উত্তর পিডিএফ

1 কার্ব, কার নেতৃত্বে মাদ্রাজ ইন্ডিয়ান হোমরুল লিগ গঠিত হয়েছিল?

উত্তর: ১৯১৬ খ্রিস্টাব্দে শ্রীমতি অ্যানি বেসান্ত মাদ্রাজ ইন্ডিয়ান হোমরুল লিগ গঠন করে ভারতীয় জাতীয় আন্দোলনের নিথর রথে গতি প্রদান করেছিলেন।

2.ভগিনী নিবেদিতা স্মরণীয় কেন?

উত্তর: স্বামীজির জ্বালাময়ী ভাষণে অনুপ্রাণিত হয়ে তাঁর শিষ্যা রূপে মার্গারেট এলিজাবেথ নোবেল ভারতে পদার্পণ করলেও পরবর্তীকালে অনুশীলন সমিতির দ্বারা পরিচালিত আন্দোলনে তিনি অংশগ্রহণ করেন। ঔপনিবেশিক ভারতের মুক্তির স্বার্থে তাঁর চরম আত্মত্যাগ ও নিম্ন সম্প্রদায়ের মানুষের সেবার একনিষ্ঠতা তাঁকে ভারতীয় জনমনে লোকমাতা রূপে নিজের স্থান করে দিয়েছিল।

3. প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার ভারতীয় বিপ্লবী আন্দোলনে কেন স্মরণীয় ?

উত্তর: মাস্টারদা সূর্য সেনের ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মির  বঙ্গললনা ছাত্রাবস্থা থেকেই আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন ও কলকাতায় গড়ে তুলেছিলেন ছাত্রীসংঘ। ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে চট্টগ্রামের ইউরোপীয় নাইট ক্লাব আক্রমণ অভিযানের সদস্য হিসেবে বেশকিছু ব্রিটিশদের তিনি জখম করেন, তবে ধরা পড়ার আগে পটাশিয়াম সায়ানাইড খেয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন।



4. রশিদ আলির বিচার ঘটনাটি উল্লেখ করো।

উত্তর: ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দে লালকেল্লায় আজাদ হিন্দ বাহিনীর আত্মসমর্পণকারী সেনাদের বিচার শুরু হলে ভারতীয় ছাত্রসমাজ বিক্ষুদ্ধ হয়ে ওঠে। আজাদ হিন্দ বাহিনীর ক্যাপটেন রশিদ আলির ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ হলে মুসলিম লিগসহ সমস্ত ছাত্রদল এর বিরুদ্ধে আন্দোলনে মুখরিত হয়েছিল। এই আন্দোলন কর্মসূচিকে আরও জোরালো করার জন্য ১৯৪৬ খ্রিস্টাব্দের ১২ ফেব্রুয়ারি রশিদ আলি দিবস

পালিত হয়।

5.কে, কবে সত্যশোধক সমাজ গঠন করেন?

উত্তর: ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে জ্যোতিবা ফুলে উচ্চবর্ণে শোষণ, অত্যাচার ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে নিম্নবর্ণের লোকদের নিয়ে ব্রাহ্মণ-বিরোধী এক সংস্থা প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যা সত্যশোধক সমাজ নামে পরিচিত ছিল।

6. ইনডিপেন্ডেন্ট লেবার পার্টি গড়ে ওঠার প্রকৃত উদ্দেশ্য কী ছিল ?

উত্তর: ১৯৩৬ খ্রিস্টাব্দে বি আর আম্বেদকর ইনডিপেন্ডেন্ট লেবার পার্টি গঠন করেন। দলিত

মানুষের জাতপাতের লড়াইয়ের সঙ্গে শ্রমিক আন্দোলনকে একত্রিত করে এক বৃহত্তর আন্দোলনের পটভূমি তৈরি করার পরিকল্পনা ছিল এই পার্টি গঠনের মূল উদ্দেশ্য। 



দশম শ্রেণির ইতিহাসের সপ্তম অধ্যায়ের শর্ট কোশ্চেন|মাধ্যমিক ইতিহাসের সপ্তম অধ্যায়ের প্রশ্ন উত্তর|


7 মাতঙ্গিনী হাজরা ইতিহাসে স্মরণীয় কেন?

ভারত ছাড়ো আন্দোলন চলাকালীন “মেদিনীপুরের তমলুক জেলার এক বিধবা বৃদ্ধা মাতঙ্গিনী হাজরা তমলুক থানা দখলের জন্য নেতৃত্ব দান করেছিলেন। এই সময়ে পুলিশের গুলিতে তাঁর দেহ বারবার বিদ্ধ হলেও শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত গান্ধিজির আদর্শকে প্রতিপাদ্য করে জাতীয় পতাকাকে আগলে রেখেছিলেন। তাঁর এই দুঃসাহসিক আত্মবলিদানই তাঁকে ইতিহাসের পাতায় গান্ধিবুড়ি নামে খ্যাতি এনে দিয়েছে।

8. দীপালি সংঘ কী?

উত্তর: ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে ঢাকায় লীলা নাগ ভারতীয় মহিলা সম্প্রদায়কে সংঘবদ্ধ করার উদ্দেশ্যে মহিলাদের মধ্যে রাজনৈতিক ও সামাজিক চেতনার প্রসার ও নারীশিক্ষাকে আরও উন্নত মানের করার জন্য দীপালি সংঘ স্থাপন করেছিলেন।

9/ ভগিনী সেনা কী? ব

উত্তর: ভারত ছাড়ো আন্দোলনকালে বাংলার মেদিনীপুরে তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার ব্রিটিশবিরোধী

সংগ্রাম চালানোর জন্য একটি নারীসংগঠন প্রতিষ্ঠা করে। এই সংগঠন ভগিনী সেনা নামে পরিচিত ছিল।

10. বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স কী?

উত্তর: দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের প্রেরণায় ১৯২৮ খ্রিস্টাব্দে সুভাষচন্দ্র বসু বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স দল বা বিভি নামে একটি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী প্রতিষ্ঠা করেন। পরবর্তীকালে এর পরিচালক হন হেমচন্দ্র ঘোষ।

11.অলিন্দ যুদ্ধ বলতে কী বোঝায়

উত্তর: ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৮ ডিসেম্বর বিনয় বসু তাঁর দুই বিপ্লবী বন্ধু বাদল গুপ্ত ও দীনেশ গুপ্তের সঙ্গে মিলিত হয়ে কলকাতার রাইটার্স বিল্ডিং-এ প্রবেশ করেন। এরপর তাঁরা কারাবিভাগের ইনস্পেকটর জেনারেলকে হত্যা করেন ও এক ইংরেজ কর্মচারীকে আহত করেন। এই ঘটনার সঙ্গে সঙ্গে

ব্রিটিশ পুলিশ তিনজনকে ঘিরে ফেললে রাইটার্স বিল্ডিং-এর বারান্দা বা অলিন্দে অসম যুদ্ধ শুরু হয়। এই সংঘর্ষ অলিন্দ যুদ্ধ নামে পরিচিত।



12.দলিত নামে কারা পরিচিত ?


উত্তর: ভারতে বর্ণব্যবস্থাযুক্ত সমাজব্যবস্থায় উচ্চবর্ণের দ্বারা নিম্নবর্ণের হিন্দু বা অস্পৃশ্যরা পঞ্চম জাতি নামেও পরিচিত ছিল। এরা শোষিত ও অত্যাচারিত হত এবং এদের কোনো অর্থনৈতিক ও

সামাজিক অধিকার ছিল না। এরূপ অস্পৃশ্যরাই ঔপনিবেশিক শাসনকালে দলিত নামে পরিচিতি লাভ

করে। দলিতদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য ছিল মধ্যভারতের মাহার সম্প্রদায়, দক্ষিণ ভারতের ইজাভা ও পুলায়া সম্প্রদায় এবং বাংলার নমঃশূদ্র।

13. সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা কী?

উত্তর: ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী র‍্যামসে ম্যাকডোনাল্ড সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি ঘোষণা করেন। এর দ্বারা হিন্দুসমাজকে বর্ণহিন্দু ও অনুন্নত শ্রেণির হিন্দু – এই দুইভাগে ভাগ করা হয়।

14. হরিচাঁদ ঠাকুর বিখ্যাত কেন?

উত্তর: পূর্ব বাংলার নমঃশূদ্র আন্দোলনের প্রধান সংগঠক ছিলেন হরিচাঁদ ঠাকুর। তিনি নমঃশূদ্রদের মধ্যে আত্মমর্যাদা বৃদ্ধিতে সচেষ্ট হন। মানবতাবাদী হরিচাঁদ তাঁর শিষ্যদের মতুয়া নামে ডাকতেন।

15 ৰ্কে, কোন্ পত্রিকার মাধ্যমে সর্বপ্রথম বয়কট আন্দোলনের ডাক দেন?

উত্তর: কৃম্নকুমার মিত্র তাঁর সম্পাদিত সঞ্জীবনী পত্রিকায় সর্বপ্রথম বয়কট আন্দোলনের ডাক দেন।

16. বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী স্বদেশি 3 বয়কট আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী কয়েকজন নারীর নাম লেখো।

বয়কট

উত্তর: বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী স্বদেশি আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী কয়েকজন উল্লেখযোগ্য

নারী ছিলেন সরলাদেবী চৌধুরানি, হেমাঙ্গিনী দাস  কুমুদিনী মিত্র, লীলাবতী মিত্র, কুমুদিনী বসু, সুবালা আচার্য, নির্মলা সরকার প্রমুখ ও

17. বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে নারীদের অংশগ্রহণের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উত্তর: বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে নারীদের অংশগ্রহণের • দুটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য ছিল—.

[1] আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী নারীরা সমাজের উচ্চ

ও মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এসেছিল। [2] আন্দোলনে

মুসলিম নারীদের অংশগ্রহণ বেশি ছিল না।

18. আইন অমান্য আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী

অন্তত দুজন নারীর নাম লেখো।

উত্তর: আইন অমান্য আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী উল্লেখযোগ্য নারীরা হলেন বাসন্তী দেবী এবং ঊর্মিলা দেবী।

19. অহিংস অসহযোগ আন্দোলনে নারীদের অংশগ্রহণের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উত্তর: আইন অমান্য আন্দোলনে নারীদের অংশগ্রহণের দুটি প্রধান বৈশিষ্ট্য ছিল, যথা— [1] এই আন্দোলনে সমাজের সর্বস্তরের নারীরা শামিল হয় এবং [2] যৌনকর্মী ও দেবদাসীরাও আইন অমান্য আন্দোলনে যোগ দেয়।

20. ডান্ডি অভিযান কী?

উত্তর: ব্রিটিশ সরকারের শোষণমূলক লবণ আইন ভঙ্গ করার উদ্দেশ্যে মহাত্মা গান্ধি তাঁর ৭৮ জন

অনুগামীদের নিয়ে গুজরাটে সমুদ্র তীরবর্তী ডান্ডি নামক এক স্থানের উদ্দেশ্যে যাত্রা করেন। ২৪ দিন ব্যাপী এই যাত্রা ডান্ডি অভিযান নামে পরিচিত।

21. আইন অমান্য আন্দোলনে বাংলার নারীদের অংশগ্রহণের দুটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

উত্তর: আইন অমান্য আন্দোলনে বাংলার নারীদের

অংশগ্রহণের দুটি বৈশিষ্ট্য ছিল, যথা – [1] বাংলার শিক্ষিত নারীদের সঙ্গে কৃষক পরিবারের নারীরাও যোগ দেয়। [2] মেদিনীপুরের ঘাটাল, কাঁথি, তমলুক প্রভৃতি স্থানের নারীরা লবণ আইন অমান্য করেন যা ছিল আইন অমান্য আন্দোলনের এক অন্যতম কর্মসূচি।

22. ভারত ছাড়ো আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী দুজন মহিলার নাম লেখো।

উত্তর: ভারত ছাড়ো আন্দোলনে নেতৃত্বদানকারী দুজন উল্লেখযোগ্য মহিলা ছিলেন সুচেতা কৃপালনি এবং অরুণা আসফ আলি।

23 তেভাগা আন্দোলনে বাংলার দুজন মহিলার নাম লেখো।

উত্তর: তেভাগা আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী বাংলার দুজন মহিলা ছিলেন জলপাইগুড়ির বুড়িমা এবং কৃ

দিনাজপুরের জয়মণি |


দশম শ্রেণীর ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় বিশ শতকের ভারতে নারী ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন|

মাধ্যমিক ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন

24. কে, কবে দীপালি শিল্পপ্রদর্শনী চালু করেন? এর উদ্দেশ্য কী ছিল ?

উত্তর: লীলা নাগ ১৯২৪ খ্রিস্টাব্দে দীপালি শিল্পপ্রদর্শনী চালু করেন। এই প্রদর্শনীর প্রধান উদ্দেশ্য ছিল মেয়েদের হাতের কাজ, শিল্প ও অন্যান্য কারিগরি কাজের প্রদর্শনের ব্যবস্থা করা।

25. লক্ষ্মী সায়গল কে ছিলেন?

উত্তর: লক্ষ্মী সায়গল ছিলেন নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর নেতৃত্বাধীন আজাদ হিন্দ ফৌজে ঝাঁসির রানি ব্রিগেডের ক্যাপটেন বা প্রধান নেত্রী। তিনি নিজের ডাক্তারি পেশা ছেড়ে দিয়ে দেশের মুক্তিসংগ্রামে আত্মনিয়োগ করেছিলেন।

26. স্বদেশি ও বয়কট আন্দোলনের সময় দুটি দমনমূলক সার্কুলারের নাম লেখো।

উত্তর: স্বদেশি ও বয়কট আন্দোলনের সময় ব্রিটিশ সরকার প্রবর্তিত দুটি দমনমূলক সার্কুলার ছিল

কার্লাইল সার্কুলার ও পেডলার সার্কুলার।

27. শচীন্দ্রপ্রসাদ বসু কে ছিলেন?

উত্তর: শচীন্দ্রপ্রসাদ বসু ছিলেন বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনের সময় কলকাতার রিপন কলেজের একজন ছাত্রনেতা। এই সময় সরকার ছাত্র আন্দোলনদমনের উদ্দেশ্যে কার্লাইল সার্কুলার জারি করলে শচীন্দ্রপ্রসাদ বসুর নেতৃত্বে কলকাতায় অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি গড়ে ওঠে। ব্রিটিশবিরোধী কর্মসূচির জন্য সরকার তাঁকে গ্রেফতার করে কারারুদ্ধ করে।

28. কবে, কোথায় অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয় ?

উত্তর: ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে কলকাতার রিপন কলেজের ছাত্র শচীন্দ্রপ্রসাদ বসুর নেতৃত্বে অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি প্রতিষ্ঠিত হয়।

29. অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটির সভাপতি ও সম্পাদক কারা ছিলেন?

উত্তর: অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটির সভাপতি ছিলেন। কৃম্নকুমার মিত্র ও সম্পাদক ছিলেন শচীন্দ্রপ্রসাদ বসু। 

3.0.বুড়িবালামের যুদ্ধ সম্পর্কে কী জান?

উত্তর: বিপ্লবী বাঘাযতীন জার্মানি থেকে আনা অস্ত্র সংগ্রহ করার উদ্দেশ্যে উড়িষ্যার বালেশ্বরে যান। সেখানে বুড়িবালাম নদীর তীরে পুলিশের সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে আহত হয়ে বাঘাযতীন পরে মৃত্যুবরণ করেন। এই লড়াই বুড়িবালামের যুদ্ধ নামে পরিচিত।

31. কোমাগাতামারু ঘটনাটি কী?

উত্তর: প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় গদর পার্টির বেশকিছু সদস্য কোমাগাতামারু নামক জাহাজে করে কানাডার ভ্যাঙ্কুভার থেকে কলকাতায় আসার সময় বজবজে পুলিশের গুলিতে তাঁদের ২২ জন নিহত হন। এটি কোমাগাতামারু ঘটনা নামে পরিচিত।

32. কাকোরি ষড়যন্ত্র মামলা কী?

উত্তর: ১৯২৫ খ্রিস্টাব্দে বিপ্লবী ভগৎ সিং-এর নির্দেশে রামপ্রসাদ বিসমিলসহ কয়েকজন বিপ্লবী উত্তরপ্রদেশের কাকোরি রেলস্টেশনে ট্রেনে ডাকাতি করে। এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে যে মামলা শুরু হয় তা কাকোরি ষড়যন্ত্র মামলা নামে পরিচিত।

33. কোন্ ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে, কারা পুলিশ অফিসার স্যান্ডার্সকে হত্যা করেন?

উত্তর: সাইমন কমিশন-বিরোধী বিক্ষোভের সময় পুলিশের লাঠির আঘাতে লালা লাজপত রায়ের মৃত্যু হয়। এই ঘটনার প্রতিশোধ নিতে বিপ্লবী ভগৎ সিং, রাজগুরু ও চন্দ্রশেখর আজাদ পুলিশ অফিসার স্যান্ডার্সকে (১৯২৮ খ্রি.) হত্যা করেন।

34. রশিদ আলি কে ছিলেন?

উত্তর: রশিদ আলি ছিলেন আজাদ হিন্দ বাহিনীর অন্যতম সেনাপতি। ১৯৪৫ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ সেনার

হাতে বন্দি হওয়ার পর, বিচারে রশিদ আলিকে ৭ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডে দণ্ডিত করা হয়।

35.বীণা দাস কে ছিলেন?

উত্তর: বীণা দাস ছিলেন ভারতের মুক্তিসংগ্রামের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ বিপ্লবী নেত্রী। তিনি ১৯৩২

খ্রিস্টাব্দের ৬ ফেব্রুয়ারি কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে বক্তৃতারত অবস্থায় গভর্নর

স্ট্যানলি জ্যাকসনকে লক্ষ্য করে গুলি চালান। কিন্তু তাঁর গুলি লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়।

36 সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতিতে কী বলা হয়?

উত্তর: ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী র‍্যামসে ম্যাকডোনাল্ড সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা নীতি ঘোষণা

করেন। এই নীতির দ্বারা (1) ভারতের মুসলিম, শিখ, ভারতীয় খ্রিস্টান, ইউরোপীয় প্রভৃতি বিভিন্নসংখ্যালঘু সম্প্রদায়কে পৃথক নির্বাচনের অধিকার দেওয়া হয়। [2] হিন্দু সম্প্রদায়কে বর্ণহিন্দু ও দলিত

 হিন্দু–এই দুই ভাগে ভাগ করা হয়।

37. পুনা চুক্তি (১৯৩২ খ্রি.) দ্বারা কী পদক্ষেপ নেওয়া হয়? আম্বেদকর

উত্তর: পুনা চুক্তির দ্বারা – [1] দলিতদের পৃথক নির্বাচনের দাবি ত্যাগ করে হিন্দুদের যৌথ নির্বাচনের নীতি মেনে নেন। [2] গান্ধিজি নির্বাচনে দলিতদের ৭৮টি থেকে বাড়িয়ে ১৫১টি আসন সংরক্ষণের দাবি মেনে নেন।

38.নমঃশূদ্র আন্দোলন কাকে বলে?

উত্তর: ব্রিটিশ শাসনকালে নমঃশূদ্র নামে বাংলার উল্লেখযোগ্য দলিত সম্প্রদায় তাদের আর্থসামাজিক ও রাজনৈতিক পশ্চাদ্‌গামিতার বিরুদ্ধে এক দীর্ঘ আন্দোলন গড়ে তোলে। এটি নমঃশূদ্র আন্দোলন নামে পরিচিত।

39. কে, কেন ভারত স্ত্রী মহামণ্ডল স্থাপন করেন?

উত্তর: ১৯১১ খ্রিস্টাব্দে সরলাদেবী চৌধুরানি নারীজাতির কল্যাণের জন্য এবং মহিলাদের সঙ্ঘবদ্ধ

করার জন্য গড়ে তোলেন যে প্রতিষ্ঠান, সেটি ভারত স্ত্রী মহামণ্ডল নামে পরিচিত।

40. ভারতীয় মহিলা সমিতি স্মরণীয় কেন? স্বাধীনতা

উত্তর: ভারতের আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী প্রতিষ্ঠানগুলির মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ

প্রতিষ্ঠান হল ভারতীয় মহিলা সমিতি। এর প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন ভারতের নাইটিঙ্গল

 নামে পরিচিত সরোজিনী নাইডু। ১৯১৭ খ্রিস্টাব্দে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি নারী অধিকার, নারীর ভোটাধিকার প্রভৃতি বিষয়ে জোরদার আন্দোলন গড়ে তুলেছিল।


মাধ্যমিক ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন pdf|

41. নারী কর্মমন্দির স্মরণীয় কেন?

উত্তর: ১৯২১ খ্রিস্টাব্দে ব্রিটিশবিরোধী স্বাধীনতা আন্দোলনে নারীজাতিকে সংগঠিত করার জন্য।

দেশবন্ধু চিত্তরঞ্জন দাশের ভগিনী ঊর্মিলা দেবী প্রতিষ্ঠা করেন নারী কর্মমন্দির। অসহযোগ আন্দোলন

চলাকালে কলকাতায় সভাসমিতি নিষিদ্ধ ঘোষিত হলে নারী কর্মমন্দিরের সদস্যরা এর প্রতিবাদে আইন অমান্য কর্মসূচি পালন করে।

42 ভগিনী সেনা কী?

উত্তর: ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দে মেদিনীপুরের তমলুকে সতীশচন্দ্র সামন্তের নেতৃত্বে গঠিত তাম্রলিপ্ত সরকারের অধীনে মহিলা স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে গঠন করা হয় এক বাহিনী, যা ভগিনী সেনা নামে খ্যাত।

43. ডিনামাইট ষড়যন্ত্র কাকে বলে ?

উত্তর: মাস্টারদা সূর্য সেন কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মির বন্দি সদস্যদের মুক্ত করার জন্য ডিনামাইটের সাহায্যে জেল ভেঙে ফেলার যে পরিকল্পনা স্থির হয় তা ডিনামাইট ষড়যন্ত্র নামে খ্যাত। এই পরিকল্পনার মূল দায়িত্বে ছিলেন বীরাঙ্গনা কল্পনা দত্ত

44. ডন সোসাইটি কী?

উত্তর: ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয় কমিশনের রিপোর্টের প্রতিবাদে ও জাতীয় শিক্ষার উন্নয়নের স্বার্থে ১৯০২

খ্রিস্টাব্দে সতীশচন্দ্র মুখোপাধ্যায় ডন সোসাইটি প্রতিষ্ঠ করেন। বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলন চলাকালে এই ডন সোসাইটির উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় বহু বিদ্যালয় ।

45. কার্লাইল সার্কুলার কাকে বলে?

উত্তর: ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ২২ অক্টোবর বঙ্গভঙ্গ- বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রসমাজের অংশগ্রহণের ওপরনিষেধাজ্ঞা জারি করার উদ্দেশ্যে বাংলার মুখ্যসচিব টমাস কার্লাইল যে আদেশ জারি করেন, তা কার্লাইল সার্কুলার নামে পরিচিত। এই আদেশে বলা হয়, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান সরকারি আদেশ অমান্য করলে বা কোনো ছাত্র স্কুলকলেজ ত্যাগ করলে ওই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে সরকারি অনুদান বন্ধ করা হবে।


46. লিয়ন সার্কুলার কী? a

উত্তর: ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ২৪ অক্টোবর পূর্ব বাংলার রংপুরে বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে অংশগ্রহণকারী ছাত্র ও শিক্ষকদের দমন করার উদ্দেশ্যে পি সি লিয়ন (PC Lyon) ছাত্র ও শিক্ষকদের আচরণবিধি সংক্রান্ত যে নির্দেশ জারি করেন তা লিয়ন সার্কুলার নামে পরিচিত।

47. পেডলার সার্কুলার কী?

উত্তর: কার্লাইল সার্কুলারের সূত্র ধরে বাংলার শিক্ষা অধিকর্তা পেডলার পিকেটিং-এর সঙ্গে যুক্ত ছাত্রদের বহিষ্কারের আদেশ দেন। এটি পেডলার সার্কুলার নামে খ্যাত

49. কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম কমিটি কাকে বলে?

উত্তর: ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ৩১ জুলাই কলকাতার সমস্ত কলেজের ছাত্র প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত হয়

কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম কমিটি। এই কমিটির ডাকে ৭ আগস্ট কলকাতার টাউন হলে মিছিল সহযোগে ৫ হাজার ছাত্র যোগদান করে।


50.অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি কী?

উত্তর: ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের ৪ নভেম্বর কলকাতার সুরেন্দ্রনাথ কলেজের ছাত্র শচীন্দ্রপ্রসাদ বসুর উদ্যোগে

কলকাতায় কার্লাইল সার্কুলার ও পেডলার সার্কুলার- এর বিরুদ্ধে প্রতিবাদে গড়ে ওঠে অ্যান্টি সার্কুলার বড়ে সোসাইটি। এই সমিতির লক্ষ্য ছিল সরকারি আদেশে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে বহিষ্কৃত ও শাস্তিপ্রাপ্ত ছাত্রদের বিকল্প শিক্ষাদানের ব্যবস্থা করা।

50. প্যাডি-ডগলাস-বার্জ হত্যাকাণ্ড কাকে বলে?

উত্তর: ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স এর দুই বিপ্লবী বিমল দাশগুপ্ত ও জ্যোতিজীবন

ঘোষ মেদিনীপুরের জেলাশাসক মি. প্যাডিকে হত্যা করেন। ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দে পরবর্তী জেলাশাসক

মি. ডগলাস অপর বিপ্লবী প্রদ্যোৎ ভট্টাচার্যের হাতে নিহত হন। এরপর ১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে BV-র অপর দুই সদস্য অনাথবন্ধু পাঁজা ও মৃগেন মাইতির গুলিতে পরবর্তী জেলাশাসক বার্জ নিহত হন। এই ঘটনা প্যাডি-ডগলাস-বার্জ হত্যাকাণ্ড নামে পরিচিত।


দশম শ্রেণির ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় বড় প্রশ্ন|মাধ্যমিক ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় 4 নম্বরের প্রশ্ন|


1 বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের অংশগ্রহণ কীরূপে প্রতিভাত হয়েছিল?

● উত্তর বড়োলটি ও ভাইসরয় লর্ড কার্জন ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দের জুলাই সরকারিভাবে বঙ্গভঙ্গের পরিকল্পনা

ঘোষণা করেন। এই ঘোষণার বিরুদ্ধে শুরু হয়। বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলন। সাধারণ মানুষের

পাশাপাশি হাজার হাজার ছাত্র স্কুলকলেজ থেকে বেরিয়ে এসে এই আন্দোলনে অংশগ্রহণ করে।

[1] বয়কট পিকেটিং: বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনকালে ছাত্রসমাজ বয়কট ও পিকেটিং কর্মসূচি অবলম্বন করে। এই করে। এই আন্দোলনকে সাফল্যমণ্ডিত করার জন্য ছাত্রসমাজের স্বতঃপ্রণোদিত প্রচেষ্টা লক্ষ করে সুরেন্দ্রনাথ বন্দ্যোপাধ্যায় ছাত্রসমাজকে স্বনিয়োজিত প্রচারক আখ্যা দেন। এই আন্দোলনের সময় ছাত্ররা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, বিদেশি লবণ, চিনি, কাপড় এবং অন্যান্য সকল বিদেশি দ্রব্যাদি বর্জন বা বয়কট করে, বিদেশি পণ্যাগারের সামনে পিকেটিং করে, বিদেশি পণ্যে অগ্নিসংযোগ করে বঙ্গভঙ্গ নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানায় | 

[2] কমিটি গঠন: কলেজের ছাত্র পরিষদগুলি একসাথে মিলে কেন্দ্রীয় ছাত্রসংগ্রাম কমিটি গঠন

করে। এই সময় কলকাতার কলেজ স্কোয়ার থেকে মিছিল করে ৫ হাজার ছাত্র টাউন হলের সভায় যোগদান করে।

[3] অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি : ঔপনিবেশিক সরকার আন্দোলনমুখী ছাত্রদের দমনের জন্য তাদের

ওপর জরিমানা চাপানো, বৃত্তি বন্ধ করা, স্কুলত্যাগ প্রভৃতি কর্মসূচি তৈরি করে। পেডলার সার্কুলার ও

কার্লাইল সার্কুলার দ্বারা কলেজ থেকে বহু ছাত্রদের বহিষ্কার করা হয়। এই বহিষ্কৃত ছাত্রদের শিক্ষাদানে শচীন্দ্রপ্রসাদ বসুর উদ্যোগে গঠিত হয় অ্যান্টি সার্কুলার সোসাইটি।

[4] জাতীয় শিক্ষা পরিষদ: জাতীয় শিক্ষায় নতুন উদ্যম নিয়ে হাজির হয় জাতীয় শিক্ষা পরিষদ। এককথায় ছাত্রদের নিঃস্বার্থ আত্মত্যাগ বয়কট আন্দোলনে প্রকৃত প্রাণের সঞ্চার ঘটিয়েছিল।



2 বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনে বাংলার নারীসমাজ কীরূপ অংশগ্রহণ করেছিল?


১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে লর্ড কার্জন দ্বারা ঘোষিত বঙ্গভঙ্গ নীতির বিরুদ্ধে যখন সমাজের সকল স্তরে প্রতিবাদের

ঝড় উঠেছিল, তখন নারীরাও সেই আন্দোলনে যোগদানের দিক দিয়ে পিছিয়ে ছিল না।

JA] অরন্ধন দিবস পালন : বঙ্গভঙ্গ-বিরোধী আন্দোলনকালে রামেন্দ্রসুন্দর ত্রিবেদীর উদ্যোগে অরন্ধন দিবস পালিত হয়। যেখানে নারীরা রান্নাঘর থেকে বেরিয়ে এই নীতির বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হয়।

[2] সরলাদেবীর ভূমিকা : এই স্বদেশি আন্দোলনে সর্বাধিকরূপে সমাদৃত হয়েছিলেন যিনি, তিনি হলেন

সরলাদেবী চৌধুরানি। ১৯০৮ খ্রিস্টাব্দে বন্দেমাতরম সংগীত পরিবেশনের মধ্যে দিয়ে তাঁর ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলনে পথচলা শুরু হয়েছিল | এরপর তিনি ভারতী পত্রিকার সম্পাদনা করেছিলেন যা বঙ্গভঙ্গ আমলে নারী আন্দোলনকে উৎসাহিত করতে সক্ষম হয়। এ ছাড়াও তাঁর উদ্যোগে প্রথম স্বদেশি দোকান, লক্ষ্মী ভাণ্ডার খোলা হয়েছিল | তিনি বাঙালি যুবকদের মধ্যে লাঠি, তরবারি প্রভৃতি খেলা ও শরীরচর্চা এবং কুস্তির প্রচলন শুরু করতে প্রতাপাদিত্য ব্রত, উদয়াদিত্য ব্রত প্রভৃতি প্রচলন করেন।

[3] অন্যান্য নারীদের বিভিন্ন কর্মসূচি: বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনকালে গিরিজা সুন্দরীর উদ্যোগে পরিবেশিত হয়েছিল বঙ্গলক্ষ্মীর ব্রতকথা| কুমুদিনী মিত্র তাঁর সুপ্রভাত পত্রিকার মধ্যে দিয়ে জনমত গড়ে

তুলেছিলেন | এ ছাড়াও হেমাঙ্গিনী দাস, অম্বুজা সুন্দরী প্রমুখ নারী নিজেদের ব্যক্তিগত গুণের ব্যবহারে এই আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। [4] স্বদেশি আন্দোলন: গ্রামেগঞ্জে নারীরা বিলাতি কাপড় ত্যাগ করে চরকায় কাটা সুতো দিয়ে তৈরি মোটা কাপড় ব্যবহার করতে শুরু করে। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের সময় স্বদেশি দ্রব্যের ব্যবহারের প্রতি জোর দেওয়া হয় এবং বিলাতি কাপড়, লবণ, চিনি ও অন্যান্য যে-কোনো বিলাতি দ্রব্যাদি বর্জন বা বয়কট করার কর্মসূচি গ্রহণ করে এই আন্দোলনকেসাফল্যমণ্ডিত করার চেষ্টা চালানো হয়।



দশম শ্রেণির ইতিহাস বিশ শতকের ভারতে নারী ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন pdf

টীকা লেখো: দীপালি সংঘ |

বাংলায় ব্রিটিশবিরোধী বিপ্লবী কার্যকলাপ পরিচালনার সাথে যুক্ত একটি নারীপ্রতিষ্ঠান ছিল দীপালি সংঘ।

[] প্রতিষ্ঠা : ১৯২৩ খ্রিস্টাব্দে লীলা রায় ১২ জন মহিলা সহযোগীকে নিয়ে গড়ে তোলেন দীপালি সংঘ| প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার, কল্পনা দত্ত, বীণা দাস, শান্তি দাস প্রমুখ এই সংঘের সদস্যা ছিলেন।

[2] কর্মসূচি: এই সংঘে মেয়েদের প্রতি সামাজিক অবিচার বন্ধ করা, ব্রিটিশ শাসনের বিরুদ্ধে নারীদের

ঐক্যবদ্ধ করা প্রভৃতি কর্মসূচি পালিত হত। দীপালি সংঘ নারীদের, বিশেষত যুবতীদের গঠনমূলক ও

সেবামূলক কাজে নিয়োজিত করতে উদ্বুদ্ধ করে। 

[3] প্রশিক্ষণ : মেয়েদের সাহস ও শক্তিবৃদ্ধির লক্ষ্যে দীপালি সংঘে নিয়মিত লাঠিখেলা, শরীরচর্চা, অস্ত্রচালনা প্রভৃতি বিষয়ে শিক্ষা দেওয়া হত। এ ছাড়া মেয়েদের হাতের কাজ, শিল্পকর্ম প্রভৃতি প্রদর্শনের জন্য দীপালি শিল্প প্রদর্শনী (১৯২৫ খ্রি.) গড়ে তোলা হয়।

[4] লীলা রায়ের ভূমিকা : এই দীপালি সংঘের সঙ্গে বিপ্লবী অনিল রায় প্রতিষ্ঠিত স্ত্রী সংঘের ঘনিষ্ঠ

যোগাযোগ ছিল। ১৯২৬ খ্রিস্টাব্দে লীলা রায় দীপালি ছাত্রীসংঘ নামে ভারতে প্রথম ছাত্রীদের সংগঠন গড়ে

তোলেন। দীপালি সংঘের মুখপত্র রূপে ১৯৩৪ খ্রিস্টাব্দে লীলা রায় প্রতিষ্ঠা করেন জয়শ্রী পত্রিকা।



টীকা লেখো: প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার।


বিশ শতকে ভারতের বিপ্লববাদের ইতিহাসে নারী তি বিপ্লবীদেরও অবদান ছিল উল্লেখযোগ্য এবং এক্ষেত্র সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার।


[1] পরিচয় : প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার (১৯১১-৩২ খ্রি.) ছিলেন বাংলার অন্যতম নারী বিপ্লবী ও শহিদ

প্রীতিলতা দীপালি সংঘের একজন সভ্যা ছিলেন। সেখান থেকেই তিনি বিপ্লবের আদর্শে অনুপ্রাণিত হন।

১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে তিনি বিপ্লবী নেতা সূর্য সেনের প্রভাবে আসেন | চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের সময় নেতা সূর্য সেনের সহকারিণী ছিলেন প্রীতিলতা।

[2] ইউরোপীয় ক্লাব আক্রমণ: ১৯৩২ খ্রিস্টাব্দের ২৪ সেপ্টেম্বর প্রীতিলতার নেতৃত্বে এক বিদ্রোহী দল

পাহাড়তলি ইউরোপিয়ান ক্লাব আক্রমণ করে। তাদের বোমা ও গুলিতে অনেক ইউরোপীয় আহত হন

প্রীতিলতা পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ার আগে বিষ খেয়ে আত্মহত্যা করেন ও শহিদ হন | জীবনের শেষক্ষণ পর্যন্ত প্রীতিলতা নিজের কর্তব্যবোধ সম্পর্কে সচেতন ছিলেন। মৃত্যুর আগে তিনি নিজের সহযোদ্ধাদের নিরাপদ আশ্রয়ে পৌঁছে দেওয়ার ব্যবস্থা করেন।

উপসংহার: প্রীতিলতা তাঁর মৃত্যুকালে একটি ইচ্ছাপত্র রেখে যান এবং সেখানে পুরুষদের পাশাপাশি

নারীদেরকে বিপ্লবী আন্দোলনে আরও বেশি সুয


দশম শ্রেণির ইতিহাস প্রশ্ন উত্তর সপ্তম অধ্যায় pdf

7 বিনয়-বাদল-দীনেশ স্মরণীয় কেন?

• উত্তর

বিশ শতকের প্রথমে গান্ধিজির অহিংস অসহযোগ আন্দোলনের পাশাপাশি বাংলার বিপ্লবীরা বিভিন্ন সন্ত্রাসবাদী বিপ্লবী আন্দোলন গড়ে তোলে, যার মধ্যে বিনয়-বাদল-দীনেশের রাইটার্স বিল্ডিং অভিযান ছিল অন্যতম।

বিনয়-বাদল-দীনেশ যে কারণে স্মরণীয় তা হল—

[1] অলিন্দ যুদ্ধ: ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দের ৮ ডিসেম্বর বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স দলের সক্রিয় সদস্য বিপ্লবী বিনয় বসু, বাদল গুপ্ত ও দীনেশ গুপ্ত কলকাতার রাইটার্স বিল্ডিং-এ প্রবেশ করে কারাবিভাগের ইনস্পেকটর জেনারেল সিম্পসনকে গুলি করে হত্যা করেন। করেন। তাঁদের আক্রমণে একাধিক উচ্চপদস্থ ইংরেজ কর্মচারী আহত হন। এরপর রাইটার্স বিল্ডিং-এর অলিন্দে লালবাজার থেকে আসা সশস্ত্র পুলিশের বিশাল বাহিনীর সঙ্গে বিপ্লবী বিনয়-বাদল-দীনেশের যুদ্ধ শুরু হয়। ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের ইতিহাসে এই যুদ্ধ অলিন্দ যুদ্ধ নামে খ্যাত।

[2] বিনয় ও বাদলের মৃত্যু: অলিন্দ যুদ্ধকালে পুলিশ এই তিনজন বিপ্লবীকে ঘিরে ফেলে| পালানো অসম্ভব বিবেচনা করে পুলিশের হাতে ধরা পড়ার চেয়ে তিনজনই স্বেচ্ছায় মৃত্যুবরণ করেন। বাদল পটাশিয়াম সাইনাইডখেয়ে আত্মহত্যা করেন। বিনয় ও দীনেশ পিস্তল দিয়ে নিজেদের মাথায় গুলি চালিয়ে আত্মহত্যার চেষ্টা করেন। তবে কয়েকদিন পর হাসপাতালে বিনয় মারা যান।

3.] দীনেশের ফাঁসি: চিকিৎসকদের চেষ্টায় দীনেশ বেঁচে যান এবং আলিপুর জজ কোর্টের ইংরেজ

বিচারক গার্লিক-এর আদেশে তাঁর ফাঁসি হয়। দীনেশের ফাঁসির এক বছরের মধ্যে বিপ্লবী কানাইলাল ভট্টাচার্যের গুলিতে আলিপুর কোর্টেরমধ্যে বিচারপতি গার্লিক নিহত হন।




টীকা লেখো: সূর্য সেন ।

বাংলা তথা ভারতের বিপ্লববাদী আন্দোলনের প্রধান সংগঠক ছিলেন চট্টগ্রাম বিদ্রোহের মুখ্য নায়ক মাস্টারদা সূর্য সেন । মাস্টারদা সূর্য সেন যে সমস্ত কারণে বিখ্যাত ছিলেন সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল—

[1] বিপ্লবী সংগঠন স্থাপন: চট্টগ্রামের শিক্ষক সূর্য সেন তাঁর ছাত্র ও সহযোগীদের নিয়ে ইন্ডিয়ান রিপাবলিকান আর্মি নামে একটি বিপ্লবী সংগঠন গড়ে তোলেন।

[2] চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠন: ১৯৩০ খ্রিস্টাব্দে ১৮ এপ্রিল মধ্যরাত্রে অম্বিকা চক্রবর্তী, লোকনাথ বল,

গণেশ ঘোষ, অনন্ত সিংহ প্রমুখ সঙ্গীকে নিয়ে সূর্য সেন চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার আক্রমণ ও লুঠ করেন।

[3) স্বাধীন সরকার প্রতিষ্ঠা : তাঁরা টেলিফোন ও টেলিগ্রাফের তার বিচ্ছিন্ন করে চট্টগ্রামে একটি স্বাধীন বিপ্লবী সরকার প্রতিষ্ঠা করেন। IAT বিচার ও ফাঁসি: নব প্রতিষ্ঠিত এই সরকার

সাময়িকভাবে চট্টগ্রামের ওপর নিজেদের আধিপত্য স্থাপন করলেও অবশেষে ব্রিটিশ সেনাবাহিনীর

পালটা আক্রমণে বিপ্লবীদের পরাজয় ঘটে এবং সূর্য সেন পুলিশের হাতে ধরা পড়ে যান | বিচারে সূর্য সেনের ফাঁসি হয়।

মন্তব্য: সূর্য সেনের নেতৃত্বে চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের ঘটনা ছিল চমকপ্রদ ও প্রশংসনীয়। ঐতিহাসিক

রমেশচন্দ্র মজুমদার চট্টগ্রাম অস্ত্রাগার লুণ্ঠনের সঙ্গে যুক্ত জালালাবাদের যুদ্ধকে ইংরেজদের সঙ্গে প্রত্যক্ষ

সংগ্রামের প্রথম দৃষ্টান্ত বলে অভিহিত করেন।


ক্ষুদিরাম বসু স্মরণীয় কেন?


ভারত ছাড়ো আন্দোলনে নারীদের অবদান লেখো।


ভারত ছাড়ো আন্দোলন মহাত্মা গান্ধির নামে পরিচালিত হলেও তা ছিল গান্ধিজির নিয়ন্ত্রণ বহির্ভূত আন্দোলন এবং এই আন্দোলনকালে জাতীয় কংগ্রেস দলকে বেআইনি ঘোষণা করে কংগ্রেস নেতাদের গ্রেফতার করা হয় | তাই ভারত ছাড়ো আন্দোলন ছিল স্বতঃস্ফূর্ত গণ আন্দোলন এবং এই আন্দোলনে নারীদের যোগদানও ছিল তুলনামূলকভাবে স্বতঃস্ফূর্ত । ভারত ছাড়ো আন্দোলনে নারীদের যোগদান আইন অমান্য আন্দোলনের মতো পরিকল্পিত ও কর্মসূচিভিত্তিক ছিল না। তবুও নারীরা যেভাবে

যোগদান করে তা হল- [1] মধ্যবিত্ত নারীর যোগদান: এই আন্দোলনে যেমন স্কুলকলেজের ছাত্রীরা যোগদান করেছিল তেমনিই আবার শিক্ষিত মধ্যবিত্ত নারীরা প্রকাশ্য ও গোপন, দু-ধরনের আন্দোলনে যুক্ত হয়েছিল—যেমন ঊষা মেহতা বম্বেতে গোপন রেডিয়ো কেন্দ্র গড়ে তুলে গান্ধিজির করেঙ্গে ইয়া মরেঙ্গে আদর্শসহ জাতীয় আদর্শ প্রচার করতেন।


[2] নারীদের সংগঠন : এই আন্দোলনে নারীদের সংগঠিত করার ক্ষেত্রে অরুণা আসফ আলি ও সুচেতা

কৃপালনির ভূমিকা ছিল বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য। অরুণা আসফ আলি গোপনে জাতীয় আন্দোলন গড়ে তুলতে সচেষ্ট হন | ১৯৪২ খ্রিস্টাব্দের ৯ আগস্ট তিনি বম্বের ক্রান্তি ময়দানে তেরঙ্গা পতাকা উত্তোলন

করে ভারত ছাড়ো আন্দোলনকে এক দৃঢ় প্রতিবাদের মঞ্চে পরিণত করতে সচেষ্ট হন।

[3] তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার গঠন : বাংলারমেদিনীপুরের তমলুকে সতীশচন্দ্র সামন্তের নেতৃত্বে গঠিত তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার-এ নারীরা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ব্রিটিশবিরোধী প্রতিরোধ সংগ্রাম

চালানোর জন্য মহিলা স্বেচ্ছাসেবীদের নিয়ে ভগিনী সেনা নামক নারী সংগঠন তৈরি হয়।

[4] মাতঙ্গিনী হাজরা: ভারত ছাড়ো আন্দোলনে অসীম বীরত্ব ও সাহসিকতা প্রদর্শনের জন্য মেদিনীপুরের মাতঙ্গিনী হাজরা ইতিহাসের পাতায় অমর হয়ে রয়েছেন।



PDF Download link Click here 


[TAG]: বিশ শতকের ভারতে নারী ছাত্র ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর আন্দোলন সপ্তম অধ্যায় pdf,সপ্তম অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর,মাধ্যমিক ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর,দশম শ্রেণির ইতিহাস সপ্তম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর,


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url