এপিজে আবদুল কালাম জীবনী Pdf|APJ Abdul Kalam biography in bengali pdf download
এপিজে আবদুল কালাম বায়োগ্রাফি|APJ আবদুল কালাম জীবনী|APJ Abdul Kalam biography in bengali pdf download
বিজ্ঞানী এপিজে আবদুল কালাম বায়োগ্রাফি
[রচনা সূত্র:-ভূমিকা-জন্ম ও বংশপরিচয়-শিক্ষা জীবন-কর্মজীবন-রচিত গ্রন্থ সমূহ-অবদান-পুরস্কার ও সম্মান-উপসংহার]
ভূমিকা: রত্নগর্ভা বঙ্গ মায়ের কোলে যুগে যুগে জন্মগ্রহণ করেছেন নানা কৃতি সন্তান। যারা তাঁদের প্রতিভার দ্যুতিতে জগৎ সভায় আলোকিত করেছেন বাংলার মুখকে।বঙ্গমাতার এমনই একজন কৃতি সন্তান হলেন বিজ্ঞানী এপিজে আবদুল কালাম। তিনি হলেন ভারতের প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি।এ.পি.জে. আবদুল কালামকে মিশাইলম্যান বলা হয়ে থাকে।
জন্ম ও বংশ পরিচয়: ড.এপিজে আবদুল কালাম ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দের ১৫ই জুলাই তামিলনাড়ু রাজ্যের রামেশ্বরম শহরের মাদ্রাজে এক মধ্যবিত্ত তামিল পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা ছিলেন জয়নুল আবেদিন এবং মা ছিলেন আসিআম্মা। তাঁর পিতা ছিলেন একজন দরিদ্র নৌকা মালিক এবং মা ছিলেন সাধারণ গৃহবধূ। কালামের পারিবারিক অবস্থা মোটেও সুখদায়ক ছিল না।পরিবারের ভরণ পোষণের দায়িত্ব তাঁকে অতি কষ্টেই পালন করতে হয়েছিল।
APJ Abdul Kalam jiboni pdf|Class 12 APJ Abdul Kalam pdf, biography bengali
শিক্ষাজীবন: অত্যন্ত গরীব পরিবার থেকে সংগ্রাম করা সেই সাধারণ মানের ছাত্রটির শৈশব থেকেই ছিল শিক্ষাগ্রহণের তীব্রবাসনা। নিজ প্রচেষ্টায় প্রাথমিক শিক্ষা অর্জনের পর রামনাথপুরোম স্কোয়ার্টজ ম্যাটিকুলেশন স্কুল থেকে শিক্ষা সম্পূর্ন করেন। তারপর তিরুচিরাপল্লীর সেন্ট জোসেফ কলেজে ভর্তি হন।১৯৫৪ সালে তিনি এই কলেজ থেকেই পদার্থ বিজ্ঞানে স্মাতক হন।এরপর তিনি ১৯৫৫ সালে মাদ্রাজে চলে আসেন। এখানেই তিনি মাদ্রাজ ইনস্টিটিউট অব টেকনোলজি থেকে বিমানপ্রযুক্তি বিষয়ে শিক্ষা লাভ করেন।
কর্মজীবন: বিমান চালক হওয়ার বদলে তিনি বিজ্ঞান চর্চায় মনোনিবেশ করেন। তারপর তিনি 'ইসরো' অর্থাৎ ভারতীয় মহাকাশ গবেষণাতে যোগদান করেন।তিনি ভারতীয় জাতীয় মহাকাশ গবেষণা কমিটিতে প্রখ্যাত মহাকাশ বিজ্ঞানী ড. বিক্রম সারাভাইয়ের অধীনে কাজ করতেন।২০০২ থেকে ২০০৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত তিনি ভারতের রাষ্ট্রপতি থাকেন।
রচিত গ্রন্থ সমূহ: ড. এপিজে আবদুল কালাম জাতির স্বার্থে কিছু বই লিখে গেছে ভারতকে বিশ্বের কাছে শীর্ষে তোরা লক্ষ্যে তার সমস্ত রচনাও দৃষ্টিভঙ্গি বর্ণনা করেছেন আব্দুল এপিজে আবদুল কালামের লিখিত ওই বইগুলিতে ৷তিনি ১৯৯৯ খ্রিস্টাব্দে উইংস অফ ফায়ার নামে একটি আত্মজীবনী লিখেছেন ৷ এছাড়া অতি তিনি বিভিন্ন বিষয়ের উপর লক্ষ্য করে অনেক বই লিখে গেছেন যেমন-'ইন্ডিয়া টু থাউজেন্ড টুয়েন্টি'(১৯৯৮ খ্রিষ্টাব্দে),'ইগনাইটেড মাইনস (২০০২ খ্রিষ্টাব্দে)','মিশন ইন্ডিয়া'(২০০৫ খ্রিষ্টাব্দে),'ইস্পায়ারিং থটস' (২০০৭ খ্রিস্টাব্দে) ইত্যাদি।
অবদান: উড়ান ও স্যাটেলাইট বহনকারী পি এস ভি এবং এস এল ভি থ্রি রকেট তৈরিতে উল্লেখযোগ্য অবদানের জন্য ভারতের ‘ মিসাইল ম্যান ‘ বলা হয় । পরমানু শক্তিধর দেশগুলির সঙ্গে একই সারিতে ভারতকে তুলে আনার জন্য এ.পি.জে. আবদুল কালাম এর অবদান অনস্বীকার্য ।
পুরস্কার ও সম্মান: মিসাইল ম্যান এ পি জে আব্দুল কালাম তার ব্যক্তিগত কর্মকাণ্ড ও দেশ তথা জাতির অসামান্য উন্নয়নের খ্যাতি স্বরূপ পেয়েছেন বিভিন্ন পুরস্কার।ভারত ও ভারতের বাইরে, চল্লিশটি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাম্মানিক ডক্টরেট উপাধি লাভ।ভারত সরকারের তরফ থেকে সম্মানজনক ‘ভারতরত্ন,’ এবং ‘পদ্মভূষণ’ দিয়ে ভূষিত করা হয়েছিল।আব্দুল কালামকে বীর সাভারকার পুরস্কার দিয়ে সম্মানিত করা হয়।এছাড়াও তার নামে বিভিন্ন রাস্তা, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, সংস্থা, দ্বীপের নামান্তর করা হয়। ২০১৫ সালে ৮৪তম জন্মদিবস ডি আর ডি ও ভবনে কালাম মহাশয়ের স্মরণে ডাকটিকিটের প্রকাশ করেন।
উপসংহার: মিসাইল ম্যান এপিজে আবদুল কালাম ২৭ জুলাই ২০১৫ সন্ধে সাড়ে ছটায় শিলংয়ের আই আইএমের এক অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখার সময় মঞ্চের ওপরেই পড়ে যান।এ.পি.জে. আবদুল কালামকে স্থানীয় বেথানি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।সেখানেই তার মৃত্যু হয়েছিল।মায়াময় মাটির পৃথিবী থেকে কালের নিয়মে বিদায় গ্রহণ করলেও তিনি তাঁর অমর সৃষ্টির মধ্য দিয়ে চিরকাল বাঙালি তথা দেশবাসীর হৃদয়ে অমর হয়ে থাকবেন।