শিল্প বিপ্লব উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ নবম শ্রেণির ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর |নবম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF |Class 9 history 4th chapter question in bengali pdf
আজ আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি নবম শ্রেণির ইতিহাসের চতুর্থ অধ্যায় শিল্প বিপ্লব উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ প্রশ্ন উত্তর PDF। Class IX fourth chapter question Pdf in bengali | WB Class Nine history question in bengali |WBBSE পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য নবম শ্রেণি ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে।
তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে |নবম শ্রেণি ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় শিল্প বিপ্লব উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf download । Class ix History 4th chapter important Question in Bengali Pdf ডাউনলোড করো । এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে প্রাক্টিস করে থাকতে থাক।ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ Note ,Pdf ,Current Affairs,ও প্রতিদিন মকটেস্ট দিতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।
শিল্প বিপ্লব উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ নবম শ্রেণির ইতিহাসের প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো।
শিল্প বিপ্লব উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ mcq প্রশ্ন
নবম শ্রেণি ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় 1 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর [একটি বাক্যে উত্তর দাও]
নবম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায়ের ৪ নং প্রশ্ন উত্তর
শিল্প বিপ্লব(1)
1. শিল্পবিপ্লব' কী ?
উত্তর দৈহিক শ্রমের পরিবর্তে যন্ত্রের দ্বারা শিল্পের ব্যাপক উৎপাদনকে শিল্পবিপ্লব বলে।
2. শিল্পবিপ্লব' কথাটি কে প্রথম ব্যবহার করেন?
উত্তর ‘ শিল্পবিপ্লব’ কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন লুই অগাস্তে ব্ল্যাঙ্কি।
সর্বপ্রথম কত খ্রিস্টাব্দে ‘
3.শিল্পবিপ্লব' কথাটি ব্যবহার করা হয় ?
উত্তর সর্বপ্রথম ১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দে ‘শিল্পবিপ্লব' কথাটি ব্যবহার করা হয়।
4.শিল্পবিপ্লব’কথাটিকে কে প্রথম জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন?
উত্তর। শিল্পবিপ্লব কথাটিকে প্রথম জনপ্রিয় করে তুলেছিলেন ব্রিটিশ ঐতিহাসিক আর্নল্ড টয়েনবি।
5. শিল্পবিপ্লবের ফলে কীসের পরিবর্তন হয়?
উত্তর শিল্পবিপ্লবের ফলে উৎপাদন ব্যবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন হয়
6.শিল্পবিপ্লবের ফলে কী সুবিধা হয়?
উত্তর শিল্পবিপ্লবের ফলে উৎপাদন ব্যবস্থায় গতির সঞ্চার হয় শিল্পবিপ্লবের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কোনটি?
উত্তর। শিল্পবিপ্লবের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল যন্ত্রের ব্যাপক ব্যবহার।
8. কোন দেশে শিল্পবিপ্লব প্রথম শুরু হয়েছিল ?
উত্তর ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লব প্রথম শুরু হয়েছিল।
9.ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লব কখন হয়?
উত্তর অষ্টাদশ শতকের মধ্যভাগে ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লব হয়।
10.ব্রিটেনে কোন শিল্পে প্রথম শিল্পবিপ্লব শুরু হয়েছিল ?
উত্তর। ব্রিটেনে বস্ত্রশিল্পে প্রথম শিল্পবিপ্লব শুরু হয়েছিল।
11.বস্ত্রশিল্পের উপযােগী দুটি যন্ত্রের নাম লেখাে।
উত্তর বস্ত্রশিল্পের উপযােগী দুটি যন্ত্রের নাম হল— ® উড়ন্ত মাকু এবং @ ওয়াটার ফ্রেম।
12.উড়ন্ত মাকু কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর ‘উড়ন্ত মাকু’জন কে আবিষ্কার করেন।
13জন কে কত খ্রিস্টাব্দে উড়ন্ত মাকু আবিষ্কার করেন ?
উত্তর জন কে ১৭৩৩ খ্রিস্টাব্দে ‘উড়ন্ত মাকু’আবিষ্কার করেন।
14. ওয়াটার ফ্রেম' কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর। ওয়াটার ফ্রেম’ রিচার্ড আর্করাইট আবিষ্কার করেন।
151 রিচার্ড আর্কাইট কত খ্রিস্টাব্দে ‘ওয়াটার ফ্রেম' আবিষ্কার করেন ?
উত্তর রিচার্ড আর্কাইট ১৭৬৯ খ্রিস্টাব্দে ‘ওয়াটার ফ্রেম আবিষ্কার
16) স্পিনিং জেনি কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর ‘স্পিনিং জেনি’ হারগ্রিভস আবিষ্কার করেন।
17 হারগ্রিভস কত খ্রিস্টাব্দে স্পিনিং জেনি আবিষ্কার করেন?
উত্তর হারগ্রিভস ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে স্পিনিং জেনি’ আবিষ্কার করেন।
18.মিউল' কী?
উত্তর: মিউল’ হল মসৃণ সুতাে কাটার যন্ত্র।
19 । মিউল’ কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর ‘মিউল’ক্রম্পটন আবিষ্কার করেন।
20] ক্রম্পটন কত খ্রিস্টাব্দে মিউল আবিষ্কার করেন?
উত্তর: ক্রম্পটন ১৭৭৯ খ্রিস্টাব্দে ‘মিউল’আবিষ্কার করেন।
21.পাওয়ার লুম’ কী ?
উত্তর পাওয়ার লুম’ হল যন্ত্রচালিত তাঁত।
22.কে পাওয়ার লুম' আবিষ্কার করেন?
উত্তর এডমন্ট কার্টরাইট পাওয়ার লুম’আবিষ্কার করেন।
23.এডমন্ট কার্টরাইট কত খ্রিস্টাব্দে পাওয়ার লুম আবিষ্কার করেন?
উত্তর। এডমন্ট কার্টরাইট ১৭৮৫ খ্রিস্টাব্দে পাওয়ার লুম’ আবিষ্কার করেন।
bbbbb
24 বাষ্পীয় ইঞ্জিন কে আবিষ্কার করেন ?
উত্তর। বাষ্পীয় ইঞ্জিন’ জেমস ওয়াট আবিষ্কার করেন।
25.জেমস ওয়াট কত খ্রিস্টাব্দে বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কার করেন?
উত্তর জেমস ওয়াট ১৭৬৯ খ্রিস্টাব্দে বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কার করেন
26.বাষ্পচালিত রেলইঞ্জিন কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর বাষ্পচালিত রেলইঞ্জিন আবিষ্কার করেন জর্জ স্টিফেনসন।
28.জর্জ স্টিফেনসন কত খ্রিস্টাব্দে বাষ্পচালিত রেলইঞ্জিন আবিষ্কার করেন ?
উত্তর জর্জ স্টিফেনসন ১৮১৪ খ্রিস্টাব্দে বাষ্পচালিত রেলইঞ্জিন আবিষ্কার করেন।
28 ব্লট ফানেল'বা লােহা গলাবার চুন্নি কে আবিষ্কার করেন?
উতর বুস্ট ফার্নেস' বা লােহা গলাবার চুন্নি জন মিটন আবিষ্কার।
৪। জল স্মিটন কত খ্রিস্টাব্দে লােহা গলাবার চুল্লি আবিষ্কার করেন?
ভের জন স্মিটন ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে লােহা গলাবার চুল্লি’ আবিষ্কার
৪০। সেফটি ল্যাম্প' কী কাজে ব্যবহৃত হত?
এর খনিগর্ভে নিরাপদে কাজরীর জন্য সেফটি ল্যাম্প’ ব্যবহৃত
31} সেফটি ল্যাম্প’ কে আবিষ্কার করেন ?
চিত্তর ‘সেকটি ল্যাম্প’ হামফ্রে ডেভি আবিষ্কার করেন।
32। হামফ্রে ডেভি কত খ্রিস্টাব্দে সেফটি ল্যাম্প’ আবিষ্কার
উত্তর হামফ্রে ডেভি ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে ‘সেফটি ল্যাম্প’ আবিষ্কার করেন
6.শিল্পবিপ্লবের ফলে কী সুবিধা হয়?
উত্তর শিল্পবিপ্লবের ফলে উৎপাদন ব্যবস্থায় গতির সঞ্চার হয় শিল্পবিপ্লবের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কোনটি?
উত্তর। শিল্পবিপ্লবের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল যন্ত্রের ব্যাপক ব্যবহার।
8. কোন দেশে শিল্পবিপ্লব প্রথম শুরু হয়েছিল ?
উত্তর ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লব প্রথম শুরু হয়েছিল।
9.ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লব কখন হয়?
উত্তর অষ্টাদশ শতকের মধ্যভাগে ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লব হয়।
10.ব্রিটেনে কোন শিল্পে প্রথম শিল্পবিপ্লব শুরু হয়েছিল ?
উত্তর। ব্রিটেনে বস্ত্রশিল্পে প্রথম শিল্পবিপ্লব শুরু হয়েছিল।
11.বস্ত্রশিল্পের উপযােগী দুটি যন্ত্রের নাম লেখাে।
উত্তর বস্ত্রশিল্পের উপযােগী দুটি যন্ত্রের নাম হল— ® উড়ন্ত মাকু এবং @ ওয়াটার ফ্রেম।
12.উড়ন্ত মাকু কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর ‘উড়ন্ত মাকু’জন কে আবিষ্কার করেন।
13জন কে কত খ্রিস্টাব্দে উড়ন্ত মাকু আবিষ্কার করেন ?
উত্তর জন কে ১৭৩৩ খ্রিস্টাব্দে ‘উড়ন্ত মাকু’আবিষ্কার করেন।
14. ওয়াটার ফ্রেম' কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর। ওয়াটার ফ্রেম’ রিচার্ড আর্করাইট আবিষ্কার করেন।
151 রিচার্ড আর্কাইট কত খ্রিস্টাব্দে ‘ওয়াটার ফ্রেম' আবিষ্কার করেন ?
উত্তর রিচার্ড আর্কাইট ১৭৬৯ খ্রিস্টাব্দে ‘ওয়াটার ফ্রেম আবিষ্কার
6.শিল্পবিপ্লবের ফলে কী সুবিধা হয়?
উত্তর শিল্পবিপ্লবের ফলে উৎপাদন ব্যবস্থায় গতির সঞ্চার হয় শিল্পবিপ্লবের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান কোনটি?
উত্তর। শিল্পবিপ্লবের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল যন্ত্রের ব্যাপক ব্যবহার।
8. কোন দেশে শিল্পবিপ্লব প্রথম শুরু হয়েছিল ?
উত্তর ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লব প্রথম শুরু হয়েছিল।
9.ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লব কখন হয়?
উত্তর অষ্টাদশ শতকের মধ্যভাগে ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লব হয়।
10.ব্রিটেনে কোন শিল্পে প্রথম শিল্পবিপ্লব শুরু হয়েছিল ?
উত্তর। ব্রিটেনে বস্ত্রশিল্পে প্রথম শিল্পবিপ্লব শুরু হয়েছিল।
11.বস্ত্রশিল্পের উপযােগী দুটি যন্ত্রের নাম লেখাে।
উত্তর বস্ত্রশিল্পের উপযােগী দুটি যন্ত্রের নাম হল— ® উড়ন্ত মাকু এবং @ ওয়াটার ফ্রেম।
12.উড়ন্ত মাকু কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর ‘উড়ন্ত মাকু’জন কে আবিষ্কার করেন।
13জন কে কত খ্রিস্টাব্দে উড়ন্ত মাকু আবিষ্কার করেন ?
উত্তর জন কে ১৭৩৩ খ্রিস্টাব্দে ‘উড়ন্ত মাকু’আবিষ্কার করেন।
14. ওয়াটার ফ্রেম' কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর। ওয়াটার ফ্রেম’ রিচার্ড আর্করাইট আবিষ্কার করেন।
151 রিচার্ড আর্কাইট কত খ্রিস্টাব্দে ‘ওয়াটার ফ্রেম' আবিষ্কার করেন ?
উত্তর রিচার্ড আর্কাইট ১৭৬৯ খ্রিস্টাব্দে ‘ওয়াটার ফ্রেম আবিষ্কার
16) স্পিনিং জেনি কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর ‘স্পিনিং জেনি’ হারগ্রিভস আবিষ্কার করেন।
17 হারগ্রিভস কত খ্রিস্টাব্দে স্পিনিং জেনি আবিষ্কার করেন?
উত্তর হারগ্রিভস ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে স্পিনিং জেনি’ আবিষ্কার করেন।
18.মিউল' কী?
উত্তর: মিউল’ হল মসৃণ সুতাে কাটার যন্ত্র।
19 । মিউল’ কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর ‘মিউল’ক্রম্পটন আবিষ্কার করেন।
20] ক্রম্পটন কত খ্রিস্টাব্দে মিউল আবিষ্কার করেন?
উত্তর: ক্রম্পটন ১৭৭৯ খ্রিস্টাব্দে ‘মিউল’আবিষ্কার করেন।
21.পাওয়ার লুম’ কী ?
উত্তর পাওয়ার লুম’ হল যন্ত্রচালিত তাঁত।
22.কে পাওয়ার লুম' আবিষ্কার করেন?
উত্তর এডমন্ট কার্টরাইট পাওয়ার লুম’আবিষ্কার করেন।
23.এডমন্ট কার্টরাইট কত খ্রিস্টাব্দে পাওয়ার লুম আবিষ্কার করেন?
উত্তর। এডমন্ট কার্টরাইট ১৭৮৫ খ্রিস্টাব্দে পাওয়ার লুম’ আবিষ্কার করেন।
bbbbb
24 বাষ্পীয় ইঞ্জিন কে আবিষ্কার করেন ?
উত্তর। বাষ্পীয় ইঞ্জিন’ জেমস ওয়াট আবিষ্কার করেন।
25.জেমস ওয়াট কত খ্রিস্টাব্দে বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কার করেন?
উত্তর জেমস ওয়াট ১৭৬৯ খ্রিস্টাব্দে বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কার করেন
26.বাষ্পচালিত রেলইঞ্জিন কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর বাষ্পচালিত রেলইঞ্জিন আবিষ্কার করেন জর্জ স্টিফেনসন।
28.জর্জ স্টিফেনসন কত খ্রিস্টাব্দে বাষ্পচালিত রেলইঞ্জিন আবিষ্কার করেন ?
উত্তর জর্জ স্টিফেনসন ১৮১৪ খ্রিস্টাব্দে বাষ্পচালিত রেলইঞ্জিন আবিষ্কার করেন।
28 ব্লট ফানেল'বা লােহা গলাবার চুন্নি কে আবিষ্কার করেন?
উতর বুস্ট ফার্নেস' বা লােহা গলাবার চুন্নি জন মিটন আবিষ্কার।
৪। জল স্মিটন কত খ্রিস্টাব্দে লােহা গলাবার চুল্লি আবিষ্কার করেন?
ভের জন স্মিটন ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে লােহা গলাবার চুল্লি’ আবিষ্কার
৪০। সেফটি ল্যাম্প' কী কাজে ব্যবহৃত হত?
এর খনিগর্ভে নিরাপদে কাজরীর জন্য সেফটি ল্যাম্প’ ব্যবহৃত
31} সেফটি ল্যাম্প’ কে আবিষ্কার করেন ?
চিত্তর ‘সেকটি ল্যাম্প’ হামফ্রে ডেভি আবিষ্কার করেন।
32। হামফ্রে ডেভি কত খ্রিস্টাব্দে সেফটি ল্যাম্প’ আবিষ্কার
উত্তর হামফ্রে ডেভি ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে ‘সেফটি ল্যাম্প’ আবিষ্কার করেন স্পিনিং জেনি কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর ‘স্পিনিং জেনি’ হারগ্রিভস আবিষ্কার করেন।
17 হারগ্রিভস কত খ্রিস্টাব্দে স্পিনিং জেনি আবিষ্কার করেন?
উত্তর হারগ্রিভস ১৭৬৫ খ্রিস্টাব্দে স্পিনিং জেনি’ আবিষ্কার করেন।
18.মিউল' কী?
উত্তর: মিউল’ হল মসৃণ সুতাে কাটার যন্ত্র।
19 । মিউল’ কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর ‘মিউল’ক্রম্পটন আবিষ্কার করেন।
20] ক্রম্পটন কত খ্রিস্টাব্দে মিউল আবিষ্কার করেন?
উত্তর: ক্রম্পটন ১৭৭৯ খ্রিস্টাব্দে ‘মিউল’আবিষ্কার করেন।
21.পাওয়ার লুম’ কী ?
উত্তর পাওয়ার লুম’ হল যন্ত্রচালিত তাঁত।
22.কে পাওয়ার লুম' আবিষ্কার করেন?
উত্তর এডমন্ট কার্টরাইট পাওয়ার লুম’আবিষ্কার করেন।
23.এডমন্ট কার্টরাইট কত খ্রিস্টাব্দে পাওয়ার লুম আবিষ্কার করেন?
উত্তর। এডমন্ট কার্টরাইট ১৭৮৫ খ্রিস্টাব্দে পাওয়ার লুম’ আবিষ্কার করেন।
bbbbb
24 বাষ্পীয় ইঞ্জিন কে আবিষ্কার করেন ?
উত্তর। বাষ্পীয় ইঞ্জিন’ জেমস ওয়াট আবিষ্কার করেন।
25.জেমস ওয়াট কত খ্রিস্টাব্দে বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কার করেন?
উত্তর জেমস ওয়াট ১৭৬৯ খ্রিস্টাব্দে বাষ্পীয় ইঞ্জিন আবিষ্কার করেন
26.বাষ্পচালিত রেলইঞ্জিন কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর বাষ্পচালিত রেলইঞ্জিন আবিষ্কার করেন জর্জ স্টিফেনসন।
28.জর্জ স্টিফেনসন কত খ্রিস্টাব্দে বাষ্পচালিত রেলইঞ্জিন আবিষ্কার করেন ?
উত্তর জর্জ স্টিফেনসন ১৮১৪ খ্রিস্টাব্দে বাষ্পচালিত রেলইঞ্জিন আবিষ্কার করেন।
28 ব্লট ফানেল'বা লােহা গলাবার চুন্নি কে আবিষ্কার করেন?
উতর বুস্ট ফার্নেস' বা লােহা গলাবার চুন্নি জন মিটন আবিষ্কার।
৪। জল স্মিটন কত খ্রিস্টাব্দে লােহা গলাবার চুল্লি আবিষ্কার করেন?
ভের জন স্মিটন ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে লােহা গলাবার চুল্লি’ আবিষ্কার
৪০। সেফটি ল্যাম্প' কী কাজে ব্যবহৃত হত?
এর খনিগর্ভে নিরাপদে কাজরীর জন্য সেফটি ল্যাম্প’ ব্যবহৃত
31} সেফটি ল্যাম্প’ কে আবিষ্কার করেন ?
চিত্তর ‘সেকটি ল্যাম্প’ হামফ্রে ডেভি আবিষ্কার করেন।
32। হামফ্রে ডেভি কত খ্রিস্টাব্দে সেফটি ল্যাম্প’ আবিষ্কার
উত্তর হামফ্রে ডেভি ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে ‘সেফটি ল্যাম্প’ আবিষ্কার করেন
33 পিচ দেওয়া পাকা রাস্তা তৈরির কৌশল কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর পিচ দেওয়া পাকা রাস্তা তৈরির কৌশল টেলফোর্ড ও জন ম্যাক অ্যাডাম আবিষ্কার করেন।
[34] টেলফোর্ড ও ম্যাক অ্যাডাম কত খ্রিস্টাব্দে পিচ দেওয়া রাস্তা তৈরির কৌশল আবিষ্কার করেন?
উত্তর টেলফোর্ড ও ম্যাক অ্যাডাম ১৮১১ খ্রিস্টাব্দে পিচ দেওয়া রাস্তা তৈরির কৌশল আবিষ্কার করেন।
35 স্টিমার' (বাষ্পীয় পােত) কে আবিষ্কার করেন?
উত্তর ‘স্টিমার’ (বাষ্পীয় পােত) রবার্ট ফুলটন আবিষ্কার করেন।
36 | রবার্ট ফুলটন কত খ্রিস্টাব্দে স্টিমার’আবিষ্কার করেন?
উত্তর। রবার্ট ফুলটন ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দে ‘ স্টিমার’ আবিষ্কার করেন
37 ইংল্যান্ডে কীভাবে উৎকৃষ্ট লােহা তৈরি হত ?
উত্তর ইংল্যান্ডে নব্য আবিষ্কৃত বেসেমার প্রথা অনুযায়ী খনিজ
লােহা গলিয়ে উক্তৃষ্ট লােহা তৈরি করা হত।
38.কাকে ব্রিটেনের রেলপথের রাজা বলা হয়?
উত্তর জর্জ হাডসন রেলপথের কাজে বিশেষ সক্রিয় থাকায় তাকে ব্রিটেনের রেলপথের রাজা বলা হয়।
39 'এনক্লোজার' ব্যবস্থা কোথায় প্রচলিত ছিল?
উত্তর এনক্লোজার’ বা ভূমিবেষ্টনী প্রথা ইংল্যান্ডে প্রচলিত ছিল।
40.এনক্লোজার’ কথাটির অর্থ কী?
উত্তর এনক্লোজার’ কথাটির অর্থ হল জমি ঘেরাও করে চাষ করা।ইংল্যান্ডে কোথায় কোথায় বড়াে লােহার কারখানা গড়ে ওঠে?
উত্তর ইংল্যান্ডে শেফিল্ড, ল্যাঙ্কাশায়ার ইত্যাদি অণ্ডলে বড়াে লােহার কারখানা গড়ে ওঠে।
42] ইংল্যাভকে বিশ্বের শিল্পকারখানা’ বলা হয় কেন?
উত্তর বিশ্বের বাজার দখল করার জন্য ইংল্যান্ডে বিভিন্ন কারখানার প্রতিষ্ঠা ব্রা হয় বলে ইংল্যান্ডকে বিশ্বের
শিল্পকারখানা’ বলা হয়।
কে ইংল্যাভাকে বিশ্বের শিল্পকারখানা বলেছেন?
উত্তর ঐতিহাসিক ফিশার ইংল্যান্ডকে বিশ্বের শিল্পকারখানা বলেছেন।
কোন শহর ইউরােপের প্রথম শ্রেষ্ঠ শিল্পশহরের তকমা লাভ করেছিল ?
উত্তর ইংল্যান্ডের ম্যাঞ্চেস্টার শহর ইউরােপের প্রথম শ্রেষ্ঠ শিল্প শহরের তকমা লাভ করেছিল
45 ফরাসি সম্রাট নেপােলিয়নের মহাদেশীয় অবরােধ প্রথা প্রবর্তনের উদ্দেশ্য কী ছিল ?
উত্তর ফরাসি সম্রাট নেপােলিয়নের মহাদেশীয় অবরােধ প্রথা প্রবর্তনের উদ্দেশ্য ছিল ফরাসি শিল্পের বিকাশ।
46.কোন ফরাসি সম্রাটের আমলে ফ্রান্সে শিল্পবিপ্লবের সূচনা ?
উত্তর লুই ফিলিপের আমলে ফ্রান্সে শিল্পবিপ্লবের সূচনা হয়।
48.কোন ফরাসি সম্রাটের আমলে ফ্রান্সে শিল্পবিপ্লবের প্রকৃত প্রসার ঘটে?
উত্তর। তৃতীয় নেপােলিয়নের আমলে ফ্রান্সে শিল্পবিপ্লবের প্রকৃত প্রসার ঘটে।
ফ্রান্সে রেলপথের প্রসার ঘটে কোন সম্রাটের রাজত্বকালে ?
উত্তর ফ্রান্সে রেলপথের প্রসার ঘটে তৃতীয় নেপােলিয়নের রাজত্বকালে।
[49] জার্মানিতে শিল্পবিপ্লব দেরিতে শুরু হওয়ার মূল কারণ কী?
উত্তর জার্মানিতে শিল্পবিপ্লব দেরিতে শুরু হওয়ার মূল কারণ ছিল
প্রাক্--শিল্পবিপ্লব পর্বে জার্মানির রাজনৈতিক অনৈক্য।
50] জার্মানিতে শিল্পায়নে গতি আসে কার সময়ে ?
উত্তর জার্মানিতে শিল্পায়নে গতি আসে জার্মান চ্যান্সেলার
বিসমার্কের সময়ে।
[51) জার্মানিতে কোন শিল্পের প্রথম উন্নতি হয় ?
উত্তর জার্মানিতে কয়লা ও লৌহ-ইস্পাত শিল্পের প্রথম উন্নতি হয়।
I 52। জোলভেরেইন' কী ?
উত্তর জোলভেরেইন’ হল জার্মানির শুল্কসংঘ।
53 কত খ্রিস্টাব্দে জোলভেরেইন প্রতিষ্ঠিত হয়?
উত্তর ১৮১৯ খ্রিস্টাব্দে জোলভেৱেইন প্রতিষ্ঠিত হয়।
54.কোন রুশ জারের আমলে রাশিয়ায় শিল্পায়নের সূচনা হয়?
উত্তর। রুশ জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারের আমলে রাশিয়ায় শিল্পায়নের সূচনা হয়।
55 | রাশিয়ায় শিল্পবিপ্লবের অগ্রদূত' কাকে বলা হয় ?
উত্তর রাশিয়ায় শিল্পবিপ্লবের অগ্রদূত’ বলা হয় জার দ্বিতীয় আলেকজান্ডারকে।
নবম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায়ের ২ নং প্রশ্ন উত্তর
শিল্প বিপ্লব(2)
1 | বিপ্লব’ কী ?*
উত্তর বিপ্লব’ কথার অর্থ দ্রুত এবং আমূল পরিবর্তন। সাধারণত রাজনৈতিক ক্ষেত্রে বিপ্লব কথাটি ব্যবহার করা হয় যখন শাসনব্যবস্থার আমূল পরিবর্তন ঘটে। বিপ্লব এমন এক পরিবর্তন, যার ফলে সমাজ ও সভ্যতার রূপ বদলে যায়।
2 শিল্পবিপ্লব’ বলতে কী বােঝায়?
উত্তর শিল্পবিপ্লবের মূল কথা হল ‘বন্ধনমুক্তি’– মানবসমাজের সমাজ, অর্থনীতি এবং রাজনৈতিক ক্ষেত্রেও আমূল ও সুদূরপ্রসারী। পরিবর্তন আনে। গড়ে ওঠে শহরকেন্দ্রিক শিল্প সভ্যতা, শিল্পসমাজ ও সংস্কৃতি। তাই অধ্যাপক বার্নি, বেয়ার্ড প্রমুখ একে ‘বিপ্লব’নামে অভিহিত করেছেন। তবে হ্যাজেন, হেজ প্রমুখ ঐতিহাসিকরা ‘ শিল্পবিপ্লব' কথাটির পরিবর্তে ‘শিল্পবিবর্তন’ কথাটি ব্যবহারের পক্ষপাতী।
3.শিল্পবিপ্লব’ কথাটি প্রথম কে ব্যবহার করেন? কথাটিকে কে জনপ্রিয় করেন?
উত্তর ‘শিল্পবিপ্লব’ কথাটি প্রথম ব্যবহার করেন ফরাসি সমাজতাত্ত্বিক অগাস্তে ব্লাঙ্কি (১৮৩৭ খ্রিস্টাব্দ)। এই কথাটিকে জনপ্রিয় করেন ইংরেজ ঐতিহাসিক আর্নল্ড টয়েনবি। তার বিখ্যাত অক্সফোর্ড বক্তৃতামালায় (১৮৮০-৮১ খ্রি.)।
৪| শিল্পবিপ্লবের ‘উড়ানকাল’ বলতে কী বােঝায়?*
উত্তর দৈহিক শ্রমনির্ভর কুটিরশিল্পভিত্তিক উৎপাদন ব্যবস্থার পরিবর্তে স্বনির্ভর দ্রুত ও আধুনিক শিল্প উৎপাদন ব্যবস্থার বিকাশের চূড়ান্ত সময়কালকে ঐতিহাসিকরা শিল্পবিপ্লবের ‘উড়ানকাল’ বলে অভিহিত
করেছেন। আর্নল্ড টয়েনবি ১৯৪০-১৯৬০ খ্রিস্টাব্দকে ইংল্যান্ডের শিল্পবিপ্লবের উড়ানকাল বললেও সাম্প্রতিককালের বেশিরভাগ ঐতিহাসিক ১৭৬০-১৭৮০ খ্রিস্টাব্দ সময়কালকে উড়ানকাল বলে চিহ্নিত করার পক্ষপাতী। তবে ফিলিস ডিন প্রমুখ ঐতিহাসিকদের মতে, ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৭৮০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী সময়ে ইংল্যান্ডে শিল্পবিপ্লব্রে সূচনা হয়েছিল।
18কে, কেন ইংল্যান্ডকে ' লিশের কারখানা' বলেছেন ?
উত্তর। পৃথিবীর ইতিহাসে ইংল্যান্ডে প্রথম বস্ত্রবয়ন ও অন্যান্য শিল্পের ক্ষেত্রে শিল্পবিপ্লব ঘটে। কারখানায় উৎপাদিত দ্রব্যকে ইংল্যান্ড সমগ্র বিশ্বের বাজারজাত করতে তৎপর হয়। সেইজন্য ঐতিহাসিক ফিশার ইব্যান্ডকে ‘বিশ্বের কারখানা' বলেছেন।
19 fল্পবিপ্লবের ক্ষেত্রে ইংল্যান্ডকে কেন ইউরােপের শিক্ষক বলা হয় ?
উত্তর অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে ইংল্যান্ডে বিভিন্ন বৈজ্ঞানিক আবিষ্কার শিল্পবিপ্লবের অনুকূল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে এবং পরবর্তীকালে ফ্রান্স, জার্মানি ও রাশিয়া ইল্যোন্ডের প্রযুক্তি ও পরিকাঠামাে অনুসরণ করেই তাদের দেশে শিল্পায়ন ঘটায়। এইসব দেশের প্রযুক্তিবিদরা ইল্যোন্ড থেকে শিক্ষা, বিভিন্ন যন্ত্রপাতি ও বিশেষজ্ঞ নিজেদের দেশে নিয়ে গিয়ে শিল্পোন্নয়নের প্রচেষ্টা চালায়। অর্থাৎ ইংল্যান্ডই ছিল তাদের মডেল বা ‘আদর্শ’– তাই শিল্পবিপ্লবের ক্ষেত্রে ইংল্যান্ডকে ইউরােপের শিক্ষক' বলা হয়।
23 ফ্রান্সে শিল্পবিপ্লব কখন শুরু হয়?
উত্তর ঊনবিংশ শতাব্দীর মধ্যভাগে ফ্রান্সে শিল্পায়ন শুরু হয় আমেরিকান ঐতিহাসিক লুই ডানহাম বলেন, ১৮১৪ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সে আধুনিক শিল্পায়ন শুরু হয় এবং ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ তা বৈপ্লবিকরূপ
পরিগ্রহ করে। ঐতিহাসিক রােস্টো ১৮৩০-১৮৬০ খ্রিস্টাব্দকে ফ্রান্সের শিল্পবিপ্লবের বিকাশের কাল বলে ধরেছেন।
62 লুডাইট আন্দোলন’ কী ?*
উত্তর ব্রিটেনের শােষিত শ্রমিকশ্রেণি এক সময় উপলব্ধি করেছিল যে, যন্ত্র বা মেশিনের জন্যই তাদের এত দুঃখদুর্দশা। দুঃখদুর্দশার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য শ্রমিকরা নেড লুড নামে এক শিক্ষার্থী শ্রমিকের
নেতৃত্বে কলকারখানার মেশিন ভেঙে আন্দোলন করে। এই আন্দোলন চলেছিল ১৮১১ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮১৭ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত। এই আন্দোলন লুডাইট আন্দোলন’ নামে পরিচিত।
63| কম্বলধারীদের অভিযান’ (March of the Blanketeers)বলতে কী বােঝায়?
উত্তর ১৮১৫ খ্রিস্টাব্দের পর থিসেলউড নামে এক উগ্রপন্থী শ্রমিক নেতার নেতৃত্বে বন্দুকের দোকানে লুঠের ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্রিটিশ সরকার শ্রমিকদের সভা নিষিদ্ধ করে। এর প্রতিবাদে প্রায় ৫০ হাজার শ্রমিক সেন্ট পিটার ময়দানে সপরিবারে কম্বল কঁাধে জমায়েত হয়। এই সভাকেই কম্বলধারীদের অভিযান বা March of the Blanketeers বলা হয়।
(66| ফ্যাক্টরি আইন' কেন পাস করা হয় ?*
উত্তর কলকারখানায় নারী ও শিশুরা কী অবস্থায় কাজ করে তা জানার জন্য ব্রিটিশ পার্লামেন্ট কমিশন নিয়ােগ করে। এই কমিশন বয়স অনুযায়ী কাজের সময়সীমা ও কাজের প্রকৃতি নির্দিষ্ট করে আইন পাস করে। এই আইনকেই ফ্যাক্টরি আইন’ বলে।
69 ‘প্যারি কমিউন কি
উত্তর ফ্রান্সের প্যারিস শহরে বিপ্লবী শ্রমিকরা ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দের ১৮ মার্চ এক অভ্যুত্থানের মাধ্যমে ‘প্যারি কমিউন' নামে একটি সংগঠন গড়ে তােলে। প্যারি কমিউনের আন্দোলন ছিল জার্মান সৈন্য ও ফরাসি রাষ্ট্রপতি থিয়ার্সের সরকারের বিরুদ্ধে। প্যারি কমিউন গঠনো কারণ ছিল থিয়ার্সের সরকারে রাজতন্ত্রীদের প্রাধান্য ও থিয়ার্সের জনবিরোধী নীতি। প্যারি কমিউন দমিত হলেও এটি ছিল পরবর্তীশ্রমিক আন্দোলনগুলির কাছে এক উল্লেখযােগ্য দৃষ্টান্ত।
70| বজাত রবিবার' (Bloody Sunday) বলতে কী বােঝায়?
উত্তর ১৯০৫ খ্রিস্টাব্দে রুশ-জাপান যুদ্ধে রাশিয়া পরাজিত হয়। এই সময় জার শাসনের বিরুদ্ধে রাশিয়ায় তীব্র আন্দোলন গড়ে ওঠে। ২২ জানুয়ারি রবিবার সেন্ট পিটারসবার্গেশ্রমিকরা একটি শান্তিপূর্ণ মিছিলে শামিল হন। রুশ সৈন্য মিছিলের উপর গুলিবর্ষণ করলে প্রচুর শ্রমিক নিহত হন। এই ঘটনাকে রক্তাক্ত রবিবার’ বলা হয়।
104 ভারতকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রত্ন’ বলা হয় কেন?
উত্তর ভারতকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রত্ন’ বলা হত। কারণ- ভারত ছিল ব্রিটেনের উপনিবেশগুলির মধ্যে প্রধান। ভারতের অর্থনীতি ব্রিটেনের স্বার্থেই পরিচালিত হত।
2] ভারতকে ব্রিটিশ পণ্য বিক্রির উন্মুক্ত বাজার হিসেবে ব্যবহার করা ও ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ নাগাদ ব্রিটেনের ল্যাঙ্কাশায়ারে তৈরি সুতির কাপড়ের ৮৫% কাপড় বিক্রি হত ভারতে।
106 উগ্র জাতীয়তাবাদ' বলতে কী বােঝাে?
উত্তর প্রথম বিশ্বযুদ্ধের (১৯১৪ খিস্টাব্দ) প্রারম্ভে ইউরােপের বিভিন্ন জাতি নিজ নিজ জাতিগত শ্রেষ্ঠত্বের তত্ত্ব প্রচার করে জাতিবৈরিতার সৃষ্টি করে। এক শ্রেণির বুদ্ধিজীবী, ঐতিহাসিক ও সাহিত্যিকরা এই জাতীয়তাবাদ প্রচার করতে থাকেন। যেমন— জার্মান ঐতিহাসিকেরা টিউটনিক জাতির শ্রেষ্ঠত্ব প্রচার করতে থাকেন। ইংল্যান্ডে প্রচারিত হয় অ্যাংলাে-স্যাক্সন জাতির শ্রেষ্ঠত্ব। এইভাবে বিভিন্ন জাতি নিজেদের শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করার জন্য উগ্র জাতীয়তাবাদী ধ্যানধারণার জন্ম দিয়েছিল।
105.আফ্রিকা মহাদেশকে অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ’ বলা হত কেন ?
উত্তর আফ্রিকা মহাদেশ ভৌগােলিক অবস্থানের দিক দিয়ে ইউরােপের সবচেয়ে কাছে হলেও এর অন্তর্ভাগ ঊনবিংশ শতাব্দীর তৃতীয় দশক পর্যন্ত ইউরােপবাসীর কাছে ছিল অজ্ঞাত ও অনাবিস্তৃত। আফ্রিকার শাপদসংকুল গহন অরণ্য, দুর্গম পর্বত ও খরস্রোতা নদীসমূহ, উষর মরুভূমি, অস্বাস্থ্যকর জলবায়ু ও আদিম অধিবাসীদের প্রতিকূলতার কারণে মহাদেশটি অন্ধকারাচ্ছন্ন মহাদেশ’নামে পরিচিত।
138 ত্রিশক্তি মৈত্রী' বা ত্রিপল অ্যালায়েন্স' কবে, কাদের মধ্যে স্বাক্ষরিত হয়? এর প্রধান শর্ত কী ছিল ?*
উত্তর ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে বিসমার্কের উদ্যোগে জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও ইটালির মধ্যে যে আত্মরক্ষামূলক ও অনাক্রমণ চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়, তা ত্রিশক্তি মৈত্রী’ নামে পরিচিত। এই চুক্তির শর্তানুসারে চুক্তিবদ্ধ রাষ্ট্রগুলি কোনাে এক বা একাধিক রাষ্ট্র দ্বারা আক্রান্ত হলে অপর রাষ্ট্রগুলি তাকে সাহায্য করবে।
143 সেরাজেভাে হত্যাকাণ্ড' কী? অথবা, প্রথম বিশ্বযুদ্ধের
উত্তর ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দের ২৮ জুন অস্ট্রিয়ার যুবরাজ ফ্রান্সিস ফার্দিনান্দ ও তার পত্নী সােফিয়া বসনিয়ার রাজধানী সেরাজেভাে পরিদর্শনকালে এক সাৰ আততায়ীর হাতে নিহত হন। এই হত্যাকাণ্ডই ‘সেরাজেভাে হত্যাকাণ্ড' নামে পরিচিত। এই হত্যাকাণ্ডের জন্য অস্ট্রিয়া সার্বিয়াকে দায়ী করে এক চরমপত্র পাঠায়। সার্বিয়া এই দাবি মানতে অস্বীকার রলে অস্ট্রিয়া সার্বিয়া আক্রমণ করে এবং প্রথম বিশ্বযুদ্ধ শুরু হয়।
শিল্প বিপ্লব উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ 4 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর
নবম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায়ের ৪ নং প্রশ্ন উত্তর
শিল্প বিপ্লব(4)
3 শিল্পবিপ্লবের বৈশিষ্ট্যগুলি লেখাে।* ২
উত্তর শিল্পবিপ্লবের বৈশিষ্ট্য : শিল্পবিপ্লবের বৈশিষ্ট্যগুলি বিশেষভাবে লক্ষণীয়—
1] আকস্মিক ঘটনা নয় : অষ্টাদশ শতাব্দী থেকে বহু মানুষের যৌথ প্রচেষ্টায় অত্যন্ত ধীরগতিতে শিল্পবিপ্লব সংঘটিত হয়েছে। অর্থাৎ ফরাসি বিপ্লবের মতাে এটি কোনাে আকস্মিক ঘটনা নয়।
2 | একই সময়ে সর্বত্র শুরু হয়নি । অষ্টাদশ শতাব্দীতে শিল্পবিপ্লব প্রথম দেখা যায় ইংল্যান্ডে। কিন্তু ইউরােপের বাকি দেশগুলিতে এই একই সময়ে শিল্পবিপ্লব শুরু হয়নি, অনেক দেরিতে হয়েছিল।
3। চিরাচরিত অর্থনৈতিক কাঠামাের পরিবর্তন শিল্পবিপ্লবের পূর্বে ইউরােপের অর্থনীতি ছিল কৃষিভিত্তিক। শিল্পবিপ্লবের ফলে কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি শিল্পভিত্তিক অর্থনীতিতে রূপান্তরিত হয়।
শহবের উত্থান : শহরগুলি ছিল শিল্প উৎপাদনের প্রধান কেন্দ্র। তাই কলকারখানায় জীবিকা অর্জনের উদ্দেশ্যে গ্রাম থেকে বহু মানুষ শহরে চলে আসতে শুরু করে। এর ফলে শিল্পকেন্দ্রিক নগর-সভ্যতা গড়ে ওঠে।
5) প্রযুক্তি ও কৌশলগত উন্নতি : শিল্পবিপ্লবের ফলে সবক্ষেত্রে প্রযুক্তি ও কৌশলগত উন্নতি পরিলক্ষিত হয়।
16 | ঐতিহাসিক বা রাজনৈতিক বিপ্লব নয় : শিল্পবিপ্লব মানুষের বুদ্ধিও বৈজ্ঞানিক প্রচেষ্টার ফল, তাই এটি কোনাে ঐতিহাসিক বা রাজনৈতিক বিপ্লব নয়।
14| শিল্পবিপ্লব কী ? এর সুফলগুলি লেখাে। (3)
উত্তর শিল্পবিপ্লব : অষ্টাদশ শতকের মাঝামাঝি সময়ে ইংল্যান্ডে ও ক্ৰমে ইউরােপের অন্যান্য অংশে দৈহিক শ্রমের পরিবর্তে যন্ত্রের মাধ্যমে
উৎপাদন ব্যবস্থায় যে ব্যাপক পরিবর্তন ঘটে, তাকে ‘শিল্পবিপ্লব’ বলা হয়।
শিল্পবিপ্লবের সুফল :শিল্পবিপ্লবের ফলে সমাজে কিছু ইতিবাচক নগরকেন্দ্রিক সমাজ সৃষ্টি শিল্পবিপ্লবের ফলে শিঙা বা বলা ও ব্যাবসাস্থলকে কেন্দ্র করে নতুন নতুন নগরের তাত্তি হয়।গ্রামের কৃষক ও সাধারণ মানুষ অর্থ উপার্জন ও উন্ন জীবনযাপনের জন্য দলে দলে শহরে আসতে থাকে। এর সং)
2 | বিলাসবহুল জীবনযাপন : শিল্পবিপ্লবের ফলে পরিধেয় থেকে পরিবহন সর্বক্ষেত্রে আরাম ও বিলাসের অজস্র উপকরণ নির্মিত হতে থাকে। অর্থের বিনিময়ে সেইসব দ্রব্য ক্রয় করে মানুষ নিজেদের জীবনকে বিলাসবহুল করে তােলে।
3 | প্রকৃতিকে জয় শিল্পবিপ্লবের ফলে আবিষ্কৃত বৈজ্ঞানিক যন্ত্রপাতি দ্বারা মানুষ প্রাকৃতিক শক্তিকে জয় করার কাজে লিপ্ত হয়।কয়লা, খনিজ তেল, জল প্রভৃতি প্রাকৃতিক উপাদান থেকে বিদ্যুৎ তৈরিতে মানুষ সক্ষম হয়।
4। সময়ের সাশ্রয় : শিল্পবিপ্লবের ফলে কায়িক শ্রমের পরিবর্তে যন্ত্রের দ্বারা অল্প সময়ে অধিক দ্রব্য উৎপাদনে মানুষ সক্ষম হয়। এর ফলে সময়ের অনেক সাশ্রয় হয়।
[5] শ্রমবিভাজন নীতির উদ্ভব শিল্পবিপ্লবের পূর্বে একজন শ্রমিক নিজে সম্পূর্ণ একটি দ্রব্য তৈরি করত। কিন্তু শিল্পবিপ্লবের ফলে একটি দ্রব্য বিভিন্ন শ্রমিকের মিলিতশ্রমে তৈরি হয়।অর্থাৎ একজন শ্রমিক একটি দ্রব্যের একটি অংশ তৈরির সঙ্গে যুক্ত হয়—পুরো দ্রব্যের সঙ্গে নয়। ফলে বিশেষীকরণের (Specialization) উদ্ভব হয় এবং দ্রব্যের গুণগত মান বৃদ্ধি পায়।
6। ব্যাবসাবাণিজ্যের প্রসার : শিল্পবিপ্লবের ফলে দ্রব্যের উৎপাদন প্রচুর পরিমাণে বৃদ্ধি পেয়েছিল। উৎপাদন বৃদ্ধির ফলে ব্যাবসাবাণিজ্যের প্রসার ঘটেছিল। ইংল্যান্ডের উৎপাদিত সামগ্রী পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের বাজারে ছেয়ে গিয়েছিল।
7। কর্মক্ষেত্রের প্রসার : কর্মক্ষেত্রের ব্যাপক প্রসার ঘটে শিল্পবিপ্লবের ফলে। শিল্পবিপ্লবের পূর্বে বেশিরভাগ মানুষ কৃষিকাজ বা হস্তচালিত তাঁতশিল্পে নিযুক্ত থাকত। কিন্তু শিল্পবিপ্লবের পর মানুৰ কলকারখানায় বিভিন্ন শিল্পকর্মে নিযুক্ত হয়।
৪ | সাম্যবাদের উদ্ভব : শিল্পবিপ্লবের পরােক্ষ ফল ছিল সান্যবাদ বা সমাজতন্ত্রের উদ্ভব। কারণ শিল্পবিপ্লবের ফলে সমাজে শ্রমিক ও মালিকশ্রেণির মধ্যে অসাম্য সৃষ্টি হয়েছিল। এই অসাম্য দূর করার ।
জন্য পরবর্তীকালে সাম্যবাদ বা সমাজতন্ত্রের উদ্ভব হয়।
21 ঘেটো (Ghetto) বলতে কী বােঝায় ?*
উত্তর ঘেটো (Ghetto) বলতে বােঝায় শহরের একটি নির্দিষ্ট অংশে বসবাসকারী দরিদ্র জনগােষ্ঠী অধ্যুষিত এলাকা, বস্তি এলাকা বা মহল্লা। এগুলিতে সাধারণত একই ধর্ম, বর্ণ ও একই অর্থনৈতিক অবস্থাসম্পন্ন।
দরিদ্র মানুষ বসবাস করত। অবস্থাপন্ন বা ধনী শহরবাসীরা ঘেটো বা। প্রবাসীদের অবজ্ঞার দৃষ্টিতে দেখত। অনেক জায়গায় শহর থেকে
|ঘেটোগুলিকে পৃথক করার জন্য দেয়াল তৈরি করা ও দরজা লাগানাে হত ঘেটো
শিল্পবিপ্লবের পরবর্তীকালে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স-সহ ইউরােপের বিভিন্ন দেশের গ্রামাঞ্চলে কৃষিকাজ ও কুটিরশিল্পে নিযুক্ত বহু মানুষ কলকারখানায় কাজের আশায় গ্রাম ছেড়ে শহরে চলে আসতে থাকে
এইসব বহিরাগত মানুষদের অনেকে স্বল্প বেতনে শহরের কলকারখানায় কাজ করে থাকে এবং ‘ঘেটো’অর্থাৎ শহরের প্রত্যন্ত অঞ্চলে বসবাস শুরু করে। শিল্পশ্রমিকরা বাধ্য হত এইসব বস্তিতে বাস করতে। এই বস্তির পরিবেশ ছিল নােংরা ও অস্বাস্থ্যকর। শ্রমিক জীবন ছিল নিরানন্দময় ধীরে ধীরে শ্রমিক বস্তিগুলি নৈতিক অবক্ষয়ের পথে চলে যায়।
22 শিল্পবিপ্লবের অর্থনৈতিক প্রভাব কী ছিল? অথবা, শিল্পবিপ্লবের অর্থনৈতিক ফলাফল সম্পর্কে লেখাে।
উত্তর শিল্পবিপ্লব ইউরােপ মহাদেশ তথা বিশ্বের ইতিহাসে এক| যুগান্তকারী ঘটনা। অর্থনৈতিক ক্ষেত্রে শিল্পবিপ্লবের প্রভাব অপরিসীম।
৯ অর্থনৈতিক প্রভাব :
1| পুঁজিবাদী অর্থনীতির উদ্ভব : শিল্পবিপ্লবের ফলে এক নতু পুঁজিপতি শ্রেণির উদ্ভব হয়। এই পুঁজিপতি শ্রেণি সমাজ । রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হয়ে ওঠে।
2। যৌথ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের উদ্ভব : পুঁজিপতিরা পণ্যদ্র- উৎপাদনের জন্য শিল্পকারখানায় প্রচুর মূলধন বিনিয়ােগ ক আবার অনেক ধনী ব্যক্তি একসঙ্গে একটি শিল্পেও অর্থ বিনিয়ে করার ফলে যৌথ বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের উদ্ভব হয়।
31টাকা লেখাে : কাল মাকস (Karl Marx)+4
উত্তর কার্ল মার্কস (১৮১৮-১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দ) হলেন জার্মানির। একজন বিখ্যাত দার্শনিক। তাকে আধুনিক সমাজতন্ত্রবাদের জনক বলে । অভিহিত করা হয়। তার মতবাদ মার্কসবাদ নামে অধিক পরিচিত। তার।
রচিত বিখ্যাত গ্রন্থ হল—কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো’, ‘দাস ক্যাপিটাল। প্রভৃতি। দাস ক্যাপিটাল’ গ্রন্থটিকে সমাজতন্ত্রবাদের বাইবেল’ বলা। হয়।
* পূর্বজীবন : কার্ল মার্কস ১৮১৮ খ্রিস্টাব্দের ৫ মে জার্মানির টিয়ার শহরে এক মধ্যবিত্ত ইহুদি পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। মার্কস ছিলেন অত্যন্ত মেধাবী ছাত্র। তার প্রিয় বিষয় ছিল আইন, ইতিহাস ও দর্শন।
ছাত্রজীবনে তিনি প্রখ্যাত দার্শনিক হেগেলের মতবাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে সমাজতন্ত্রী ভাবধারার প্রতি আকৃষ্ট হন। ১৮৪১ খ্রিস্টাব্দে তিনি ইয়েনা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে দর্শনশাস্ত্রে ডক্টরেট উপাধি লাভ করেন। মার্কস ও ফ্রেডরিখ এঙ্গেলস সহযােগিতা : কার্ল মার্কস
রেইনিকো জাইটুঙ্গ’ নামে একটি উগ্রপন্থী সংবাদপত্রের সম্পাদনার কাজে যুক্ত হওয়ার জন্য স্বদেশ থেকে বিতাড়িত হন এবং ফ্রান্সের প্যারিস শহরে আশ্রয়গ্রহণ করেন। এখানেই তার ফ্রেডরিখ এঙ্গেলসের সঙ্গে
পরিচয় হয় এবং তাদের মধ্যে প্রগাঢ় বন্ধুত্ব তৈরি হয়। পরে ফ্রান্স থেকে বিতাড়িত হয়ে তারা বেলজিয়ামের ব্রাসেলস শহরে আশ্রয় গ্রহণ করেন।
কার্যাবলি : ® কার্ল মার্কস ও ফ্রেডরিখ এঙ্গেলস ১৮৪৭ খ্রিস্টাব্দে ব্রাসেলসে শ্রমজীবীদের নিয়ে কমিউনিস্ট লিগ নামে একটি সংগঠন গড়ে তােলেন। @ ১৮৪৮ খ্রিস্টাব্দে তারা রচনা করেন কমিউনিস্ট ম্যানিফেস্টো'। ১৮৬৭ খ্রিস্টাব্দে রচনা করেন 'দাস ক্যাপিটাল'। @ পরবর্তীকালে তিনি জার্মানিতে প্রত্যাবর্তন করে বিতাড়িত হয়ে তিনি ইংল্যান্ডে আশ্রয় নেন। ১৮৮৩ খ্রিস্টাব্দের ১৪ সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে অংশগ্রহণ করেছিলেন। পুনরায় দেশ থেকে ।মার্চ মহান দার্শনিক কার্ল মার্কস পরলােকগমন করেন।
39 ভারতকে 'ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের রত্ন' বলা হয় কেন ?)
উত্তর ভারত ছিল ব্রিটিশদের উপনিবেশগুলির মধ্যে অন্যতম প্রধান উপনিবেশ। অস্টাদশ শতকের শেষদিক থেকে পরবর্তী দেড় শতকে ঔপনিবেশিক ব্রিটিশ প্রশাসন ভারতের অর্থসম্পদকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের স্বার্থে কাজে লাগাতে সচেষ্ট হয়।
১৮৫৭ খ্রিস্টাব্দের মহাবিদ্রোহের সময়ে ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের যাবতীয় খরচ ভারত থেকেই আদায় করার কথা বলা হয়।
[2] ভারতের বাজারকে ব্রিটেনে উৎপাদিত পণ্যসামগ্রী বিক্রির জন্য উন্মুক্ত করা হয়। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দের হিসাব অনুসারে ব্রিটেনের ল্যাঙ্কাশায়ারে তৈরি সুতির কাপড়ের ৮৫% ভারতে বিক্রি হত।
3 ভারতে রেলপথ ও রেলগাড়ি নির্মাণের জন্য ব্যবহৃত লৌহ-ইস্পাতের ১৭% ব্রিটেন থেকে আনা হত। ভারতীয় উপনিবেশের শিল্প-বাণিজ্যের অভিমুখ ব্রিটেনের স্বার্থে পরিচালিত হত। অর্থাৎ সবদিক থেকে ভারত ছিল ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের অন্যতম লাভজনক উপনিবেশ। তাই ভারতকে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের মধ্যে সবচেয়ে দামি রত্ন’ বলা হত।
44 চিন ও আফ্রিকার ঔপনিবেশিক ব্যবচ্ছেদ সম্বন্ধে কী জান?
উত্তর ঊনবিংশ শতকে ইউরােপীয় রাষ্ট্রগুলি চিন ও আফ্রিকায় উপনিবেশ বিস্তার করে, ফলে আফ্রিকা ও চিন বিভিন্ন ইউরােপীয় রাষ্ট্রগুলির মধ্যে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল।
চিনের ব্যবচ্ছেদ : ঔপনিবেশিক ও বাণিজ্যিক আধিপত্য স্থাপনকে কেন্দ্র করে চিন বিভিন্ন ঔপনিবেশিক শক্তিগুলির মধ্যে ভাগ হয়ে গিয়েছিল। যেমন— চিনের লিয়াও টুং উপদ্বীপ ও পাের্ট আর্থার বন্দর দখল করে রাশিয়া।@ জার্মানি দখল করে কিয়াওচাও বন্দর এবং শানটুং প্রদেশ। ব্রিটেন দখল করে ওয়াইহ্যাওয়ে বন্দর। এ ছাড়া ফ্রান্স ইন্দোচিনের আনাম থেকে চিনের ভিতর পর্যন্ত রেলপথ স্থাপনের অধিকার পায়।
আফ্রিকার ব্যবচ্ছেদ : ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৮৯৫ খ্রিস্টাব্দের মধ্যে আফ্রিকার ৯/১০ ভূখণ্ড ইউরােপীয় শক্তিগুলি নিজেদের মধ্যে ভাগ বাটোয়ারা করে নেয়। আলােচ্য সময়কালে আফ্রিকার ৪.৫ মিলিয়ন বর্গমাইল ভূখণ্ডে ব্রিটেনের, ৩.৫ মিলিয়ন বর্গমাইল ভূখণ্ডে ফ্রান্সের, ১ লক্ষ বর্গমাইল ভূখণ্ডে জার্মানির এবং ১ লক্ষ ৮৫ হাজার। বর্গমাইল ভূখণ্ডে ইটালির আধিপত্য স্থাপিত হয়। ভূখণ্ডের পাশাপাশি আফ্রিকার জনসংখ্যাও ব্রিটেন, রাশিয়া, ইটালি, জার্মানি প্রভৃতি রাষ্ট্রের মধ্যে ভাগাভাগি হয়ে গিয়েছিল।
46| প্রথম বিশ্বযুদ্ধের আগে কীভাবে ‘ত্রিশক্তি মৈত্রী’ গড়ে উঠেছিল ?
(উত্তর। ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে সেডানের যুদ্ধ ও ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের মধ্যবর্তী সময়ে ইউরােপের বিভিন্ন শক্তিশালী রাষ্ট্রগুলি দুটি পরস্পরবিরােধী শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ে, যার একদিকে ছিল জার্মানি,
অস্ট্রিয়া ও ইটালিকে নিয়ে গড়ে ওঠা ত্রিশক্তি মৈত্রী’(Triple Alliance) এবং অন্যদিকে ছিল ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও রাশিয়াকে নিয়ে গঠিত ত্রিশক্তি আঁতাত’ (Triple Entente)।
এ ‘ত্রিশক্তি মৈত্রী' গঠন ; ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও ইটালির মধ্যে ত্রিশক্তি মৈত্রী স্বাক্ষরিত হয়। ত্রিশক্তি মৈত্রী গড়ে ওঠার বিভিন্ন পর্যায়গুলি হল-
[1| তিন সম্রাটের চুক্তি : জার্মানিকে শক্তিশালী এবং প্রতিপক্ষ ফ্রান্সকে ইউরােপীয় রাজনীতিতে নিঃসঙ্গ করে রাখার জন্য বিসমার্ক ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও রাশিয়ার ‘তিন সম্রাটের চুক্তি’ বা ‘ড্রেইকাইজারবুন্ড’ গঠন করেন।
দ্বিশক্তি চুক্তি : ১৮৭৮ খ্রিস্টাব্দে বার্লিন কংগ্রেসে জার্মানির বিরুদ্ধে অস্ট্রিয়ার প্রতি পক্ষপাতিত্বের অভিযােগ এনে রাশিয়া তিন সম্রাটের চুক্তি তথা ড্রেইকাইজারবুন্ড চেড়ে বেরিয়ে আসে। ফলে তিন সম্রাটের চুক্তি ভেঙে যায় এবং জার্মানি ও অস্ট্রিয়ার মধ্যে ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে দ্বিশক্তি চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
3 তিন সম্রাটের লিগ ফ্রান্সের সঙ্গে রাশিয়ার যাতে কোনাে জোট গঠিত না হতে পারে সেইজন্য বিসমার্কের উদ্যোগে ১৮৮১ খ্রিস্টাব্দে জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে তিন সম্রাটের লিগ বা ‘ড্রেইকাইজারবুনিস’ গঠিত হয়। ত্রিশক্তি মৈত্রী বিসমার্ক তিন সম্রাটের লিগে ইটালিকে যুক্ত করার প্রচেষ্টা চালান।বিসমার্কের উদ্যোগেই ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় জার্মানি, ইটালি ও অস্ট্রিয়ার মধ্যে ত্রিশক্তি
মৈত্রী (Triple Alliance) স্বাক্ষরিত হয়। পরে রােমানিয়া এবং তুরস্ক এই চুক্তির অন্তর্ভুক্ত হয়েছিল।
ও ‘ত্রিশজি আঁতাত' গাঠন : ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স এবং রাশিয়ার মধ্যে গঠিত হয় ত্রিশক্তি আঁতাত (Triple Entente)। ত্রিশক্তি আঁতাত গড়ে ওঠায় বিভিন্ন পর্যায়গুলি হল-বিইবেল চুক্তি বাতিল জার্মানির প্রধানমন্ত্রী বিসমার্ক ১৮৮৭ খ্রিস্টাব্দে রাশিয়ার সঙ্গে অনাক্রমণমূলক রি-ইনস্যুরেন্স চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন। কিন্তু বিসমার্কের পতনের পর কাইজার দ্বিতীয় উইলিয়ম ১৮৯০ খ্রিস্টাব্দে রাশিয়ার সঙ্গে রি-ইনস্যুরেন্স চুক্তি বাতিল করেন। এর ফলে জার্মানির প্রতি রাশিয়া ক্ষুব্ধ হয়।
12 ফ্রান্স-রাশিয়া মৈত্রী চুক্তি : জার্মানির বিরুদ্ধে ক্ষুব্ধ রাশিয়া এবং ফ্রান্স পরস্পরের কাছে আসতে শুরু করে এবং উভয়ের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বৃদ্ধি পায়। ১৮৯৩ খ্রিস্টাব্দে তাদের মধ্যে একটি গােপন চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। এর পরের বছরই অর্থাৎ ১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্স ও রাশিয়া পরস্পর মৈত্রী চুক্তিতে আবদ্ধ হয়।
3। ফ্রান্স ও রাশিয়ার সঙ্গে ইংল্যান্ডের চুক্তি ; এই পরিস্থিতিতে ইংলভ সমস্ত বিরােধ ভুলে ফ্রান্স ও রাশিয়ার সঙ্গে মিত্রতা যাপন করে। ফলস্বরূপ ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দে প্রথমে ই-ফরাসি মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়। পরে ফ্রান্সের মধ্যস্থতায় ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দেইংল্যান্ড ও রাশিয়ার মধ্যেই-রুশ মৈত্রী চুক্তি স্বাক্ষরিত ব্রিশক্তিআঁতাত:১৮৯৪ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্স-রাশিয়া মৈত্রী চুক্তি, ১৯০৪ খ্রিস্টাব্দেই-হাসি চুক্তি এবং ১৯০৭ খ্রিস্টাব্দে ইঙ্গ-রুশ চুক্তিস্বাক্ষরের মাধ্যমে ইংল্যান্ড, ফ্রান্স ও রাশিয়া পরস্পরের খুব কাছে
চলে আসে। এমতাবস্থায় এই তিনটি দেশের মধ্যে ত্রিশক্তি আঁতাত (Triple Entente) গঠিত হয়।
ত্রিশক্তিমৈত্রী এবং ত্রিশক্তিআঁতাত’গঠনের ফলে বিংশ শতাব্দীর শুরুতে ইউরােপ প্রকৃতপক্ষে দুটি শিবিরে বিভক্ত হয়ে পড়ে। এই দুই বিরােধী শিবিরের পারস্পরিক প্রতিদ্বন্দ্বিতার কারণেই প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূচনাঘটে।
47টীকা লেখাে : ত্রিশক্তি মৈত্রী (Triple Alliance) ও ত্রিশক্তি আঁতাত (Triple Entente)।*
উত্তর উনবিংশ শতকের শেষ ও বিংশ শতকের শুরুতে ইউরােপীয় রাজনীতিতে তীব্র ঔপনিবেশিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা দেখা দেয় সমগ্র ইউরােপ এর ফলে দুটি পরস্পর বিবদমান সশস্ত্র শিবিরে ভাগ হয়ে যায়— @ ত্রিশক্তি মৈত্রী (Triple Alliance) এবং @ ত্রিশক্তি siulo (Triple Entente) !
1; ত্রিশক্তি মৈত্রী : ১৮৭১ খ্রিস্টাব্দের পর বিসমার্কের প্রধান লক্ষ্য ছিল ইউরােপের শক্তিসাম্য বজায় রাখা এবং ফ্রান্সকে দুর্বল করে রাখা। ১৮৭৩ খ্রিস্টাব্দে তিনি জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও রাশিয়ার মধ্যে তিন সম্রাটের সংঘ বা ড্রেইকাইজারবুন্ড স্থাপন করেন। তবে তা দীর্ঘস্থায়ী হয়নি। ফলে ১৮৭৯ খ্রিস্টাব্দে বিসমার্ক গােপনে অস্ট্রিয়ার সঙ্গে দ্বিশক্তি চুক্তি স্বাক্ষর করেন। পরে ফ্রান্স ও ইটালিরদ্বন্দ্বের সুযােগে তিনি ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে ইটালিকেও চুক্তিতে যুক্ত করেন। ফলে দ্বিশক্তি চুক্তি ত্রিশক্তি মৈত্রীতে পরিণত হয়। এইভাবে ১৮৮২ খ্রিস্টাব্দে জার্মানি, অস্ট্রিয়া এবং ইটালির মধ্যে ত্রিশক্তি মৈত্রী গড়ে ওঠে।
চতুর্থ অধ্যায় শিল্প বিপ্লব উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ বড় প্রশ্ন উত্তর,
নবম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায়ের ৮ নং প্রশ্ন উত্তর
শিল্প বিপ্লব (8)
11 ঔপনিবেশিকতাবাদ' বা 'সাম্রাজ্যবাদ’ কী ? এর উদ্ভবের কারণগুলি আলােচনা করাে।
উত্তর
ঔপনিবেশিকতাবাদ বা সাম্রাজ্যবাদ : শিল্পবিপ্লবের প্রাক্কালে সাম্রাজ্যবাদ বলতে বিজিত দেশে স্থানিক অধিকার (Territorial Domination) বলবৎ করাকেই বােঝাত। কিন্তু শিল্পবিপ্লবের পর সাম্রাজ্যবাদ বলতে বিজিত দেশের কেবল ভৌমিক অধিকারই নয়, তার জনশক্তি, সংস্কৃতিসহ সবকিছুকেই গ্রাস করে সাম্রাজ্যবাদী দেশের স্বার্থে ব্যবহার করাকে বােঝায়। এই ধরনের সাম্রাজ্যবাদকে নয়া সাম্রাজ্যবাদ
(New Imperialism)-ও বলা হয়।
সাম্রাজ্যবাদের উদ্ভানর কারণ : ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দের পরবর্তী সময়ে ইউরােপের রাষ্ট্রগুলির মধ্যে উপনিবেশ বিস্তারে আকস্মিক আগ্রহ লক্ষ করা যায়। তবে এই উপনিবেশ বিস্তারের কারণগুলি সম্পর্কে ঐতিহাসিকরা একমত নন।
অর্থনৈতিক কারণ :
: ব্রিটিশ অর্থনীতিবিদ জে এ হবসন তার গ্রন্থ 'Imperialism-A Study'-তে সাম্রাজ্যবাদের অর্থনৈতিক ব্যাখ্যা দেন। তিনি বলেছেন যে, পুঁজিবাদী সমাজব্যবস্থায় ধনবণ্টনের বৈষম্যের জন্য পুঁজিবাদীদের হাতে মাত্রাতিরিক্ত সঞ্চয়ের ফলে মূলধনের প্রাচুর্য দেখা দেয়।
মাত্রাতিরিক্ত মূলধনের লগ্নির ক্ষেত্র অনুসন্ধানের জন্য সাম্রাজ্যবাদের প্রসার ঘটে। মূলধন লগ্নির জন্যই পুঁজিপতিরা তাদের সরকারকে উপনি স্থাপনে বাধ্য করে তােলে।
হিলফারডিং-এর মত : অস্ট্রিয়ার মার্কসবাদী তাত্ত্বিক হিলফারডিং বুর্জোয়া রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক সক্রিয়তার মধ্যে সাম্রাজ্যবাদের উহাড়ে কারণ খুঁজে পেয়েছেন।
• লেনিনের মত : লেনিন তার গ্রন্থ 'Imperialism: The Highest Stage of Capitalism'-এ সাম্রাজ্যবাদের অর্থনৈতিক ব্যায়া দিয়েছিলেন। তিনি সাম্রাজ্যবাদকে পুঁজিবাদের সর্বোচ্চ স্তর হিসেবে আখ্যা দিয়েছেন। তার মতে, ঔপনিবেশিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা সাম্রাজ্যবানে একটি অংশ। ইউরােপে শিল্পের অগ্রগতির সঙ্গে পুঁজিপতি শ্রেণির হাতে মূলধন সঞ্চিত হয়। উদ্বৃত্ত মূলধন বিনিয়ােগে সস্তায় কাঁচামাল সংগ্রহ, উৎপাদিত পণ্য বিক্রির মাধ্যমে অধিক মুনাফা লাভ, শিল্পজাত সামগ্রীর বাজারের অনুসন্ধান ইত্যাদি বিষয় গুরুত্বপূর্ণ
ভূমিকা পালন করেছিল। সাম্রাজ্যবাদের উত্থানের পশ্চাতে
রাজনৈতিক কারণ : আধুনিক সাম্রাজ্যবাদের পশ্চাতে শুধুমাত্র অর্থনৈতিক উপাদানই সক্রিয় ছিল না, এর সঙ্গে যুক্ত হয়েছিল রাজনৈতিক উপাদানও। ইউরােপীয় জাতিগুলি মনে করত, যত বেশি উপনিবেশ তারা দখল করবে, তাদের শক্তি ততই বৃদ্ধি পাবে এবং আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রে তাদের মর্যাদা বাড়বে। বিভিন্ন ইউরােপীয় রাষ্ট্রগুলি উপনিবেশ দখল করে সেই উপনিবেশের জনগণকে সামরিক শিক্ষা দিয়ে নিজ দেশের সামরিক ক্ষমতা বৃদ্ধি করতে বদ্ধপরিকর ছিল। অন্যদিকে কোনাে কোনাে রাষ্ট্র আবার উপনিবেশের সম্পদ আহরণ করে নিজ দেশের অর্থবল বৃদ্ধির চেষ্ট করে। বিশ্বে নৌশক্তিতে আধিপত্য স্থাপনের জন্য সামরিক ঘাঁটি দখল ও জলপথের উপর নিয়ন্ত্রণ আবশ্যিক ছিল। এই সামরিক ঘাঁটিগুলির দ্বারা বাণিজ্য ও রাজনৈতিক আধিপত্যকে সুরক্ষিত করা হত।
অন্যান্য কারণ : খ্রিস্টান মিশনারি, ধর্মপ্রচারক, আবিষ্কারক ও অভিযাত্রীদের কর্মসূচিও উপনিবেশ বিস্তারের পিছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। ব্রিটিশ ধর্মপ্রচারক ডেভিড লিভিংস্টোন (David Livingstone), ফরাসি ধর্মপ্রচারক স্ট্যানলি (Stanley), লেভিজেরি(Levigerie) প্রমুখ ধর্মপ্রচার ও দাসব্যাবসা বন্ধ করতে আফ্রিকায় গেলে এদের ধর্মপ্রচারের সূত্র ধরে ইউরােপীয় বণিকশ্রেণি আফ্রিকায়প্রবেশ করে। ডেভিড় থমসন অবশ্য ভৌগােলিক কর্তৃত্ব বাড়াবার স্বাভাবিক স্পৃহা, বাণিজ্যের টান ইত্যাদি কারণগুলির উপরই জোর দিয়েছেন।
14.প্রথম বিশ্বযুদ্ধ (The First World War)-এর কারণগুলি উল্লেখ করাে।
উত্তর মানবসভ্যতার ইতিহাসে যেসব বিপর্যয়কর ঘটনা ঘটেছিল, তার মধ্যে অন্যতম ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। প্রথম বিশ্বযুদ্ধ ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৯১৮ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত চলেছিল। ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দের সেরাজেভাে হত্যাকাণ্ডকে কেন্দ্র করে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হয়।
৩০ কারণ : প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণগুলিকে আমরা দু-ভাগে ভাগ করে আলােচনা করতে পারি—পরােক্ষ কারণ ও প্রত্যক্ষ কারণ।
প্রথম বিশ্বযুদ্ধের কারণ।
পরােক্ষ কারণ ও পরােক্ষ কারণ :
বলকান জাতীয়তাবাদ : বলকান অঞ্চলের জাতীয়তাবাদী আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম কারণ ছিল। সার্বিয়া ছিল বলকান অঞ্চলের সর্ব শ্লাভ’ আন্দোলনের নেতৃস্থানীয়। তাই সার্বিয়া চাইছিল তার নেতৃত্বে শ্লাভ রাষ্ট্রগুলি ঐক্যবদ্ধ হােক। কিন্তু অস্ট্রিয়া স্লভ জাতি অধুষিত বসনিয়া ও হারজেগােভিনা নিজ সাম্রাজ্যভুক্ত করে রেখেছিল। বসনিয়া ও হার্জেগােভিনার অধিবাসীরাও অস্ট্রিয়ার কবল থেকে মুক্ত হওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিল।
ইউরােপের অতৃপ্ত জাতীয়তাবাদ : ইউরােপের অতৃপ্ত জাতীয়তাবাদ প্রথম বিশ্বযুদ্ধের পটভূমি রচনা করেছিল। জার্মানি ১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে ফ্রান্সের কাছ থেকে আলসাস ও লােরেন দখল করেছিল। কিন্তু ফ্রান্স আলসাস ও লােরেন ফিরে পেতে উদগ্রীব ছিল। এ ছাড়া বুলগেরিয়া,রােমানিয়া এবং ম্যাসিডােনিয়া-ও বিভিন্ন কারণে ক্ষুব্ধ ছিল।
উগ্র জাতীয়তাবাদ : ঊনবিংশ শতাব্দীর শেষদিক থেকে ইউরােপীয় রাষ্ট্রগুলির উগ্র জাতীয়তাবাদ বিশ্বযুদ্ধের পরিবেশ রচনা করেছিল। এইসময় ইউরােপের প্রায় সব জাতি নিজেদের শ্রেষ্ঠ বলে মনে করত এবং একে অন্যের উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে চাইত। জার্মানরা ‘টিউটন (Teuton) জাতির, ইংরেজরা ‘অ্যাংলাে-স্যাক্সন’ (Anglo-Saxon) জাতির সভ্যতার শ্রেষ্ঠত্ব প্রতিষ্ঠায় সচেষ্ট হয়েছিল। সাংবাদিক ও দার্শনিকদের ভূমিকা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের নেপথ্যে সাংবাদিক ও দার্শনিকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা ছিল। এই সময় সংবাদপত্রগুলিতে থা, জনগণের মধ্যে সন্দেহ, অবিশ্বাস ও উন্মাদনার সৃষ্টি হয়েছিল। দার্শনিকরাও অনেক
১. বাণিজ্যিক ও ঔপনিবেশিক প্রতিযােগিতা প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম কারণ ছিল ইউরােপীয় রাষ্ট্রগুলির মধ্যে বাণিজ্যিক ও উপনিবেশিক প্রতিদ্বন্দ্বিতা। ইউরােপের রাষ্ট্রগুলি নিজ নিজ দেশে উৎপাদিত সামগ্রী বিক্রির বাজারের চাহিদায় এবং শিল্পের উপযােগী কঁচামাল সংগ্রহের জন্য এইসময় উপনিবেশ দখলের প্রতিযােগিতা শুরু করেছিল।
,ফ্রান্স-জার্মান প্রতিদ্বন্দ্বিতা : প্রথম বিশ্বযুদ্ধের অন্যতম কারণ ছিল ফ্রান্স-জার্মান প্রতিদ্বন্দ্বিতা। সেডানের যুদ্ধে (১৮৭০ খ্রিস্টাব্দে) বিসমার্ক ফ্রান্সের কাছ থেকে আলসাস ও লােরেন ছিনিয়ে নিয়ে জার্মানির ঐক্য সম্পূর্ণ করেছিলেন। কিন্তু ফ্রান্স আলসাস ও লােরেন ফিরে পাওয়ার জন্য উদগ্রীব ছিল বলে উভয়ের মধ্যে যুদ্ধ অনিবার্য হয়ে পড়েছিল।
• সামরিক প্রস্তুতি :ইউরােপের বিভিন্ন রাষ্ট্রগুলির অস্ত্র নির্মাণের প্রতিযােগিতা ও সামরিক প্রস্তুতির পরিণতি ছিল প্রথম বিশ্বযুদ্ধ। জার্মানির কাইজার দ্বিতীয় উইলিয়ম জার্মানিকে শ্রেষ্ঠ শক্তিতে পরিণত করার জন্য সামরিক প্রস্তুতি শুরু করেছিলেন। অন্যদিকে জার্মানির সামরিক শক্তি বৃদ্ধিতে বিচলিত ফ্রান্স ও ইংল্যান্ড নিজ নিজ সামরিক শক্তি বৃদ্ধি করেছিল।
আন্তর্জাতিক সংকট : সর্বোপরি কয়েকটি আন্তর্জাতিক সংকট প্রথম বিশ্বযুদ্ধকে ত্বরান্বিত করেছিল। এগুলির মধ্যে উল্লেখযােগ্য ছিল® মরক্কো সংকট, @ আগাদি সংকট, ও বলকান সংকট প্রভৃতি।
পরস্পরবিরােধী শক্তিজোট গঠন : সাম্রাজ্যবিস্তার, পারস্পরিক সন্দেহ,জাতিবিদ্বেষ প্রভৃতি কারণে ক্রমে ইউরােপে দুটি পরস্পরবিরােধী শক্তিশিবির গড়ে ওঠে। এর একদিকে ছিল— 0 ট্রিপল অ্যালায়েন্স (Triple Alliance) বা ত্রিশক্তি চুক্তি—যা জার্মানি, অস্ট্রিয়া ও ইটালিকে নিয়ে গড়ে উঠেছিল এবং অন্যদিকে ছিল—@ ট্রিপল আঁতাত (Triple Entente) বা ত্রিশক্তি মৈত্রী—যা ফ্রান্স, ইংল্যান্ড ও রাশিয়াকে নিয়ে গঠিত হয়েছিল। এমতাবস্থায় সেরাজেভাে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সূচনা হয়।
* প্রত্যক্ষ কারণ :
সেরাজেভাে হত্যাকাণ্ড (Assassination at Sarajevo) সেরাজেভাে ছিল বসনিয়ার রাজধানী। অস্ট্রিয়ার যুবরাজ আর্কডিউক ফ্রান্সিস ফার্দিনান্দ (Archduke Francis Ferdinand) ও তাঁর পত্নী সােফিয়া (Sophie) সেরাজেভাে শহরে পরিভ্রমণে এসেছিলেন। এখানে ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দের ২৮ জুন শ্রাভ বিপ্লবী সংগঠন ‘ব্ল্যাক হ্যান্ড’ (Black Hand) বা ইউনিয়ন অফ ডেথ’ (Union of Death)-এর সদস্য গাব্রিলাে প্রিন্সেপ (Gavrilo Princip) যুবরাজ ও রানিকে হত্যা করে। এই ঘটনা ‘সেরাজেভাে হত্যাকাণ্ড’ (Assassination at Sarajevo) নামে পরিচিত।
এই ঘটনার জন্য অস্ট্রিয়া সার্বিয়াকে দায়ী করে এবং এক চরমপত্র দিয়ে ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তার শর্তগুলি পূরণ করতে বলে। কিন্তু সার্বিয়ার পক্ষে সব দাবি মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না। এতে অস্ট্রিয়া ক্ষুব্ধ হয়ে ১৯১৪ খ্রিস্টাব্দের ২৮ জুলাই সার্বিয়ার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘােষণা করে। পরে সাবিয়ার পক্ষে রাশিয়া, ইংল্যান্ড, ফ্রান্স এবং অস্ট্রিয়ার পক্ষে জার্মানি, তুরস্ক, বুলগেরিয়া প্রভৃতি দেশ যােগদান করলে এই যুদ্ধ বিশ্বযুদ্ধে পরিণত হয়।
[TAG]: শিল্প বিপ্লব উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ চতুর্থ অধ্যায় pdf, শিল্প বিপ্লব উপনিবেশবাদ ও সাম্রাজ্যবাদ mcq,চতুর্থ অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণি,নবম শ্রেণির ইতিহাস বিপ্লবী আদর্শ নেপোলিয়নীয় সাম্রাজ্য ও জাতীয়তাবাদ,নবম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায়,নবম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায়ের ২ নং প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণির ইতিহাস চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর,
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন