দশম শ্রেণির ইতিহাস গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর|মাধ্যমিক ইতিহাসের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর

 প্রথম অধ্যায়: দশম শ্রেণির ইতিহাস


১। নতুন সামাজিক ইতিহাস : ১৯৬০ ও ১৯৭০-এর দশকে যে সামাজিক ইতিহাসের চর্চা ও অনুসন্ধানে বৃহত্তর সমাজের সামগ্রিক ইতিহাস তুলে ধরতে সাধারণ মানুষ তথা সমাজের অনালােচিত ও অবহেলিত মূঢ়, স্নান, মূক মানুষজনকে আলােচনার আলােয় আনা হয়েছে তা নতুন সামাজিক ইতিহাস।


২। মহাফেজখানা : যেখানে বিভিন্ন মূল্যবান ও দুষ্প্রাপ্য নানা ধরনের নথিপত্র, দলিল, পাণ্ডুলিপি বা বইপত্র ইত্যাদি আকর উপাদান রূপে সংরক্ষণ করে রাখা হয়।


৩। নীচু তলার ইতিহাস : ১৯৮০-এর দশকে অভিজাতবর্গের পরিবর্তে নিম্নবর্গীয় বা সমাজের একেবারে নীচুতলার খেটে-খাওয়া মানুষদের নিয়ে চর্চার জন্য সাবওল্টার্ন হিস্ট্রির সূচনা হয়, যার মূল TOT 99-'study the history from below.'

৪। রাগবি : রাগবি’ হল ডিম্বাকৃতির এক ধরনের বল।


৫। সামবেদ : ভারতের প্রাচীন ধর্মগ্রন্থ বেদের চারটি ভাগ—ঋক্, সাম, যজুঃ ও অর্থব—এর মধ্যে সামবেদ একটি যা গানের আকারে পাঠ করা হত।


৬। গথিক স্থাপত্য : গ্রিক, ল্যাটিন, কেলটিক শিল্প স্থাপত্যরীতির মতাে একটি বিদেশি শিল্প-স্থাপত্যরীতিকে বলে গথিক স্থাপত্য।


৭ । বিশ্বায়ন : একবিংশ শতকের পরিচিত শব্দ বিশ্বায়নবা গ্লোবালাইজেশন, যার লক্ষ হল বিশ্বকে একটি বিশ্ব পরিবার (global family)-এ পরিণত করা।


৮। ইকো-ফ্রেন্ডলি : ইকো’অর্থে পরিবেশ এবং‘ফ্রেন্ডলি’ অর্থে বন্ধুত্ব, অর্থাৎ প্রকৃতির সঙ্গে বন্ধুত্বপূর্ণ

সম্পর্কের নাম ইকো-ফ্রেন্ডলি।


৯। ইউনানি চিকিৎসা : ইউনান প্রদেশের নাম থেকে ইউনানি’ নামের উৎপত্তি। গ্রিস হয়ে আরবে এই

চিকিৎসা বিরাট সুনাম অর্জন করে। আরবি ভাষায় একে ‘হেকিমি চিকিৎসা’ বলে।


১০। ইকোফেমিনিজম : ‘ইকো’ অর্থে পরিবেশ এবং‘ফেমিনিজম’ অর্থে নারীবাদ, অর্থাৎ নারী ও প্রকৃতির

মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক বিষয়ক মতবাদ।


১১। স্মৃতিকথা : পূর্বে অনুভূত নানা বিষয়ের তথ্যসমৃদ্ধ জ্ঞানের সংকলন যা স্মৃতি থেকে সংগৃহীত হয়।


১২। কেমােথেরাপি : ক্যানসার রােগের আধুনিক এক চিকিৎসা পদ্ধতি।


১৩। আত্মজীবনী : নিজের জীবনকাহিনি নিজেই লিখলে তাকে আত্মজীবনী বলা হয়।


১৪। ই.ডি. : এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টর।


১৫। ডব্লিউ.বি.সি.এস : ওয়েস্ট বেঙ্গল সিভিল সার্ভিস।


১৬। আই.পি.এস এবং আই.এ.এস : ইন্ডিয়ান পুলিশ সার্ভিস এবং ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস

১৭। সাময়িক পত্র : যে পত্রপত্রিকা নির্দিষ্ট ব্যবধানে অর্থাৎ প্রতি সপ্তাহে, মাসে বা তিন মাস অন্তর প্রকাশিত হয়।


১৮। সংবাদপত্র : যে পত্রপত্রিকা দৈনিক নানা খবরাখবর নিয়ে প্রকাশিত হয় তাকে সংবাদপত্র বলে।

|


দ্বিতীয় অধ্যায় দশম শ্রেণির ইতিহাস


১। ম্যাগাজিন : ‘ম্যাগাজিন’ (magazine) শব্দের আক্ষরিক অর্থ হল অস্ত্রশস্ত্র, গােলাবারুদ রাখার জায়গা। তবে এর প্রচলিত অর্থ হল সাময়িক পত্র।


২। হুতােম প্যাচা : ‘হুতােম’ অর্থাৎ ভীষণ রবকারী দীর্ঘাকৃতির পঁাচা বিশেষ।


৩। ইভানজেলিক্যাল :আক্ষরিক অর্থেইভানজোলিক্যাল বলতে সুসমাচার সংক্রান্ত ভালাে নীতি বা মতবাদ,যার ভিত্তিতে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যপন্থীদের দ্বন্দ্বকে কেন্দ্র করে ইভানজেলিক্যাল আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল।


৪। মিনিট (minute) : শিক্ষা সংক্রান্ত প্রতিবেদন, রিপাের্ট বা সুপারিশপত্র। যেমন—মেকলের মিনিট (১৮৩৫)

৫। ম্যাগনাকার্টা (manga-carta) : ল্যাটিন শব্দ, যার অর্থ কোনাে যুগান্তসৃষ্টিকারী ঘটনা।


৬। ফিলট্রেশন নীতি : চুঁইয়ে পড়া শিক্ষানীতিকে বলে “ফিলট্রেশন’, অর্থাৎ ইংরাজি শিক্ষিত মানুষজনের মাধ্যমে অন্যদের মধ্যে এ শিক্ষার প্রসার।


৭। ট্র্যাডিশন্যাল মডার্নাইজার :যিনি প্রচলিত রীতি-নীতি ও ঐতিহ্যকে মেনে আধুনিক মনস্ক। যেমন- বিদ্যাসাগর।


প্রেস আইন : সংবাদপত্র সংক্রান্ত যাবতীয় আইন।


৯। সতী : একজন বিধবা যিনি নিজের স্বামীর চিতায় নিজেই পুড়ে মরেন।


১০। ইয়ং বেঙ্গল : হিন্দু কলেজের তরুণ অধ্যাপক ডিরােজিও-র অনুগামীদের বলে ইয়ং বেঙ্গাল’ বা

নব্যবঙ্গ গােষ্ঠী। যেমন—রাধানাথ শিকদার, রামতনু লাহিড়ি প্রমুখ।


১। সর্বধর্ম সমন্বয় :শ্রীরামকৃয়দেব হিন্দু-মুসলিম-খ্রিস্টান- বৌদ্ধ-জৈন-পার্সি-শিখ ইত্যাদি ধর্মের সমন্বয়ে উদার এই আদর্শ প্রচার করেন। এতে সব ধর্মই গুরুত্বপূর্ণ।


১২। নবজাগরণ : নতুন চিন্তা-চেতনার প্রভাবে শিল্প, সাহিত্যে, সমাজ ও সংস্কৃতিতে পুনর্জাগরণের নাম

হল নবজাগরণ। এটি ফরাসী শব্দ।

১৩। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় : অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের আদলে তৈরি দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার প্রথম বিশ্ববিদ্যালয়, যাকে ‘গােলদিঘির গােলামখানা’ বলে ব্যঙ্গ করা হয়েছিল। গগনেন্দ্রনাথ ঠাকুরের কার্টুনে তার ইঙ্গিত আছে।


তৃতীয় অধ্যায় দশম শ্রেণির ইতিহাস


১। দামিন-ই-কোহ : আক্ষরিক অর্থ হল পাহাড়ের প্রান্তদেশ, যা সাঁওতালদের বংশানুক্রমিক নিষ্কর জমি।

২। দিকু :উপজাতি অধ্যুষিত এলাকায় আগত অত্যাচারী জমিদার, মহাজন ও ইংরাজ কর্মচারীরা দিকু বা শত্রু বলেই গণ্য হত।

৩। সিধু-কানু ডহর : সিধু ও কানুর স্মরণে ও সম্মানার্থে বিশেষভাবে তৈরি করা জায়গা বা ভূমি।

৪। পাগলপন্থী :ময়মনসিংহের এক বিশেষ ধর্মীয় গােষ্ঠী।

৫। দার-উল-হার্ব : একটি অমুসলিম দেশ।

৬। দার-উল-ইসলাম :একটি ইসলামের বা শান্তির দেশ।

৭। বাঁশের কেল্লা : বাঁশ দিয়ে তৈরি করা দুর্গ বা কেল্লা।

৮। তিন কাঠিয়া প্রথা : যদি এক বিঘা জমি কুড়ি কাঠাতে হয়, তার মধ্যে তিন কাঠা জমিকে নীল চাষের জন্য বরাদ্দ করার নাম ‘ তিন কাঠিয়া প্রথা।



চতুর্থ অধ্যায় দশম শ্রেণির ইতিহাস


১। জাতীয় বিদ্রোহ : বিভিন্ন জাতি, ধর্ম, বর্ণ, ভাষা ও সম্প্রদায়ের ঐক্যবদ্ধ জাতীয়তাবাদী বিদ্রোহ।


২। ভারত সভা : ভারতীয়দের আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণে তৎপর এই সভা ভারতের নানা প্রান্তের প্রতিনিধিদের নিয়ে গঠিত। তাই এরূপ নামকরণ।


৩। বন্দেমাতরম : মাকে অর্থাৎ স্বদেশজননীকে বন্দনা, আক্ষরিক অর্থে মাকে বন্দনা করা।


৪। গােরা : রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের বৃহৎ এক উপন্যাস,যেখানে পিতৃহারা আইরিশ যুবক গােরা ভারতবর্ষকে নিজের দেশ এবং কৃয়দয়ালবাবু ও আনন্দময়ীকে নিজের পিতা-মাতা বলে গ্রহণ করেছিলেন।


৫। কার্টুন : ব্যঙ্গচিত্রের আর এক নাম কার্টুন।


৬। হিন্দুমেলা : ১৮৬৭-র ১২ এপ্রিল চৈত্র সংক্রান্তির দিন কলকাতার চিৎপুরে রাজা নরসিংহ চন্দ্র রায়ের

বাগানবাড়িতে ‘হিন্দুমেলা’ বা ‘জাতীয় মেলার’ আয়ােজন করেন রাজনারায়ণ বসু ও নবগােপাল মিত্র। এর উদ্দেশ্য হল ---ভারতভূমির জন্য জাতীয়তাবােধ, দেশাত্মবােধ, আত্মনির্ভরতা, স্বদেশি শিল্প, কৃষি, শিক্ষা, শরীরচর্চা ইত্যাদির প্রসার ঘটিয়ে জাতির সামগ্রিক উন্নতি ও কল্যাণ সাধন করা।


৭। সংগ্রামী জাতীয়তাবাদ :সংগ্রামী বা বিপ্লবী মনােভাব নিয়ে গঠিত জাতীয়তাবাদী চেতনা।


পঞ্চম অধ্যায় দশম শ্রেণির ইতিহাস


১। মুদ্রাযন্ত্র :মুদ্রাযন্ত্রের অপর নাম ছাপাখানা, যেখানে হাতে লেখা পাণ্ডুলিপি ছাপানাে হয়। আধুনিক ছাপাখানা প্রথম আবিষ্কার করেন জার্মানির গুটেনবার্গ।


২। বিদ্যাসাগর সাট : বিদ্যাসাগর তার পূর্ববর্তী স্বরবর্ণ(১৬টি) ও ব্যঞ্জনবর্ণ (৩৪টি) মিলিয়ে ৫০টি বর্ণের পরিবর্তে ১২টি স্বরবর্ণ ও ৪০টি ব্যঞ্জনবর্ণের (মােট-৫২টি) প্রস্তাব দিয়ে বাংলা বর্ণমালায় যে যথাযথ

রূপ দেন, বাংলা মুদ্রণের ইতিহাসে তা ‘বিদ্যাসাগর সাট’ নামে পরিচিত।


৩। বিদ্যাবণিক : ছাপাখানায় বিদ্যাসাগরের ব্যাবসায়িক উদ্যোগ ও সমৃদ্ধির জন্য তাকে ‘বিদ্যাবণিক’ বলে।


৪। রমন এফেক্ট :ড. সি. ভি. রমন ১৯২৮ খ্রি. তার এক গবেষণাপত্রে বলেন, কোনাে স্বচ্ছ বস্তুর মধ্য দিয়ে যখন কোনাে আলাে যায় তখন আলাের বিকিরণ হয় অর্থাৎ ছড়িয়ে পড়ে। ফলে আলাের কম্পাঙ্ক কমবেশি হতে পারে মূল আলাের চেয়ে, যা বস্তুটির প্রকৃতির ওপর একান্তভাবে নির্ভর করে। এটাই রমন এফেক্ট’, যার জন্য তিনি ১৯৩০ খ্রি. ‘নােবেল’ পান।


৫। কার্লাইল সার্কুলার আইন :লর্ড কার্জনের আইন সচিব স্যার সি. আর. কার্লাইল স্কুল-কলেজের ছাত্রদের স্বদেশি আন্দোলনে যােগ না দেবার আর্জি জানিয়ে যে আইন জারি করেন, তা কার্লাইল সার্কুলার আইন’ (১৯০৫) নামে পরিচিত। এটি অমান্য করায় বহুছাত্র বহিষ্কৃত হন।


৬। বিশ্ববিদ্যালয় আইন :লর্ড কার্জনের শিক্ষাসচিব স্যার টমাস র্যালে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষাব্যবস্থার ওপর গুরুত্ব দিয়ে যে আইন প্রণয়ন করেন, তা বিশ্ববিদ্যালয় আইন (১৯০৪) নামে পরিচিত।


৭। ব্ৰত্মচর্যাশ্রম :প্রাচীন ভারতে বৈদিক আর্যদের সমাজে জীবনের চারটি আশ্রমের মধ্যে প্রথম আশ্রম বা পর্ব হল গুরুগৃহে থেকে শিক্ষালাভ, যা ব্ৰত্মচর্যাশ্রম’ নামে পরিচিত।

৮। শিক্ষাসত্র : শিক্ষাদান করা হয় যেখান থেকে।


ষষ্ঠ অধ্যায় দশম শ্রেণির ইতিহাস


১। মােপলা বিদ্রোহ : কেরালার মালাবার উপকূলের মুসলিম কৃষকদের বলে মােপলা। তারা জমিদারি

অত্যাচারের বিরুদ্ধে উনিশ শতকের শেষভাগে যে বিদ্রোহ করেছিল তা ‘মােপলা বিদ্রোহ’নামে পরিচিত।


২। সমাজতন্ত্র : সমাজকে ত্রাণ বা রক্ষা করে যা তাকে সমাজতন্ত্র বলে। যােগ্যতা অনুসারে জাতীয় সম্পত্তির সুষম বণ্টনের মাধ্যমে সমাজতন্ত্র গড়ে ওঠে।

৩। নিষ্ক্রিয় প্রতিরােধ : সক্রিয় প্রতিরােধের বিপরীত ধারণা। নিষ্ক্রিয় প্রতিরােধ হল কোনাে অস্ত্রশস্ত্র ছাড়া ব্রিটিশের সঙ্গে সব রকমের অসহযােগিতা অর্থাৎ ব্রিটিশ প্রশাসন, আইন শিক্ষা ইত্যাদি বর্জন বা বয়কট ।  বিপিনচন্দ্র পাল তার স্বদেশি ও স্বরাজ’ গ্রন্থে এবং ব্ৰত্মবান্ধব উপাধ্যায় তার সন্ধ্যা’ (নভেম্বর ১৯০৬) ও অরবিন্দ ঘােষ তার বন্দেমাতরম’ (এপ্রিল ১৯০৭) পত্রিকায় নিষ্ক্রিয় প্রতিরােধের ধারণা তীব্রতর  করেছিলেন।

:

৪। তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার : গান্ধিজির ভারত ছাড়াে ‘আন্দোলন কালে মেদিনীপুরের তমলুক-এ ব্রিটিশ প্রশাসনকে স্তব্দ করতে একটি অস্থায়ী স্বাধীন সরকার গঠন করেন অজয় মুখার্জী। তাকে এই কাজে সাহায্য করেন সুশীল ধাড়া ও সতীশ সামন্ত। এই সরকারই ‘তাম্রলিপ্ত জাতীয় সরকার।


৫। চৌকিদারি কর :আগে চৌকিদাররা গ্রামে নিরাপত্তা তথা পাহারা দিত। তার জন্য সাধারণ মানুষকে

‘চৌকিদারি কর দিতে হত। একা আন্দোলন : হিন্দি শব্দ ‘একতা’ বা ঐক্য (unity) থেকে একা আন্দোলনের উদ্ভব। মাদারি পাশি ও সারেব-এর নেতৃত্বে এটি কৃষক ও ছছাটো জমিদরদের ঐক্যবদ্ধ কৃষক আন্দোলন (১৯২১) ছিল।


AITUC : অল ইন্ডিয়া ট্রেড ইউনিয়ন কংগ্রেস (১৯২০) একটি শক্তিশালী শ্রমিক সংগঠন।

সাইমন কমিশন : ১৯২৭ খ্রি. জন সাইমনের নেতৃত্বে লেনফক্স, স্টেথকোনা, বার্নহ্যাম, ওয়েলিস,

ক্যারােগ্যান প্রমুখ ৭ সদস্যের এই তদন্ত কমিশন গঠিত হয়, যা ১৯২৮ খ্রি. ভারতে পৌঁছালে প্রায় সমস্ত দল একযােগে একে শ্বেতাঙ্গ কমিশন’ বলে সমালােচনা করে ‘সাইমন ফিরে যাও’ স্লোগান তুলে সাইমন কমিশন বিরােধী আন্দোলন করছিল।


৮। সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ : শক্তিশালী পররাজ্য গ্রাসকারী দেশগুলির সাম্রাজ্য বিস্তারের লড়াইকে বলে ‘সাম্রাজ্যবাদী যুদ্ধ।


সপ্তম অধ্যায় দশম শ্রেণির ইতিহাস


১।AIwc:‘অল ইন্ডিয়া উইমেন কনফারেন্স’(১৯২৭)ভারতের এক বৃহত্তম নারী সংগঠন।

২। সত্যাগ্রহ : সত্যের প্রতি আগ্রহ বা সত্যপন্থা অবলম্বন।

৩। ধর্মনিরপেক্ষ : কোনাে বিশেষ একটি ধর্মকে স্বীকৃতি  বা সমর্থন না করে সব ধর্মের প্রতি উদার ও নিরপেক্ষ মনােভাব।

৪। পিকেটিং :এক ধরনের অবরােধ, যার মাধ্যমে বিদেশি পণ্যসামগ্রীর দোকান বা প্রদর্শনীর সামনে দল বেঁধে দাঁড়িয়ে এদেশি ক্রেতাদের কোনােকিছু না কিনতে অনুরােধ করা।


৫। বয়কট : বিদেশি দ্রব্য, বিদেশি শিক্ষা ইত্যাদি বর্জন করাকে ‘বয়কট' বলে। স্বদেশি আন্দোলনকালে

কৃয়কুমার মিত্র তার সঞ্জীবনী’ পত্রিকায় সর্বপ্রথম বয়কট আন্দোলনের কথা বলেন।

৬। বর্ণবৈষম্যবাদ : সমাজে বর্ণ বা জাতিগত কারণে মানুষের মধ্যে উঁচু, নীচু ভেদাভেদের ভিত্তিতে গড়ে

ওঠা সামাজিক বনা-বৈষম্য ও সামাজিক অভিশাপকে বলে বর্ণবৈষম্যবাদ (apartheid)।


৭। সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা : বিভিন্ন সম্প্রদায়ের জন্য নির্বাচনে আসন (seat) ভাগ-বাঁটোয়ারার নীতিকে বলে সাম্প্রদায়িক বাঁটোয়ারা। এর বিরুদ্ধে গান্ধিজি অনশন করেছিলেন।


৮। হরিজন :হরির অর্থাৎ ভগবানের জন বা সন্তান (son of God)।


৯। গােলদিঘির গােলামখানা : জাতীয় শিক্ষা পরিষদ (১৯০৬) গঠনের সময় ব্ৰত্মবান্ধব উপাধ্যায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়কে কটাক্ষ করে এমন মন্তব্য করেছিলেন। এখানকার ঔপনিবেশিক শিক্ষাব্যবস্থায় ছাত্রদের স্বাধীন চিন্তাশক্তি কমে যাবে। তাই ছাত্রদের ওই কেরানি তৈরির কারখানা ত্যাগ করতে আহ্বান জানানাে হয়েছিল।


১০। অ্যান্টি সার্কুলার সােসাইটি : কলকাতার সুরেন্দ্রনাথ কলেজের (পূর্বনাম রিপন কলেজ) ছাত্রনেতা

শচীন্দ্রপ্রসাদ বসু (১৮৮৩-১৯৪১) কার্লাইল সার্কুলারের বিরুদ্ধে ছাত্রদের ঐক্যবদ্ধ করতে এই সােসাইটি গঠন করেন (১৯০৫)। ছাত্র আন্দোলন দমাতে কার্লাইল সার্কুলার ছাড়াও পেডলার সার্কুলার’ ও ‘নিয়ন সার্কুলার জারি হয়েছিল।


১১। কোমাগাতামারু ঘটনা : ১৯১৪ খ্রি. ‘কোমাগাতামারু’ নামে একটি জাপানি জাহাজ ভাড়া নিয়ে বাবা গুরদিৎ সিংহের নেতৃত্বে কয়েকশাে শিখ যুবা-ছাত্র কলকাতার বজবজে নামলে পুলিশ ২২জনকে গুলি করে হত্যা করে। এর বিরুদ্ধে দেশ জুড়ে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। একেই বলে ‘কোমাগাতামারু ঘটনা।


১২। কাকোরি ষড়যন্ত্র মামলা : ১৯২৫ খ্রি. উত্তরপ্রদেশের কাকোরি রেলস্টেশনে ট্রেন-ডাকাতি করতে রামপ্রসাদ বিসমিল, রওশন লাল, আসফাকুল্লা, শচীন্দ্রনাথ সান্যাল সহ অনেক বিপ্লবীর বিরুদ্ধে এই মামলা হয় তাতে কয়েকজনের ফাঁসিও হয়।


১৩। বাঘাযতীন : আসল নাম যতীন্দ্রনাথ মুখােপাধ্যায়। উড়িষ্যার বালেশ্বরে বুড়িবালামের যুদ্ধে (১৯১৫)

পুলিশ কমিশনার চার্লস টেগার্টের বাহিনীর সঙ্গে গুলির লড়াইয়ে গুরুতর আহত হলে তিনি বালেশ্বর হাসপাতালে মারা যান।


১৪। বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স :১৯১২ খ্রি. ঢাকায় একটি বিপ্লবী দল গঠন করেন বিপ্লবী হেমচন্দ্র ঘােষ, যার নাম ‘বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স। আর ১৯২৮ খ্রি. কলকাতায় একটি স্বেচ্ছাসেবক বাহিনী গঠন করেন সুভাষচন্দ্র বসু, যার নাম ‘বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্স’ (বিভি)।


১৫। অলিন্দ যুদ্ধ : ১৯৩০ খ্রি. ৮ ডিসেম্বর বেঙ্গল ভলান্টিয়ার্সের তিন বিপ্লবী বিনয় কৃষ বসু, বাদল গুপ্ত ও দীনেশ গুপ্ত কারা অধিকর্তা সিম্পসনকে রাইটার্স। বিল্ডিং-এর হত্যার পর যে গুলির লড়াই চালান তাকে আনন্দবাজার পত্রিকায় ‘অলিন্দ যুদ্ধ’ বলা হয়।



অষ্টম অধ্যায় দশম শ্রেণির ইতিহাস


১। রাজ্য দপ্তর : স্বাধীনতার পর ভারতে ব্রিটিশ সাম্রাজ্যের বাইরে থাকা দেশীয় রাজ্যগুলিকে ভারতভুক্তির জন্য বল্লভভাই প্যাটেলের নেতৃত্বে রাজ্য দপ্তর’ গঠিত হয় (১৯৪৭)।


২। সার্বভৌম : কোনাে স্বাধীন দেশের অহস্তান্তরযােগ্য ও অবিভাজ্য চরম ক্ষমতাকে বলে সার্বভৌম ক্ষমতা।

৩। লৌহমানব : লৌহের ন্যায় কঠিন ও দৃঢ় মনােভাব নিয়ে অল্পদিনের মধ্যে দেশীয় রাজ্যগুলি ভারতভুক্ত করেছিলেন বলে সর্দার বল্লভভাই প্যাটেলকে ‘লৌহমানব’ (Iron man of India) বলে।


৪। রাজাকার : হায়দরাবাদের নিজাম ওসমান আলি খাঁর সাম্প্রদায়িক নেতা কাশিম রিজভির নেতৃত্বে গঠিত দাঙ্গাবাদ সেনাবাহিনীকে ‘রাজাকার’ বলা হত।


৫। প্রান্তিক মানব : ভূমিহীন ও গৃহহীন সহায়সম্বলহীন মানুষ।


৬। উদ্বাস্তু : যুদ্ধ, নিগ্রহ কিংবা প্রাকৃতিক বিপর্যয়সমূহ থেকে রক্ষা পেতে যে সব মানুষ বাধ্য হয়ে নিজের

দেশ ত্যাগ করে ছিন্নমূল হয়ে অন্যত্র চলে যায় তাদের ‘উদ্বাস্তু বলে।


৭। PEPSU : ‘পাতিয়ালা অ্যান্ড ইস্ট পঞ্জাব স্টেটস ইউনিয়ন।

৮।UNO: ইউনাইটেড নেশনস অর্গানাইজেশন।


Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now