ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত এর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য | ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের ১০ টি বৈশিষ্ট্য লেখ।
ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত এর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য | ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাতের ১০ টি বৈশিষ্ট্য লেখ।
ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য: (i) উভয় গোলার্ধে 15°- 20° অক্ষরেখার মধ্যবর্তী ক্রান্তীয় অঞ্চলে সৃষ্টি হয়।
(ii) গ্রীষ্মকাল ও শরৎকাল উৎপত্তি কাল
(iii) আয়তন ক্ষুদ্রতর, ব্যাস 100 কিমি থেকে 800 কিমি।
(iv) উৎসস্থল উষ্ণ সমুদ্রপৃষ্ঠ উল্লম্ব গভীরতা অপেক্ষাকৃত বেশি।
(v) উষ্ণ সমুদ্রপৃষ্ঠে পরিচলন প্রণালীর সৃষ্টি হয়।
ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত এর গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য
(vi) ঘনীভবনের ফলে পরিত্যক্ত লীনতাপ ।
(vii) কেন্দ্রে নিম্নচাপ অবস্থান করে। কেন্দ্র থেকে বাইরের দিকে চাপ ক্রমশ বৃদ্ধি পায় ও তাপমাত্রা কমতে থাকে। চাপ ও তাপমাত্রা ঢাল খুব বেশি থাকে।
(viii) কেন্দ্রীয় অঞ্চলে ঝড়ের চক্ষু অবস্থান করে।এই অংশকে বেষ্টন করে সমচাপগুলি অবস্থান করে।
এগুলি সমকেন্দ্রীয় বৃত্তাকার, ঘনসন্নিবিশিষ্ট এবং পরস্পর সমদূরবর্তী হয়ে থাকে।
(ix) এক্ষেত্রে বায়ুর গতিবেগ ঘণ্টায় 40-400 কিমি হয়।
(x) বায়ুপ্রবাহের দিক চাপঢালের অভিমুখ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। সাধারণত সমুদ্র থেকে স্থলভাগের
দিকে আয়ন বায়ুর প্রভাবে উত্তর-পশ্চিম বা পশ্চিমাভিমুখী চলন দেখা যায়। মেরুর পরে দিকে বেঁকে উত্তর বা উত্তর-পূর্ব দিকে চলতে থাকে।
(xi) কিউমুলাস ও কিউমুলোনিম্বাস জাতীয় মেঘের ঘনঘটা দেখা যায়। কয়েক ঘণ্টা বা দু-এক দিন মুষলধারে বৃষ্টিপাত ঘটে।
(xii) ক্রান্তীয় ঘূর্ণবাত অল্পকাল স্থায়ী হয়।
(xiii) কেবলমাত্র একটি বায়ুপুঞ্জের (উষ্ণ) মধ্যেই সৃষ্টি হয়।
(xiv) এর কেন্দ্রের সমস্ত বায়ুই ঊর্ধ্বগামী হয়।
(xv) এখানে সীমান্ত অনুপস্থিত।
(xvi) এর বিধ্বংসী ক্ষমতা ব্যাপক ও প্রবল।