B Ed internal question answer in bengali
মৌলিক অধিকারের সংজ্ঞা দাও
সংজ্ঞা: মৌলিক অধিকারগুলি হল সেই অধিকার যা মানুষের ব্যক্তিত্ব বিকাশের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় এবং যা রাষ্ট্র কর্তৃক স্বীকৃত ও সুরক্ষিত।
উদাহরণ : ভারতে, ছয়টি মৌলিক অধিকার স্বীকৃত, যার মধ্যে রয়েছে সমতার অধিকার, স্বাধীনতার অধিকার, শোষণের বিরুদ্ধে অধিকার, ধর্মীয় স্বাধীনতার অধিকার, শিক্ষাগত ও সাংস্কৃতিক অধিকার এবং সাংবিধানিক প্রতিকারের অধিকার।
ভারতীয় নাগরিকদের যেকোনো দুটি মৌলিক কর্তব্য লেখ
সংবিধান মেনে চলা এবং এর আদর্শ ও প্রতিষ্ঠান, জাতীয় পতাকা এবং জাতীয় সঙ্গীতকে সম্মান করা।
ভারতের সার্বভৌমত্ব, ঐক্য এবং অখণ্ডতা সমুন্নত রাখা এবং রক্ষা করা।
দেশকে রক্ষা করা এবং আহ্বান জানানো হলে জাতীয় সেবা প্রদান করা।
সকল সরকারি সম্পত্তি রক্ষা করা
দেশের প্রয়োজনে দেশকে রক্ষা করা এবং জাতীয় সেবা সম্পাদন করা
কোঠারি কমিশনের প্রধান উদ্দেশ্যগুলি হল:
১. শিক্ষার আধুনিকীকরণ: শিক্ষাব্যবস্থাকে আধুনিক বিশ্বের চাহিদা অনুযায়ী গড়ে তোলা এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির অগ্রগতিতে সহায়তা করা।
২. শিক্ষার মান উন্নয়ন: শিক্ষার গুণগত মান উন্নত করা, বিশেষ করে উচ্চশিক্ষা এবং গবেষণার ক্ষেত্রে।
৩. শিক্ষার সুযোগের সমতা: সকল স্তরের মানুষের জন্য শিক্ষার সুযোগ নিশ্চিত করা, বিশেষ করে গ্রামীণ ও অনগ্রসর অঞ্চলের মানুষের জন্য।
নবোদয় বিদ্যালয়ঃ জাতীয় শিক্ষানীতি (১৯৮৬ খ্রি.)-তে মাধ্যমিক শিক্ষার গুণগত মান উন্নয়নের জন্য দেশের বিভিন্ন প্রান্তে আদর্শ স্কুল বা নবোদয় বিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার সুপারিশ করা হয়। নবোদয় বিদ্যালয়ের উদ্দেশ্যঃ
মেধাবী শিক্ষার্থীদের উন্নতমানের মাধ্যমিক শিক্ষার সুযোগ করে দেওয়া, বিশেষ করে গ্রামের প্রতিভাসম্পন্ন শিক্ষার্থীদের, তপশিলি জাতি ও উপজাতিদের একত্রে বেঁচে থাকার শিক্ষা দেওয়া, সামাজিক ন্যায় প্রতিষ্ঠা করা ছিল এই বিদ্যালয় শিক্ষার উদ্দেশ্য।
অপারেশন ব্ল্যাকবোর্ড : জাতীয় শিক্ষানীতি (১৯৮৬ খ্রিঃ.)-র একটি অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সুপারিশ হল ‘অপারেশন ব্ল্যাকবোর্ড’ কর্মসূচি গ্রহণ। জাতীয় শিক্ষানীতি (১৯৮৬ খ্রিঃ.) বলা হয়েছে, সমগ্র দেশের প্রাথমিক শিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য কিছু কর্মসূচি বা প্রকল্প গ্রহণ করা হবে। এখানে ব্ল্যাকবোর্ড শব্দটি প্রতীকী হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে। ব্ল্যাকবোর্ড শব্দটির দ্বারা প্রাথমিক শিক্ষার উন্নয়নের জন্য প্রয়োজনীয় শিক্ষা সহায়ক সব ধরনের উপাদানকে বোঝানো হয়েছে। এই কর্মসূচিকে বলা হয় অপারেশন ব্ল্যাকবোর্ড কর্মসূচি।
জাতীয় মূল্যবোধের দুটি বৈশিষ্ট্য হলো-
জাতীয় মূল্যবোধ হলো একটি জাতির সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ, যা সেই জাতির মানুষের আচরণ, বিশ্বাস ও ঐতিহ্যকে প্রভাবিত করে।
১) জাতীয় মূল্যবোধের একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য হল ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা। এটি একটি জাতির ইতিহাস, ভাষা, শিল্পকলা, সাহিত্য, রীতিনীতি এবং জীবনযাত্রার প্রতি শ্রদ্ধার একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ।
২) সামাজিক সংহতি ও ন্যায়বিচার: সমাজের সকল স্তরের মানুষের মধ্যে ঐক্য ও ভ্রাতৃত্ববোধ বজায় রাখা এবং সকলের জন্য ন্যায়বিচার নিশ্চিত করা জাতীয় মূল্যবোধের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য।
শিক্ষায় সমসুযোগের অন্তরায় বা সমস্যাগুলি আলোচনা করুন।
শিক্ষায় সমসুযোগের অভাব একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা যা সমাজের বিভিন্ন স্তরের মানুষের শিক্ষা লাভের সুযোগকে প্রভাবিত করে। এর মধ্যে রয়েছে অর্থনৈতিক বৈষম্য, সামাজিক কুসংস্কার, দুর্বল অবকাঠামো, এবং অপর্যাপ্ত সরকারি সহায়তা।
শিক্ষায় সমসুযোগের সমস্যার কিছু প্রধান কারণ নিচে উল্লেখ করা হলো:
অর্থনৈতিক বৈষম্য: দরিদ্র পরিবারের শিশুরা ভালো স্কুল এবং শিক্ষার উপকরণ থেকে বঞ্চিত হয়, যা তাদের শিক্ষার সুযোগকে সীমিত করে।
সামাজিক কুসংস্কার: কিছু নির্দিষ্ট জাতি, লিঙ্গ বা সম্প্রদায়ের প্রতি সামাজিক কুসংস্কার শিক্ষার সুযোগে বাধা সৃষ্টি করে।
অবকাঠামোগত অভাব: গ্রামীণ এলাকায় ভালো স্কুল, উপযুক্ত শিক্ষক এবং শিক্ষার সরঞ্জামের অভাব একটি বড় সমস্যা।
অপর্যাপ্ত সরকারি সহায়তা: সরকার কর্তৃক প্রদত্ত শিক্ষামূলক সহায়তা অনেক সময় যথেষ্ট হয় না, বিশেষ করে দরিদ্র এবং সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য।
শিক্ষাদান পদ্ধতি: গতানুগতিক শিক্ষাদান পদ্ধতি অনেক সময় শিক্ষার্থীদের আগ্রহ ধরে রাখতে পারে না, যা তাদের শিক্ষার প্রতি অনীহা সৃষ্টি করে।
অতিরিক্ত গ্রেড ফোকাস: শুধুমাত্র গ্রেডের উপর অতিরিক্ত মনোযোগ দেয়ার কারণে শিক্ষার্থীদের সামগ্রিক বিকাশ বাধাগ্রস্ত হয়।
ভাষা এবং সংস্কৃতির সমস্যা: অনেক সময় শিক্ষার মাধ্যম ভাষা বা সংস্কৃতি শিক্ষার্থীর জন্য একটি বাধা হয়ে দাঁড়ায়। এই সমস্যাগুলো সমাধানের জন্য কিছু পদক্ষেপ নেওয়া যেতে পারে:
আর্থিক সহায়তা: দরিদ্র শিক্ষার্থীদের জন্য বৃত্তি, উপবৃত্তি এবং বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করা।
অবকাঠামোর উন্নয়ন: গ্রামাঞ্চলে শিক্ষার সুযোগ বৃদ্ধি করা, স্কুল ও কলেজের সংখ্যা বৃদ্ধি করা এবং উপযুক্ত শিক্ষার সরঞ্জাম সরবরাহ করা।
শিক্ষাদান পদ্ধতির পরিবর্তন: শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারেক্টিভ এবং ব্যবহারিক শিক্ষার ব্যবস্থা করা।
সামাজিক সচেতনতা: সমাজে কুসংস্কার দূর করার জন্য সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো।
সরকারি সহায়তা বৃদ্ধি: শিক্ষার জন্য সরকারের বাজেট বৃদ্ধি করা এবং দরিদ্র ও সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের জন্য বিশেষ প্রকল্প গ্রহণ করা।
ভাষা এবং সংস্কৃতির প্রতি মনোযোগ: শিক্ষার মাধ্যম হিসেবে মাতৃভাষার ব্যবহার করা অথবা শিক্ষার্থীদের ভাষার দুর্বলতা দূর করার জন্য বিশেষ ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ: শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ প্রদান করা যাতে তারা শিক্ষার্থীদের চাহিদা অনুযায়ী শিক্ষা দিতে পারে।