জীববিদ্যা ও মানবকল্যাণ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর |নবম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF |Class 9 Life science 4th chapter question in bengali pdf

জীববিদ্যা ও মানবকল্যাণ নবম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর |নবম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান চতুর্থ   অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF |Class 9 Life science 4th chapter question in bengali  pdf

জীববিদ্যা ও মানবকল্যাণ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর |নবম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF |Class 9 Life science 4th chapter question in bengali  pdf
জীববিদ্যা ও মানবকল্যাণ  প্রশ্ন উত্তর

আজ আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি নবম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞানের চতুর্থ  অধ্যায় জীববিদ্যা ও মানবকল্যাণ প্রশ্ন উত্তর PDFclass 9 life science fourth chapter question Pdf in bengali | WB Class nine Life science question in bengali |WBBSE পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য নবম শ্রেণি জীবন বিজ্ঞানের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে।


তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে |নবম শ্রেণি জীবন বিজ্ঞান চতুর্থ  অধ্যায় জীববিদ্যা ও মানবকল্যাণ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf download । Class ix Life science 4th chapter important Question in Bengali Pdf  ডাউনলোড করো । এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে প্রাক্টিস করে থাকতে থাক।ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ Note ,Pdf , Current Affairs,ও প্রতিদিন মকটেস্ট দিতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।


‘জীববিদ্যা ও মানবকল্যাণ’ নবম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞানের প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো।


জীববিদ্যা ও মানবকল্যাণ mcq প্রশ্ন

অনাক্রম্যতা সংজ্ঞা (Definition) : ইমিউনিটি বলতে বোঝায় রোগ সৃষ্টিকারী জীবাণু, ভাইরাস ইত্যাদি বিজাতীয় পদার্থের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা গড়ে তোলা। > ইন্টারফেরন অনাক্রম্যতা : যে অনাক্রম্যতায় ভাইরাস আক্রান্ত কোশ থেকে ইন্টারফেরন নিঃসৃত হয়ে ভাইরাসের বিভাজনকে রোধ করে তাকে ইন্টারফেরন অনাক্রম্যতা বলে।

1. অ্যান্টিজেন (Antigen) : যেসব বিজাতীয় জীবাণু দেহে প্রবেশ করলে অ্যান্টিবডি সৃষ্টি হয় তাদের অ্যান্টিজেন বলে । যেমন—প্রোটিন, বৃহদাকার পলিস্যাকারাইড, বৃহদাকার লাইপোপ্রোটিন, নিউক্লিয় প্রোটিন ইত্যাদি। অ্যান্টিজেনের প্রকারভেদ (Types of antigen) : অ্যান্টিজেন দু-রকমের হয়, যথা— এক্সোজেনাস ও এন্ডোজেনাস। A. এক্সোজেনাস অ্যান্টিজেন (Exogenous antigen) : যেসব অ্যান্টিজেন প্রাণীদেহের বাইরে উৎপন্ন হয়, তাদের এক্সোজেনাস অ্যান্টিজেন বলে। যেমন— পরাগরেণু, দূষক পদার্থ, ভেষজ পদার্থ, রোগসৃষ্টিকারী জীবাণু ইত্যাদি। B. এন্ডোজেনাস অ্যান্টিজেন (Endogenous antigen) : যেসব অ্যান্টিজেন প্রাণীদেহের ভিতরে উৎপন্ন হয় তাদের এন্ডোজেনাস অ্যান্টিজেন বলে। যেমন—ইঁদুর, বেড়াল, ভেড়া, ঘোড়া প্রভৃতির লোহিতকণিকায় অবস্থিত ফরম্যান অ্যান্টিজেন (forssman antigen), স্তন্যপায়ী প্রাণীর হৃৎপিণ্ডে অবস্থিত কার্ডিগুলিপিন (cardiolipin) অ্যান্টিজেন এইরকমের অ্যান্টিজেন। 2. অ্যান্টিবডি (Antibody) : দেহের মধ্যে বাইরে থেকে অ্যান্টিজেন প্রবেশ করলে তাদের বাধা দেওয়ার জন্য যেসব প্রোটিনের আবির্ভাব ঘটে তাদের অ্যান্টিবডি বলে। সব অ্যান্টিবডিই গ্লোবিউলিন নামে পরিচিত। এদের আণবিক ওজন 1,50,000–9,00,000-এর মধ্যে সীমিত। প্লাজমা প্রোটিনের প্রায় 20 শতাংশ ইমিউনো- গ্লোবিউলিন।

দেহে পাঁচ রকমের ইমিউনোগ্লোবিউলিন অর্থাৎ অ্যান্টিবডি দেখা যায়। এগুলি হল IgG, IgA, IgM, IgD, IgE (i) IgG (Immunoglobulin-G) : এইপ্রকার অ্যান্টিব্রডি রক্তেই বেশি থাকে, তবে লসিকা ও অস্ত্রেও পাওয়া যায়। এরা ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস ধ্বংস করতে সক্ষম। (ii) IgA (Immunoglobulin-A) : এইপ্রকার অ্যান্টিবডি মনোমার ও ডাইমার হিসেবে থাকে। স্তনগ্রন্থি ক্ষরিত কোলস্ট্রামে এইপ্রকার অ্যান্টিবডি পর্যাপ্ত পরিমাণে থাকে। এছাড়া ঘাম, অশ্রু, লালা ইত্যাদিতে এদের উপস্থিতি লক্ষণীয়। (iii) IgM (Immunoglobulin-M) : এরা সবচেয়ে বড়ো আকারের অ্যান্টিবডি।রক্তে এরা পেন্টামার হিসেবে থাকে। এরা লসিকা এবং B-লিম্ফোসাইটের উপরিতলে অবস্থান করে। (iv) IgD (Immunoglobulin-D): এইপ্রকার অ্যান্টিবডি রক্তে 0.2% থাকে। এরা মনোমার হিসেবে B-লিম্ফোসাইটের উপরিতলে সংলগ্ন থাকে। (v) IgE (Immunoglobulin-E) : রক্তে এর পরিমাণ নগণ্য (0.1%)। এরা মনোমার অবস্থায় মাস্ট কোশ ও বেসোফিল শ্বেতকণিকার পর্দায় অবস্থান করে। অ্যান্টিবডির গঠন (Structure of Antibody) : অ্যান্টিবডি Y আকৃতিবিশিষ্ট পলিপেপটাইড শৃঙ্খলবিশেষ। অধিকাংশ অ্যান্টিবডিতে দু-জোড়া পেপটাইড চেন থাকে। এদের দুটি ভারী চেন বা্ H-চেন এবং দুটি হালকা চেন বা L-চেন থাকে। প্রতিটি ভারী চেন 400টির অধিক অ্যামাইনো অ্যাসিড এবং প্রতিটি হালকা চেন 200টি অ্যামাইনো অ্যাসিড নিয়ে গঠিত। চারটি পেপটাইড চেন পরস্পর ডাইসালফাইড বন্ড (SS) দ্বারা সংলগ্ন হয়ে 'Y' আকৃতির গঠন সৃষ্টি করে। অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডির পার্থক্য (Differences between Antigen and Antibody) : অ্যান্টিজেন 1. অ্যান্টিজেন হল দেহে অনুপ্রবিষ্টকারী বহিরাগত বস্তু। 2. রাসায়নিক প্রকৃতিতে এরা প্রোটিন, তবে গ্লাইকোপ্রোটিন পলিস্যাকারাইড জাতীয়ও হতে পারে। 3. এরা সাধারণত লোহিতকণিকার কোশপর্দার উপরিতলে বা জীবাণুর উপরিতলে অবস্থান করে। 4. অ্যান্টিজেনের প্রভাবে অ্যান্টিবডির সৃষ্টি হয়। 5. অ্যান্টিজেন অনাক্রম্যতন্ত্রকে উদ্দীপিত করে।

অ্যান্টিবডি 1. অ্যান্টিবডি হল অ্যান্টিজেনের উপস্থিতিতে উৎপন্ন অ্যান্টিজেন প্রতিরোধী বস্তু। 2. রাসায়নিক প্রকৃতিতে এরা সবসময় প্রোটিন। 3. এরা সাধারণত প্লাজমায় থাকে। 4. অ্যান্টিবডির প্রভাবে অ্যান্টিজেন সৃষ্টি হয় না। 5. অ্যান্টিবডি দেহ প্রতিরক্ষায় অংশগ্রহণ করে। অনাক্রম্যতাজনিত সাড়া বা ইমিউন রেসপন্স (Immune response) :(কোনো রোগ-জীবাণু, ভাইরাস বা বিষাক্ত পদার্থ দেহের মধ্যে প্রবেশ করলে আমাদের ইমিউন তন্ত্র ওই রোগজীবাণু, ভাইরাস কিংবা বিষাক্ত পদার্থকে নিষ্ক্রিয় বা ধ্বংস করার জন্য যে প্রতিরক্ষামূলক সাড়া জাগায় তাকে অনাক্রম্যতাজনিত সাড়া বা ইমিউন রেসপন্স বলে। অনাক্রম্যতার প্রকারভেদঃ A. সহজাত অনাক্রম্যতা (Inborn Immunity) : যেসব অনাক্রম্যতা জন্মগত তাকে সহজাত অনাক্রম্যতা বলে। এটি দেহের সাধারণ ও স্থায়ী প্রতিরোধ ব্যবস্থা। জন্ম থেকেই রোগজীবাণুর বিরুদ্ধে কার্যকরী। B. অর্জিত অনাক্রম্যতা (Acquired Immunity) : এই প্রকার অনাক্রম্যতা সাধারণত রোগজীবাণুর প্রভাবে সৃষ্টি হয়। এই অনাক্রম্যতা প্রধানত দু-ধরনের, যথা—1. কোশভিত্তিক অনাক্রম্যতা, 2. রসভিত্তিক অনাক্রম্যতা। 1. কোশভিত্তিক অনাক্রম্যতা (Cellular immunity) : এই প্রকার অনাক্রম্যতায় বিভিন্ন ক্ষতিকারক কোশ ও অ্যান্টিজেন (যেমন—ছত্রাক, পরজীবী, অন্তঃকোশীয় ভাইরাস সংক্রমণ, ক্যানসার কোশ, প্রতিস্থাপিত অঙ্গের কোশ T-লিম্ফোসাইট কোশের ক্রিয়াশীলতায় বিনষ্ট হয়। 2. রসভিত্তিক অনাক্রম্যতা (Humoral immunity) ঃ এই প্রকার অর্জিত অনাক্রম্যতা B-লিম্ফোসাইট কোশের সক্রিয়করণের মাধ্যমে রক্ত, লসিকা ইত্যাদি দেহরস বা হিউমর (Humor)-এ anti-body-র নিঃসরণের দ্বারা সংঘটিত হয়।) ● বহুল প্রচলিত টিকা বা ভ্যাকসিন : 1. DPT (Diptheria, Pertussis, Tetanus) : এই টিকাটি ডিপথেরিয়া, হুপিং কাফ এবং টিটেনাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে। শিশুদের 6 সপ্তাহ বয়সে প্রথম ডোজ, 1-2 মাস অন্তর 2টি ডোজ এবং 12-23 মাস বয়সে 1টি বুস্টার ডোজ।


2. BCG (Bacillus Calmette, Guerin)ঃ এই টিকাটি টিউবারকিউলোসিসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে। সদ্যোজাত শিশুদের 1টি ডোজ।


পোলিও (OPV) ভ্যাকসিন (Oral Polio Vaccine) : পোলিও প্রতিরোধ করে। শিশুদের 6 সপ্তাহ বয়সে প্রথম ডোজ, 1-2 মাস অন্তর 3টি ডোজ এবং 18-24 মাস বয়সে 1টি বুস্টার ডোজ।


4 টাইফয়েড ভ্যাকসিন (Typhoid Vaccine) : টাইফয়েড প্রতিরোধ করে। শিশুদের 3-6 বছর বয়সে ২টি ডোজ এবং 10 বছর বয়সে 1টি বুস্টার ডোজ, 16 বছর বয়সে 1টি বুস্টার ডোজ।


হেপাটাইটিস B ভ্যাকসিন (Hepatitis B Vaccine) : হেপাটাইটিস B প্রতিরোধ করে। সদ্যোজাত শিশুদের 1টি ডোজ ও 1-2 মাস অন্তর 2টি ডোজ।

নিউমোকক্কাল ভ্যাকসিন (Pneumococcal Vaccine) ঃ নিউমোনিয়া প্রতিরোধ করে। 6 সপ্তাহ বয়সে প্রথম ডোজ, 1 মাস অন্তর 2টি ডোজ।

MMR(Measles,Mumps, Rubella)ঃ এই ভ্যাকসিনটি হাম, রুবেলা ও মাম্পস্-এর বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে। শিশুদের 9-12 মাস বয়সে 1টি ডোজ।

TT (Tetanus toxoid) : এই ভ্যাকসিনটি টিটেনাসের বিরুদ্ধে সুরক্ষা প্রদান করে। গর্ভবতী মহিলাদের 12-36 সপ্তাহে 2টি ডোজ, শিশুদের 10 বছর বয়সে 1টি বুস্টার ডোজ এবং 16 বছর বয়সে 1টি বুস্টার ডোজ। টিকাকরণের গুরুত্ব : (i) টিকাকরণের ফলে দেহে অ্যান্টিবডি সৃষ্টি হয়, ফলে রোগ আক্রমণ প্রতিরোধ করে। (ii) টিকার মাধ্যমে ভ্যাকসিন দেহের মধ্যে প্রবিষ্ট হয় এবং ভাইরাস ও ব্যাকটেরিয়ার প্রজনন ক্ষমতাকে হ্রাস করে। (iii) টিকাকরণের মাধ্যমে দেহে কৃত্রিম অনাক্রম্যতা সৃষ্টি করা হয়। রোগ (Diseases) : দেহের গঠনগত ও কার্যগত অস্বাভাবিকতা, যা কিছু চিহ্ন (signs) বা লক্ষণ (symptoms) দ্বারা প্রকাশিত হয় তাকে রোগ বা ডিজিজ (diseases) বলে। » রোগের কারণ (Causes of disease) : নানা কারণে রোগ সৃষ্টি হয়, যেমন—(i) দেহে রোগজীবাণু প্রবেশ করলে, যেমন–কলেরা, টাইফয়েড, বসন্ত, হাম ইত্যাদি। (ii) পুষ্টিগত উপাদানের অভাব হলে, যেমন—ভিটামিন, খনিজ লবণ, প্রোটিন। (iii) দেহে বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের তারতম্য ঘটলে, যেমন—ইউরিয়া, ইউরিক অ্যাসিড,হরমোন ইত্যাদির আধিক্যে বা অভাবে। (iv) ধূলিকণা, ধাতব উপাদান, অ্যালারজেনের প্রভাব। (v) যান্ত্রিক কারণে-ক্ষত, অস্থিভঙ্গ, বিচ্যুতি ইত্যাদি। (vi) ভৌত এজেন্টের কারণে, যেমন—রেডিয়েশন, তড়িৎশক্তি ইত্যাদি।

সংজ্ঞা (Definition) : যে উপায়ে ডিটারজেন্ট, সাবান, পেস্ট, অ্যান্টিসেপটিক লোশনের সাহায্যে হাত-পা, মুখ, দেহ, পোশাক-পরিচ্ছদ পরিষ্কার করে জীবাণুমুক্ত করা হয় তাকে ধৌতকরণ বলে।

ধৌতকরণের উপাদান (Components of washing) : ধৌতকরণের জন্য বিভিন্ন উপাদানের প্রয়োজন হয়। যেমন—(i) দাঁত মাজা ও মুখ ধোয়ার জন্য টুথপেস্ট (tooth paste)। (ii) হাত-মুখ ধোয়ার জন্য জীবাণুনাশক সাবান (যেমন—লাইফবয়, ডেটল সাবান, নিম সাবান ইত্যাদি)। (iii) স্নানের সময় সারাদেহ পরিষ্কার করার জন্য নানারকমের সুগন্ধি ও জীবাণুনাশক সাবান, যেমন—লাইফবয়, মার্গো সাবান, ডেটল সাবান, লাক্স, ভিভেল সাবান, গোদরেজ সাবান, ডাভ সাবান ইত্যাদি। (iv) পোশাক-পরিচ্ছদ পরিষ্কার করার জন্য বিভিন্ন প্রকারের ডিটারজেন্ট। (v) ক্ষতস্থান ধোয়ার জন্য অ্যান্টিসেপটিক লোশন, যেমন—ডেটল, স্যাভলন, স্পিরিট, বিটাডিন ইত্যাদি। মানবকল্যাণে জীবাণুদের ভূমিকা (Microbes in Human Welfare) জীবাণু (Microbes) যে আমাদের কেবল ক্ষতি করে তাই নয়, অনেক জীবাণু নানাভাবে আমাদের উপকারও করে। মানবকল্যাণে জীবাণুদের উল্লেখযোগ্য কয়েকটি ভূমিকা হল—

খাদ্যসামগ্রী উৎপাদনে ঃ দই, পনির, মাখন, ঘোল, কেফির, কুমিসা, ইডলি, কিমচি, ফিস সস ইত্যাদি উৎপাদনের জন্য বিভিন্ন ব্যাকটেরিয়াদের কাজে লাগানো হয়।

মদ্যশিল্পে ঃ বিভিন্ন ফলের রস, খেজুরের রস ইত্যাদি গেঁজিয়ে মদ উৎপাদন করা হয়। গ্যাজানোর জন্য জীবাণুদের (ক্লসট্রিডিয়াম, লিউকোনস্টক, জাইমোমোনাস, সারসিনা ইত্যাদি প্রজাতির) ব্যবহার করা হয়। © ওষুধ উৎপাদনে : নানারকম অ্যান্টিবায়োটিক, যেমন—স্ট্রেপটোমাইসিন, নিওমাইসিন, এরিথ্রোমাইসিন,ক্লোরামফেনিকল, টেট্রাসাইক্লিন, অ্যাজিথ্রোমাইসিন, টেরামাইসিন ইত্যাদি উৎপাদনের জন্য নানান জীবাণুদের ব্যবহার করা হয়।

ভ্যাকসিন উৎপাদনেঃ যক্ষ্মা, কলেরা, প্লেগ, টিটেনাস, হুপিং কফ ইত্যাদির ভ্যাকসিন তৈরিতে মৃত বা জীবিত জীবাণুদের ব্যবহার করা হয়।

ভিটামিন উৎপাদনে ঃ ভিটামিন B2, B12, ভিটামিন C উৎপাদনের জন্য বিশেষ কয়েকটি ব্যাকটেরিয়া ব্যবহার করা হয়। অণুজীব সার বা জীব সার (Biofertilizer) সংজ্ঞা (Definition) : যে সক্রিয় গোষ্ঠীর অণুজীব, যেমন—ব্যাকটেরিয়া, শৈবাল ও ছত্রাক এককভাবে বা সম্মিলিতভাবে পরিবেশের কোনো ক্ষতি না করে জমির মাটির উর্বরতা বাড়ায়, শস্য ও ফসল উৎপাদনকারী গাছেদের পুষ্টি জুগিয়ে তাদের সক্রিয় বৃদ্ধিতে সাহায্য করে তাদের বলে জীব সার বা বায়োফার্টিলাইজার। প্রধান তিন প্রকার অণুজীব সার হল—ব্যাকটেরিয়া, সায়ানোব্যাকটেরিয়া ও মাইকোরাইজা। ব্যাকটেরিয়া (Bacteria) : অনেক ব্যাকটেরিয়া আছে যারা বায়ুর মুক্ত নাইট্রোজেনকে আবদ্ধ করে মাটিতে নাইট্রোজেনের পরিমাণ বৃদ্ধি করে। এদের মধ্যে কিছু মুক্তজীবী আবার কিছু মিথোজীবী। A. মুক্তজীবী ব্যাকটেরিয়ার দ্বারা নাইট্রোজেন সংবন্ধন : অ্যাজোটোব্যাকটার (Azotobacter), ক্লসট্রিডিয়াম (Clostridium), ব্যাসিলাস পলিমিক্সা (Bacillus polymyxa) ইত্যাদি ব্যাকটেরিয়া মাটিতে বসবাসকারী স্বাধীনজীবী ব্যাকটেরিয়া। এরা বায়ু থেকে সরাসরি নাইট্রোজেন শোষণ করে মাটিতে আবদ্ধ করে। ফলে মাটির নাইট্রোজেনের পরিমাণ বাড়ে এবং মাটি উর্বর হয়। প্রয়োজনীয়তা : (i) জীব সার প্রয়োগে জমির উর্বরতা ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি পায়। (ii) রাসায়নিক নাইট্রোজেন সারের চাহিদা পূরণ করে। (iii) শস্যজাত উদ্ভিদের কোনো ক্ষতি করে না। (iv) মাইকোরাইজা বোদ বা হিউমাস মাটি সৃষ্টি করে।



নবম শ্রেণি জীবন বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় 1 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর [একটি বাক্যে উত্তর দাও]

নবম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান চতুর্থ    অধ্যায়ের 1 নং প্রশ্ন উত্তর

1.

ডায়রিয়া প্যাথোজেনের প্রকৃতি | প্রধানত প্রোটোজোয়া ঘটিত রোগ। অ্যান্টামিবা, জিয়ার্ডিয়া ইত্যাদি প্রোটোজোয়ার আক্রমণে এই রোগ হয়। এ ছাড়া ব্যাকটেরিয়া ই. কোলি (E. coli), সালমোনেলা (Salmonella), সাইগেলা (Shigella) নামক ব্যাক-টেরিয়ার আক্রমণেও এই রোগ হয়। উপসর্গ (i) প্রচুর পরিমাণে তরল দাস্ত। (ii) মল অপেক্ষা জলের পরিমাণ। বেশি।

(iii) কখনও কখনও উদরাময়ের সঙ্গে গা বমি-বমি ভাব বা বমি হতে পারে। (iv) দুর্বলতা, হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, শুষ্কতা (dehydration) ইত্যাদি লক্ষণ প্রকাশ পায় ম্যালেরিয়া প্যাথোজেনের প্রকৃতি প্লাসমোডিয়াম ভাইভ্যাক্স (Plasmodium vivax), প্লাসমোডিয়াম ম্যালেরি (Plasmodium malarae), প্লাসমোডিয়াম ওভেল (Plasmodium ovale), প্লাসমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম =(Plasmodium falciparum) নামক আদ্যপ্রাণী এই রোগ বিস্তার করে। উপসর্গ (i) শীতাবস্থা : প্রচণ্ড শীত করে এবং কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসে।

(ii) তাপ অবস্থা : 103°-104°F জ্বর হয়, অর্থাৎ উচ্চ তাপমাত্রা।

(iii) ঘাম দিয়ে জ্বর ছেড়ে যায়, তখন শরীর দুর্বল হয়ে পড়ে। ঘামে পোশাক ভিজে যায়। সংক্রমণ পদ্ধতি স্ত্রী অ্যানোফিলিস মশা (Anopheles minimus) এই রোগজীবাণু বহন করে। কোনো ম্যালেরিয়া আক্রান্ত রোগীর রক্ত পান করার সময় মশা এই রোগজীবাণুর একটি বিশেষ দশা (গ্যামেটোসাইট দশা) রক্তের মাধ্যমে মশকীর দেহে প্রবেশ করে। উক্ত মশকীর দেহে স্পোরোজয়েট দশা সৃষ্টি হয়ে মশার লালাথলিতে বসবাস করে। ওই মশকীটি যখন সুস্থ মানুষের\ রক্ত পান করে তখন স্পোরোজয়েট দশা মানুষের রক্তে মিশে যায়। ফলে সুস্থ লোকটি ম্যালেরিয়া রোগাক্রান্ত হয়। ডিপথেরিয়া করিনিব্যাকটেরিয়াম ডিপথেরি (Corynebacterium diptheriae) নামক ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে এই রোগ হয়। উপসর্গ (i) গলার মধ্যে টনসিলের পাশে বা উপরে সাদা সরের মতো দাগ দেখা যায়।

(ii) গলা ব্যথা, গিলতে কষ্ট,গ্ল্যান্ড ফোলা, গলা ধরা, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি লক্ষণ দেখা যায়। (iii) উচ্চ তাপমাত্রা (104°F), মাথার যন্ত্রণা, মুখ থেকে দুর্গন্ধ বেরোনো ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যায়। নিউমোনিয়া ডিপ্লোকক্কাস নিউমোনি (Diplococcus pneumoniae) নামক ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ। উপসর্গ (i) ফুসফুস আক্রান্ত হওয়ায় ফুসফুস থেকে মিউকাস ক্ষরিত | হলে অ্যালভিওলাই, ব্রঙ্কিওল ইত্যাদি মিউকাসে ভরে যায়, ফলে শ্বাসকষ্ট দেখা যায়। (ii) জ্বর, মাথার যন্ত্রণা, শীত-শীত ভাব লক্ষণ দেখা যায়। (iii) ফুসফুসের লোব সলিড হতে থাকে।

(iv) ঠোঁট ও নখ নীলাভ ধূসর বর্ণ ধারণ করে। 5. টিটেনাস বা লক-জ (Tetanus or Lock-Jaw) ক্লসট্রিডিয়াম টিটেনি (Clostridium tetani) নামক ব্যাকটেরিয়া ঘটিত রোগ। উপসর্গ (i) চোয়ালের পেশি শক্ত হয়ে যায় এবং লকড্ হয়ে যায়। হাঁ করতে = পারে না।

(ii) ধনুকের মতো পিছন দিক বেঁকে যেতে থাকে।

(iii) তীব্র জ্বর ও মাথার যন্ত্রণা।

যক্ষ্মা বা টিউবারকিউলোসিস

প্যাথোজেনের প্রকৃতি মাইকোব্যাকটেরিয়াম টিউবারকিউলোসিস (Mycobacterium tuberculosis) নামক ব্যাকটেরিয়া এই রোগ বিস্তার করে। বিজ্ঞানী রবার্ট কখ (Robert Koch) 1880 খ্রিস্টাব্দে এই জীবাণু আবিষ্কার করেন। উপসর্গ (i) ওজন হ্রাস, দুর্বলতা।

(ii) বহুদিন ধরে কাশি এবং কাশির সঙ্গে রক্ত ওঠা।

(iii) জ্বর, বুকে ব্যথা, শ্বাসকষ্ট। (iv) ক্ষুধামান্দ্য।

(v) বিকালে সামান্য জ্বর এবং রাতে ঘাম। 7. ডেঙ্গু বা হাড় ভাঙা ডেঙ্গু ভাইরাস জ্বর (Dengue-Break bone fever) Flavivirus-এর আক্রমণে হয়।

উপসর্গ (i) মাথার যন্ত্রণাসহ প্রবল জ্বর। (ii) গাঁটে গাঁটে ব্যথা, হাড় ভেঙে যাওয়ার মতো যন্ত্রণা।

(iii) পিঠে র‍্যাশ বের হয়। (iv) তাপমাত্রা104°F – 105°F হয়।

(v) পেশিতে ব্যথা।

(vi) লসিকা গ্রন্থির স্ফীতি। (vii) মিউকাস পর্দা থেকে রক্তক্ষরণ হয় এবং অণুচক্রিকার হার কমে যায়। ডেঙ্গু ভাইরাস স্ত্রী এডিস মশা (Aedes - aegypti) দ্বারা বাহিত হয়। মশকী যখন আক্রান্ত রোগীর রক্ত পান করে তখন ডেঙ্গু ভাইরাস মশকীর দেহে প্রবেশ করে। আক্রান্ত মশকী যখন সুস্থ লোকের রক্ত পান করে তখন ভাইরাস সুস্থ দেহে প্রবেশ করে, ফলে সুস্থ লোকটি ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়। 10. AIDS (Acquired Immunoency Deficiency Syndrome)

HIV অর্থাৎ Human Immuno Deficiency Virus I উপসর্গ (i) জ্বর, মাথাব্যথা, গলাব্যথা, নাক-দিয়ে সর্দি ক্ষরণ।

(ii) যকৃতের সংক্রমণ থেকে জন্ডিস, বমি-বমি C ভাব, ক্ষুধামান্দ্য। (iii) লসিকা- গ্রন্থির প্রদাহ, অণুচক্রিকার সংখ্যা হ্রাস। (iv) ইমিউনিটি পাওয়ার বিপর্যস্ত হয়ে েপড়ে। সংক্রমণ পদ্ধতি এই রোগ যেভাবে সংক্রামিত হয় তা হল— HIV রোগীর সঙ্গে অবাধ যৌন সংসর্গ; HIV পজিটিভ রক্ত গ্রহণ; রোগীর ব্যবহৃত সিরিঞ্জ, ব্লেড, রেজার ইত্যাদি ব্যবহার করা; মায়ের দেহ থেকে প্লাসেন্টার মাধ্যমে শিশুর দেহে HIV সংক্রামিত হওয়া।

নবম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় ২ নং প্রশ্ন উত্তর


A. এককথায় উত্তর দাও : 1. কাকে অনাক্রম্যবিদ্যার জনক বলা হয়? 2. অ্যান্টিবডির চেন দুটি কী দিয়ে সংলগ্ন থাকে? 3. অ্যান্টিবডি কত প্রকারের হয়? 4. একটি অ্যান্টিজেনের উদাহরণ দাও। 5. ডিপথেরিয়া রোগের রোগজীবাণুর নাম কী? 6. যক্ষ্মা রোগের ভ্যাকসিনের নাম কী? 7. AIDS-এর পুরো নাম কী? ৪. ডেঙ্গু ভাইরাসের বাহক পতঙ্গের নাম কী?

জীববিদ্যা ও মানবকল্যাণ 2 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর

নবম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান চতুর্থ অধ্যায় 2 নং প্রশ্ন উত্তর


1. ইমিউনিটি কাকে বলে? 2. অ্যান্টিজেন কাকে বলে? 3. অ্যান্টিবডি কাকে বলে? 4. MMR-এর পুরো নাম কী? 5. ডায়ারিয়ার দুটি উপসর্গ উল্লেখ করো। 6. টিটেনাসের প্রতিকারের উপায় কী? 7. অ্যান্টিবডি কত প্রকারের? ৪. এক্সোজেনাস ও এন্ডোজেনাস অ্যান্টিবডি কাকে বলে?


চতুর্থ অধ্যায় জীববিদ্যা ও মানবকল্যাণ বড় প্রশ্ন উত্তর,

নবম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান চতুর্থ  অধ্যায় 5 নং প্রশ্ন উত্তর


1. অ্যান্টিবডির গঠন চিত্রের সাহায্যে বর্ণনা করো। 2. অ্যান্টিজেন ও অ্যান্টিবডির পার্থক্য দেখাও। 3. বিভিন্ন রকমের টিকার নাম ও যে রোগে ব্যবহৃত হয় তার নাম উল্লেখ করো। 4. ম্যালেরিয়া রোগের উপসর্গ ও প্রতিকার উল্লেখ করো। 5. দুটি ভাইরাসঘটিত রোগের উদাহরণ দাও। 6. যক্ষ্মা রোগের উপসর্গ ও সংক্রমণ পদ্ধতি উল্লেখ করো। 7. রোগ নিরাময়ে ধৌতকরণের ভূমিকা ব্যাখ্যা করো। ৪. মানবকল্যাণে জীবাণুর 5টি ভূমিকা উল্লেখ করো।




[TAG]:   মাধ্যমিক জীববিদ্যা ও মানবকল্যাণ চতুর্থ অধ্যায় pdf,জীববিদ্যা ও মানবকল্যাণ mcq,চতুর্থ অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণি,নবম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান,নবম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান চতুর্থ    অধ্যায়,নবম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান চতুর্থ  অধ্যায়ের ২ নং প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান চতুর্থ  অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণির জীবন বিজ্ঞান চতুর্থ    অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর,Madhyamik life science question in bengali,

Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now