পশ্চিমবঙ্গ নবম শ্রেণির ভূগোলের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর |নবম শ্রেণির ভূগোল পশ্চিমবঙ্গ প্রশ্ন উত্তর PDF |Class 9 Geography westbengal question in bengali pdf

পশ্চিমবঙ্গ নবম শ্রেণির ভূগোলের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর |নবম শ্রেণির ভূগোল অষ্টম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF |Class 9 Geography 8th chapter question in bengali  pdf

 

আজ আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি  নবম শ্রেণির ভূগোলের অষ্টম অধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ প্রশ্ন উত্তর PDFClass IX geography eight chapter question Pdf in bengali | WB Class Nine Geography question in bengali |WBBSE পরীক্ষা প্রস্তুতির জন্য নবম শ্রেণি ভূগোলের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf গুরুত্বপূর্ণ ভাবে তোমাকে সাহায্য করবে।


তাই দেড়ি না করে এই পোস্টের নীচে দেওয়া Download লিংকে ক্লিক করে |নবম শ্রেণি ভূগোল অষ্টম অধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর pdf download । Class ix Geography 8th chapter important Question in Bengali Pdf  ডাউনলোড করো । এবং প্রতিদিন বাড়িতে বসে প্রাক্টিস করে থাকতে থাক।ভবিষ্যতে আরো গুরুত্বপূর্ণ Note ,Pdf , Current Affairs,ও প্রতিদিন মকটেস্ট দিতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন।


‘পশ্চিমবঙ্গ’ নবম শ্রেণির ভূগোলের প্রশ্ন উত্তর নিচে দেওয়া হলো


পশ্চিমবঙ্গ mcq প্রশ্ন

File Details:-

File Name:-  পিডিএফ 

File Format:- Pdf

Quality:- High

File Size:-  7Mb

PAGE- 100+

File Location:- Google Drive





Download: click Here to Downloa

Related Posts


নবম শ্রেণি ভূগোল অষ্টম অধ্যায় 1 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর [একটি বাক্যে উত্তর দাও]

নবম শ্রেণির ভূগোল অষ্টম অধ্যায়ের 1 নং প্রশ্ন উত্তর

1.

2.






নবম শ্রেণির ভূগোল অষ্টম অধ্যায় ২ নং প্রশ্ন উত্তর

1.

2.



পশ্চিমবঙ্গ 3 নম্বরের গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর

নবম শ্রেণির ভূগোল অষ্টম অধ্যায় 3 নং প্রশ্ন উত্তর

[1]  :






অষ্টম অধ্যায় পশ্চিমবঙ্গ বড় প্রশ্ন উত্তর,

নবম শ্রেণির ভূগোল অষ্টম অধ্যায় 5 নং প্রশ্ন উত্তর


অষ্টম অধ্যায় 



1.পশ্চিমবঙ্গকে একটি উন্নত রাজ্য হিসেবে বিবেচনা করা হয় কেন?

উত্তর সার্বিক দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গকে উন্নত রাজ্য হিসেবে।

বিবেচনা রার কারণগুলি নিম্নরূপ –

কৃষিত্রে অগ্রগতি : পশ্চিমবঙ্গ কৃষিক্ষেত্রে ভারতের। অন্যান্য রাজ্যের তুলনায় অনেক এগিয়ে। ভারতের মধ্যে ধান ও পাটbউৎপাদনে এই রাজ্য প্রথম স্থান অধিকার করে। এ ছাড়াও গম,তৈলবীজ, ডালশস্য, শাকসবজি ইত্যাদি এখানে ভালাে পরিমাণে উৎপন্ন হয় যা রাজ্য তথা দেশের অর্থনীতিকে শক্ত করেছে।

মৎস্য শিল্প উন্নভি : পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণে সমুদ্র থাকায় এবং এটি একটি নদীমাতৃক রাজ্য হওয়ায় এখানে মাছধরা ও ছেচাষের উপযুক্ত পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে। ফলে ব্যাপক পরিমাণে গাছ উৎপাদিত হয়।

শিল্পচাত উন্নভি : (i) সারা দেশের মধ্যে পাটশিল্পে পশ্চিমবঙ্গ প্রথম। ভাগীরথী-হুগলির তীরবর্তী পাটকলগুলি পাটশিল্পে এই সমৃদ্ধি দিয়েছে। (ii) এখানে দুর্গাপুরে লৌহ-ইস্পাত শিল্প, চিরনে রেলইঞ্জিন নির্মাণ শিল্প, হলদিয়ায় পেট্রোরসায়ন শিল্প গড়ে উঠেছে। (iii) এ ছাড়া কাগজ, রাসায়নিক শিল্পে পশ্চিমবঙ্গ উন্নত। কাতার সল্টলেক অণ্ডলে তথ্যপ্রযুক্তি শিল্প ব্যাপক সমৃদ্ধি লাভ করেছে। (iv) কুটির শিল্পে পশ্চিমবঙ্গ ভারতে প্রথম স্থান অধিকার করে।

বিদ্যুৎ উৎপাদল : বিদ্যুৎ উৎপাদনেও পশ্চিমবঙ্গ অনেক দূর অগ্রসর হয়েছে। এখানে ব্যান্ডেল, বজবজ, কোলাঘাট, সাঁওতালডিহিতে তাপবিদ্যুৎকেন্দ্র, ফারাক্কায় জলবিদ্যুৎকেন্দ্র গড়ে উঠেছে। এখানে সৌরবিদ্যুৎও কিছু অংশে প্রচলিত।

বাণিজ্য : পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা সমগ্র পূর্ব- ভারতের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বাণিজ্যক্ষেত্র।

পরিবহণ : (i) এই অঞল সড়ক পরিবহণে উন্নত। এই রাজ্যের উপর দিয়ে 2, 6, 34, 35, 41 নং জাতীয় সড়ক গেছে। (i) পূর্ব রেলের সদর দপ্তর কলকাতা। শিয়ালদহ ও হাওড়ার মতাে দুটি গুরুত্বপূর্ণ স্টেশন থেকে প্রতিনিয়ত অজস্র ট্রেন রাজ্যের ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তে চলাচল করে। (iii) দমদম বিমানবন্দর পূর্ব

ভারতের একমাত্র আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। (iv) এ ছাড়া কলকাতা ও হলদিয়া বন্দর জলপথে পরিবহণের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।(v) পশ্চিমবঙ্গের শিলিগুড়ি উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার’ এবং বক্সাদুয়ার ভুটানের প্রবেশদ্বার’ হওয়ায় উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলি পশ্চিমবঙ্গের আরাে কাছে এসেছে




2. পশ্চিমবঙ্গের জেলাগুলির নাম লেখাে।

উত্তম। পাশ্চমবঙ্গের জেলার সংখ্যা 23টি। যথা

@ দার্জিলিং, ৪ জলপাইগুড়ি, ® কোচবিহার, @ উত্তর দিনাজপুর,© দক্ষিণ দিনাজপুর,@ মালদা,@ মুরশিদাবাদ,© বীরভূম,© পূর্ব বর্ধমান,@ নদিয়া,ঐ বাঁকুড়া,

@ পুরুলিয়া,® পূর্ব মেদিনীপুর,@ পশ্চিম মেদিনীপুর,হাওড়া,ট হুগলি,® উত্তর 24 পরগনা,দক্ষিণ 24 পরগনা,© কলকাতা,0 আলিপুরদুয়ার,@ কালিম্পং, @ঝাড়গ্রাম, গু পশ্চিম বর্ধমান ।

পশ্চিম বর্ধমান পশ্চিমবঙ্গের নবতম জেলা। 2017 সালের 7 এপ্রিল

বর্ধমান জেলাকে বিভক্ত করে এই জেলাটি গঠিত হয়

\

1.তিনবিঘা করিডর 

উত্তর পশ্চিমবঙ্গ-বাংলাদেশ সীমান্তে অবস্থিত পশ্চিমবঙ্গের  কোচবিহার জেলার মেখলিগ-কুচলিবাড়ি অঞ্চলের তিন বিঘা জমি। ভারত সরকার 1992 সালের 26 জুন বাংলাদেশ সরকারকে।

অনির্দিষ্ট কালের জন্য লিজ দিয়েছে বাংলাদেশের দহগ্রাম ও পানবাড়ি ছিটমহলের মধ্যে যাতায়াতের জন্য। এই সংকীর্ণ একফালি। জমিই “তিনবিঘা করিডর' নামে পরিচিত। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, ভারত। বাংলাদেশ সীমান্তের এই অংশ ছিটমহল নামে পরিচিত।


2 উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার

উত্তর উত্তর-পূর্ব ভারতের বিভিন্ন রাজ্য, যেমন – সিকিম, অসম, মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, ত্রিপুরা, অরুণাচলপ্রদেশ, নাগাল্যান্ড প্রভৃতির সঙ্গে ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের সংযােগ রক্ষা করে চলেছে

শিলিগুড়ি শহরটি। তাই শিলিগুড়িকে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার বলে। পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ঔষধ, যন্ত্রপাতি, বস্ত্র, রাসায়নিক দ্রব্য, খাদ্যদ্রব্য, কয়লা, লবণ

শিলিগুড়ির মাধ্যমে উত্তর-পূর্ব ভারতে প্রেরিত হয় এবং সেখান থেকে বনজ, কৃষিজ, খনিজ সম্পদ পশ্চিমবঙ্গসহ ভারতের বিভিন্ন অংশে পৌঁছায়।



সংক্ষিপ্ত

1 পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যটি কীভাবে গঠিত হয় ? অথবা,পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের নাম পশ্চিমবঙ্গ' হল কেন?

উত্তর 1947 সালের 15 আগস্ট ভারতবর্ষ স্বাধীন হওয়ার পূর্বে পশ্চিমবঙ্গ' নামে কোনাে রাজ্য ছিল না তখন অবিভক্ত বাংলা বঙ্গদেশ’ নামে পরিচিতি ছিল। স্বাধীনতার সময় এই বঙ্গদেশ দ্বিখণ্ডিত হয় এবং একটি অংশ পশ্চিমবঙ্গ' নামে ভারতের অঙ্গরাজ্যে পরিণত হয়। বঙ্গদেশের পশ্চিমের অংশবিশেষ নিয়ে এই রাজ্য গঠিত হয় বলে এর নাম (পশ্চিম + বঙ্গ) পশ্চিমবঙ্গ'।


2 পশ্চিমবঙ্গের অক্ষাংশগত ও দ্রাঘিমাগত অবস্থান লেখাে।

উত্তর: অক্ষাংশায় অবস্থান  -দক্ষিণে 21°31' উত্তর অক্ষাংশ থেকে উত্তরে 27°14' উত্তর অক্ষাংশ পর্যন্ত বিস্তৃত।

দ্রাঘিমাগত অবস্থান  –পশ্চিমে ৪591 পূর্ব দ্রাঘিমা থেকে পূর্বে 89°93' পূর্ব দ্রাঘিমা পর্যন্ত বিস্তৃত।


3.পশ্চিমবঙ্গের কোন কোন জেলার মধ্য দিয়ে কর্কটক্রান্তি রেখা (23%° উ:) বিস্তৃত? *

উত্তর কর্কটক্রান্তিরেখা (23%° উত্তর) পশ্চিমবঙ্গের প্রায় মাঝ বরাবর পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান ও নদিয়া জেলার ওপর দিয়ে বিস্তার লাভ করেছে।


4 পশ্চিমবঙ্গের চতুঃসীমা লেখাে। **

উত্তর পশ্চিমবঙ্গ জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সীমানা দ্বারা পরিবেষ্টিত।।


3 গাের্খাল্যান্ড * *

উত্তর পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং পার্বত্য অঞল অধ্যুষিত নেপালি সম্প্রদায় গােখা নামে পরিচিত। এই সমস্ত গােখা সম্প্রদায়ভুক্ত মানুষজন তাদের স্বতন্ত্র পরিচয় ও আর্থসামাজিক উন্নয়ন অক্ষুন্ন রাখতে একটি পৃথক রাষ্ট্রগঠনের দাবি জানায়। সেই প্রস্তাবিত রাষ্ট্রহ গাের্খাল্যান্ড নামে পরিচিত। 1980 সালে গাের্খাল্যান্ড ন্যাশানাল লিবারেশন ফ্রন্ট গঠনের মাধ্যমে দার্জিলিং, ডুয়ার্স ও শিলিগুড়ি নিয়ে গাের্খাল্যান্ডের প্রথম দাবি জানানাে হয়।


7 পশ্চিমবঙ্গের সীমানায় অবস্থিত না হয়েও ত্রিপুরা পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য কেন?

উত্তর পশ্চিমবঙ্গ ও ত্রিপুরার মধ্যে প্রধান মিল হল উভয় রাজ্যের প্রধান ভাষা বাংলা। এ ছাড়া এই দুই রাজ্যের মধ্যে নানান সামাজিক ও সাংস্কৃতিক মিল থাকার জন্য এবং বাণিজ্যিক সুসম্পর্ক গড়ে ওঠার

জন্য ত্রিপুরাকে পশ্চিমবঙ্গের প্রতিবেশী রাজ্য হিসাবে চিহ্নিত করা হয়েছে।


৪ .শিলিগুড়িকে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার’ বলা হয় কেন?

উত্তর উত্তর-পূর্ব ভারতের সিকিম, অসম, অরুণাচল প্রদেশ,মণিপুর, মেঘালয়, মিজোরাম, ত্রিপুরা, নাগাল্যান্ড রাজ্যগুলির সঙ্গে ভারত তথা পশ্চিমবঙ্গের সংযােগ রক্ষা করে চলেছে শিলিগুড়ি শহরটি। এই শহরটির মাধ্যমেই উত্তর-পূর্ব ভারতের রাজ্যগুলির সঙ্গে ভারতের অন্যান্য রাজ্যের বিভিন্ন দ্রব্যের আদানপ্রদান ঘটে।এই কারণে শিলিগুড়িকে উত্তর-পূর্ব ভারতের প্রবেশদ্বার’ বলা হয়।


9 পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম ও ক্ষুদ্রতম জেলার নাম লেখাে। *,

উত্তর পশ্চিমবঙ্গের বৃহত্তম জেলা হল দক্ষিণ 24 পরগনা (9,960 বর্গ কিমি) এবং ক্ষুদ্রতম জেলা হল কলকাতা (185 বর্গ কিমি)।


12 রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন বলতে কী বােঝ?

উত্তর ভারতবর্ষের রাজ্যগুলিকে ভাষার ভিত্তিতে নতুন করে গঠন করার উদ্দেশ্যে ভারত সরকার 1955 সালে রাজ্য পুনর্গঠন কমিশন’ গঠন করে। 1956 সালের ৭ নভেম্বর রাজ্য পুনর্গঠন আইন বলবৎ

হয়। রাজ্য পুনর্গঠন কমিশনের দ্বারা ভারত 14টি রাজ্যে ও 4টি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে বিভাজিত হয়েছিল। বর্তমানে রাজ্যের সংখা 29 ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলের সংখ্যা 7 হয়েছে।


2পশ্চিমবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলের ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য আলােচনা করাে। * * * 

উপকূলবর্তী বালুকাময় সমভূমি।

: উত্তরের পার্বতল দার্জিলিং জেলার দাজিলিং সদর শিলিগুড়িম্বশুরুষ ওকালি এবং জলপাইগুড়ি জেলার উত্তরে অবস্থিত কুমারগ্রাম ও কালচিনি থানা নিয়ে গঠিত। এটি 'দার্জিলিং হিমালয় পার্বত্য অঞ্চল' নামে পরিচিত।

ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য : 0 এটি পূর্ব হিমালয়ের অংশ। ও ভূগাঠনিক দিক থেকে এটি পশ্চিমবঙ্গের নবীনতম অঞ্চল।

o এই অঞ্চল উত্তর থেকে দক্ষিণে ঢালু। ও এই অঞ্চলটি পাললিক ও রূপান্তরিত শিলা দ্বারা গঠিত। ও পার্বত্য অঞ্চলের ঢাল খাড়া।

এ অঞ্চলটির ভূপ্রকৃতি বন্ধুর। ও সুগভীর খাতসহ নদী উপত্যকা এই অঞ্চলে দেখা যায়। ও তিস্তা নদীর গভীর খাত এই অঞ্চলকে দুটি ভূপ্রাকৃতিক বিভাগে বিভক্ত করেছে। যথা – তিস্তার পূর্ব দিকের পার্বত্য অঞ্চল এবং @ তিস্তার পশ্চিম দিকের পার্বত্য অঞ্চল।

 তিস্তার পূর্বদিাকর পার্বত্য অঞ্চল: ® ভূপ্রকৃতি : তুলনামূলকভাবে কম প্রসারিত এবং কম উচ্চতাযুক্ত। 9 পর্বতশ্রেণি : দুটি পর্বতশ্রেণি এখানে অবস্থিত। (i) দেওলা, (ii) দুরবিনদারা। © বিশেষত্ব ও শৃঙ্গসমূহ : (i) পূর্ব অংশে দুরবিনদারার সর্বোচ্চ শৃঙ্গ ঋষিলা

(3,130 মি) ভুটান-সিকিম সীমান্তে অবস্থিত। (ii) জলপাইগুড়ির উত্তরাংশে অবস্থিত সিঙুলা। এর সর্বোচ্চ শৃঙ্গের নাম রেনিগাঙ্গে (1,885 মি)। (ii) রায়ডাক নদীর পশ্চিমে বক্সাজয়ন্তী পাহাড় আছে। ক্রমাগত ক্ষয়ের ফলে এর উচ্চতা কমে গেছে। (iv) এখানে অবস্থিত বক্সাদুয়ার গিরিপথ হল জলপাইগুড়ি থেকে ভুটানের প্রবেশপথ।

@ তিস্তার পশ্চিমদিকের পার্বত্যঅঞ্চল  : 0 ভূপ্রকৃতি : অনেক বেশি প্রসারিত এবং এখানকার উচ্চতাও বেশি। @ পর্বতশ্রেণি : এই অঞ্চলের দুটি পর্বতশ্রেণি হল – (i) সিঙ্গালিলা ও (ii) দার্জিলিং পর্বতশ্রেণি। © বিশেষত্ব ও শৃঙ্গসমূহ : (i) সিলিলা পর্বতশ্রেণি নেপাল  টংলু (3,063 মি) ইত্যাদি। (i) দার্জিলিং পর্বতশ্রেণি দক্ষিণের তরাই অঞ্চল থেকে খাড়াভাবে ওপরে উঠে উত্তরে বিস্তৃত হয়েছে। এর অপর নাম 'ধুম রেঞ্জ। এই পর্বতশ্রেণির দক্ষিণে টাইগার হিল (2,585 মি) শৃঙ্গ অবস্থিত।

3.পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলের ভূপ্রকৃতির সংক্ষিপ্ত বর্ণনা দাও। [ME 99] অথবা, পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞলের ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য আলােচনা করাে। * *

অবস্থান : সমগ্র পুরুলিয়া জেলাসহ বাঁকুড়া, ঝাড়গ্রাম, পশ্চিম মেদিনীপুর, বীরভূম, পশ্চিম বর্ধমান জেলার তরশায়িত ভূভাগ নিয়ে মালভূমি অঞ্চলটি গঠিত হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাংশে অবস্থিত বলে একে পশ্চিমের মালভূমি’ বলা হয়।

ভূপ্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য : 0 পশ্চিমের মালভূমি অঞ্চল ছােটোনাগপুর মালভূমির অংশ বিশেষ। এটি প্রাচীন ও রূপান্তরিত আগ্নেয় শিলা দিয়ে গঠিত। © দীর্ঘদিনব্যাপী ক্ষয়ের ফলে মালভূমিটি প্রায় সময়ভূমিতে পরিণত হয়েছে। ৩ এটি ভূগঠনের দিক থেকে পশ্চিমবঙ্গের প্রাচীনতম অংশ। ® মালভূমি অঞ্চলের গড় উচ্চতা 100 মিটারের বেশি। ৩ অঞ্চলটি উচু নীচু অর্থাৎ তরগায়িত। সমগ্র মালভূমিটি কাকরযুক্ত মাটি এবং ল্যাটেরাইট মাটি দ্বারা আবৃত। ® মালভূমি অঞ্চলের স্থানে স্থানে কঠিন শিলাগঠিত অল্প উঁচু পাহাড় আছে। এখানে উচ্চভূমি বা টিলাকে থানীয় ভাষায় ‘ডুংরি’বলে। 


মালভূমি অঞ্চলটিকে দু-ভাগে ভাগ করা যায় – A> পূর্বদিকের মালভূমি ও @B) পশ্চিমদিকের মালভূমি।

CA৮ পূর্বাংশের মালভূমি : (1) অবস্থান : ঝাড়গ্রাম ও বাঁকুড়ার পশ্চিমাংশ নিয়ে এই অংশটি গঠিত। (ii) শিলার প্রকৃতি : এই অঞ্চলটি কাকরপূর্ণ শিলা দ্বারা গঠিত। (iii) উল্লেখযােগ্য পাহাড় : বাঁকুড়ার শুশুনিয়া (440 মি), বিহারীনাথ, পশ্চিম মেদিনীপুরের বেলপাহাড়ি।

CB) পশ্চিমাংশের মালভূমি : (1) অবস্থান : বীরভূমের পশ্চিমাংশ, পশ্চিম বর্ধমান এবং সমগ্র পুরুলিয়া জেলা নিয়ে এই অঞ্চলটি গঠিত। (II) শিলার প্রকৃতি : এই তালটি প্রাচীন গ্রানাইট ও নিস্ শিলা দ্বারা গঠিত। (iii) উল্লেখযােগ্য পাহাড় : পুরুলিয়ার অযোধ্যা, বাঘমুণ্ডি (670 মি), পাঞ্চেৎ (643 মি), ভাণ্ডারি, বীরভূমের মামাভাগে, মথুরাখালি, পাথুরাখালি। অযােধ্যা পাহাড়ের গাের্গাপুর (677 মি) এই অঞ্চলের সর্বোচ্চ শৃঙ্গা।


4.পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলের প্রধান নদ-নদীটির বিবরণ দাও। অথবা, দামােদরের গতিপথের সংক্ষিপ্ত

উত্তর দাসাদর আদর গতিপথ : দামােদর পশ্চিমবঙ্গের পশ্চিমাংশের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ নদ। এই নদ ঝাড়খণ্ডের (পালামৌ জেলা) ছােটোনাগপুর মালভূমির খামারপাত পাহাড় থেকে উৎপন্ন হয়েছে। এই নদ ঝাড়খণ্ড থেকে পশ্চিমবঙ্গে প্রবেশ করে পূর্ব বর্ধমান ও হুগলি জেলার ওপর দিয়ে পূর্বে প্রবাহিত হয়েছে এবং হাওড়া জেলার উলুবেড়িয়ার কাছে ভাগীরথী-হুগলি নদীতে পতিত হয়েছে। বর্তমানে দামােদর নদের মূল প্রবাহ শীর্ণ হয়ে গেছে এবং এই নদীর বেশিরভাগ জল এর প্রধান শাখানদী মুণ্ডেশ্বরীর মধ্য দিয়ে

প্রবাহিত হচ্ছে। এই অঞ্চলে দামােদর নদ অনেকবার গতি পরিবর্তন করেছে। এর পুরাতন নদীখাতগুলি কানাখাল, কাননদী,কা,কানা, দামােদর, বেহুলা প্রভৃতি নামে পরিচিত।


শাখানদী ও উপনদী :দামােদরের উপনদীগুলি হল কোনার, শিবানী, বরাকর এবং শাখানদীগুলি হল মুণ্ডেশ্বরী, হিংলাে, কুনুর প্রভৃতি।

> বিশেষ নাম : মালভূমি অঞলে প্রচুর মাটি ক্ষয়ের ফলে সৃষ্ট পলি দামােদর নদ বহন করতে পারে না, উপরন্তু সমভূমিতে এর গতিবেগ ও নদীখাতের গভীরতা দুই-ই কম। আবার শাখা নদী মুণ্ডেশ্বরীর মধ্য দিয়ে বেশিরভাগ জল প্রবাহিত হয়ে রূপনারায়ণ নদে চলে যায় বলে এর মােহানা অংশ খুব সংকীর্ণ ও আঁকাবাঁকা প্রকৃতির। তাই বর্ষাকালে প্রচুর জলের আধিক্য হলে বন্যা দেখা যায়। তাই এই

নদকে বাংলার দুঃখ’ বা ‘দুঃখের নদ’ বলা হয়। তবে বর্তমানে বাঁধ দিয়ে এই বন্যার প্রকোপ অনেকটা প্রশমিত করা হয়েছে।


6 পশ্চিমবঙ্গে জলের বহুমুখী ব্যবহার আলােচনা করে জলসম্পদের প্রভাব বর্ণনা করাে। * *

উত্তর মানুষসহ সমগ্র জীবজগৎ সৃষ্টিতে জলের গুরুত্ব অপরিসীম। পশ্চিমবঙ্গের জলসম্পদ হিসেবে ভূ-পৃষ্ঠস্থ জল ও ভৌমজলের বহুমুখী ব্যবহার নিম্নে আলােচিত হল –

কৃষিকাজে ব্যবহার : কৃষিকাজ পশ্চিমবঙ্গের প্রধান জীবিকা। ভাগীরথী, হুগলি নদীর উর্বর প্লাবনভূমিতে ভৌমজল ও জলসেচের সাহায্যে চাষাবাদ করা হয়।

পরিবছার কান্দ্রে : পরিবহণে জলপথের জুড়ি নেই। হুগলি নদীতে জাহাজ, ট্রলার, নৌকার মাধ্যমে পরিবহণ কার্য করা হয়।সুন্দরবনের পরিবহণের অন্যতম মাধ্যম নদী।

জলবিদ্যুৎ উৎপাদাল : পশ্চিমবঙ্গের পার্বত্য ও মালভূমি অঞ্চলের কিছু খরস্রোতা নদীতে জলবিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র গড়ে তােলা হয়েছে। যেমন – জলঢাকা, ম্যাসাঞ্জোর, ছােটো রঙ্গিত, বাঘমুণ্ডি প্রভৃতি জলবিদ্যুৎ কেন্দ্র।

পানীয় ও দৈনন্দিন ব্যবহারে : মাটির নীচের ভৌমজল কূপ, নলকূপের মাধ্যমে তুলে এনে বা নদীর জল বিশুদ্ধ করে পানীয় হিসেবে

ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া দৈনন্দিন কাজে প্রচুর জল ব্যবহার করা হয়।

শিল্পাচ্চা ব্যবহার : শিল্প গড়ে তােলার ক্ষেত্রে জলের প্রয়ােজনীয়তা আবশ্যক। যেমন – হুগলি নদীর জল হুগলি শিল্পাঞ্চলের এবং

হলদি নদীর জল হলদিয়া শিল্পাঞ্চলের জলের জোগান দিয়ে থাকে।

মাছ চাষ : নদী ও খালের জলকে কাজে লাগিয়ে ভেড়ি তৈরি করে মাছ চাষ করা হয়। যেমন। সুন্দরবনের খাড়ি অঞ্চলের জলাভূমির মৎস্য চাষ।

পশুপালন : ভৌমজল, নদী-খাল, জলাশয়ের জল পশুপালনে ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়।

জলসম্পদের প্রভাব :

সুপ্রভাব : (i) পশ্চিমবঙ্গে কৃষি উৎপাদন বিশেষত ধান, পাট, চা-এর উৎপাদন বৃদ্ধি পেয়েছে। (i) পশ্চিমবঙ্গে তাপবিদ্যুৎ ও জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রসার ঘটেছে। (ill) বিভিন্ন শিল্প উৎপাদন বৃদ্ধি ।

S২। (v) শহর-নগরের প্রসার ঘটেছে। (v) মৎস্য চাষের। উন্নতি ঘটেছে।

> কুপ্রভাব : (i) জলদূষণ বৃন্দি পেয়েছে। (ii) আর্সেনিকের

| ভাব বেড়ে চলেছে। (ii) মাটির উর্বরতা হ্রাস পাচ্ছে। ৮) শহরা-জলে জলসংকট প্রকট হচ্ছে। (v) জলবাহিত রােগের একোগ বৃদ্ধি পাচ্ছে।


18 পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুর নিয়ন্ত্রকগুলি লেখো। * *


উত্তর পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ু বেশ কতকগুলি বিষয়ের দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। জলবায়ুর নিয়ন্ত্রকগুলি হল -

অক্ষাংশ: অক্ষাংশের তারতম্যের সঙ্গে সঙ্গে জলবায়ুর পরিবর্তন দেখা যায়। কর্কটক্রান্তিরেখা (23%° উত্তর পশ্চিমবঙ্গের পুরুলিয়া, বাঁকুড়া, পূর্ব বর্ধমান, পশ্চিম বর্ধমান ও নদিয়া জেলার উপর দিয়ে প্রসারিত। তাই এই রাজ্যের জলবায়ু উয় প্রকৃতির।

হিমালয় পর্বভ : এ রাজ্যের উত্তরে হিমালয় পর্বত অবস্থিত। আর্দ্র দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু এই পর্বতে বাধা পেয়ে এ রাজ্যে শৈলােৎক্ষেপ বৃষ্টিপাত ঘটায়। আবার সাইবেরিয়ার অতি শীতল বায়ু এই পর্বতের দ্বারা বাধা পায় বলে আমাদের রাজ্যে। শীতের তীব্রতাও কম।

ভূমির উচ্চতা : ভূ-পৃষ্ঠ থেকে উপরের দিকে উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উয়তা কমতে থাকে। তাই অধিক উচ্চতায় অবস্থিত হওয়ায় দার্জিলিং-এর জলবায়ু শীতল প্রকৃতির, আবার কম উচ্চতার জন্য কলকাতার জলবায়ু উয় প্রকৃতির।

বায়ুপ্রবাহ : বায়ুপ্রবাহ পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুকে নিয়ন্ত্রণ করে। যেমন (i) দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে বর্ষাকালে বৃষ্টিপাত হয়। (ii) শীতকালে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে পশ্চিমবঙ্গে ঠান্ডা পড়ে। (iii) গ্রীষ্মকালে স্থানীয় বায়ু লু’-এর প্রভাবে এ রাজ্যে তাপপ্রবাহ চলে। আবার কালবৈশাখীর প্রভাবে মাঝে মাঝেই ঝড়, বৃষ্টি, শিলাবৃষ্টি হয়। (iv) শীতকালে মাঝে মাঝে পশ্চিম দিক থেকে আগত বায়ুর

(পশ্চিমি ঝঞা) প্রভাবে বৃষ্টি হয়।

সমুদ্রের প্রভাব : জলভাগের তাপগ্রহণ ও বিকিরণ ক্ষমতা কম হওয়ায় সমুদ্রের তীরবর্তী অঞ্চলের জলবায়ু সমভাবাপন্ন হয়। আবার সমুদ্র থেকে দূরের জলবায়ু চরমভাবাপন্ন হয়। যেমন

বঙ্গোপসাগরের কাছে অবস্থানের জন্য পূর্ব মেদিনীপুর জেলার জলবায়ু সমভাবাপন্ন। অন্যদিকে সমুদ্র থেকে দূরে অবস্থানের জন্য পুরুলিয়া, বাঁকুড়া জেলার জলবায়ু চরমভাবাপন্ন। সমুদ্র উপকূলে সৃষ্ট ঘূর্ণিঝড় (আয়লা), শরৎকালের ‘আশ্বিনের ঝড়’ পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুর ওপর প্রভাব ফেলে।

মৃত্ৰিকা : মাটির প্রথন ও গঠনের ওপর তাপগ্রহণের তারতম্য দেখা যায়। যেমন অঞ্চলের মাটি দ্রুত গরম ও ঠান্ডা হয়ে যায়। কিন্তু গাঙ্গেয় সমভূমির নবীন পলিমাটি ধীরে ধীরে তাপগ্রহণ করে। তাই জলবায়ুরও তারতম্য দেখা যায়।


19 পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য আলােচনা করাে।***

উত্তর পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলি হল নিম্নরূপ

ঋতু পরিবর্তন।:পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুর অন্যতম বৈশি হল ঋতু পরিবর্তন। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ ও শীত ছাড়াও আরও দুটি ঋতুর অস্তিত্ব এখানে অনুভব করা যায় হেমন্ত ও বসন্ত।

@ লৌসুলি বায়ৰ উপচ্ছিড়ি : গ্রীষ্মকালে বঙ্গোপসাগর থেকে আগত দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু ও শীতকালে মধ্য এশিয়া থেকে আগত উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু এই রাজ্যের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়।

® উত্ন ও আদ্র জলবায়ু : ঋতুগত বৈচিত্র্য দেখা গেলেও এই রাজ্য ক্রান্তীয় ও উপক্ৰান্তীয় বলয়ের মধ্যে অবস্থিত। তাই । সামগ্রিকভাবে এই রাজ্যের জলবায়ু উত্ন ও আর্দ্র প্রকৃতির।

৩ উসুভার স্বাভাবিক অবস্থা : মূলত পুরুলিয়া জেলা ছাড়া। আর কোথাও গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা খুব অস্বাভাবিক হারে বাড়ে না। আবার শীতকালে দার্জিলিং-এর পার্বত্য অঞ্চল ছাড়া কোথাও।

তাপমাত্রা হিমাঙ্কের নীচে নামে না।

৪ আগ্রীষ্মকাল ও শুষ্ক শীতকাল : পশ্চিমবঙ্গে অধিকাংশ বৃষ্টিপাত গ্রীষ্মকালে হয়। শীতকালে বৃষ্টিপাত প্রায় হয় না, শীতকাল। শুষ্ক থাকে।

o বৃষ্টিপাতের বিভিন্নভা পশ্চিমবঙ্গের সর্বাধিক বৃষ্টিপাত ঘটে উত্তরদিকে পার্বত্য অঞলে। কিন্তু উত্তর থেকে দক্ষিণে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ ক্রমশ কমতে থাকে। মালভূমি অঞলে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ সবচেয়ে কম।

 জালাভাদ উম্লভার ভারতস্য : পশ্চিমবঙ্গে বিভিন্ন ঋতুতে স্থানভেদে উন্নতার তারতম্য লক্ষিত হয়। যেমন

গ্রীষ্মকালে কলকাতার চেয়ে আসানসােলের তাপমাত্রা বেশি হয়। শীতকালে দার্জিলিং-এর তাপমাত্রা শিলিগুড়ির চেয়ে কম হয়।

® বর্ষার আগমনের অনিশ্চয়তা : দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে এ রাজ্যে বর্ষার আগমন খুবই অনিশ্চিত। নির্ধারিত সময়ের কখনও আগে, আবার কখনও পরে বর্ষা এ রাজ্যে আসে।

ফলে বন্যা বা খরা দেখা দেয়।

© ভুষারপাড় : এ রাজ্যে একমাত্র পার্বত্য অঞ্চলেই তুষারপাত ঘটে।

0 ঘূর্ণিঝড় : গ্রীষ্মকালে কালবৈশাখী’, শরৎকালে ‘আশ্বিনের ঝড়’ ও শীতকালে পশ্চিমি ঝঞ’ এ রাজ্যের জলবায়ুর বৈশিষ্ট্য।


21, পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুর ওপর হিমালয়ের প্রভাবগুলি।


উত্তর পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুর ওপর হিমালয় পর্বতের গুথপূর্ণ। প্রভাব রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে দার্জিলিং ও কালিম্পং দে, এবং সংলগ্ন নেপাল-সিকিম ও ভুটানের হিমালয় পর্বত পশ্চিমবঙ্গের

0 বৃষ্টিপাত্ত সংগঠন : দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু হিমালয় । পর্বতে বাধা পেয়ে প্রচুর শৈলােৎক্ষেপ বৃষ্টি ঘটায়। যেমন - হিমালয়ের পাদদেশে অবস্থিত আলিপুরদুয়ার জেলার বন্যা-দুরারে। পশ্চিমবঙ্গের সব থেকে বেশি বৃষ্টি হয়।

@ আপনার নিয়ন্ত্রক : ভূপৃষ্ঠ থেকে যত উপরের দিকে যাওয়া যায় ততই তাপমাত্রা কমতে থাকে। দার্জিলিং হিমালয়ের উচ্চতা বেশি হওয়ায় ওখানে সারা বছর তাপমাত্রা কম থাকে।

শীতকালে গড় তাপমাত্রা 0°C-4°C এবং গ্রীষ্মকালে গড় তাপমাত্র 10°C-16°C হয়। হিমালয় পর্বতের অবস্থানের জন্যই দার্জিলিং পশ্চিমবঙ্গের শীতলতম জেলা।

ডীব্র শীত থেকে রদ্যা : মধ্য এশিয়ার সাইবেরিয়ার অতি শীতল বায়ু দার্জিলিং হিমালয়ে বাধাপ্রাপ্ত হয়। ফলে, পশ্চিমবঙ্গ তীব্র শীতলতার হাত থেকে রক্ষা পায়।

শীতল বাতাস : শীতকালে উত্তরের হিমালয় অঙুল থেকে মৃদু শীতল বাতাস দক্ষিণবঙ্গের দিকে প্রবাহিত হতে থাকে। ফলে শীতের প্রকোপ বৃদ্ধি পায়।

ও ভুষারাবৃত পর্বতশৃঙ্গ : অধিক উচ্চতার কারণে পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে অবস্থিত হিমালয় পর্বতের কিছু অণ্ডলে তুষারপাত হয়, ফলে পর্বতশৃঙ্গগুলি তুষারাবৃত থাকে।

@ কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ : পশ্চিমবঙ্গের উত্তরে হিমালয় । অণ্ডলে বায়ুর আপেক্ষিক আর্দ্রতা কম হওয়ার কারণে এবং শীতল । প্রকৃতির জলবায়ুর কারণে প্রায় সারা বছরই কুয়াশাচ্ছন্ন পরিবেশ থাকে।

সুতরাং, উপরিউক্ত কারণগুলি থেকে বােঝা যায় যে, হিমালয় পর্বত পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুর ওপর যথেষ্ট প্রভাব বিস্তার করেছে।


১০ পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুতে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব আলােচনা করাে। * * * [ME 96) Srt. Rakrishita

 অথবা, পশ্চিমবঙ্গে মৌসুমি বায়ুর বৈশিষ্ট্যগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও । **

উত্তর পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুতে মৌসুমি বায়ুর প্রভাব নিম্নরূপ —

ঋতুবৈচিত্র্য: পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুতে মৌসুমি বায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য হল ঋতুবৈচিত্র্য। প্রধানত চারটি ঋতু গ্রীষ্ম, শরৎ,শীত ও বসন্ত হলেও পশ্চিমবঙ্গে ছয়টি ঋতু লক্ষ করা যায়।

যেমন বৈশাখ-জৈষ্ঠ্য : গ্রীষ্মকাল, আষাঢ়-শ্রাবণ : বর্ষাকাল, ভাদ্র-আশ্বিন : শরৎকাল, কার্তিক-অগ্রহায়ণ : হেমন্তকাল, পৌষ-মাঘ : শীতকাল, ফাল্গুন-চৈত্র : বসন্তকাল।


® উন্নতা : পশ্চিমবঙ্গে মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে সামগ্রিকভাবে উয় ও আর্দ্র জলবায়ু বিরাজ করলেও স্থানভেদে উন্নতার পার্থক্য দেখা যায়। যেমন – গ্রীষ্মকালে কলকাতার গড় উষ্মতা 35°C

হলেও আসানসােলের গড় উয়তা হয় 45°C। আবার শীতকালে উপকূলীয় অঞলের গড় উয়তা 12°C - 18°C হলেও পার্বত্য অঞলের উম্নতা হিমাঙ্কের নীচে নেমে যায়।


© বৃষ্টিপাত : পশ্চিমবঙ্গে দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টিপাত ঘটে। তবে বৃষ্টিপাত সর্বত্র সমান হয় না। গড় বার্ষিক বৃষ্টিপাত পার্বত্য অঞলে 400 সেমি, তরাই-এ 350 সেমি, মালভূমিতে 125 সেমি ও সমভূমিতে 180 সেমি।


৩ আগমনের অনিশ্চয়তা : দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ু

সময়ের আগে ঢুকলে বন্যা বা সময়ের পরে এলে খরা হয়।প্রাকৃতিক অ্যু : মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে গ্রীষ্মকালে কালবৈশাখী', শরক্কালে ‘আশ্বিনের ঝড় ও শীতকালে পশ্চিমি ঝা’র প্রাদুর্ভাব লক্ষ রা যায়।


O শীভল উত্তর-পূর্ব সীসুমি বায়ুর প্রভাব : উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ু পশ্চিমবঙ্গের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হলেও বিভিন্ন স্থানে শীতলতার প্রভেদ লক্ষ করা যায়। যেমন পার্বত্য ও মালভূমি অঞ্চলে উন্নতা কম হলেও দক্ষিণবঙ্গে উয়তা খুব কম হয় না।


ও আগ্রীষ্মকাল এ যুদ্ধ শীতকাল : পশ্চিমবঙ্গে গ্রীষ্মকালে আর্দ্র দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে প্রচুর বৃষ্টি হয় কিন্তু শীতকালে শুষ্ক উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে বৃষ্টি হয় না। তাই

আর্দ্র গ্রীষ্মকাল ও শুষ্ক শীতকাল পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুর অন্যতম বৈশিষ্ট্য।


® উত্নতার ওপর প্রভাব : গ্রীষ্মের প্রচণ্ড দাবদাহের হাত থেকে মৌসুমি বায়ু রক্ষা করে। মৌসুমি বায়ুর আগমনে বৃষ্টি শুরু হয় এবং উন্নতা প্রায় কমে যায়। তবে শীতকালে উত্তর-পূর্ব মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে শীতের প্রকোপ অনেক সময় বেড়ে যায়।


24 মানুষের জীবনে ঋতুপরিবর্তনের প্রভাব লেখাে।

উত্তর ঋতুপরিবর্তন পশ্চিমবঙ্গের জলবায়ুর প্রধান বৈশিষ্ট্য। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ ও শীত এই চার ঋতুর পর্যায়ক্রমিক পরিবর্তন মানুষের জীবনকে নানাভাবে প্রভাবিত করে। যেমন

জীবিকার ওপর প্রভাব : মানুষের বিভিন্ন ধরনের জীবিকার ওপর ঋতুর পরিবর্তনের প্রভাব অপরিসীম।


কৃষিকাজ :পশ্চিমবঙ্গের মানুষের প্রধান জীবিকা কৃষিকাজ ঋতুপরিবর্তনের ওপর নির্ভর করে মানুষ বিভিন্ন ধরনের ফসল চাষ করে থাকে। যেমন - ধান, পাট, তুলাে, আখ, মিলেট প্রভৃতি খারিফ শস্য বর্ষায় বৃষ্টির জলের ওপর নির্ভর করে চাষ করা হয়। গম, যব, আলু, সরবে প্রভৃতি রবিশস্য শীতকালে জলসেচের ওপর নির্ভর করে চাষ করে ও গ্রীষ্মের পূর্বে কাটে এবং আউশ ধান,

তরমুজ, শশা, ফুটি প্রভৃতি গ্রীষ্মকালে চাষকরেও বর্ষার আগে তােলে।


পশুপালন : পশ্চিমবঙ্গের মালভূমি অঞ্চলে বর্ষাকালে বৃষ্টিপাত কম হওয়ায় এবং এখানকার মাটি অনুর্বর হওয়ায় মানুষ কৃষিকাজ ছাড়া পশুপালনও করে থাকে। (c) মৎস্য সংগ্রহ : বর্ষাকালে খাল, বিল, নদী, নালা জলে ভরে ওঠায় মৎস্য চাষে ও সংগ্রহে সুবিধা হয়।


পােশাক : মানুষের পােশাক-পরিচ্ছদ ঋতুপরিবর্তন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। গ্রীষ্মকালে মানুষ গরমের হাত থেকে বাঁচতে হালকা পােশাক ব্যবহার করে। বর্ষায় বৃষ্টির হাত থেকে বাঁচতে ছাতা, রেনকোট ব্যবহার করে। আর শীতকালে গরম পােশাক পরিধান করে।


শিল্পের বিকাশ : পশ্চিমবঙ্গের পার্বত্য অঞ্চলে বর্ষাকালে ঘটা প্রচুর বৃষ্টিপাত চা উৎপাদনে সহায়তা করে, ফলে এখানে চা শিল্পের বিকাশ ঘটেছে। তরাই অঞলে অত্যধিক বৃষ্টিপাতের কারণে

যে ঘন অরণ্য সৃষ্টি হয়েছে তা কাষ্ঠ শিল্পের উন্নতি ঘটিয়েছে। সমভূমি অণ্ডলে বর্ষাকালে প্রচুর পাটের চাষ পাটশিল্পের বিকাশ ঘটিয়েছে।


উৎসব অনুষ্ঠান :উৎসবপ্রিয় বাঙালির বারাে মাসে তেরাে পার্বণ ঋতুপরিবর্তনের সঙ্গে ওতপ্রােতভাবে জড়িয়ে রয়েছে। গ্রীষ্মকালে দোলযাত্রা, নববর্ষ; বর্ষাকালে জন্মাষ্টমী, রথযাত্রা,


রাখিবন্ধন; শরৎকালে দুর্গাপূজা, কালীপূজা, ভাইফোটা; শীতকালে বড়ােদিন, সরস্বতীপূজা প্রভৃতি উৎসব বাঙালির জীবনযাত্রাকে


প্রাকৃতিক দুর্যোগ : সবশেষে বলা যায়, ঋতুপরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগের আবির্ভাব ঘটে। যেমন গ্রীষ্মকালে কালবৈশাখী, লু-প্রবাহ, বর্ষাকালে অতিবৃষ্টির কারণে সৃষ্ট বন্যা, শরৎকালে আশ্বিনের ঝড় এবং শীতকালে পশ্চিমি ঝঞ্জ মানুষের জীবনকে অতিষ্ঠ করে তােলে।

File Details:-

File Name:-  পিডিএফ 

File Format:- Pdf

Quality:- High

File Size:-  7Mb

PAGE- 100+

File Location:- Google Drive





Download: click Here to Downloa

Related Posts


[TAG]:   পশ্চিমবঙ্গ অষ্টম অধ্যায় pdf,পশ্চিমবঙ্গ mcq,অষ্টম অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণি,নবম শ্রেণির ভূগোল,নবম শ্রেণির ভূগোল অষ্টম অধ্যায়,নবম শ্রেণির ভূগোল অষ্টম অধ্যায়ের ২ নং প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণির ভূগোল অষ্টম অধ্যায় বড় প্রশ্ন উত্তর,নবম শ্রেণির ভূগোল অষ্টম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর,






Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

পড়াশোনা বিষয়ক গুরুত্বপূর্ণ আপডেট পেতে তাড়াতাড়ি

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now