বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ।দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF

বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ।দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF।

বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ।দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রথম অধ্যায় প্রশ্ন উত্তর PDF
মাধ্যমিক ভূগোল প্রথম অধ্যায়pdf

নমস্কার ,

আজ আমি তোমাদের জন্য নিয়ে এসেছি দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রথম অধ্যায় বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ পিডিএফ মাধ্যমিক পরীক্ষার প্রস্তুতির জন্য গুরুত্বপূর্ণ। পশ্চিমবঙ্গ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের মাধ্যমিক সিলেবাসের অন্তর্গত ভূগোল বিষয়ের মাধ্যমিক ভূগোল প্রথম অধ্যায় বহির্জাত প্রক্রিয়া ও তাদের দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ সম্পূর্ণ অধ্যায় থেকে গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন উত্তর শেয়ার করছি।


বহির্জাত প্রক্রিয়া ও নদীর কাজ দ্বারা সৃষ্ট ভূমিরূপ , নদীর ক্ষয় কার্যের ফলে সৃষ্ট ভূমিরূপ


দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রথম অধ্যায় MCQ ।বহু বিকল্প ভিত্তিক প্রশ্ন উত্তর


1. পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাত হল—

(A)ভেনেজুয়েলার অ্যাঞ্জেল

(B) আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের নায়াগ্রা

(C) ভারতের যােগ জলপ্রপাত

(D) আফ্রিকার ভিক্টোরিয়া


2.পৃথিবীর দীর্ঘতম নদী-

(A) মিসিসিপি-মিসৌরি 

(B) ইয়াংসিকিয়াং

(C) গঙ্গা

(D) নীলনদ


3. ইংরেজি 'I' আকৃতির নদী উপত্যকাকে বলে—

(A) গিরিখাত

(B) ক্যানিয়ন

(C) পিরামিড চূড়া

(D) হিমদ্রোণি


4. পলি শঙ্কু গঠিত হয় নদীর [পর্ষদ নমুনা ]

(A) পার্বত্য গতিতে

(B) বদ্বীপ গতিতে

(C) উচ্চ ও মধ্য গতির সংযােগস্থলে

(D) হিমবাহের উপত্যকা প্রবাহে


5. শুষ্ক অঞ্চলে কোমল শিলার ওপর গঠিত নদী উপত্যকা যে নামে পরিচিত

(A) গিরিখাত

(B) ক্যানিয়ন

(C) ‘U’-আকৃতির উপত্যকা 

(D) ক্রেভাস


6. পার্বত্য প্রবাহে নদীর দুপাশে যেসব সমান বা অসমান ধাপের মতাে অল্প বিস্তৃত ভূভাগের সৃষ্টি হয়, তাকে বলে—

(A)নদী মঞ্চ

(B) স্বাভাবিক বাঁধ

(C) খরস্রোত

(D) কর্তিত পার



7. অতি-গভীর V আকৃতির উপত্যকাকে বলে—

(A) গিরিখাত

(B) ক্যানিয়ন

(C) কর্তিত স্পার

(D)প্লাঞ্জপুল



৪. মন্থকূপ সৃষ্টি হয় যার ক্ষয়কার্যের ফলে-

(A) নদী

(B)বায়ু

(C) হিমবাহের

(D) সমুদ্রতরঙ্গের


9. পলল শঙ্কু দেখা যায়-

(A) পর্বতের উচ্চভাগে 

(B) পর্বতের পাদদেশে

(C) বদ্বীপ অঞ্চলে

(D) নদীর মধ্যপ্রবাহে


10. যেসব নদী মূল নদীতে এসে পড়ে, তাদের বলে—

(A) শাখানদী

(B) উপনদী

(C) অপ্রধান নদী

(D) ছােটো নদী


11. পৃথিবীর বৃহত্তম নদী অববাহিকা হল—

(A) আমাজন

(B) নীলনদের অববাহিকা

(C) গঙ্গা

(D)কঙ্গো


12. নদীর কোনাে নির্দিষ্ট অংশ দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে কত জল বয়ে গেল তাকে 1 কিউসেক বলে?

(A) 1 ঘন মিটার

(B) 1 ঘন ফুট

(C) 1 ঘন ইঞি

(D) 1 ঘন সেন্টিমিটার


13. পৃথিবীর বৃহত্তম গিরিখাত-

(A)ইচাং

(B) কলােরাডাে

(C) শিয়ক

(D) গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন


14. পৃথিবীর বৃহত্তম জলপ্রপাত

(A) স্যাবেদন 

(B) যােগ 

(C) নায়াগ্রা

(D) স্ট্যানলি


15. অবতল পাড়ের দিকে নদীর খাতের গভীর অংশ জলপূর্ণ হলে তাকে বলে—

(A) রিফিল

(B) প্লাঞ্জপুল 

(C) পুল 

(D) থলওয়েগ


16. পৃথিবীর বৃহত্তম নদীগঠিত দ্বীপ হল-

(A) মারিয়ানা

(B) মারাজো।

(C) সাগরদ্বীপ

(D) মাজুলি


17. বহিঃধৌত সমভূমি নদী দ্বারা বিচ্ছিন্ন হলে তাকে

(A) টিলাইট

(B) ভ্যালিট্রেন

(C) গ্রাবরেখা

(D) ব্যবচ্ছিন্ন সমভূমি বলে।


18.নিউমুর দ্বীপ টি জলমগ্ন হতে শুরু করে যে ঘূর্ণিঝড় থেকে

(A)ভোলা 

(B)আইলা 

(C)ফাইলিন 

(D)হুদহুদ


দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রথম অধ্যায় 1 নম্বরের প্রশ্ন।

1.গঙ্গানদীর পার্বত্য প্রবাহ কত দূর বিস্তৃত?

>গােমুখ থেকে হরিদ্বার পর্যন্ত।


2. পৃথিবীর বৃহত্তম গিরিখাত কোনটি?

> গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন।


3.ভারতের উচ্চতম জলপ্রপাত কোনটি?

>সরাবতী নদীর ওপর যােগ জলপ্রপাত।


4. পৃথিবীর উচ্চতম জলপ্রপাত কোনটি?

> ভেনেজুয়েলার অ্যাঞ্জেল জলপ্রপাত।


5.আঁকাবাঁকা নদীর গতিপথকে কী বলে?

> মিয়েন্ডার।


6. হাতপাখার মতাে আকারবিশিষ্ট নদীর সঞ্চয়জাত ভূমিরূপ কী নামে পরিচিত?

>পলল ব্যজনী।


7. নদীগঠিত তীব্র বাঁক সম্পন্ন হুদের নাম কী?

> অশ্বক্ষুরাকৃতি হ্রদ।


৪. ফানেল আকৃতির নদীর মােহনাকে কী বলে?

> খাড়ি।


9. প্রতি সেকেন্ডে প্রবাহিত প্রতি ঘনফুট জলকে কী বলে?

> কিউসেক।

10. বুদের ফলে শিলার গায়ে সৃষ্টি হওয়া ছােটো ছােটো গর্তকে কী বলে?

> ক্যাভিটেশন।


11. নদীর ক্ষয়ের শেষ সীমা কোথায়?

>সমুদ্রপৃষ্ঠে।


12. যে নদীর গতিপথে তিনটি গতি স্পষ্টভাবে দেখা যায় তাকে কী বলে?

> আদর্শ নদী।


13. নদীর জলের প্রবাহ পরিমাপের একককে কী বলে?

> কিউসেক / কিউমেক।


14. ভারত ও বাংলাদেশের সীমান্তে অবস্থিত একটি নিমজ্জ মান দ্বীপের নাম করাে।

> নিউমুর বা দক্ষিণ তালপট্টি।


15. কোন্ ঘূর্ণিঝড় থেকে নিউমুর দ্বীপটি নিমজ্জিত হতে শুরু করে?

>ভােলা ঘূর্ণিঝড় থেকে (1970 সালে)।


16. বহির্জাত শক্তিকে কী ধরনের শক্তি বলে?

> বিনাশকারী শক্তি।


17. ঘােড়ামারা দ্বীপে কত মানুষের বাস ছিল?

> 2001 সালের হিসেবে 5000 জন।


18. ঘােড়ামারা দ্বীপটি কলকাতার কত দক্ষিণে অবস্থিত?

> কলকাতা থেকে 150 কিমি দক্ষিণে।


19. ঘােড়ামারা, লােহাচড়া দ্বীপগুলি ডুবে যাবার কারণ কী?

> সমুদ্রজলের উচ্চতা বৃদ্ধি।


20, নিউমুর দ্বীপটি কোন নদীর মােহনায় অবস্থিত?

> হাড়িভাঙা নদীর।


21. 1974 সালে নিউমুরের আয়তন কত ছিল?

> 2500 বর্গমিটার।


22. আরও দুটি নিমজ্জমান দ্বীপের নাম করাে।

> সুপারিভাঙা এবং কাপাসগদি।


দশম শ্রেণীর ভূগোল প্রথম অধ্যায় 2 নম্বরের প্রশ্ন ।অতি সংক্ষিপ্ত উত্তর ভিত্তিক


1.নদী বলতে কী বােঝ?

কোনাে পাহাড়, পর্বত, মালভূমি বা উচ্চভূমির হিমবাহ নির্গত জলধারা বা বৃষ্টির জলধারা যখন ভূমির ঢাল অনুসরণ করে নির্দিষ্ট খাতের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত হয়ে সমুদ্র, হ্রদ বা জলাভূমিতে এসে মেশে, তখন তাকে নদী বলে। উদাহরণ—গঙ্গা, ব্রম্মপুত্র, যমুনা প্রভৃতি নদী।


2. উপনদী ও শাখানদী কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

উপনদী: প্রধান নদীর গতিপথের পার্শ্ববর্তী অঞ্চল থেকে অনেক ছােটো ছােটো নদী এসে প্রধান নদীতে মিলিত হয়। এগুলিকে বলা হয় উপনদী। উদাহরণ–গঙ্গার উপনদী যমুনা।


শাখানদী : মূল নদী থেকে যেসব নদী শাখা আকারে বের হয়, সেগুলিকে বলা হয় শাখানদী। উদাহরণ—গঙ্গার শাখানদী ভাগীরথী-হুগলি।


3.আদর্শ নদী কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

যে নদীর গতিপথে ক্ষয়কার্য-প্রধান পার্বত্য প্রবাহ বা উচ্চগতি, বহনকার্য-প্রধান সমভূমি প্রবাহ বা মধ্যগতি এবং সঞ্চয়কার্য-প্রধান বদ্বীপ প্রবাহ বা নিম্নগতি সুস্পষ্টভাবে লক্ষ করা যায়, সেই নদীকে আদর্শ নদী বলা হয়। উদাহরণ—ভারতের প্রধান নদী গঙ্গার গতিপথে এই তিনটি অবস্থাই বিদ্যমান বলে গঙ্গা একটি আদর্শ নদী।


4.নদীর ষষ্ঠঘাতের সূত্র কী?

নদীবাহিত অক্ষয়জাত পদার্থের পরিমাণ নদীর গতিবেগের ষষ্ঠঘাতের সমানুপাতিক। এই সুত্রটিকে নদীর ষষ্ঠঘাতের সূত্র বলে। কোনাে একটি নদীর গতিবেগ, জলের পরিমাণ অথবা

ভুমির চালের বৃদ্বির কারণে নদীর বহনক্ষমতাও সেই অনুপাতে বেড়ে যায়। যেমন, ঘণ্টায় 2 কিমি বেগে প্রবাহিত নদী যে পরিমাণ। বােঝা বহন করতে পারে, সেই নদী দ্বিগুণ বেগে অর্থাৎ ঘণ্টায় ৪ কিমি বেগে প্রবাহিত হলে 26 = 64 গুণ বেশি পরিমাণ বােঝা বহন করতে সক্ষম হবে। 


5.নদী অববাহিকা ও জলবিভাজিকা বলতে কী বােঝ?

নদী অববাহিকা ; একটি নদী এবং তার বিভিন্ন উপনদী ও শাখানদীগুলি যে অঞলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয়, সেই অঞ্চলকে বলা হয় সেই নদীটির অববাহিকা।


জলবিভাজিকা ; কাছাকাছি অবস্থিত দুই নদী অববাহিকাকে যে উচ্চভূমি পৃথক করে, সেই উচ্চভূমিকে বলা হয় জলবিভাজিকা। সাধারণত পাহাড় বা পর্বত জলবিভাজিকার কাজ করে।


6.ধারন অববাহিকা কাকে বলে?

অসংখ্য ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জলধারা খাতের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হলে সেগুলিকে বলে নদী। ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র নদী দিয়ে গঠিত হয় একটি মূল নদী বা প্রধান নদী। এরকম একটি মূল নদী এবং তার উপনদী ও

শাখানদী বিধৌত অঞ্চলকে ওই নদীর ধারণ অববাহিকা বলে। ধারণ-অববাহিকায় পতিত অধঃক্ষেপণের জল ওই নদীর মাধ্যমে নিষ্কাশিত হয়।


7. নদী-উপত্যকা কাকে বলে?

দুই উচ্চভূমির মধ্যবর্তী দীর্ঘ ও সংকীর্ণ নিম্নভূমিকে বলা হয় উপত্যকা। আর সেই সংকীর্ণ নিম্নভূমির মধ্যে দিয়ে যখন নদী প্রবাহিত হয়, তখন তাকে বলা হয় নদী উপত্যকা। অর্থাৎ নদী যে অংশের মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয় তাকে নদী উপত্যকা বলে।


8. গিরিখাত কাকে বলে? উদাহরণ দাও।

বৃষ্টিবহুল পার্বত্য অঞলে ভূমির ঢাল বেশি থাকে বলে নদীর গতিবেগ খুব বেশি হয়। এই অংশে নদী পার্শ্বক্ষয় অপেক্ষা নিম্নক্ষয় বেশি করে। এর ফলে নদীখাত যথেষ্ট গভীর হয়। নদীখাত খুব গভীর ও সংকীর্ণ হতে হতে যখন ইংরেজি অক্ষর ‘v’-আকৃতির হয়, তখন তাকে বলা হয় গিরিখাত। উদাহরণ—দক্ষিণ আমেরিকার পেরুর এল ক্যানন দ্য কঙ্কা বিশ্বের একটি গভীরতম (3270 মি) গিরিখাত।


9.অবঘর্ষ প্রক্রিয়া কী?

অবঘর্ষ কথাটির অর্থ ‘ঘর্ষণজনিত ক্ষয়। সাধারণভাবে বলা যায়—নদী, হিমবাহ, বায়ুপ্রবাহ প্রভৃতি প্রাকৃতিক শক্তির দ্বারা পরিবাহিত শিলাখণ্ডের সঙ্গে সংঘর্ষে বা ঘর্ষণে যখন ভূপৃষ্ঠের

শিলাস্তর ক্ষয়প্রাপ্ত হয়, তখন তাকে বলা হয় অবঘর্ষ। অবঘর্ষ ক্ষয়ের ফলে শিলার ক্ষয় দ্রুততর হয় এবং শিলা মসৃণ হয়।


11.মন্থকূপ বা পটহােল কী?

পার্বত্য অঞ্চলে নদীর প্রবল স্রোতের সঙ্গে বাহিত বড়াে বড়াে পাথরের সঙ্গে নদীখাতের সংঘর্ষের ফলে নদীর বুকে মাঝে মাঝে গর্ত সৃষ্টি হয়। এগুলিকে মন্থকূপ বা পটহােল বলা হয়।


12.কিউসেক ও কিউমেক কী?

কিউসেক : নদীর একটি নির্দিষ্ট অংশ দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে যত ঘনফুট জল প্রবাহিত হয়, তাকেই কিউসেক (cubic feet per second) বলা হয়।


কিউমেক: নদীর একটি নির্দিষ্ট অংশ দিয়ে প্রতি সেকেন্ডে যত ঘনমিটার জল প্রবাহিত হয়, তাকে কিউমেক (cubic metre per second) বলা হয়।


13.নদীবাঁক বা মিয়ান্ডার কাকে বলে?

সমভূমিতে ভূমির ঢাল খুব কম থাকে বলে নদীর গতিবেগ ও কমে যায়। এইসময় নদীগর্ভে চরের সৃষ্টি হলে নদী তা এড়িয়ে চলার জন্য এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হয়। এর মধ্যে যেসব জায়গায় নদীর গতিপথে সুস্পষ্ট বাঁক (curve) লক্ষ করা যায়,

সেগুলিকেই নদীবাঁক (meander) বলে। নদীবাঁকের একটি পাড় উত্তল ও বিপরীত পাড়টি অবতল হয়।


14.অন্তর্বদ্ধ শৈলশিরা কী?

পার্বত্য অঞ্চলে শৈলশিরাসমূহ নদীর গতিপথে এমনভাবে বাধার সৃষ্টি করে যে, সেই বাধা এড়াতে নদীকে এঁকেবেঁকে প্রবাহিত হতে হয়। এর ফলে শৈলশিরাগুলিকে দূর থেকে পরস্পর আবদ্ধ দেখায় এবং নদী ওহ শৈলশিরাগুলির মধ্যে

অদৃশ্য হয়ে গেছে বলে মনে হয়। একে অন্তবদ্ধ শৈলশিরা বলা হয়।


15. কাসকেড কী?

যখন কোনাে জলপ্রপাতের জল অজস্র ধারায় বা সিড়ির মতাে ঢাল বেয়ে নীচের দিকে নামে, তখন সেই জলপ্রপাতকে কাসকেড বলে। যেমন রাঁচির জোনা জলপ্রপাত।


16 ক্যানিয়ন কাকে বলে?

তুষারগলা জলে উৎপন্ন কোনাে নদী যখন বৃষ্টিহীন শুষ্ক অঙুলের ওপর দিয়ে প্রবাহিত হয় তখন তার দুই পাড়ের ক্ষয় (পার্শ্বক্ষয়) খুব কম থাকে। এই অবস্থায় নদীর গতিপথে যদি কোমল শিলাস্তর থাকে তাহলে নদীজলের স্বল্পতার জন্য নদীর

উপত্যকায় নিম্নক্ষয় বেশি হয়। এর ফলে ইংরেজি অক্ষর আকৃতির অত্যন্ত গভীর ও সংকীর্ণ যে গিরিখাতের সৃষ্টি হয়, তাকে ক্যানিয়ন বলা হয়। যেমন—গ্র্যান্ড ক্যানিয়ন।


17.নদীগ্রাস কাকে বলে?

কোনাে জলবিভাজিকা থেকে নির্গত পাশাপাশি প্রবাহিত দুটি নদীর মধ্যে যে নদীটি বেশি শক্তিশালী, সেই নদীটি অন্য নদীটির মস্তকদেশের অংশবিশেষ গ্রাস করে। এই ঘটনাকে বলা হয় নদীগ্রাস (river capture)।


19. নদীর ক্ষয়সীমা বলতে কী বােঝ?

নদী ভূপৃষ্ঠে যে উচ্চতা পর্যন্ত ক্ষয় করতে সক্ষম, সেই উচ্চতাকে নদীর ক্ষয়সীমা বলে। সাধারণভাবে নদীর ক্ষয়সীমা হল সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা অর্থাৎ নদী সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা পর্যন্ত ক্ষয়কার্য করে। তবে নদীর গতিপথে কোনাে কঠিন শিলা অবস্থান করলে নদী এই কঠিন শিলাস্তরকে বিশেষ ক্ষয় করে না।bতখন ওই কঠিন শিলাস্তর স্থানীয় ক্ষয়সীমারূপে কাজ করে। মরু অণ্ডলে নদীর ক্ষয়সীমা হল প্লায়া হ্রদ।


20. অবরােহণ প্রক্রিয়া কী?

বহির্জাত প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণকারী শক্তিগুলি যেভাবে ভূপৃষ্ঠের পরিবর্তন করে সেই প্রক্রিয়াকে অবরােহণ প্রক্রিয়া বলে।

আবহবিকার বা বিচূর্ণীভবন, পুঞক্ষয় এবং অন্যান্য ক্ষয় প্রক্রিয়াগুলি অবরােহণ ক্রিয়ার ফল। কোন্ অঞ্চলে কী ধরনের অবরােহণ হবে তা নির্ভর করে সেখানকার জলবায়ু, শিলার প্রকৃতি, ক্ষয়কারী শক্তির কার্যক্ষমতা ইত্যাদির ওপর।


21.অবরােহণ প্রক্রিয়াকে ধ্বংসাত্মক প্রক্রিয়া বলে কেন?

অবরােহণ প্রক্রিয়ার মধ্যে দিয়ে ভূমিরূপের পরিবর্তন ঘটে বা ভূমিভাগের ক্ষয় হয়। ভূমি তার প্রকৃত উচ্চতা থেকে নীচু হতে থাকে। সেই কারণেই অবরােহণ প্রক্রিয়াটি একটি ধ্বংসাত্মক প্রক্রিয়া। শিলার ওপর ক্রমাগত আবহবিকার, পুঞ্জয় ইত্যাদি ক্রিয়া করে শিলাস্তরের ওপরের অংশকে অপসারিত করে নীচের শিলাস্তরকে উন্মােচন করে। এভাবেই অবরােহণ প্রক্রিয়ায় কার্যকরী থাকে।


23.আরােহণ প্রক্রিয়া কাকে বলে?

আরােহণ প্রক্রিয়া বলতে ভূপৃষ্ঠের ওপর সঞ্চয়, অবক্ষেপণ এবং অধঃক্ষেপণের মাধ্যমে ভূমিরূপের নির্মাণ প্রক্রিয়াকে বােঝায়।

এই পদ্ধতির মধ্যে দিয়ে নিম্নভূমির উচ্চতা বেড়ে যায়। পর্বতের পাদদেশে সয়জাত ভূমিরুপ তৈরি হয়। নদী অববাহিকায় পলল। ব্যজনী ও প্লাবনভূমির মতাে ভূমিরূপ তৈরি হয়।


24. সমপ্ৰায় ভূমি কাকে বলে?

নদীর ক্ষয়কার্যের ফলে এই ধরনের ভূমিরূপ তৈরি হয়।  আর্দ্র জলবায়ু অঞলে নদীর জলপ্রবাহ ভূমিভাগকে ক্ষয় করে এবং  কঠিন শিলা কম ক্ষয় পায়। দীর্ঘদিন ধরে উচ্চভূমি ক্ষয় পেতে পেতে নীচু সমভূমি সৃষ্টি করে কিন্তু এর মধ্যে কঠিন‌ শিলাগুলি ক্ষয় না পেয়ে উচ্চভূমিরূপে অবস্থান করে। এই প্রায় সমতল ভূমিভাগের নাম সমপ্রায় ভূমি। ছােটোনাগপুরের সমভূমির মধ্যে পরেশনাথ ও পাতে পাহাড় দুটি মােনানক।


25.নিক পয়েন্ট কী?

নদীর পুনর্যৌবন লাভের ফলে নতুন ঢাল ও পুরােনাে‌ ঢালের সংযােগস্থলে যে খাজ তৈরি হয় তাকে নিক পয়েন্ট বলে।এই নিক পয়েন্টে জলতলের পার্থক্য সৃষ্টি হয় বলে সেখানে জলপ্রপাতের সৃষ্টি হয়।



Next Post Previous Post
1 Comments
  • Unknown
    Unknown ২৪ সেপ্টেম্বর, ২০২১ এ ৭:৫০ AM

    Nice

Add Comment
comment url

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now