পরিবেশবিদ্যা। Environmental Studies।EVS।পরিবেশ ও মানুষ

 

পরিবেশবিদ্যা। Environmental Studies।EVS।পরিবেশ ও মানুষ

1.পরিবেশ বলতে কি বােঝ?

উঃ (কোন একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে, নির্দিষ্ট সময়ে, যে সমস্ত প্রাকৃতিক এবং অপ্রাকৃতিক উপাদানসমূহ কোন জীবের ওপর ক্রিয়া প্রতিক্রিয়াগতভাবে প্রভাব বিস্তার করে, তাদের সামগ্রিক যােগফলকে ঐ জীবের পরিবেশ বলে।


২।পরিবেশকে আমরা কি কি ভাগে ভাগ করতে পারি?

উঃ পরিবেশকে সাধারণভাবে আমরা দুটি ভাগে ভাগ করতে পারি। যথা প্রাকৃতিক বা ভৌগােলিক পরিবেশ এবং আর্থ সামাজিক বা সাংস্কৃতিক পরিবেশ।


৩। বসতি বলতে কি বােঝ?

যে প্রাকৃতিক পরিবেশ কোন উদ্ভিদ বা প্রাণীকূলের অবস্থানকে সুনিশ্চিত করে তাকে বসতি বলা হয়।


4।সংস্কৃতির সংজ্ঞা নিরূপণ কর।

উঃ ই. বি. টেইলরের মতে সামাজিক সদস্যরূপে মানুষ যে ভাষা, প্রথা, রীতি নীতি, আইনকানুন, জ্ঞান বিজ্ঞান, বিশ্বাস, নৈতিকতা, কর্মনৈপুণ্য, শিল্পগত দক্ষতা, মূল্যবােধ প্রভৃতি অর্জন করে তার সমষ্টিগত রূপকেই সংস্কৃতি বলা হয়।


5।প্রাকৃতিক পরিবেশ বলতে কি বােঝ?

উঃ বিভিন্ন প্রাকৃতিক উপাদানসমূহ যথা জলবায়ু, ভূপ্রকৃতি, নদনদী, মৃত্তিকা ইত্যাদি যখন উদ্ভিদ এবং প্রাণীজগতের ওপর প্রভাব বিস্তার করে তাকে প্রাকৃতিক পরিবেশ বলে।


৬। আর্থসামাজিক পরিবেশ বা সংস্কৃতিক পরিবেশ বলতে কি বােঝ?

উঃ আর্থ সামাজিক পরিবেশ বা সাংস্কৃতিক পরিবেশ বলতে সমাজের সেই সমস্ত প্রথা, রীতি নীতি, সামাজিক নিয়মকানুন, অধিবাসীদের সাফল্য বা উন্নতির পরিমাণ, কর্মদক্ষতা,

স্বাতন্ত্রীকরণ, পেশাগত দক্ষতা, মানুষের উৎসাহ, সামাজিক প্রতিষ্ঠান-এর কর্মপদ্ধতি ইত্যাদিকে বােঝায়, যা কোন ব্যক্তি, গােষ্ঠী বা সমাজের উন্নতি ও বিকাশে সাহায্য করে।


৭। শিলা কাকে বলে?

উঃ ভূত্বক যে সকল উপাদানে গঠিত তাদের সাধারণভাবে শিলা বলে। শিলা বলতে শুধু

কঠিন পাথরকেই বােঝায় না, নুড়ি, বালি, পলি, কাদা ইত্যাদি সবই শিলার অন্তর্ভূক্ত।


৮| ভূত্বক কাকে বলে?

পৃথিবীর উপরিভাগে গঠিত শিলামন্ডলের অন্তর্ভূক্ত কঠিন বহিরাবরণকেই ভূত্বক বলা হয়।

৯। মৃত্তিকা কাকে বলে?

উঃ ভূত্বকের ওপর অবস্থিত এবং জৈব ও অজৈব শক্তির সমন্বয়ে সৃষ্ট সূক্ষ্ম শিলাচূর্ণ এবং জৈব পদার্থের কোমল স্তরকে মৃত্তিকা বলা হয়।


১০। খনিজ পদার্থের সংজ্ঞা দাও।

উঃ খনিজ পদার্থ বলতে আমরা প্রকৃতিতে সৃষ্ট প্রধানত কেলাসিত এমন একটি সমসত্ত্ব অজৈব পদার্থকে বােঝায় যার নির্দিষ্ট রাসায়নিক গঠন আছে, একটি বৈশিষ্ট্যপূর্ণ পারমাণবিক গঠন রয়েছে এবং যার নির্দিষ্ট বর্ণ, কাঠিন্য, আপেক্ষিক গুরুত্ব, দ্যুতি ও সম্ভেদ রয়েছে।

১১। কর্মরাড বিযুক্তিকি?

উঃসিয়াল এবং সিমা – এই দুটি শিলাস্তর যে সীমারেখা বরাবর মিলিত হয়েছে তাকে কনরাড বিযুক্তি বলা হয়।


১২। ম্যাগমা ও লাভা কি?

উঃ ভূঅভ্যন্তরে অবস্থিত তরল ধাতব পদার্থকে ম্যাগমা বলা হয়। এই ম্যাগমা শিলাস্তরের ফাটলের মাধ্যমে ভূপৃষ্ঠে এসে পৌছালে তাকে লাভা বলা হয়।


১৩। কোন শিলা জৈব পদার্থের সমন্বয়ে সৃষ্ট হয়?

উঃ পাললিক শিলা জৈব পদার্থের সমন্বয়ে সৃষ্ট হয়। যেমন -চুনাপাথর, কয়লা ইত্যাদি।

১বৈপরীত্য উত্তাপ

১৪া যান্ত্রিক আবহবিকার কোথায় সর্বাধিক দেখা যায় ও কেন?

উঃ শুষ্ক অঞ্চলে বা মরু অঞ্চলে উষ্ণতার প্রসর অধিক হওয়ায় এখানে যান্ত্রিক আবহবিকার দেখা যায়।


৫। রাসায়নিক আবহবিকার কোথায় সর্বাধিক দেখা যায় ?

উঃ আর্দ্র জলবায়ুযুক্ত অঞ্চলে অধিক পরিমাণে রাসায়নিক আবহবিকার দেখা যায়।


১৬। বায়ুমন্ডলের সংজ্ঞা দাও।

উঃ “থিবীর চারদিকে প্রায় ১০,৪০০ কিমি পর্যন্ত অঞ্চলে একটি গ্যাসীয় আবরণ লক্ষ্য  করা যায়। একে বায়ুমন্ডল বলা হয়। মাধ্যাকর্ষণ শক্তির টানে ইহা দৃঢ়ভাবে পৃথিবীর সংগে সংযুক্ত থাকে।


১৭।.নরম্যাল ল্যাপস রেট বলতে কি বােঝায়?

উঃ সাধারণতঃ দেখা যায় যে ভূপৃষ্ঠ থেকে প্রতি ১০০০ মিটার ওপরে উঠলে ৬.৪° সে.হারে তাপমাত্রা হ্রাস পায়। একে স্বাভাবিক তাপহ্রাসহার বা নরম্যাল ল্যাপস রেট বলে।


১৮। ট্রলােপজ কি?

উঃ ট্রপােস্ফিয়ারের উর্দ্ধসীমাকে ট্রলােপজ বা স্তব্ধস্তর বলা হয়। এর পর শুরু হয় স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার।


১৯।অ্যালবেডাে?

উঃ সূর্য থেকে পৃথিবীতে যতটুকু উত্তাপ আসে তার শতকরা ৪ ভাগ বায়ুমন্ডলে অবস্থিত

মেঘ, ধূলিকণা, ধোঁয়া ইত্যাদি দ্বারা প্রতিফলিত হতে মহাশূন্যে ফিরে যায়। একে অ্যালবেডাে বলে।

২দ্ধার্যকরী সৌরকিরণ কাকে বলে?

উঃ সৌরকিরণের প্রায় ৬৬% পৃথিবীর বায়ুমন্ডলকে উত্তপ্ত করার কাজে ব্যবহৃত হয়।একে কার্যকরী সৌরকিরণ বলে।


২৮ জৈব ভূরাসায়নিক চক্র বলতে কি বােঝ?

উঃ পরিবেশের বিভিন্ন রাসায়নিক উপাদানগুলি যথা কার্বন, নাইট্রোজেন, অক্সিজেন,‌পটাসিয়াম, ফসফরাস, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি পরিবেশ এবং জীবমন্ডলের মধ্যে যে চক্রাকার পথে আবর্তিত হয় সেই পথকে জৈব রাসায়নিক চক্র বলে।


২২। বায়ুতে শতকরা নাইট্রোজেন, অক্সিজেন এবং কার্বন ডাই অক্সাইডের পরিমাণ কত?

= উঃ নাইট্রোজেন পরিমান -৭৮.০৮৪%, অক্সিজেনের পরিমাণ - ২০.৯৪৬% এবং কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ - ০০.০৩৩%।


২৩। ভৌমজলের প্রধান উৎস কি?

উঃ ভৌমজলের প্রধান উৎস বৃষ্টির জল ও তুষারগলা জল।

২৪। ক্রান্তীয় অঞ্চলে সমুদ্রজলের লবণতা কত?

উঃ ক্রান্তীয় অঞ্চলে সমুদ্রজলের গড় লবণতা প্রায় ৩৭% 1


২৫ কোন হ্রদের জল সর্বাধিক লবণাক্ত?

উঃ এশিয়া মাইনরের ভ্যান হ্রদের জল - লবণতা প্রায় ৩৩০%।


২৬া সমুদ্রের ফোটিক জোন কোঅঞ্চলটিকে বলা হয়?

উঃ সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২০০ মি. গভীরতা পর্যন্ত অঞ্চলে সূর্যালােক পৌছায়। এইজন্য এই অঞ্চলটিকে ফোটিক জোন বলা হয়। এখানে মাছের খাদ্য প্ল্যাঙ্কটনের আধিক্য দেখা যায়।


২৭। মানুষের প্রাথমিক স্তরের বৃত্তি কোনগুলি?

উঃ আদিকালীন খাদ্যসংগ্রহ, ফলমূল সংগ্রহ, বনজ সম্পদ আহরণ, মৎস্যশিকার,পশুশিকার, খনিজ সম্পদ উত্তোলন প্রাথমিক বৃত্তির পর্যায়ভুক্ত।


| ২৮ দ্বিতীয় শ্রেণীর কার্যাবলী বলতে কি বােঝ?

উঃ প্রাকৃতিক উপাদানসমূহকে কাজে লাগিয়ে কৃষিকার্য করা হয় এবং খনিজ দ্রব্যাদিকে কারখানাজাত করে বিভিন্ন দ্রব্যাদি উৎপাদন করা হয়। এই দুটি কাজ দ্বিতীয় শ্রেণীর কার্যাবলীর অন্তর্ভূক্ত।


২৯ তৃতীয় পর্যায়ের পরিষেবামূলক কার্যের সঙ্গে যুক্ত কারা?

উঃ চিকিৎসক, শিক্ষক, বুদ্ধিজীবী, উকিল, ইঞ্জিনিয়ার, কেরানী প্রমুখরা তৃতীয় শ্রেণীর কার্যকলাপের সঙ্গে যুক্ত।


৩০। সামাজিকীকরণ বলতে কি বােঝ?

উঃ (সামাজিকীকরণ একটি অবিধিবদ্ধ শিক্ষাপদ্ধতি। এই পদ্ধতিতে পরিবারূ, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুগোষ্ঠী, বিভিন্ন গণমাধ্যম ও বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে শিক্ষা দেওয়া হয়। এই শিক্ষাপদ্ধতির মধ্য দিয়ে শিশু এবং প্রাপ্তবয়স্করা সামাজিক ও সাংস্কৃতিক জগতে অনুপ্রবেশ করে।


৩১। আধুনিক জীবনে শিক্ষার গুরুত্ব আলােচনা কর।

উঃ শিক্ষা অতীতের সঙ্গে বর্তমানের মেলবন্ধন ঘটায় এবং মানবসভ্যতার বহুমুখী জ্ঞানভান্ডারকে বর্তমান প্রজন্ম থেকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মে সঞ্চালিত করে।


৩২। সামাজিক স্থিরতার অর্থ কি?

সামাজিক স্থিরতার অর্থ সামাজিক অবক্ষয় ও ধ্বংসের হাত থেকে সমাজকে রক্ষা করা, সমাজের স্থবিরতা প্রতিরােধ করে সমাজকে গতিশীল করা এবং সমাজকে সুরক্ষিত


৫। ভূত্বকের বৈশিষ্ট্য আলােচনা কর।

উঃ পৃথিবীর উপরিভাগে গঠিত শক্ত শিলাময় বহিরাবরণকে ভূত্বক বলা হয়। ঘনত্ব অনুযায়ী একে SIAL এবং SIMA তে ভাগ করা হয়। SIAL স্তরটি সিলিকন এবং অ্যালুমিনিয়াম দ্বারা গঠিত এবং এর ঘনত্ব ২.৭ - ২.৯। ইহা প্রধানত মহাদেশীয় ভূত্বক গঠন করে।

অন্যদিকে SIMA স্তরটি সিলিকন ও ম্যাগনেসিয়াম দ্বারা গঠিত এবং এর ঘনত্ব ২.৯-এর অধিক। ইহা মহাসাগরীয় ভূত্বক গঠন করে।


৬। ভূত্বকের গতিশীলতার আধুনিক তত্ত্বটি কি?

উঃ ভূত্বক কতকগুলি plates বা পাতের সমন্বয়ে গঠিত। ভূগর্ভ থেকে উঠে আসা। পরিচলন স্রোতের ফলে পাতগুলি গতিশীল হয়ে পড়ে। সমুদ্রের তলদেশে ভূত্বকের ফাটলের মাধ্যমে ভূগর্ভ থেকে তরল ধাতব পদার্থ বা ম্যাগমা উঠে আসে। এই সঞ্চরণশীল ম্যাগমার চাপে সামুদ্রিক ভূত্বক গতিশীল হয়ে ওঠে এবং ইহার প্রভাবে মহাদেশীয় পাতগুলিও গতিশীল হয়। সুতরাং বলা যায় যে, পাতসংস্থান তত্ত্বের আলােকে বর্তমানে ভূত্বকের গতিশীলতা

ব্যাখ্যা করা যায়।


৭। উৎপত্তি অনুযায়ী শিলার শ্রেণীবিভাগ কর।

উঃ উৎপত্তি অনুযায়ী শিলাকে প্রধান তিনটি ভাগে ভাগ করা হয় -

ক) আগ্নেয় শিলা – প্রবল ভূআলােড়নের ফলে ভূত্বকের দুর্বল অংশে ফাটলের সৃষ্টি হয়। এই ফাটলের মাধ্যমে তরল ম্যাগমা লাভা প্রবাহরূপে ভূপৃষ্ঠে নির্গত হয়ে আগ্নেয় শিলার সৃষ্টি হয়। উদাহরণ ব্যাসল্ট ও গ্রানাইট। আগ্নেয় শিলাকে নিঃসারী ও উদ্‌বেধী শিলাতে ভাগ করা হয়।


খ) পাললিক শিলা – কোন অবনমিত ভূভাগে স্তরে স্তরে ক্রমান্বয়ে পলি জমাট বেঁধে এই শিলার সৃষ্টি হয়। একে সাধারণভাবে গঠিত শিলা, জৈবিক উপায়ে গঠিত শিলা ও রাসায়নিক উপায়ে গঠিত শিলাতে ভাগ করা হয়। উদাহরণ - বেলেপাথর, কাদাপাথর।


গ) রূপান্তরিত শিলা - চাপ, তাপ, রাসায়নিক বিক্রিয়া এবং আণবিক বিদারণের ফলে। পাললিক ও আগ্নেয় শিলা পরিবর্তিত হয়ে রূপান্তরিত শিলা গঠন করে। উদাহরণ - মার্বেল,৯৯.০৩০ %


৮। ভূমিরূপগঠনে শিলার প্রভাব আলােচনা কর।

উঃ ক) ব্যাসল্ট, কোয়ার্টজাইট শিলাগঠিত ভূমিরূপ ধাপে ধাপে বিন্যস্ত থাকে।

খ) গ্রানাইট শিলাগঠিত ভূমিরূপ গােলাকার প্রকৃতির হয়।

গ) চুনাপাথর গঠিত ভূমিরূপ অসংখ্য ফাটলযুক্ত হয়।

ঘ) উচ্চভূমি অঞ্চলে কোমল শিলা উপত্যকা এবং কঠিন শিলা উঁচু পাহাড়ের আকারে অবস্থান করে।


৯.বায়ুমন্ডলের প্রধান প্রধান উপাদানসমূহের বিবরণ দাও।

উঃ ক) গ্যাসীয় উপাদান।

১) নাইট্রোজেনের পরিমাণ – ৭৮.০৮৪ %

২) অক্সিজেনের পরিমাণ – ২০.৯৪৬ %

৩) কার্বন-ডাই-অক্সাইডের পরিমাণ – ০.০৩৩ %

৪) আর্গন, নিওন, ক্রিপটন, জেনন, মিথেন। ০.৯৭০ %

ও অন্যান্য গ্যাসের পরিমাণ -০.৯৩৭ %

খ) জলীয় বাষ্প

গ) ধূলিকণা, ছাই, অতি সূক্ষ্ম খনিজ লবণ ইত্যাদি।


উষ্ণতার তারতম্য অনুযায়ী বায়ুমন্ডলের স্তরবিন্যাস কর।

উঃ উষ্ণতার তারতম্য অনুযায়ী বায়ুমন্ডলকে নিম্নলিখিত ভাগে ভাগ করা হয়।

ট্রপােস্ফিয়ার ঃ ভূপৃষ্ঠ থেকে উদ্ধাদেশে ১৮ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। খ)স্ট্র্যাটোস্ফিয়ার ট্রলােপজের ওপরে ৫০ কিমি পর্যন্ত। গ) মেসােস্ফিয়ার স্ট্র্যাটোপজের ওপরে ৮০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত।

ঘ) থার্মোস্ফিয়ার ঃ মেসােপজের ওপরে ৫০০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত। 

ঙ) এক্সোস্ফিয়ার ও থার্মোস্ফিয়ারের ওপরে ৭৫০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত।

চ) ম্যাগনেটোস্ফিয়ার ও এক্সোস্ফিয়ারের ওপরে প্রায় ১০,০০০ কিমি পর্যন্ত বিস্তৃত ।


১১। ট্রপােস্ফিয়ারের বৈশিষ্ট্য লেখ।

উঃ ক) ইহা বায়ুমন্ডলের সর্বনিম্ন স্তর এবং ইহা মেরু অঞ্চলে ৮ কিমি ও নিরক্ষীয় তাঞ্চলে ১৮ কিমি বিস্তৃত।

খ) এই স্তরে প্রতি ১০০০ মিটার ওপরে উঠলে ৬.৪° সে. হারে তাপমাত্রা হ্রাস পায়। ১

গ) এই স্তরে ঝড়, ঝঞা, বৃষ্টিপাত ইত্যাদি যাবতীয় পরিবর্তন লক্ষ্য করা যায় বলে একে ক্ষুব্ধমন্ডল বলে।

ওজোন স্তরের বৈশিষ্ট্য লেখ।

উঃ ক) স্ট্র্যাটোস্ফিয়ারের নিম্নদেশে অর্থাৎ ভূপৃষ্ঠ থেকে মােটামুটিভাবে ২০-৫০ কিমি উচ্চতায় ওজন গ্যাসের আধিক্য লক্ষ্য করা যায়। একে ওজনােস্ফিয়ার বলে।


২১ এই গ্যাস সূর্যের অতিবেগুনী রশ্মিকে শােষণ করে এবং জীবজগতে তাপপ্রবাহেরহাত থেকে রক্ষা করে।

গ) কুমেরু অঞ্চলে পারমাণবিক বিস্ফোরণের ফলে OZONEHOLE এর সৃষ্টি হয়েছে এবং অতিবেগুনী রশ্মি ভূমন্ডলে প্রবেশ করায় তাপমাত্রা বৃদ্ধি পায়।



&#আয়নােস্ফিয়ারের গুরুত্ব লেখ।

উঃ থার্মোস্ফিয়ারের নিম্ন অঞ্চলটি আয়নিত বায়ুস্তরে পরিণত হয়েছে। একে আয়নােস্ফিয়ার বলে। এর গুরুত্বগুলি হল -

ক) আয়নােস্ফিয়ারের D স্তর, E স্তর, F, স্তর, এবং F, স্তরে বেতার তরঙ্গ প্রতিফলিত হয়ে পৃথিবীতে ফিরে আসে ও আমরা শুনতে পাই।

খ) এখানে অরােরা বেরিয়ালিস বা সুমেরু প্রভা এবং অরােরা অস্ট্রালিস বা কুমেরু প্রভা দেখা যায়।


Q-পৃথিবীর উত্তাপ সমতা কাকে বলে?

সূর্য থেকে আগত সৌরকিরণে ৩৪ % পৃথিবীর অ্যালবেড়ােরূপে মহাশূন্যে ফিরে যায় এবং বাকী ৬৬ % কার্যকরী সৌর বিকিরণ রূপে ভূপৃষ্ঠকে উত্তপ্ত করা কাজে ব্যবহৃত হয়। কিন্তু রাত্রিবেলায় ভূপৃষ্ঠ দীর্ঘ তরঙ্গরূপে এই তাপ বিকিরণ করে শীতল হয়। এইভাবে প্রতিদিন গৃহীত তাপ রাত্রে বিকিরিত হওয়ায় পৃথিবীর গড় উত্তাপ বাড়ে না বা কমে যায় না।তাই একে পৃথিবীর উত্তাপের সমতা বলা হয়।


Q-বায়ুর উষ্ণতার তারতম্যের কারণগুলি কি কি?

উঃ ক) সূর্যরশ্মির তাপীয় ফল, ২) অক্ষাংশ, ৩) দিনের দৈর্ঘ্য, ৪) ভূমিভাগের উচ্চতা, ৫) পর্বতের অবস্থান, ৬) ভূমির ঢাল, ৭) সমুদ্র থেকে দূরত্ব, ৮) সমুদ্রস্রোত, ৯) মৃত্তিকার উপাদান, ১০) মেঘাচ্ছন্নতা, ১১) বনভূমির উপস্থিতি, ১২) মানবীয় কার্যকলাপ।


১বৈপরীত্য উত্তাপ কাকে বলে?

উঃ সাধারণভাবে দেখা যায় ল্যাপস্ রেট অনুযায়ী প্রতি ১০০০ মিটার ওপরে উঠলে ৬.৪° সে. হারে তাপ হ্রাস পায়। কিন্তু উচ্চতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে উষ্ণতা বৃদ্ধি পেলে তাকে বৈপরীত্য উত্তাপ বলে। পার্বত্য অঞ্চলে দীর্ঘ শীতের রাত্রিতে দ্রুত তাপ বিকিরণের ফলে পর্বতের উপরিভাগ দ্রুত শীতল হয়ে পড়ে। এর ফলে ওপরের ভারী বাতাস মাধ্যাকর্ষণের টানে পর্বতের ঢাল বেয়ে ধীরে নিচে নেমে এসে পার্বত্য উপত্যকায় জমা হয়। এইভাবে

উপত্যকার নীচের অংশের তাপমাত্রা উচ্চতর অংশের তুলনায় অনেক কম হয়ে পড়ে . একে বৈপরীত্য উত্তাপ বলে।


১৮। অ্যাকুইফার কাকে বলে?

উঃ কোন অপ্রবেশ্য শিলাস্তরের ওপরে কোনাে প্রবেশ্য শিলাস্তর যদি সমান্তরালভাবে অবস্থান করে তাহলে বৃষ্টিপাত এবং তুষারপাতের জল সহজেই প্রবেশ্য শিলাস্তরটিকে সম্পৃক্ত করে। কারণ ঠিক নীচেই অপ্রবেশ্য শিলাস্তর অবস্থানের ফলে জলের নিম্নগতি বন্ধ হয়ে ভৌমজল আবদ্ধ থাকে। এরূপ আবদ্ধ প্রবেশ্য শিলাস্তরটিকে অ্যাকুইফার বলে।


29.সমুদ্র জলে উষ্ণতার তারতম্য ঘটে কেন?

উঃ বিভিন্ন কারণে সমুদ্রজলের উষ্ণতার তারতম্য ঘটে থাকে যথা, ক) অক্ষাংশগত বিস্তার, খ) সমুদ্রের গভীরতা, গ) সমুদ্রস্রোত, ঘ) মগ্ন শৈলরাশির অবস্থান এবং ঙ) হিমশৈলের উপস্থিতি


২০। জলচক্র বলতে কি বােঝ?

উঃ প্রধানতঃ দুটি হাইড্রোজেন অণু এবং একটি অক্সিজেন অণুর সমন্বয়ে জল তৈরী হয়। ভূমন্ডলের জলকে তিনটি অবস্থাতে ভাগ করা হয়। যথা গ্যাসীয় অবস্থা বা জলীয় বাষ্প, কঠিন অবস্থা বা বরফ এবং তরল অবস্থা বা জল। সূর্যের তাপে জলাশয়ের জল বাষ্পীভূত হয় এবং মেঘের সৃষ্টি করে। এই মেঘ উর্ধ্বাকাশে উঠে ক্রমশ শীতল ও ঘনীভূত হয়ে অধঃক্ষেপন রূপে ভূপৃষ্ঠে পতিত হয় এবং পুনরায় নদী দ্বারা বাহিত হয়ে সমুদ্রে মিলিত হয়। এছাড়া পার্বত্য অঞ্চলে জমে থাকা তুষার হিমরেখার নীচে গলে গিয়ে জলে পরিণত হয়। এইভাবে জলরাশি চক্রাকার পথে আবর্তিত হওয়ায় একে জলচক্র বলা হয়।


২১। স্থানান্তর কৃষির বৈশিষ্ট্য লেখ।

উঃ ১) এরূপ কৃষি আদিম জীবিকাসত্তাভিত্তিক কৃষির অন্তর্গত। ভ্রাম্যমান উপজাতিভুক্ত সম্প্রদায় এরূপ অনুন্নত পদ্ধতিতে কৃষিকাজ করে থাকে।

২) এক্ষেত্রে উদ্বৃত্ত উৎপাদন দেখা যায় না।

৩) সাধারণত বনভূমি পরিষ্কার করে সমগ্র জায়গাটি পুড়িয়ে দেওয়া হয় এবং তারপর কৃষিকাজ করা হয়। ইহা ঝুম চাষ নামেও পরিচিত। এর ফলে মাটির উর্বরতা দ্রুত হ্রাস পায়।

৪) উর্বরতা হ্রাস পেলে ২/৩ বছর অন্তর চাষের জমি বদল করা এরূপ কৃষির ধর্ম।


২২। শিল্প বিপ্লব কাকে বলে? ?

উঃ অষ্টাদশ শতকের শেষার্ধে সমগ্র ইউরােপে জ্ঞান বিজ্ঞানের প্রসারের ফলে নবজাগরণ ঘটে। বিভিন্ন ধরনের যন্ত্রাংশ আবিষ্কৃত হয়। যেমন, জেমস ওয়াট আবিষ্কার করেন স্টীম ইঞ্জিন, মাইকেল ফ্যারাডে শেখালেন বিদ্যুতের ব্যবহার, হারগ্রীভস আবিষ্কার করলেন স্পিনিং জেনি ইত্যাদি। এই সকল আবিষ্কারের ফলে সামন্ততান্ত্রিক উৎপাদন ব্যবস্থা কারখানা ভিত্তিক পুঁজি নির্ভর উৎপাদন ব্যবস্থায় পরিণত হয়। একেই বলা হয় শিল্প বিপ্লব।

বিনামূল্যে শিক্ষা বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য পেতে আমাদের ওয়েবসাইটে ভিজিট করুন

File Details:-

File Name:- Environmental Studies  Question answer pdf in Bengali

File Format:- Pdf

Quality:- High

File Size:-  19kb

File Location:- Google Drive



Download: Click Herewith to Download

আরোও দেখুন 



Next Post Previous Post
No Comment
Add Comment
comment url

WhatsAp Group Join Now
Telegram Group Join Now